একের পর এক রোগী অপারেশন থিয়েটারে কোমায় আক্রান্ত হচ্ছে। সুজান হুইলার হাসপাতালে তার প্রথম কর্মদিবসেই জড়িয়ে পড়ে সেই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে। কিন্তু অদৃশ্য একদল লোক তার জীবননাশের জন্যে মরিয়া হয়ে ওঠে। এ কাজ থেকে তাকে বিরত রাখতে চায় তারা। অদম্য সুজান যখন সেই রহস্য উদঘাটনে সফল হলো তখন দেখা গেলো তার নিজের জীবনটাই বিপন্ন হতে বসেছে। কিন্তু অন্য আরেকজন শেষ মুহূর্তে সমস্ত হিসেব নিকেশ পাল্টে দেয়। মেডিকেল থৃলারের জনক রবিন কুকের এই উপন্যাসটি বর্তমানে একটি ক্লাসিক হিসেবে স্বীকৃত।
কে যেন তছনছ করেছে তিন গোয়েন্দার বন্ধু রেমনের অ্যাপার্টমেন্ট। কিন্তু কিছুই খোয়া গেল না কেন? তদন্ত করতে নামল কিশোর-মুসা-রবিন। রেমনের বোনকে কি কিডন্যাপ করা হয়েছে? কোথায় তিনি? মুক্তিপণ হিসাবে একটা নোটবুক চাওয়া হলো। কী আছে তাতে? রিজ সিটিতে হাজির হলো তিন গোয়েন্দা। কিন্তু কাকে বাদ দিয়ে কাকে সন্দেহ করবে ওরা? হাতে কোন সূত্র নেই । আসলে ঘটছে কী? লিজকে খুঁজতে কারও কোন আগ্রহ নেই কেন? মাটির নীচে কয়লার খনিতে জ্বলছে সর্বনাশা আগুন। হয়তো সেখানেই লুকিয়ে আছে সব রহস্যের চাবিকাঠি। পাতালের সরু সুড়ঙ্গে নামল ওরা। ধেয়ে এলো পাগলা ট্রেইন! এখনই চাপা দেবে ওদের!
হ্যালো, কিশোর বন্ধুরা আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বীচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জান না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম তিন গোয়েন্দা। আমি বাঙালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরানো এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি এসো না, চলে এসো আমাদের দলে।
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মুশকান জুবেরিকে খুঁজে যাচ্ছে নুরে ছফা। তবে সে একা নয়, প্রবল ক্ষমতাবান আরেকজনও মরিয়া হয়ে উঠছে রহস্যময়ি এই নারীকে খুঁজে পেতে। সেই ক্ষমতাবানের সাহায্য নিয়ে নতুন উদ্যমে নেমে পড়ে ছফা, দ্রুতই আবিষ্কার করে মুশকান সম্পর্কে এতোদিন যা জানতো সবটাই মিথ্যে। বরং এখনকার গল্পটি অনেক বেশি যৌক্তিক আর বাস্তব। সত্য-মিথ্যার এক গোলকধাঁধায় ঢুকে পড়ে সে। কিন্তু তার কোন ধারণাই নেই, মুশকানের মুখোখুখি হলে কোন সত্যটি জানতে পারবে। এতোদিন এই রহস্যময়ি কোথায় ছিলো-এ প্রশ্নের চেয়েও বড় হয়ে ওঠে, কিভাবে ছিলো! আর পাঠক যখন সেটা জানতে পারবে তখন আরেকবার শিহরিত হবে, আবিষ্কার করবে মুশকানের প্রহেলিকাময় জগত।
বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেকদিন পর দেখা হয়ে যায় পুরনো বন্ধুদের, দুই বন্ধু নৃতাত্ত্বিক মারুফ এবং পত্রিকার ফিচার এডিটর রুমি কথা প্রসঙ্গে জানতে পারে তাদেরই আরেক বন্ধু পেশা হিসেবে নিয়েছে ভেন্ট্রিলোকুইজম। কৌতূহলী হয়ে সেটার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে ওরা জড়িয়ে পড়ে দারুণ রহস্যময় এক অনুসন্ধানে, বেরিয়ে আসে ভয়ংকর আর শিউরে উঠবার মত সব সত্য, সাধারণ মানুষকে কখনোই জানতে দেয়া হয় না এমন সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক সম্প্রদায়ের কথা। যার পদে পদে ওদের জন্য ওৎ পেতে আছে মৃত্যুগামী বিপদ, অভাবনীয় বিস্ময়, জড়িত আছে ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষের জীবন, এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্র । ভেন্ট্রিলোকুইস্ট শুধু একটি উপন্যাসই নয়, পাঠকদের জন্য ইতিহাস, স্থাপত্য, গণিত, ধর্মতত্ত্ব আর বিজ্ঞানের এক অভূতপূর্ব যাত্রা।
পাহাড়ে আতঙ্ক রুবি মাউন্টেনে হাইকিঙে গেল তিন গোয়েন্দা। ওখানে দেখা পেল অতিকায়, লোমশ এক জানোয়ারের। ওটাই কি কিংবদন্তির সেই দানো সাসকোয়াচ? তিন বন্ধু রহস্য ভেদ করার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে উঠল। ভুতুড়ে বর্ম: গোবেল বিচে জিনার বাড়িতে এসে রহস্যের খোঁজ পেয়ে গেল কিশোর। জাদুঘরে গভীর রাতে ভয়ঙ্কর ওটা কী? কোনও পিশাচী? ভুতুড়ে বর্ম থেকে বেরিয়ে এল দানব বাদুড়। এল এক পুরানো প্রেতাত্মা। সঙ্গে এল ভয়ানক জাদুকর। জমে উঠল খেলা! ভূমিকম্প: জাদুর ট্রী-হাউসে চড়ে কিশোর ও জিনা এবার স্যান ফ্রান্সিসকোতে। ওরা ওখানে পৌছনোর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হলো প্রবল ভূমিকম্প। বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়েছে, রাস্তায় দেখা দিয়েছে ফাটল। নিজেদের জীবন বিপন্ন, এ অবস্থায় অসহায় মানুষদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ওরা। তারপর…
পৃথিবীকে দেখার আপনার একটি নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে... সবারই থাকে। এখন কল্পনা করুন এমন এক ভবিষ্যৎ যেখানে যে কেউ চাইলেই আপনার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে পৃথিবী দেখতে পারবে। ভাববে আপনার সব চিন্তা, অনুভব করবে আপনার সব অনুভূতি। এ জগতে দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে সবচেয়ে দামি সম্পদ, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মাদক। আর অন্যদের দৃষ্টিভঙ্গি চুরি করার জন্য জন্ম নিয়েছে একদল দুর্ধর্ষ, দক্ষ চোর। এমন এক চোরের সবচেয়ে বিপজ্জনক মিশন থেকে এ গল্পের শুরু। আর্কন, অক্টারিন দিয়ে পাঠকপ্রিয়তা লাভ করার পর কেটজালকোয়াটল এবং সুষ্টিবিনাশ রহস্য-এর মতাে নিরীক্ষাধর্মি নভেলা উপহার দিয়েছিলেন এ সময়ের আলােচিত লেখক তানজীম রহমান এবার তিনি পাঠকের সামনে হাজির হয়েছেন আর আমি হবাে ধ্বংসতারার মতাে কাব্যিক নামের মহাকাব্যিক এক কল্পবিজ্ঞান উপাখ্যান নিয়ে...আর সেটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা গত্বাধা কোনাে ‘সাই-ফাই' গল্প নয় মােটেও। এখানে আপনি রুদ্ধশ্বাস অ্যাকশনে পূর্ণ অসাধারণ এক রােমাঞ্চযাত্রা উপভােগ করবেন। ভ্রমণ করবেন সম্পূর্ণ নতুন এক পৃথিবীতে, খুলবেন অপ্রত্যাশিত রহস্যের জাল। কে জানে, হয়তাে বইয়ের শেষে বদলে যাবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিটাও!
ব্যালকনি থেকে আছড়ে পড়ে মারা গেলেন রিয়েল স্টেট মােঘল ম্যাথু স্টার। খুন নাকি আত্মহত্যা—প্রশ্নটার জবাব পাওয়ার আগেই ঘটতে শুরু করল একের পর এক নাটকীয় ঘটনা। তদন্তের দায়িত্ব পড়ল ডেটেক্টিভ নিকি হিটের ওপর। পেছনে ছায়ার মত লেগে রইল বিখ্যাত সাংবাদিক জেমসন রুক। পুরােদমে তদন্ত এগিয়ে যেতে থাকে। পরিপূর্ণ পুলিশওয়ার্ক বলতে যা বােঝায়, তাই করে চলল ডিটেক্টিভ হিট। ধীরে ধীরে প্রকাশিত হতে থাকল সত্য আর মিথ্যের ফারাক। পার্সন অফ ইন্টারেস্ট হিসেবে চিহ্নিত মানুষগুলাে মিথ্যে বলছে কেন? ম্যাথু স্টারের প্রকৃত পরিচয় কি? ব্যবসায়িক কারণে খুন হয়ে গেলেন, নাকি এর পেছনে আরও কিছু কারণ আছে? পার্সন অব ইন্টারেস্টদের সাথে ভিক্টিমের সম্পর্ক কি ছিল? এক্ষেত্রেও প্রশ্নগুলাের উত্তর পাওয়ার আগেই ডিটেক্টিভ হিট এবং জার্নালিস্ট রুকের সম্পর্কে এল নাটকীয় পরিবর্তন। সত্য অনুসন্ধানের লক্ষ্যে রেইড চলছে, চলছে একের পর এক ইন্টারভিউ, হাতকড়া উঠছে একের পর এক অপরাধীর হাতে, বাতাসে শিস কাটছে বুলেট, কিন্তু প্রমাণ জুটছে না। নাগালের বাইরেই রয়ে যাচ্ছে খুনি। নিকি হিট কি পারবে সত্যিকারের খুনিকে ধরতে?
এক রাতে আমেরিকার সুপৃমকোর্টের দু’জন বিচারক খুন হলে তদন্ত কাজ শুরু হয়। আইনের এক ছাত্রি নিতান্তই কৌতুহল আর একাডেমিক কারণে জড়িয়ে পড়ে সেই ঘটনায়। তার পিছু নেয় ভয়ঙ্কর এক খুনি। নিজের জীবন বিপন্ন দেখে আত্মগোপনে চলে যায় সে। আরো অনেকগুলো হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। কিন্তু শেষে পাঠক যা জানতে পারবে তা একেবারেই ভিন্ন একটি ঘটনা।
ব্যাপারটা কাকতাল বা হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা নয়। এই ষড়যন্ত্রের জাল বিছানো আমেরিকা থেকে আফ্রিকা হয়ে সুদূর বাংলাদেশ পর্যন্ত। আর এই জালে ফেঁসে গেল আটপৌড়ে এক বাঙালি যুবক। বাধ্য হয়ে পা বাড়াতে হলো অসম্ভবের পথে। শ্বাপদসংকুল দুর্গম জঙ্গলে প্রাণটা হাতে নিয়ে শুরু হল পথচলা। অচেনা দেশ, অজানা জনপদে চারপাশে কেউ নেই যার কাছ থেকে মিলতে পারে বিন্দুমাত্র সাহায্য, সহানুভূতি। শত্রুপুরীতে একেবারেই একা। ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে বলির পাঠা হওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। আন্তর্জাতিক এই চক্রের হাতের পুতুল হয়েই কি তাকে অংশ নিতে হবে ইতিহাসের জঘন্যতম প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে? প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর তপ্ত নিশ্বাস অনুভব করছে ঘাড়ের উপর। সীমাহীন লালসা, ক্ষমতা দখলের তীব্র আকাঙ্ক্ষা আর বিশ্বাসঘাতকতার কুৎসিত রূপটাও প্রত্যক্ষ করতে হল খুব কাছে থেকে। অক্টোপাসের মতো চারদিক থেকে জড়িয়ে থাকা চক্রান্তের হাত থেকে মুক্তির কোনো পথই কি খোলা নেই!
প্রাচীন বাড়ির রহস্য প্রাচীন, পোড়ো এক বাড়ি। কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে ওটার চিলেকোঠায়? লোকে বলে-গুপ্তধন। বাড়িটাতে সন্দেহজনক সব চরিত্রের আবির্ভাব ঘটছে। এবং তাদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করার জন্য তো তৈরি হয়েই রয়েছে কিশোর, মুসা আর রবিন। পাতালবন্দি লিযার্ড লোকটা সাধু না শয়তান? অনেকের কাছে সে দুনিয়ার ত্রাণকর্তা, আবার কারও মতে সে ক্ষমতালি্দু-পৃথিবীর দখল নিতে চায়। কোনটা ঠিক জানার জন্য তার পাতাল গবেষণাগারে হানা দিল কিশোর, মুসা, রবিন আর হিরু চাচা। দেখা যাক, কী হয়.. সেই রক্তচক্ষু হঠাৎ করেই উধাও কিশোর! ফুঁপিয়ে উঠলেন মেরি চাচী, “হয়তো দূরে নির্জন কোনও সেতুর নিচে পড়ে আছে ওর লাশ।” মুসা আর রবিন জেনে গেল-‘রক্তচক্ষু”-র পুরনো সেই কেসের সঙ্গে চারপাশে ভয়ঙ্কর অশুভ সব মানুষ! সম্পর্ক আছে কিশোরের অন্তর্ধানের! তবে কি সমাধান হয়নি সেই কেসটা? রক্তচক্ষু-রহস্য তদন্তে নেমে জটিল ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে গেল ওরা। সত্যিই কি খুঁজে পেল প্রিয় বন্ধু কিশোরকে? শেষে ভারতের দুর্গম এক পর্বতে অদৃশ্য-মন্দির খুঁজতে গেল তিন গোয়েন্দা। আর কি প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারবে ওরা?
ক্রাইম রিপাের্টার জন ম্যাকেভয়ের কাজ আবর্তিত হয় মৃত্যুকে ঘিরে। কিন্তু তার পুলিশ অফিসার যমজ ভাই যখন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তখন অবসাদ থেকে মুক্তি পাবার জন্যই ভাইয়ের মৃত্যু আর পুলিশ অফিসারদের আত্মহত্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করে সে। অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর একটি সত্য আবিস্কৃত হয়-তার ভাইয়ের মৃত্যুর ধরণের সাথে বেশ কিছু পুলিশ অফিসারের আত্মহত্যার ঘটনার মিল রয়েছে-সবগুলাে কেসেই সুইসাইড নােট হিসেবে এডগার অ্যালান পােয়ের কবিতার পংক্তি লেখা! তাহলে কি কোন এক সিরিয়াল কিলার বেছে বেছে পুলিশ অফিসারদের খুন করে যাচ্ছে? খুনির শিকারে পরিণত না হলে এ রকম একটি রহস্যের সমাধান বদলে দিতে পারে তার সাংবাদিক জীবনকে। কিন্তু কাজটা মােটেও সহজ নয়। ধীরে ধীরে উন্মােচিত হতে থাকে এক ভয়ঙ্কর অন্ধকারের গল্প। ‘কনেলি তার গ্লারে আসল সারপ্রাইজটা সমাপ্তির আগপর্যন্ত জামার আস্তিনের নীচে লুকিয়ে রাখেন। ‘আগ্রহােদ্দীপক একটি প্রােটাগনিস্ট...কনেলি শুধুমাত্র পােয়েট-এর গল্পটা বলেননি, তিনি লিখেছেনও বেশ কাব্যিকভাবে।
আকবর রাজনীতি করে। পছন্দ করে একজনকে। যার জন্য কাউকে খুন করতেও দ্বিধা করবে না। আসিফ, ছাত্র। টিউশনি করে। চুপচাপ, অমিশুক। শাহেদ, হাসিখুশি মিশুক একজন। কিন্তু এক রাতে সে বেরিয়ে পড়ে নিজেকে খুঁজতে। কেন? নায়লা কেন ঠিক হাসিখুশি নয়? সে কী হতে যাচ্ছে কোনাে পরিস্থিতির শিকার? মনজুর খুবই সাধারন একজন ব্যবসায়ি, এক রাতে অপহৃত হলাে কেন? সে নিজেও জানে না! আকবর, শাহেদ, আসিফ, নায়লা, মনজুর ভিন্ন ভিন্ন সব চরিত্র। তারা সবাই কাছাকাছি, তবে, জনারন্যে থেকেও সবাই একা। এই সব চরিত্রের নানা জটিলতা, ষড়যন্ত্র, অপহরন আর আমাদের জীবনের কাছাকাছি গল্প নিয়ে শরীফুল হাসানের ভিন্নধর্মি উপন্যাস জনারণ্যে একা কয়েকজন।
নিখোঁজ যাত্রী জনপ্রিয় কিশোর সাহিত্যিক উইলার্ড প্রাইস আসছেন শহরের লাইব্রেরি পরিদর্শনে। তাঁর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কিশোর, মুসা, রবিন। ট্রেইন এল, কিন্তু তাতে মি. প্রাইস নেই। অথচ তাঁর ব্রিফকেসটি পাওয়া গেল চার নম্বর বগিতে। তাঁর রহস্যময় অন্তর্ধানের পেছনে কি প্রতিদ্বন্দ্বী লেখক ওয়েসলি হলের কোন হাত আছে? তদন্তে নামল তিন গোয়েন্দা। প্রাগৈতিহাসিক বিনোদন পার্কের প্রাচীন, ভুতুড়ে কোস্টারটিতে শেষবারের মত চড়তে চেয়েছিল জিনা। ওটা যখন থামল, কিশোর দেখল জিনা উধাও। তন্নতন্ন করে ওকে খুঁজছে কিশোর। জানা নেই ওর কী ভয়ঙ্কর বিপদ ওত পেতে রয়েছে, এ-ও জানে না কার পাল্লায় পড়েছে ওরা। ভুতুড়ে সাঁকোর রহস্য ছুটি কাটাতে গাঁয়ের এক প্রাচীন বাড়িতে গেছে তিন গোয়েন্দা। ওখানে খোঁজ পেল অদ্ভুত এক ধাঁধার। ওটার সমাধান করা গেলে মিলতে পারে গুপ্তধন! এর ফলে উপকৃত হবেন বাড়ির মালিক। কিন্তু বাগড়া দিচ্ছে লোকে। উঠেপড়ে লাগল কিশোর, মুসা আর রবিন। টের পেল কাজটা কত কঠিন।
ক্যামেরার চোখ ছুটিতে স্যান ফ্রান্সিসকোতে ফটো জার্নালিস্ট বন্ধু পিটারসনের কাছে বেড়াতে এসেছে তিন গোয়েন্দা। কিন্তু কে জানত, আগে থেকেই মারাত্মক বিপদে পড়ে বসে আছে পিটারসন? নিজের অজান্তেই এমন এক ছবি তুলেছে সে, যা মৃত্যুফাদ হয়ে দেখা দিয়েছে তার জীবনে। বন্ধুকে বাঁচানোর অভিযানে নামতে বাধ্য হলো তিন গোয়েন্দা। ওরাও পা দিল মৃত্যুফাঁদে। ভ্যাম্পায়ারের ছায়া হরর ছায়াছবির বিখ্যাত অভিনেতা কার্ল ব্রিগল। তাঁর জমিদারবাড়িতে বেড়াতে গেল তিন গোয়েন্দা। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর ঘটতে শুরু করল বিচিত্র সব ঘটনা। জানালার পাশে ছায়ামূর্তিটা কার? হৃদকম্পনের দুপ-দুপ শব্দটা কোথেকে আসছে? অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেল রবিন। তিন গোয়েন্দা কি জানত কী ভয়ঙ্কর বিপদ অপেক্ষা করছে ওদের জন্য? ভুতুড়ে বাড়ি ভুতুড়ে এক বাড়িতে বেবিসিটারের কাজ নিয়ে এল কিশোর। উদ্দেশ্য, পকেট মানি সংগ্রহ করা। লিযি নামের ছোট্ট এক মেয়েকে দেখে রাখতে হবে ওর। কিন্তু ও আবিষ্কার করল, মেয়েটি শুধু যে অদ্ভুত তা-ই নয়, তার খেলনা পুতুলগুলো বড় বিচিত্র। কিশোর উপলব্ধি করল, নিজের অজান্তেই ভয়ানক বিপদে পড়ে গেছে ও। ধীরে ধীরে গুটিয়ে আনা হচ্ছে জাল!
ডেভ এলিয়ট এক সকালে নিজের অফিসে ঢুকেই আবিষ্কার করে তাকে সবাই খুন করতে চাচ্ছে। নিজের বস, সহকর্মী এমনকি তার স্ত্রীও। কিন্তু কেন? জোসেফ গারবার-এর অনবদ্য আর টান টান উত্তেজনার এই থৃলারটি পাঠক দারুণ উপভোগ করবেন।
আট বছর ধরে ড. ডেভিড বেক জানে তার স্ত্রী মৃত অসহ্য যন্ত্রণা, হাহাকার আর সংশয় তাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। বেদনার্ত বেক চেষ্টা করছে নিজেকে মানিয়ে নেবার কিন্তু হঠাৎ করেই কিছু রহস্যজনক ইমেইলের আগমনে তার পৃথিবীটা আবারও এলােমেলাে হয়ে গেল। সম্প্রতি খুঁজে পাওয়া দুটো লাশ আর নিজের স্ত্রীর খুনের দায়ভার-সবকিছুই এসে চাপলাে তার ওপর। তাকে ধরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠল পুলিশ, কিন্তু অসহায় বেক পালিয়ে বেড়ালাে সম্পূর্ণ অন্য একটা কারণে। ঘটনাক্রমে ধীরে ধীরে সামনে এলাে অসম্ভব এক রহস্য, নিখুঁত একটি পরিকল্পনা, এবং অবশ্যই অজানা কিছু সত্য।