অসহায় প্রফেসরের স্ত্রীর নীরব কান্না বাধ্য করল রানাকে তাঁদের মেয়েকে খুঁজে দেয়ার দায়িত্ব নিতে। জানত না, জড়িয়ে যাচ্ছে কী গভীর ষড়যন্ত্রে। কোর্ফিউ দ্বীপে চোখের সামনে দেখল বোমা-বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল ওর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মউরাস। শপথ নিল রানা, শেষ দেখে ছাড়বে। আমেরিকায় যেতেই পিছু নিল নৃশংস একদল আততায়ী। এল একের পর এক হামলা! নানান বিপদ উতরে খুঁজেও পেল ও মেয়েটিকে। কিন্তু কী আছে তার কাছে যে জন্যে এমন হন্যে হয়ে উঠেছে সিআইএ? শত্রুর জাল ছিড়ে রানা জানল, ইযরায়েল থেকে শুরু হচ্ছে মহাপ্রলয়! তৃতীয় মহাযুদ্ধে দুনিয়া হবে নরক! বিসিআই চিফের কথা শুনে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে আর একবার ঝাঁপ দিল মাসুদ রানা!
গুপ্তসংঘ এ-গল্প এতিম শিশু টম ও মিষ্টি মেয়ে জেনির। বা মাসুদ রানা ও রামিন রেযার। অথবা ইতালির কারাবিনিয়ারি, মাফিয়া এবং দ্য ডায়মণ্ড রিং-এর। সেই সঙ্গে বাংলাদেশেরও। ভয়ঙ্কর এক নরখাদক দানব মেরে ফেলেছে বলে রানার ওপর খেপে গেছে সিআইএ-র চিফ। এজেন্টদের ওপর নির্দেশ এল: নির্মূল করো বিসিআই-এর এম,আর,নাইনকে! রানা। জানত না, অনাথ টমের অনুরোধ আর লক্ষ্মী মেয়ে জেনির জন্যে নামতে হবে মাফিয়ার চেয়েও ক্ষমতাশালী, জটিল এক গুপ্তসংঘের বিরুদ্ধে। মাস্টারমাইণ্ড কিডন্যাপড বাঙালি প্রত্নতাত্ত্বিক ডক্টর লাবনী আলমকে ফেরত চাইলে অমূল্য স্টাডা কোডেক্স লুঠ করতে হবে ইউএন-এর দুর্গম ভল্ট থেকে! তাই করল রানা! লাবনী ভারতে বন্দি জেনে চলল ওখানেই। বহু কষ্টে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পৌঁছুল রানা বরফ-ছাওয়া হিমালয়ে মহাদেবের প্রাচীন গুহায়! একদিকে শিবের বেদ রক্ষাকারী সশস্ত্র সাধু, অন্যদিকে মাস্টারমাইণ্ড অনুপম মঙ্গেলকার, তার পাষাণী স্ত্রী মাধুরী ও নিষ্ঠুর মার্সেনারিরা। বড় বিপদে আছে রানা বেচারা!
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট চলেছেন এয়ার বেস (রেসট্রিকটেড) যিরো নাইন পরিদর্শনে। কিন্তু মন বলছে ওখানে বিপদ হতে পারে। হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়ে গোপনে মাসুদ রানার সহায়তা চেয়ে বসলেন তিনি। ওদিকে রানাকে বললেন বিসিআই চিফ: ওই বেসে রয়েছে। দুনিয়ার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বায়োলজিকাল এজেন্ট মহাচিনের তৈরি ডুমস্ ডে ভাইরাস। ‘যাও, রানা… তবে মনে রেখো, কাজটা অত্যন্ত কঠিন। সম্ভব হলে, ওই ভাইরাসের নমুনা ও অ্যান্টিডোট নিয়ে এসো।‘ চিফের নির্দেশে ওখানে চলেছে দুঃসাহসী মাসুদ রানা, সঙ্গে কয়েকজন দুর্ধর্ষ অফিসার ও সৈনিক- কিন্তু ওই এয়ার বেসে ঢুকেই ওরা টের পেল, ওখানে চলছে মস্ত ভজকট। চারপাশে একের পর এক ষড়যন্ত্র, নানা বাধা। তারপর শুরু হলো হামলা! বাঁচতে চাইলে লড়তে হবে। কিন্তু কীভাবে নিজেদেরকে রক্ষা করবে ওরা? ওই বেসে দুনিয়াসেরা পঞ্চাশজন এয়ার ফোর্স কমান্ডো খুঁজছে ওদেরকে খুন করার জন্য!
কুয়াশা,শহীদ ও কামাল। দেশে- বিদেশে অন্যায় অবিচারকে দমন করে সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করাই এদের জীবনের ব্রত। এদের সঙ্গে পাঠকও অজানার পথে দুঃসাহসিক অভিযানে বেরিয়ে পড়তে পারবেন। উপভোগ করতে পারবেন রহস্য, রোমাঞ্চ ও বিপদের স্বাদ। শুধু ছোটরাই নয়, ছোট-বড় সবাই এ বই পড়ে প্রচুর আনন্দ লাভ করবেন। আজই সংগ্রহ করুন।
এক শতাব্দীপ্রাচীন শয়তানের আগমন ঘটেছে। কেঁপে উঠছে সবার অন্তরাত্মা।প্রত্যেকে বলাবলি করছে এসে গেছে আসল শয়তান। কবরে থাকা লাশ গায়েব হয়ে যাচ্ছে, জঙ্গলে শুরু হয়েছে ভ্যাম্পায়ারের আনাগোনা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে । মানুষজন শুরু করেছে আত্মার লেনদেন। জেগে উঠছে অ্যাজটেক মূর্তি, মানুষের কলজে চাই ওটার। বস্টনের গির্জায় এক মেয়ের লাশ পাওয়া গেল, ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটা ভ্যাম্পায়ার। জিন্দালাশ মানুষের উপর হামলা চালালেও এড়িয়ে চলছে গির্জা। জ্যান্ত হয়ে উঠেছে পুতুল, খুনের নেশায় ঘরময় ছুটোছুটি শুরু করে দিয়েছে। শয়তান এখন সবখানে, এমন কী সে পিয়ানোর সুরে সুরে ঢুকে পড়েছে। কিন্তু কে হবে সেই শয়তাবের সাগরেদ? কী তার পরিচয়? কার হাতে প্রাণ হারাবে একের পর এক নিষ্পাপ মানুষ?
সিম্বলজিস্ট রর্বাট ল্যাংডন জ্ঞান ফিরে নিজেকে আবিষ্কার করে ফ্লোরেন্সে। তার কি হয়েছে, কি ঘটেছে কিছুই জানে না। স্মৃতিভ্রষ্ট ল্যাংডনরে মাথায় প্রতিধ্বনিত হতে থাকে একটি কথা : খুঁজলেই পাবে। তার জামার পকেটে পাওয়া যায় অদ্ভুত আর ভীতিকর একটি জিনিস। তার কোনো ধারণাই নেই কোত্থেকে এটা এলো। তারপরই ঘটতে থাকে একরে এক পর সহিংস ঘটনা। ঘটনাচক্রে তার সাথে জড়িয়ে পড়ে অদ্ভুত এক মেয়ে। তারা দুজন জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়ায়, সইে সঙ্গে রহস্যের সমাধান করতে থাকে একটু একটু করে। অবশেষে আসল সত্যটি জানতে পারলওে বড্ড দেরি হয়ে যায়। শুধু তাদের জীবনই নয়, পুরো মানবজাতি মারাত্মক এক হুমকির মুখে পড়ে গেছে। দ্য দা ভিঞ্চি কোড-এর পর পাঠকরে সামনে আবারো উপস্থিত হয়েছে জনপ্রিয় চরিত্র রর্বাট ল্যাংডন। ড্যান ব্রাউনের ইনর্ফানো পাঠককে আরো একবার জড়িয়ে ফেলবে কোড, সিম্বল, ইতিহাস আর গোলকধাঁধাতুল্য ষড়যন্ত্রের জালে।