বনের ভেতর থেকে এমিলি নামের ছোট্ট এক মেয়েকে উদ্ধার করল অয়ন, জিমি আর রিয়া। ওকে নাকি ড্রাগন আক্রমণ করেছিল। এমিলির মা বললেন, তাঁর মেয়ে বড্ড কল্পনাবিলাসী। ওর জগৎ্টা রাজকন্যা-রাজপুত্র, দত্যি-দানো, পরী-জাদুকর আর রূপকথার সব প্রাণী দিয়ে ভরা। তা-ই যদি হবে, এমিলিকে আক্রমণ করল কে? অদ্ভুতদর্শন এক পাখি নিয়ে কে ঘুরে বেড়াচ্ছে উপত্যকায়? অলোকদর্শী অ্যালথিয়াই বা অমঙ্গলের আশঙ্কা করছে কেন? কেনই বা হামলা আসছে অয়ন-জিমি-রিয়ার ওপর… বার বার? রহস্যের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে গোয়েন্দারা। শেষে বুঝল, এই রহস্যের সমাধান করতে চাইলে এমিলির চোখ দিয়ে দুনিয়াটা দেখতে হবে ওদের। উকি দিতে হবে রূপকথার জগতে।
সায়েম সোলায়মান ভুল: আনিকাকে পাওয়ার জন্য আপন চাচাকে খুন করার প্ল্যান করেছে সোহেল। কিন্তু… ওয়াস্পস নেস্ট: ‘আমি আসলে এমন একটা অপরাধের তদন্ত করছি, যা এখনও সংঘটিত হয়নি, বলল এরকুল পোয়ারো ঈর্ষা: শিরিনকে খুন করেছে কবির। কেউ কিছু টের পায়নি। কিন্তু শিরিনের লেখা প্রেমপত্রটাই এলোমেলো করে দিল সব। ডেথ বাই ড্রাউনিংঃ রোয এমটের মৃত্যু কি আত্মহত্যা, না খুন? চিরকুটে কী লিখেছেন মিস মার্পল? নেকলেস রহস্যঃ আলমারি অক্ষত , চোরের কাছে ডুপ্লিকেট চাবি নেই। তালা লাগাতেও ভুল হয়নি। তা হলে কীভাবে গায়েব হলো নেকলেসটা? দি আইডল হাউয অভ অ্যাস্টার্টে: চন্দ্রদেবীর মূর্তি প্রাণ পেয়ে হত্যা করেছে রিচার্ড হেইডনকে? মিস মার্পল মানতে নারাজ। সৈকতে সাবধান: পড়ে থাকা কিছু কাপড় অভিনব এক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলল ক্রাইম রিপোর্টার রাশেদ হায়দারকে। স্যাংচুয়ারিঃ আশ্চর্য, ভাই মরেছে, কিন্তু লাশের চেয়ে কোটের প্রতি আগ্রহ বেশি ভদ্রমহিলার। কারণ কী? ভালোবাসা ভালো নয়ঃ কবিতার স্বামী ফয়সল নিখোঁজ। তদন্ত করতে গিয়ে উঠতে হলো রাশেদ হায়দারকে। দ্য থাম্ব অভ সেইন্ট পিটারঃ স্বামীকে নাকি বিষ খাইয়ে মেরেছে মেবল। রহস্যটার সমাধান করে স্তম্ভিত হয়ে গেলেন মিস মার্পল। নিশির ডাকঃ ছেলে হারানো আফরোজা ঘুমের ঘোরে মা শোনেন। মানসিক সমস্যা? তদন্ত শুরু করল রাশেন হায়দার। টেপ-মেজার মার্ডার। নিজঘরে মরে পড়ে আছেন মিসেস স্পেনলো। গ্রামবাসীর ধারণা, নির্বিকার স্বামীই খুনি। আসলেই?
এই যে, আপনি ভূত-প্রেত-পিশাচে বিশ্বাস করেন? তা হলে এ বইটি আপনার জন্য। আর আপনি? অশরীরী বিষয়ে বিশ্বাস নেই বুঝি? তা হলেও এ বইটি আপনার জন্য। কারণ…কারণটি গল্পগুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন । তবে ভূতে বিশ্বাস করুন বা না-ই করুন, দয়া করে মধ্যরাতে, একাকী ঘরে বইটি পড়ার দুঃসাহস দেখাবেন না। আমার সাবধানবাণী কানে তুললেন না তো? বেশ, এবারে দেখুন কী হয়…
দু’ডজন প্রকাশিত অপ্রকাশিত অতিপ্রাকৃত কাহিনী নিয়ে আমাদের এবারের নৈবেদ্য-শব্যাত্রা। সুলেখিকা নাশমান শরীফ আবারও আপনার সামনে উন্মোচন করছেন রোমাঞ্চ, শিহরন, অলৌকিক আর ভয়াল জগতের দুয়ার। সাবধান, পাঠক, এ জগতে ঢোকা সহজ, কিন্তু বেরনো কঠিন। আপনাকে স্বাগতম। আপনি তৈরি তো?