মধ্যমপন্থা - মধ্যমপন্থা কী, কেন, কীভাবে- ড্ড কঠিন সময় পাড়ি দিচ্ছে মুসলিম উম্মাহ। প্রান্তিকতার এই অস্থির সময়ে তাই মধ্যমপন্থার আলোকমশাল জ্বালিয়ে দিতে হবে প্রতিটি অন্তরে। চরম কিংবা নরম-দুটোই বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। প্রান্তিকতার দেয়াল ভেঙে মুক্তির নতুন সূর্য আনতে ‘মধ্যমপন্থা’ হতে পারে সফল মাধ্যম। মধ্যমপন্থার ব্যাখ্যা, ক্ষেত্র, পরিসীমা ও প্রয়োগবিধি নিয়ে শাইখ ইউসুফ আল কারজাভির চমৎকার উপস্থাপনা ‘মধ্যমপন্থা’ (ওয়াসাতিয়্যাহ) পড়ে নতুন করে ভাবার খোরাক পাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ।
মহাপ্রতিপালক মনিব তাঁর সৃষ্ট বান্দাদের অনন্ত জীবনে জান্নাতে নিতে চান। তিনি জানেন- বান্দা ভুল করে, অপরাধ করে; আর তিনি অপেক্ষা করেন ক্ষমা আর দয়া নিয়ে। তিনি চান- বান্দারা তাঁর কাছে মুক্তির আর্জি পেশ করুক, ক্ষমা প্রার্থনা করুক। রবের কাছে যেভাবে বান্দারা কিছু চায়, তা অপর্যাপ্ত ও অপূর্নাঙ্গ হতে পারে, তাই তিনি নিজেই আবেদন প্রক্রিয়া শিখিয়ে দিয়েছেন কুরআনুল কারিমে। কোন ভাষায়, কোন শব্দে, কোন কথামালায় চাইতে হবে, তা আমাদের শিখিয়েছেন নিজেই। এই গ্রন্থে আমরা এমন সব কুরআনিক দুআ নিয়ে জানব, যা বান্দা হিসেবে রাব্বুল আলামিনের সাথে আমাদের সম্পর্ক এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।
আতাতুর্ক এবং এরদোয়ান- দুটি বিপরীত আদর্শের মানুষ। দুই কিংবদন্তি। এই দুজন মানুষ তুরস্কের একশো বছর সময়কালের দুই প্রান্তে বসে ইতিহাস গড়েছেন। দুটি ভিন্ন ধারার, ভিন্ন চিন্তার ইতিহাস। একজন ছিলেন খিলাফত পরবর্তী তুরস্ককে চরম জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মহীন সমাজব্যবস্থা গড়ার কারিগর। আর অপরজন উদারপন্থী জাতীয়তাবাদ এবং ইসলামি মুল্যবোধ ফিরিয়ে আনার রূপকার। এই দুই কিংবদন্তির মধ্যখানে রয়েছে বহু উত্থান-পতনের গল্প। রয়েছে আদনান মেন্দেরেস এবং মিল্লিগুরুশের জনক নাজিমুদ্দিন আরবাকানের সংগ্রামী জীবনের গল্প। একশত বছর আগে যে বিশ্বাসী মানুষদের আশা ভঙ্গের সূচনা হয়েছিল, ঠিক তার একশত বছর পর নতুন করে বিশ্বাসের নির্মাণ শুরু হয়েছে। ষাট এবং নব্বইয়ের দশকে প্রত্যাশিত স্বপ্নের শুরু হলেও দ্রুতই তা কালো মেঘের আড়ালে চাপা পড়ে যায়। কিন্তু বিশ্বাসীদের স্বপ্ন তো শেষ হওয়ার নয়। কেবল দরকার ছিল একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নাবিকের। তাইতো কালো মেঘের ঘনঘটা কাটিয়ে নায়ক এরদোয়ানের হাত ধরে শুরু হয় মূল্যবোধ নির্মাণের পুনযাত্রা। উসমানি খেলাফতের উর্বরভূমি তুরস্ক- স্বভাবতই ইতিহাস সমৃদ্ধ। বিশেষ করে আতাতুর্কের হাত ধরে জন্ম নেওয়া সেক্যুলার তুরস্ক খিলাফতপ্রেমী মানুষদের যেন দীর্ঘশ্বাসের প্রতিচ্ছবি। বসফরাসের পানি যেন সেই মানুষদের অশ্রজিলে বয়ে চলা স্রোতধারা। আশাভঙ্গের ঠিক একশত বছর পরে বসফরাসের তীর নতুন স্বপ্নের হাতছানি দিচ্ছে ।
সম্পর্ক (পেপারব্যাক) - ভালোবাসা, বিয়ে ও যৌনতা বিষয়ে সুন্নাহ নির্ধারিত সতর্কতা ও সীমা আমাদের সম্পর্কগুলো কেন কখনো কখনো কঠিন হয়ে যায়? অথচ রাসূল (সা.)-এর যাবতীয় সম্পর্ক ছিল কোমল, মধুর। এই বই সম্পর্ক নির্ধারণে সুন্নাহর সৌন্দর্য কতটা গভীর, তা নতুন করে দেখতে সাহায্য করবে। মানবিক দুর্বলতার ফলে এবং শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে যৌনতা বিষয়ে অনেকই অনেক বড়ো বড়ো ভুল পদক্ষেপ নেন। এই বই যাবতীয় দ্বিধামুক্ত সুন্দর সম্পর্কের সুস্পষ্ট নির্দেশনা পেতে সাহায্য করবে। সুখী দাম্পত্য জীবনের পূর্বশর্ত কী? একক কোনো শর্ত আছে কি? না, সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য কোনো শর্ত নেই। দাম্পত্য জীবনের সৌন্দর্য নির্ধারণে সুন্নাহর রয়েছে চমৎকার দৃষ্টিভঙ্গি। এই বই সেটি নতুন দৃষ্টিতে দেখতে সাহায্য করবে।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির মাত্র পাঁচ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেন ইমরান খানের জন্ম। পাকিস্তানের ইতিহাসের সাথেই তাঁর জীবন আবর্তিত হয়েছে। অর্থ ও ক্ষমতার মোহে অন্ধ অভিজাত শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক অবদমিত পাকিস্তান বর্তমান বিশ্বের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর মুসলিম দেশ। তবুও সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আর বর্তমান মিত্র আমেরিকার নিয়মিত বোমা হামলা থেকে নিজ জনগণকে রক্ষা করতে অক্ষম। ‘পাকিস্তান ব্যর্থ রাষ্ট্র’-এ ধারণা দিনদিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। কীভাবে পাকিস্তান অবিচার ও অস্তিতিশীলতার শেষ প্রান্তে এমন এক বিপর্যয়কর পরিণতিতে পৌঁছাল? ইমরান খান তাঁর আপন স্মৃতি-প্রিজমে প্রতিসরিত আলোয় দেখা ইতিহাস বর্ণনা করেছেন অনুপম ভঙ্গিমায়। শুরু করেছেন পতনোন্মুখ ব্রিটিশ রাজের সময়কালে রচিত দেশের বুনিয়াদি ধারণা থেকে। মুসলিম বিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া বিভিন্ন মন্তব্য তুলে ধরেছেন। তিনি ঐতিহাসিক ঘটনাবলিকে পাশ্চাত্যের চোখ দিয়ে দেখার পাশাপাশি সাধারণ পাকিস্তানিদের দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখেছেন। পাকিস্তান : আমার ইতিহাস বইয়ে পাশ্চাত্যের কাছে অপরিচিত ভিন্ন এক পাকিস্তানকে তুলে ধরেছেন ইমরান খান। ইতহিাসের এই বুনন থেকে আমরা ইমরানের ব্যক্তিগত জীবন, লাহোরের স্মৃতিময় শৈশব, অক্সফোর্ড-এর শিক্ষাজীবন ও অসাধারণ ক্রিকেট ক্যারিয়ার, জেমিমা গোল্ডস্মিথের সঙ্গে বিয়ে, তাঁর জীবনে মায়ের প্রভাব আর ইসলামি বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে পারব। এই গ্রন্থে আমরা ইমরানের চোখে আল্লামা ইকবালকে দেখব। পরিশিষ্ট অংশে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সর্বশেষ আপডেট জানব।