‘আত্মহত্যার মৃত্যুদণ্ড’ উপন্যাসটি আমাদের সম-সাময়িক সমাজের প্রতিচ্ছবি। বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে বর্তমান সমাজ এবং সমাজ কাঠামো তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। উপন্যাসের মূল দুই চরিত্র ইভান এবং ফুয়াদ। এদের একজন পড়াশুনা শেষ করে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আরেকজন এরই মাঝে বিসিএস দিয়ে পুলিশ অফিসার হয়ে গিয়েছে। এই দুজনের সাক্ষাৎ হয় একটি অসফল আত্মহত্যার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে। সেই আত্মহত্যার কারণ জানতে গিয়ে উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্র সামনে চলে আসে। যেখানে আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা, চাকরি, সামাজিক মূল্যবোধ, রাজনীতি, প্রেম-ভালোবাসা কিংবা পারিবারিক সম্পর্কগুলোও সামনে চলে এসেছে। সমাজের সাধারণ মানুষের না-বলা গল্পগুলো উঠে এসেছে এই উপন্যাসের মাধ্যমে।
ধরুন মাঝ রাতে আপনি আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন। হঠাৎ যদি কোনো আলোকিত বস্তু আপনার চোখে পড়ে, যেটি একবার সোজা মাটিতে নামছে কিংবা পাশের পুকুরে ডুবে যাচ্ছে আবার উপরে উঠে যাচ্ছে! তাহলে আপনি কী মনে করবেন? আপনি হয়ত ভাববেন, হবে হয়ত কিছু। এত ভেবে লাভ কী! কিংবা জিন-ভূত ভেবে একটু ভয় পেয়ে পরের দিন মনের আনন্দে সব ভুলে যাবেন। কিন্তু আপনার মনে এর পিছনের প্রযুক্তি নিয়ে প্রশ্ন জাগবে না, যা পৃথিবী নামক গ্রহে আবিষ্কৃত হয়েছে। পৃথিবীর আরেক প্রান্তের মানুষরা কিন্তু এইসব নিয়ে প্রশ্ন করছে, চিন্তা করছে। যে কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নিয়েই তারা প্রশ্ন করে। যার কারণে তারা বিভিন্ন নতুন জিনিস আবিস্কার করছে শিক্ষা ও সভ্যতায় এগিয়ে যাচ্ছে। আর আমরা বিয়ের অনুষ্ঠানে খেতে গেলে বকশিস দিচ্ছি, জিপিএ ফাইভ পেয়ে মেধাবী হয়ে যাচ্ছি! গতানুগতিক বিষয় নিয়েই আমরা ব্যস্ত। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, আধুনিক বিশ্ব থেকে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। এই বইটিতে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিক মনে করা এমন অনেক বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, যে গুলো আদৌ স্বাভাবিক নয়। যেগুলো নিয়ে আমাদের প্রশ্ন করা উচিত।