‘এ বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাটা হচ্ছে স্টার্টাপ ঘটে বর্তমানেই- অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যকার সেই গোলমেলে জায়গাটায়, যেখানে পাওয়ারপয়েন্টের মতে কিছুই ঘটে না। এই খেলায় রিসের ‘পড়া ও প্রতিক্রিয়া’র নীতি, যাথার্থ্য শিক্ষার ওপর তার কঠোর মনোযোগ, ‘অধ্যবসায়ী’ ও ‘কেন্দ্রবিন্দু’র মধ্যে ভাসমান থাকার অনিঃশেষ উদ্বেগ, সবকিছুই বাণিজ্যিক উদ্যোগের গতিবিদ্যায় তার আগ্রহের সাক্ষ্য বহন করে’ ‘দ্য লিন স্টার্টাপ হচ্ছে প্রতিষ্ঠাতাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য বুনিয়াদী গ্রন্থ। তারা পণ্যের ব্যর্থতা হ্রাস করতে পারেন এ বইয়ে বর্ণিত গঠন ও বিজ্ঞানের সাহায্যে। পণ্য-উৎপাদনের ভুলভ্রান্তি এড়ানোর কার্যকর পন্থাপদ্ধতি, বাজারের প্রাথমিক সংকেতের মূল্যায়ন এবং অধ্যবসায়ী বা কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে এ বই সাহায্য করবে শিক্ষকের মত। উদ্যোক্তাদের ব্যর্থ হওয়ার যেসব কারণ থাকে সেসব পরিহার করার পথ রয়েছে এ বইয়ে’ ‘ব্যবসায়ে একটা “লিন” এন্টারপ্রাইজ হচ্ছে ক্রিয়াশীল টেকসই কর্মদক্ষতা। এরিক রিসের বৈপ্লবিক প্রণালী আপনার নতুন ব্যবসায়িক আইডিয়াকে সফল ও টেকসই করে তুলতে সাহায্য করবে। নিজের স্টার্টাপ তৈরি ও ব্যবস্থাপনার জন্য আপনি উদ্ভাবনীমূলক ধাপ ও কৌশল খুঁজে পাবেন, পাশাপাশি অন্যদের বাস্তব জীবনের সাফল্য ও ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। এ বইটি উদ্যোক্তাদের জন্য অবশ্যই পাঠ্য যারা বাস্তবিকই বিশাল কিছু আরম্ভ করতে প্রস্তুত’ ‘দ্য লিন স্টার্টাপ বইটি শুধু অধিক সফল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার বিষয়েই নয়, দৃশ্যত আমাদের সব কাজেই উন্নতি করতে হলে সেইসব ব্যবসা থেকে যা শিখতে পারি সেই বিষয়েও।
বডি ল্যাংগুয়েজ - হাউ টু রিড আদারস থটস বাই দেয়ার জেসচারস, সেলসম্যান, সেলস ম্যানেজার ও এক্সিকিউটিভদের ওয়ার্কিং ম্যনুয়েল: মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হল ভাষা। কিন্তু ভাবতেও অবাক লাগে যে মাত্র ৩৫ ভাগ ভাব আমরা ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করি। প্রশ্ন জাগে, বাকী ৬৫ ভাগ তবে কোথায় যায়, কি ঘটে এর ভাগ্যে? এই অজানা তথ্যের রহস্য উদ্ধার করতে হলে আপনাকে পড়তে হবে এলান পীসের ‘বডি ল্যাংগুয়েজ’। প্রতিদিন আমরা নানা ধরণের মানুষের মুখোমুখি হই। তাদের বিভিন্ন ধরণের অঙ্গভঙ্গি দেখে আমরা অভ্যস্থ। কিন্তু কখনো কি মনে হয়েছে যে এই ভঙ্গিগুলো আমাদের অনেক কিছু জানাতে চায়? মানুষের নানা ভঙ্গিমার এইসব ভাষাকে অত্যন্ত সরল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন এলান পীস। তাঁর বই পড়লে কেবল অন্যের মনের ভাবই পড়া যাবে না, সেইসাথে সত্য ও মিথ্যার প্রকৃতি নির্ধারণ, মানুষের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা ও নিজেকে অন্যের সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য যোগ্য করাও সম্ভব। মানুষের বাহ্যিক আচরণ দেখে অনেক সময় তার অন্তর্নিহিত চিন্তাধারাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। মানুষ সৌজন্যের খাতিরে তার রাগ, অসন্তোষ বা বিরক্তি সরাসরি প্রকাশ করে না। এই বই পড়লে নিশ্চিতভাবে আপনি সেই অব্যক্ত অনুভূতির গভীরে পৌঁছে যাবেন। প্রতিকূল পরিবেশে সিদ্ধান্তহীন মানুষ দ্বিধার সংশয়ে দোলতে থাকে। ‘বডি ল্যাংগুয়েজ’ আপনাকে তার মর্মোদ্ধার করতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়, প্রিয়জনের কোন গোপন বাসনা সকলের অলক্ষ্যে টের পেতে চান? কিংবা জানাতে চান কোন রোমান্টিক রঙিন ইঙ্গিত? তাহলে ‘বডি ল্যাংগুয়েজ’ হবে আপনার সেই গোপন বার্তাবাহক। প্রেমে বা বিরহে, চাকরি বা ব্যবসায় বিচিত্র মানুষের নানা ভঙ্গিমার অন্তর্নিহিত অর্থই হল ‘বডি ল্যাংগুয়েজ’ বইয়ের সারতথ্য। পৃথিবীর যে কোন পেশার মানুষ জীবনের সবচেয়ে জটিল ঘটনাবলীকে বুঝার জন্য এই বইটি নির্দ্বিধায় ব্যবহার করতে পারবে। কাজেই বইটি পড়–ন আর সহজ ও মসৃণ করে তুলুন আপনার চলার পথ।
ভয় অমনিবাস - দুই বাংলার ১০০ জন নবীন-প্রবীণ জনপ্রিয় ও বিখ্যাত লেখকের 'হরর-থ্রিলার গল্প সংকলন: বাংলাদেশে এই প্রথম! 'রহস্য পত্রিকা'র অন্যতম জনপ্রিয় লেখক 'রুবেল কান্তি নাথ' সম্পাদিত, দুই বাংলার ১০০ জন নবীন-প্রবীণ জনপ্রিয় ও বিখ্যাত লেখকের 'হরর-থ্রিলার গল্প সংকলন' ভয় অমনিবাস।
মাইন্ড হ্যাকিং - হাউ টু চেঞ্জ ইয়োর মাইন্ড ইন 21 ডেইজ: আপনি কি কখনো ভেবেছেন কম্পিউটারের মতই আপনার ব্রেইনকে রিপ্রোগ্রামড করা সম্ভব? এমন কাজ আসলে একজন হ্যাকার করে থাকে। যদি বিষয়টি জেনে না থাকেন, তাহলে 'মাইন্ড হ্যাকিং' বইটি আপনার জন্য। তিনটি ভিন্ন স্টেপে নিজের মনকে পরিপূর্ণভাবে গুছিয়ে নেবার বৃত্তান্ত বর্ণনা করা হয়েছে বইটিতে। কম্পিউটারেরই বিভিন্ন টার্মের মত শব্দ ব্যবহার সকল বিষয় সম্পর্কে লেখা হয়েছে। এজন্য বইটি বেশ ইন্টারেস্টিং। বিশেষ করে, প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করা ব্যক্তিদের কাছে বইটি অনেক ভালো লাগবে। গতানুগতিক সেল্ফ হেল্প বইয়ের চেয়ে আলাদা স্বাদ দেবে 'মাইন্ড হ্যাকিং'। বইটিতে বর্ণিত একুশ দিনে মানসিক অবস্থা উন্নয়নের তিনটি কার্যকরী পদ্ধতি আপনাকে সাহায্য করবে মনকে সুশৃঙ্খল করে সাজানোর জন্য। মাইন্ড হ্যাকিং বইটির লেখক উদ্যোক্তা এবং কমেডিয়ান স্যার জন হারগ্রেভ। তিনি এই বইয়ে মানসিক অবস্থাকে উন্নতকরণের নানা উপায় বর্ণনা করেছেন। লেখক নিজেও একসময় দুশ্চিন্তা, হতাশা এবং জটিল মেন্টাপ সেটাপ নিয়ে ভুগছিলেন। সেখান থেকে তিনি নিজেকে মুক্ত করে আনেন। নিজেকে শুদ্ধতার পথে নিয়ে আসার পুরো অভিজ্ঞতাই তিনি তার বইয়ে বর্ণনা করেছেন। সেইসাথে তার নিজের উদ্ভাবিত বেশকিছু পদ্ধতি পাঠকের জন্য লিখেছেন তিনি। সবশেষে বলতে চাই, মাইন্ড হ্যাকিং বইটি সবার জন্যই সুপাঠ্য। মাইন্ড হ্যাকিং পড়ার মধ্যে দিয়ে নিজের মস্তিষ্ককে সুশৃঙ্খল করে সাজাতে পারেন আপনি। মানসিকতাকে ইতিবাচক রাখার বেশকিছু পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে নিজেকে করতে পারেন সমৃদ্ধ। তাই বইটি পড়ুন। নিজেকে সমৃদ্ধ করুন। আপনার জীবনের সকল ক্ষেত্রে নিজেকে জেতানোর লক্ষ্যে এগিয়ে যান আরও একধাপ।
মাইন্ডসেট - চেঞ্জিং দ্য ওয়ে ইউ থিংক টু ফুলফিল ইয়োর পটেনশিয়াল: ক্যারল ডিউইক ব্যক্তিত্ব, সামাজিক মনোবিজ্ঞান ও উন্নয়নমুখী মনোবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত একজন গবেষক । তিনি কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে সাইকোলজির উইলিয়াম বি. রেন্সকোর্ট প্রফেসর ছিলেন এবং বর্তমানে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে সাইকোলজির লিউস ও ভার্জিনিয়া ইটন প্রফেসর এবং আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস এন্ড সায়েন্স’ এর সদস্য হিসেবে আছেন। তাঁর “সেলফ-থিয়োরিস, দেয়ার রোল ইন মটিভেশন, পার্সোনালিটি এন্ড ডেভেলপমেন্ট” বইটি ওয়ার্ল্ড এডুকেশন ফেলোশীপ কর্তৃক ‘বুক অব দ্য ইয়ার’ এর সম্মান লাভ করেছে । নিউ ইয়র্কার, টাইম, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোষ্ট ও বোষ্টন গোবে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার পালো এলটো’তে স্বামীর সাথে বাস করেন । প্রচ্ছদ : অমর্ত্য আতিক
ম্যানস সার্চ ফর মিনিং - দ্য ক্লাসিক ট্রিবিউট টু হোপ ফ্রম দ্য হলোকস্ট: এই বইটিতে যে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বর্ণনা করা হয়েছে, তা লক্ষাধিক বন্দীর অসংখ্যবার সম্মুখীন হয়ে আসা পরিস্থিতির আখ্যান। একজন ভুক্তভোগীর লেখনীতে, তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে, বন্দীশিবিরের অভ্যন্তরীণ অবস্থার বিবরণী এখানে তুলে ধরা হয়েছে। শিবির সংক্রান্ত যে ধরনের ত্রাসের কথা আগেও অনেকবার বিভিন্ন রচনায় উঠে এসেছে, তা এখানে বলা হয়নি; বরং প্রতিদিনের অসংখ্য তুচ্ছ পীড়নের প্রেক্ষাপটে এই লেখা। অর্থাৎ এখানে একটি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা হবে ।