নবিজির জীবনী আমাদের কাছে উন্মুক্ত বই। সেখান থেকে পৃষ্ঠা উলটিয়ে যা ইচ্ছে আমরা পড়তে পারি, শিখতে পারি। প্রতিটি অধ্যায় মণি-মুক্তোয় ভরপুর। পৃথিবীর সকল সেলিব্রেটি অন্তত কিছু না কিছু ‘একান্ত ব্যক্তিগত’ বলে গোপন করে। কিন্তু দেখুন না আমাদের নবিজিকে; সবকিছুই তিনি উন্মুক্ত করেছেন উম্মতের জন্য। নবিজির বহির্জীবন নিয়ে বলেছেন সাহাবিগণ, ঘরের জীবন নিয়ে বলেছেন উম্মুল মুমিনিন। তাঁরা নবিজির জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ অনুসরণ করেছেন এবং সেগুলো দুনিয়াবাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের বাবা-মা কিংবা শিক্ষকের চেয়েও নবিজিকে বেশি জানি। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা নিজেদের চেয়েও নবিজিকে বেশি উপলব্ধি করতে পারি এবং ভালোবাসি। আমাদের ধ্যান-জ্ঞান এবং আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ‘উসওয়াতুন হাসানা’ প্রিয় নবিজি। ‘মাআল মুস্তফা’ গ্রন্থে আমরা নবিজিকে আরেকবার জীবনের সাথে মিলিয়ে নেবো, তাঁর জীবন থেকে পাথেয় কুড়িয়ে নেবো ইনশাআল্লাহ।
একটি ধর্মীয় চুক্তি, একটি সামাজিক সম্পর্ক। একে ঘিরে দুজন মানুষ, দুটি পরিবারে কত , কত স্বপ্ন! সম্পর্কটিকে সুন্দর করার জন্য প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। তাই এই বইটি কেবল বিবাহেচ্ছু, নববিবাহিত বা বিবাহিতাদের জন্য নয়; বরং তাদের বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, আত্মীয়স্বজনদের জন্যও। এখানে বিয়ের স্বরূপ, দায়িত্বসমূহ, করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়াদি নিয়ে কিছু আলোচনা রয়েছে; যা হয়তো চিন্তার দিগন্তে নতুনত্ব আনতে পারে। রয়েছে কিছু গল্প; যা জীবনের বাস্তবতার প্রতিফলন।
"আমি হতে চাই 'সিরিজ' " বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: আজকের শিশু আগামী দিনের দেশের কর্ণধার। শিশুদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে নৈতিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। ‘আমি হতে চাই’ সিরিজের গল্পগুলো শিশুদের সত্যবাদিতা, পরোপকারিতা, উদারতা, সহনশীলতা, পরিচ্ছন্নতা, কৃতজ্ঞতাবোধ, দায়িত্ববোধ, মানুষের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি মানবিক গুণাবলি অর্জনে উৎসাহিত করবে। গল্পগুলোর ভাষা সহজ ও সাবলীল। ছবিগুলো গল্পের সাথে মানানসই ও চমৎকার। ৬ খণ্ডের এই সিরিজের গল্পগুলো শিশুদের হৃদয়ে মানবীয় মূল্যবোধের ভিত গেঁথে দেবে এবং নরম মনের ক্যানভাসে এঁকে দেবে সুন্দর মানুষ হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়।
হামাস। বিশ্বব্যাপী পরিচিত এক মুক্তি আন্দোলনের নাম। হামাসের চোখ দিয়ে সারা পৃথিবীর মুসলমানরা আল কুদুস মুক্তির স্বপ্ন দেখে। জাতির বেঈমান বড়ো একটা অংশ যখন জয়োনবাদীদের সঙ্গে গোপন সমঝোতা ও আপসকামীতায় ব্যস্ত, ঠিক তখনই ঈমানী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দুরন্ত সাহসে গর্জে ওঠে আমৃত্যু লড়াকু হামাস যোদ্ধারা। মজলুম জননেতা শেখ আহমাদ ইয়াসিনের হাত ধরে জন্ম নেওয়া হামাস এখন রক্তাক্ত জনপদ ফিলিস্তিনের মুক্তির লড়াইয়ে আশা-ভরসার একমাত্র প্রতীকে পরিণত হয়েছে। আজকের এই অবস্থানে পৌঁছতে অসংখ্য শাহাদাত এবং ত্যাগের নজরানা পেশ করতে হয়েছে। ইজরাইলের মতো ঘৃণ্য অপশক্তির মোকাবিলায় হামাস যে দুঃসাহসিতার পরিচয় দিচ্ছে, তা অবিশ্বাস্য, অভাবনীয়। ভারতীয় উপমহাদেশের বাংলাভাষী পাঠকবৃন্দ হামাস নিয়ে বেশ অনুসিন্ধুৎসু। বাস্তবে বাংলা ভাষায় এই বৈপ্লবিক মুক্তি আন্দোলন নিয়ে সেই অর্থে কোনো একাডেমিক কাজ হয়নি। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম আলোচিত এই মুক্তি আন্দোলনকে বাংলাভাষীদের কাছে তুলে ধরার প্রয়াস নিয়েছেন তরুণ লেখক ও অনুবাদক জনাব আলী আহমদ মাবরুর। অনেক পরিশ্রম করে তুলে এনেছেন হামাস সম্পর্কিত অনেক আজানা তথ্য ও ঘটনা। দৃশ্যমান-অদৃশ্যমান অনেক ঘটনা পড়ে পাঠকবৃজন্দ কখনো অশ্রুসিক্ত হবেন, কখনো রিক্ত হবেন, কখনো-বা শিহরণ জাগবে রক্তকণিকায়।
বৈবাহিক জীবনবোধ, রোমাঞ্চ ও ভালোবাসার সাবলীল বোঝাপড়া দাম্পত্য রসায়ন সঙ্গীর মনের প্রতিটি ভাঁজে বিচরণ ও উপলব্ধি এবং তার হৃদয়-পাতাকে অধ্যয়ন করা দাম্পত্য সুখের অপরিহার্য শর্ত। স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য ও গঠন সৃষ্টিগতভাবেই ভিন্ন। এই দুই ভিন্ন সত্তা যখন একই ধ্যানের মৃণাল ধরে জীবন সাজাতে সংকল্পবদ্ধ হয়, তখন পরস্পরের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে অবগত হওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে। অন্যথায় দাম্পত্যজীবনের উষ্ণ লেনাদেনাকে যান্ত্রিক ও আরোপিত বলেই মনে হয়। ‘দাম্পত্য রসায়ন’ পাঠকের চিন্তা ও বোঝাপড়ায় এমন এক বোধ দিতে চায়, যা সঙ্গীর মনের ভাষা পড়তে সহায়ক হবে। দাম্পত্য সম্পর্ক প্রাণোচ্ছল করতে ‘দাম্পত্য রসায়ন’ পুস্তিকাটি হতে পারে স্বামী-স্ত্রীর দারুণ এক টোটকা।
মুসলিম চরিত্র - সুন্নাহর চোখে চরিত্র গঠনের অবকাঠামো দীর্ঘ সময় ধরে তামাম দুনিয়ায় তাদের ঘোড়ার খুর ছুটত। গৌরবান্বিত মুসলিম জাতির আজকের দিনে ক্রমান্বয়ে ক্ষয়িষ্ণু শক্তিতে পরিণিত হওয়ার অন্যতম মৌলিক কারণ নৈতিক চরিত্রের চরম অবনতি। মুসলিম জাতিসত্তার অতীত শৌর্যবীর্য ও নেতৃত্বের প্রধান হাতিয়ার ছিল এক আল্লাহতে বিশ্বাস আর দৃঢ় চারিত্রিক শক্তি। একঝাঁক নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষের চারিত্রিক ছোঁয়ায় অসভ্য পৃথিবী সভ্য হয়ে উঠেছিল; পুরো দুনিয়া তাদের বরণ করে নিয়েছিল। কালের আবর্তে পার্থিব মোহে ঢিলে হয়ে যায় এই শক্তির বাঁধন, ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে মুসলিম উম্মাহ। সেখানে জন্ম নেয় নানা চারিত্রিক রোগ-জীবাণু, আর তাতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে মুসলিম বিশ্ব। এক সময়ের প্রতাপশালী জাতি ক্রিড়নক হয়ে পড়ে অধঃপতিত জাতিসমূহের বহুডোরে। বিশৃঙ্খলতার সমুদ্রমাঝে ডুবে থাকা সত্ত্বেও আমরা অতীতের সোনালি অধ্যায় ফিরে পাওয়ার লড়াই করতে চাই। এই লড়াইয়ের মোক্ষম অস্ত্র- চরিত্র। নৈতিক চরিত্রে বলিয়ান হওয়া ছাড়া আমাদের ঘুরে দাঁড়ানো একেবারেই অসম্ভব। আমাদের চরিত্রের মডেল সাইয়্যেদুল মুরসালির রাসূলুল্লাহ (সা.) এবং সাহাবায়ে আজমাইন। এই গ্রন্থে আমরা সুন্নাহর চোখে চরিত্র গঠনের অবকাঠামো দেখব।