কালো পর্দার অন্তরালে কিশোর, রবিন আর মুসা স্কুলের ছুটিতে চলেছে সুদূর কেনিয়ায়। জানে না একের পর এক বিপদ অপেক্ষা করছে ওখানে ওদের জন্য। শুরুতেই ছিনতাইকারী সন্দেহে ধরা হলো ওদের, রওনা হওয়ার আগেই। তারপর? বিমান দুর্ঘটনা—কুমিরের আক্রমণ, খুনীর হামলা…পিছু হটল না তিন গোয়েন্দা। কীভাবে সমস্ত রহস্য ভেদ করবে ওরা? কীভাবে ঠেকাবে অন্যায় পশুহত্যা? ভয়াল শহর ছুটি কাটাতে বেরিয়েছিল ওরা। রুক্ষ উষর অঞ্চলে ঢুকে খারাপ হয়ে গেল গাড়ি। অবাক হয়ে গেল কিশোর ও মুসা। যার কাছেই যায়, এক কথা: বেরিয়ে যাও এখান থেকে! বোকার মত চ্যালেঞ্জ করে বসল ওরা মহাপরাক্রমশালী, খুনী, ভয়ঙ্কর শত্রুকে। সুমেরুর আতঙ্ক গোরস্থানের পাশে কুয়াশা ঘেরা প্রাচীন এক বাড়ি। সেখানে বাস করে বিচিত্র এক পরিবার। ঘটনাচক্রে, সায়েন্স প্রজেক্টের কাজে ও বাড়িতে যেতে হলো রবিনকে। ঘুণাক্ষরেও জানে না, ওকে ঘিরে বোনা হচ্ছে ভয়ঙ্কর এক ষড়যন্রের জাল!
বদলা ভাইয়ের খুনীকে খুঁজতে ম্যাড রিভার কান্ট্রি এসেছে বার্ট। এখানে বিবাদে জড়িয়ে পড়ল সে কেন্ট ব্রাইসনের সঙ্গে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ডেনিস মাইকেল, চাকরি দিল নিজের র্যাঞ্চে। কিন্তু ভোরবেলা ঘুম থেকে তুলে জানানো হলো ওকে খুনের দায়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নেপথ্য থেকে কে চালছে দাবার খুঁটি? কী স্বার্থ তার? বিল হিকক বু হিল র্যাঞ্চে হচ্ছেটা কী? রহস্যময় সব লোক বাথানের ক্রু। কী চায় সে? কেউ জানে না। কেউ কখনও তাকে কাছ থেকে দেখেওনি। যার যার প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত সবাই। সমস্ত ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু বু হিল বাথানের সীমানার কাছে, পাহাড়ে ঘুরে বেড়ায় রহস্যময় আরেক চরিত্র-ব্লাক রাইডার। ক্রমে জমে উঠল নাটক। একে একে সবার মুখোশ উন্মোচিত হলো। ভাল-মন্দের বিচার করার এখন সময় নেই, বু হিল বাথান, আর সবকিছুর নিয়ামক হয়ে দাঁড়াল কিংবদন্তী একটা নাম-বিল হিকক। রক্ত পিশাচ সামান্থা রিভার্সের বিয়ের দিনই খুন হয়ে গেল বুড়ো সাধক জেড পারভিট। খুনী সন্দেহে বিনা বিচারে ওরা ফাঁসিতে ঝোলাল দুজন আগন্তুককে। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হলো না সামান্থার । একদিন ভাই আর বোন জামাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে হাজির হলো সুদর্শন ওয়েন রে। রেঞ্জওয়ার দানা বেঁধে উঠছে। বোঝা যাচ্ছে না কে খুনী। খুন হয়ে গেল সামান্থার বাবা। কে যেন ওয়েন রোকে ফাঁসিয়ে দিতে চাইছে। শক্ত লোক ওয়েন। জমে উঠল নাটক ।
কাজি মাহবুব হোসেন-এর আক্রোশ কাজী মায়মুর হোসেন-এর নিঠুর আলাস্কা +অদৃশ্য ঘাতক আক্রোশ/কাজি মাহবুব হোসেন: ‘অন্যান্য স্লোনরা আগেই টেনেসির পাহাড় ছেড়ে পশ্চিমে গিয়ে বসবাস করছে,’ বলল টিঙ্কার। ‘মনে হয় এবার তোার পালা আসছে।’ ‘হয়তো যেতেও পারি,’ জবাব দিল স্লোন। ‘পশ্চিমে যাওয়ার কথা আমিও ভেবেছি। এখানে পাহাড়ে সারাজীবন খেটে মরলেও উন্নতি করার কোন উপায় নেই।’ দেখা যাক, ভবিতব্য কী ঠিক করে রেখেছে ওর জন্যে। নিঠুর আলাস্কা/কাজী মায়মুর হোসেন: দুর্ধর্ষ গানম্যান কার্ল জন্সটন। সুন্দরী অভিনেত্রী জেন স্টোনের একটা কাজ নিয়ে গেল ও নিঠুর আলাস্কায়। বাধ্য হয়েই সঙ্গে জেন স্টোনকেও নিতে হলো। খুঁজে বের করতে হবে ডিউই লেন নামের এক লোককে। না পেলে প্রমাণ করতে হবে সে মারা গেছে। যার কাছেই ডিউই লেনের খোঁজ জানতে চাইল কার্ল, সে-ই মেরে ফেলতে চাইল ওকে। কে এই রহস্যময় ডিউই লেন? অদৃশ্য ঘাতক/ কাজী মায়মুর হোসেন: কাউণ্টিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর খুনী। কেউ চেনে না। সাতজনকে সন্দেহ করা হচ্ছে। এদের মধ্যেই আছে খুনী, কিন্তু কী করে চেনা যাবে? তদন্ত শুরু করল ডেপুটি শেরিফ। পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে অস্থায়ী ডেপুটির চাকরি নিল অ্যাডাম বেঞ্চলি।
রুদ্র সীমান্ত কিঙ বিগ স্পেন্সার, রাজার মতই চাল চলন। তার কথাই আইন। ছেলের উস্কানিতে পাহাড়ের ছোট র্যাঞ্চারদের উৎখাত করার সিদ্ধান্ত নিল। খুন হলো বিল গ্রেহাম। আগুন জ্বলল। খাবার কেনা বন্ধ করে দেয়া হলো। মাইক মরগ্যান নেতৃত্ব দিচ্ছে পাহাড়ীদের। দুর্ধর্ষ পিস্তলবাজ সে-কিন্তু মাত্র কয়েকজন লোক নিয়ে কিঙ সাম্রাজ্যের এত লোকের বিরুদ্ধে কী করতে পারবে? শুরু হলো সংগ্রাম। শয়তানের চক্র পাঁচ বছর পর স্ত্রী ফর্কসে ফিরেছে বব। উদ্দেশ্য, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করবে। কিন্তু শহরে পৌছতে না পৌছতেই উত্তেজনার আঁচ পেল ও। কথা নেই বার্তা নেই সেলুনে গ্রেপ্তার করা হলো ওকে। ওর বন্ধু গ্লেন আর হার্শেলকে নাকি খোঁজা হচ্ছে খুনের দায়ে। রুখে দাঁড়াল বব। বিনা বিচারে খুন হতে দেবে না বন্ধুদের। শর্ত ছয় বছর পর চকটো বেণ্ডে ফের দেখা হলো এদের আত্মবিশ্বাসী টগবগে দুই যুবক, কর্নেল স্টুয়ার্টের অধীন সাবেক ক্যাপ্টেন। একসময় পাশাপাশি চলেছে ওরা, পাড়ি দিয়েছে বহু বিপদসংকুল পথ, অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতই। কিন্তু এখন… পরস্পরকে খুন করতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে হাতে।
খুনে মার্শাল শিপরকের মার্শাল টেড মার্শ। টাউন কাউন্সিলের বিচারে ওর চাকরি গেল। ওদের অভিযোগ-মার্শ একজন খুনে মার্শাল আউটলদের সে ধরে আনে বটে, কিন্তু বেশিরভাগই আসে লাশ, ঘোড়ার পিঠে উপুড় হয়ে। এক দুর্ধর্ষ আউটলর মোকাবিলা করতে শিরক ছেড়ে টেক্সাস রওনা হলো মার্শ। এখন আর ব্যাজের আড়াল নেই। সুযোগ বুঝে চারদিক থেকে ঝাপিয়ে পড়ল ওর ওপর দুর্বৃত্তের দল। নিঃসঙ্গ অশ্বারোহী ছলে, বলে, কৌশলে অসহায় মাইনারদের কাছ থেকে কার্বন ক্যানিয়ন ছিনিয়ে নিতে চাইছে অর্থলোভী বড়লোক মাইনার জিম ডার্বি। সাহায্যে এগিয়ে এল এক স্ট্রেঞ্জার। কিন্তু একা একজন কী করবে? ডার্বি ওদের শায়েস্তা করার জন্যে ভাড়া করল এক অসৎ ইউ. এস. মার্শাল আর তার ছয় ডেপুটিকে। খুন হয়ে গেল একজন মাইনার। এবার কী ঘটবে? ক্ষ্যাপা তিনজন পুরানো বন্ধু বাড় হ্যাডলের পাওনা টাকা পৌঁছে দিতে নিউ মেক্সিকোর সার্কেল এইচ র্যাঞ্চ পথে রওনা হলো রনি ড্যাশার। টের পেল র্যাঞ্চার আর তার মেয়েকে নিজের র্যাঞ্চেই গৃহবন্দি করে রেখেছে নিষ্ঠুর আউটলর একটা দল। বন্ধুকে বাঁচানোর কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে ওদের নিয়ে দুর্গম পাহাড়ে পালাল রনি। সামনে অ্যাপাচি পিছনে ওদের খুন করা। প্রতিজ্ঞা নিয়ে ধাওয়া করছে আউটের দল। এর মধ্যে নামল তুষার ঝড়। কী করবে রনি?