শহর থেকে কিছুটা দূরের বিশেষ এক মানসিক হাসপাতাল। রোগীদের বিশেষত্ব: গুরুতর কোনো না কোনো অপরাধে অভিযুক্ত সবাই! সেই হাসপাতাল থেকে একে একে হারিয়ে যেতে শুরু করল মানুষ। রোগী, কর্মচারী এমনকী ডাক্তাররাও... কানাঘুষো ছড়িয়ে পড়েছে হাসপাতালে, অন্তর্ধানগুলোর সাথে জড়িত অশুভ কোনো আত্মা অথবা নৃশংস কোনো খুনি! হাসপাতালের সবচেয়ে শান্তশিষ্ট রোগী নজিবুর রহমান। চারটে খুনের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হওয়ার পর, হাসপাতালে ঠাঁই হয়েছে তার। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছে ও। দিন-দিন কঠিন হচ্ছে সেই লড়াই। হঠাৎ আবিষ্কার করল নজিবুর: অন্তর্ধানের পেছনে থাকা লোকটার চেহারা তার পরিচিত। কিন্তু একজন মানসিক রোগীর কথা বিশ্বাস করবে কে? তাই সিদ্ধান্ত নিল, নিজেই আটকাবে খুনিকে। অথচ ভুলে গেল নজিবুর, নামে হাসপাতাল হলেও, আসলে জেলখানায় রয়েছে ও। খুনির পরবর্তী শিকারে পরিণত হওয়া ওর জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র! শহর থেকে কিছুটা দূরের বিশেষ এক মানসিক হাসপাতাল। রোগীদের বিশেষত্ব: গুরুতর কোনো না কোনো অপরাধে অভিযুক্ত সবাই! সেই হাসপাতাল থেকে একে একে হারিয়ে যেতে শুরু করল মানুষ। রোগী, কর্মচারী এমনকী ডাক্তাররাও... কানাঘুষো ছড়িয়ে পড়েছে হাসপাতালে, অন্তর্ধানগুলোর সাথে জড়িত অশুভ কোনো আত্মা অথবা নৃশংস কোনো খুনি! হাসপাতালের সবচেয়ে শান্তশিষ্ট রোগী নজিবুর রহমান। চারটে খুনের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হওয়ার পর, হাসপাতালে ঠাঁই হয়েছে তার। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছে ও। দিন-দিন কঠিন হচ্ছে সেই লড়াই। হঠাৎ আবিষ্কার করল নজিবুর: অন্তর্ধানের পেছনে থাকা লোকটার চেহারা তার পরিচিত। কিন্তু একজন মানসিক রোগীর কথা বিশ্বাস করবে কে? তাই সিদ্ধান্ত নিল, নিজেই আটকাবে খুনিকে। অথচ ভুলে গেল নজিবুর, নামে হাসপাতাল হলেও, আসলে জেলখানায় রয়েছে ও। খুনির পরবর্তী শিকারে পরিণত হওয়া ওর জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র!
জুল ভার্ন তার বিখ্যাত চরিত্র, ফিলিয়াস ফগ অ্যান্ড কোং-কে আশি দিনে পুরো বিশ্ব-ভ্রমণ করিয়ে এনেছিলেন। তবে করোনার যুগে আশি দিন কেন, আশি হপ্তায়ও বিশ্ব-ভ্রমণ সম্ভব হয় নাকি...তা জানেন শুধু ওই ওপরঅলা! তবে কিনা একটা বই, তার দুই মলাটের মাঝে সারা দুনিয়াকে ধারণ করতে পারে, তাই না? না, না, আকাশ আমাদের সবাইকে দূরের পানে ডাকলেও, এই বইয়ের মাধ্যমে আপনারা সারা দুনিয়া ঘুরে আসতে পারবেন না। তবে হ্যাঁ, পনেরোটি দেশের বিখ্যাত কিছু জায়গা কল্পনার চোখে দেখতে পারবেন বটে। আকাশ আমায় ডাকে দূরের পানে আপনাকে নিয়ে যাবে মাল্টার আজুর জানালায়। আবার পরক্ষণেই নিজেকে আবিষ্কার করবেন ভেনিসের অলিতে-গলিতে কিংবা নিউ ইয়র্কের দালান কোঠার জঙ্গলে। বসনিয়ার ভাঙা দেয়াল দেখে মন খারাপ হলে তার দায় লেখকের নয়...বলে দিলাম আগেই। তেমনি জাগরেবের মিউজিয়াম অভ ব্রোকেন হার্ট যদি আপনাকে অতীতের রোমন্থনে বাধ্য করে, তার কৃতিত্বও নাহয় লেখককে না-ই দিলেন! ভালো কথা, ইউরোপের প্রাচীনতম মমি আর পেন্সিলভানিয়ার প্রাচীন ধারায় জীবন-যাপনকারী আমিশদের সম্পর্কে না জানলে কিন্তু বিশ্বায়নের যুগে পিছিয়ে যাবেন! নিজের বাড়িতে বসে অল্প একটু পৃথিবী দেখার আমন্ত্রণ রইলো আপনাদের জন্য। জুল ভার্ন তার বিখ্যাত চরিত্র, ফিলিয়াস ফগ অ্যান্ড কোং-কে আশি দিনে পুরো বিশ্ব-ভ্রমণ করিয়ে এনেছিলেন। তবে করোনার যুগে আশি দিন কেন, আশি হপ্তায়ও বিশ্ব-ভ্রমণ সম্ভব হয় নাকি...তা জানেন শুধু ওই ওপরঅলা! তবে কিনা একটা বই, তার দুই মলাটের মাঝে সারা দুনিয়াকে দারণ করতে পারে, তাই না? না, না, আকাশ আমাদের সবাইকে দূরের পানে ডাকলেও, এই বইয়ের মাধ্যমে আপনারা সারা দুনিয়া ঘুরে আসতে পারবেন না। তবে হ্যাঁ, পনেরোটি দেশের বিখ্যাত কিছু জায়গা কল্পনার চোখে দেখতে পারবেন বটে। আকাশ আমায় ডাকে দূরের পানে আপনাকে নিয়ে যাবে মাল্টার আজুর জানালায়। আবার পরক্ষণেই নিজেকে আবিষ্কার করবেন ভেনিসের অলিতে-গলিতে কিংবা নিউ ইয়র্কের দালান কোঠার জঙ্গলে। বসনিয়ার ভাঙা দেয়াল দেখে মন খারাপ হলে তার দায় লেখকের নয়...বলে দিলাম আগেই। তেমনি জাগরেবের মিউজিয়াম অভ ব্রোকেন হার্ট যদি আপনাকে অতীতের রোমন্থনে বাধ্য করে, তার কৃতিত্বও নাহয় লেখককে না-ই দিলেন! ভালো কথা, ইউরোপের প্রাচীনতম মমি আর পেন্সিলভানিয়ার প্রাচীন ধারায় জীবন-যাপনকারী আমিশদের সম্পর্কে না জানলে কিন্তু বিশ্বায়নের যুগে পিছিয়ে যাবেন! নিজের বাড়িতে বসে অল্প একটু পৃথিবী দেখার আমন্ত্রণ রইলো আপনাদের জন্য।
মর্গ উপন্যাসের একটি চরিত্র। বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া মৃত্যুর ঘটনা কখনও ব্যক্তিগত শোককে ছাড়িয়ে রাষ্ট্রের কাছে জিজ্ঞাসা চিহ্ন হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে। মৃত্যুর পরে মর্গই তো সেই জায়গা যেখানে শব হয়ে ঢুকতে হয়, যখন মৃত্যু আর স্বাভাবিক মৃত্যু থাকে না। আইনের নিয়মে এখানে শব-ব্যবচ্ছেদ সম্পন্ন হয়, কিন্তু মেটে না জীবনের মূল্য। এই উপন্যাসের একদল ছেলেমেয়ে মর্গের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে নিজেদের বয়স্ক হতে দেখেছে। অভিজ্ঞ হয়েছে। নানা ধরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেখেছে কতভাবে সংঘটিত হয় মৃত্যুর মতো বেদনাবহ ঘটনা। কখনও ব্যক্তিগত শোক মর্গের ছোট ঘরটিকে বদলে দিয়েছে। কখনও পরিবারের প্রবল ব্যবচ্ছেদের পর বেওয়ারিশ হয়ে গেছে লাশ। ছেলেমেয়েরা বদলে দিচ্ছে রাষ্ট্রের সংজ্ঞা। বলছে, রাষ্ট্র নিজেই বেওয়ারিশ লাশ বহনকারী আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের গাড়ি। এতকিছুর ভেতর ছেলেমেয়েরা বেঁচে থাকার অর্থ খোঁজে। ওরা জীবনকে সহজ করে নেয়, বিচিত্র অভিজ্ঞতার তিক্ততা ওদেরকে দমাতে পারে না। এই উপন্যাসের চরিত্ররা ছোট ছোট চাওয়া-পাওয়ার ভেতরে দিন যাপন করে। বড় কিছু করার সাধ্য ওদের নেই। তেমন কিছু করার চিন্তাও ওদের নেই। ওরা ব্যক্তিগত জীবন-যাপনের মাধ্যমে শুধু দু'পা ফেলার মতো পরিসর দেখতে পায়। সেই ছোট পরিসরকে অর্থবহ করার জন্য জীবন ও মৃত্যুকে সমান্তরালে রাখে।
উইলিয়াম শার্লক স্কট হোমস—ঠিকানা ২২১বি, বেকার স্ট্রিট, লন্ডন। জন্ম ১৮৫৪ সালে। বাবা সিগার হোমস, মা ভায়োলেট শেরিনফোর্ড। হোমসের দাদি ছিলেন ফরাসি শিল্পী ভারনেটেজ গেন। ছাপার অক্ষরে শার্লক হোমসের প্রথম আবির্ভাব ১৮৮৭ সালে। আবির্ভাবে দৃষ্টি কাড়তে না পারলেও পরে ঠিকই তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, পাল্টে দেয় রহস্য-সাহিত্যের ধারা। হোমস ছয় ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা, চৌকো মুখ, সংগীত ও ভায়োলিনে আসক্ত। অবসরে ভায়োলিন বাজাতে পছন্দ করে। প্রখর পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণশক্তির অধিকারী, ছদ্মবেশ নিতে জুড়ি নেই। জন্ম দিয়েছে অনুমানবিজ্ঞান—অর্থাৎ সায়েন্স অভ ডিডাকশনের। অপরাধের তদন্তে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ছোঁয়া লাগে হোমসেরই কল্যাণে। হাত-পায়ের ছাপ নিতে প্লাস্টার অভ প্যারিসের ব্যবহার, জমাট রক্তের পরীক্ষা, টাইপরাইটিঙের বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা, অপরাধীকে অনুসরণে কুকুর ব্যবহার—এসবই প্রথম দেখা যায় হোমসের গল্পে। পরে একসময় বিভিন্ন দেশের পুলিশ বিভাগ এসব পদ্ধতি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে। অপরাধী শনাক্তকরণে হোমসের অবদান মাথায় রেখে, ২০০২ সালে, লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটি অভ কেমিস্ট্রি শুধু হোমসের ফরেনসিক বিদ্যার ওপর গবেষণা করে ফেলোশিপ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। পৃথিবীতে কোনো কল্পিত চরিত্রের ওপর এমন বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুযোগ এই প্রথম। আজ প্রায় দেড়শো বছর পরও হোমসকে নিয়ে তুঙ্গস্পর্শী উন্মাদনা। সেই উন্মাদনার ছোঁয়া বাংলাদেশি পাঠককে দিতে শার্লকের সবগুলো গল্প ও উপন্যাসের অনুবাদ তিন খণ্ডে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে বিবলিওফাইল প্রকাশনী। পাঠকের সুবিধার্থে এ অনুবাদে যোগ করা হয়েছে টীকা, এবং বেশ কিছু ইলাস্ট্রেশন।
আগাথা ক্রিস্টি সমগ্র ২ দ্য মার্ডার অন দ্য লিঙ্কস (অনু. মো. ফুয়াদ আল ফিদাহ): সাহায্যের আবেদন শুনে ফ্রান্সে ছুট লাগালেন পোয়ারো। কিন্তু তিনি পৌঁছতে পৌঁছতে দেরি হয়ে গেছে অনেক, খুন হয়ে গেছেন আর মক্কেল; তার লাশ পড়ে আছে গলফ কোর্সের অগভীর এক কবরে। কিন্তু মানুষটার পরনে কেন তার ছেলের ওভারকোট? সেই কোটের পকেটে থাকা চিঠিটা কার? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার আগেই, আরেকটা সমস্যায় পড়লেন পোয়ারো... ...হুবহু একই রকম আরেকটা লাশ আবিষ্কৃত হয়েছে যে! দ্য থ্রি অ্যাক্ট ট্রাজেডি (অনু. মারুফ হোসেন): আনন্দঘন এক ডিনার পার্টিতে এসে মারা গেলেন একজন যাজক! তেরোজন অভ্যাগত এসেছেন বিশিষ্ট অভিনেতার বাড়িতে। বিশেষ এই সন্ধ্যা অশুভ হয়ে দেখা দিল শান্ত স্বভাবের যাজক, স্টিফেন ব্যাবিংটনের জীবনে। ককটেল কিন্তু মার্টিনির গ্লাসটা পরীক্ষায় পাঠিয়ে জানা গেল-বিষের ছিটেফোঁটাও নেই এখানে... ...ঠিক যেমনটা আন্দাজ করেছিলেন পোয়োরা। তারচেয়ে বড় ব্যাপার, খুনের পেছনে আপাতদৃষ্টিতে নেই কোনো মোটিভ। তাহলে কার হাতে...এবং কেন খুন হতে হলো যাজককে? দ্য হলো (অনু. মো. ফুয়াদ আল ফিদাহ): লুসি অ্যাঙ্গকাটেলের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে লাঞ্চে এলেন এরকুল পোয়ারো। বিখ্যাত গোয়েন্দাকে খোঁচাবার জন সুইমিং পুলের পাশে নকল হত্যাকাণ্ড ঘটাল তার অতিথিরা। কিন্তু আফসোস, একদম বাস্তবে পরিণত হলো সেই নাটক। রক্ত মিশে যাচ্ছে পানিতে, এমন সময় শেষ শব্দটি উচ্চারণ করল জন ক্রিস্টো: হেনরিয়েটা। প্রেমের জালের এক জটিল জটলায় ফেঁসে গেলেন পোয়ারো। মনে হচ্ছে, এই নাটকের সব কুশীলবই সন্দেহভাজন, এবং প্রত্যেকে শিকার প্রেমের যাতনার!
কাহিনী সংক্ষেপ রহস্যের রানি খ্যাত আগাথা ক্রিস্টি বিশ্বের ইতিহাসে সবচাইতে জনপ্রিয় রহস্য লেখিকাদের মাঝে একজন। নাটক, ছোট গল্প, উপন্যাস-সবখানেই রয়েছে তার সদর্প পদচারণা। এরকুল পোয়ারো এবং মিস মার্পল নামের বিশ্বখ্যাত দুটি চরিত্রের জন্মদাত্রী তিনি। আমেরিকান পিতার ঔরসে ও ব্রিটিশ মায়ের গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন আগাথা মেরি ক্লারিসা মিলার। ইংল্যান্ডের টর্কুই নামক স্থানে, ১৮৯০ সনের ১৫ সেপ্টেম্বর তার জন্ম। পারিবারিক ভাবে স্বচ্ছল ছিলেন, তবে ধনী ছিলেন না কখনো। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে একা-একা পড়তে শেখেন তিনি। ১৯১৪ সনে কর্নেল আর্চিবল্ড ক্রিস্টির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আগাথা। প্রথম স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হবার পর, তিনি পুনরায় বিয়ে করেন ম্যাক ম্যালোওয়ানকে...১৯৩০ সনে। ১৯৭১ সনে ভূষিত হন ব্রিটিশ সরকারের ডেম কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অভ ব্রিটিশ এম্পায়ার উপাধিতে। কিন্তু এই বছর থেকেই আস্তে আস্তে খারাপ হতে থাকে তার শরীর। অবশেষে ১৯৭৬ সনের ১২ জানুয়ারি, বার্ধক্য জনিত কারণে মৃত্যবরণ করেন তিনি। তার লিখিত বিখ্যাত বই থেকে তিনটি বই নিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের আগাথা ক্রিস্টি সমগ্রের ১ম খণ্ড। বইগুলো হলো: অ্যাপয়েন্টমেন্ট উইথ ডেথ দ্য বিগ ফোর পোয়ারো ইনভেস্টিগেটস
উইলিয়াম শার্লক স্কট হোমস—ঠিকানা ২২১বি, বেকার স্ট্রিট, লন্ডন। জন্ম ১৮৫৪ সালে। বাবা সিগার হোমস, মা ভায়োলেট শেরিনফোর্ড। হোমসের দাদি ছিলেন ফরাসি শিল্পী ভারনেটেজ গেন। ছাপার অক্ষরে শার্লক হোমসের প্রথম আবির্ভাব ১৮৮৭ সালে। আবির্ভাবে দৃষ্টি কাড়তে না পারলেও পরে ঠিকই তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, পাল্টে দেয় রহস্য-সাহিত্যের ধারা। হোমস ছয় ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা, চৌকো মুখ, সংগীত ও ভায়োলিনে আসক্ত। অবসরে ভায়োলিন বাজাতে পছন্দ করে। প্রখর পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণশক্তির অধিকারী, ছদ্মবেশ নিতে জুড়ি নেই। জন্ম দিয়েছে অনুমানবিজ্ঞান—অর্থাৎ সায়েন্স অভ ডিডাকশনের। অপরাধের তদন্তে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ছোঁয়া লাগে হোমসেরই কল্যাণে। হাত-পায়ের ছাপ নিতে প্লাস্টার অভ প্যারিসের ব্যবহার, জমাট রক্তের পরীক্ষা, টাইপরাইটিঙের বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা, অপরাধীকে অনুসরণে কুকুর ব্যবহার—এসবই প্রথম দেখা যায় হোমসের গল্পে। পরে একসময় বিভিন্ন দেশের পুলিশ বিভাগ এসব পদ্ধতি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে। অপরাধী শনাক্তকরণে হোমসের অবদান মাথায় রেখে, ২০০২ সালে, লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটি অভ কেমিস্ট্রি শুধু হোমসের ফরেনসিক বিদ্যার ওপর গবেষণা করে ফেলোশিপ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। পৃথিবীতে কোনো কল্পিত চরিত্রের ওপর এমন বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুযোগ এই প্রথম। আজ প্রায় দেড়শো বছর পরও হোমসকে নিয়ে তুঙ্গস্পর্শী উন্মাদনা। সেই উন্মাদনার ছোঁয়া বাংলাদেশি পাঠককে দিতে শার্লকের সবগুলো গল্প ও উপন্যাসের অনুবাদ তিন খণ্ডে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে বিবলিওফাইল প্রকাশনী। পাঠকের সুবিধার্থে এ অনুবাদে যোগ করা হয়েছে টীকা, এবং বেশ কিছু ইলাস্ট্রেশন।
অঙ্গভ্রম: কক্সবাজারের রহস্যঘেরা এক রিসোর্টের হ্যানিমুন স্যুইটে পাওয়া গেল একটা লাশ। বড় অদ্ভুত সেই হত্যাকান্ড, ছুটি কাটাতে কক্সবাজার এসে কীভাবে কীভাবে যেন তার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ল রাফসান ইবনে সেলিম। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে লোকটির। কিন্তু তার চাইতে অদ্ভুত ব্যাপার-লাশের পাশে পড়ে আছে একটি কাটা পা! কেন খুন হতে হলো তাকে? প্রখ্যাত এক এন.জি.ও.এর কর্মকর্তা ছিল ভিক্টিম, সেই সংস্থা সংক্রান্ত কিছু কি? নাকি ব্যাপারটা মাদক সম্পর্কিত? রহস্যের জাল ছিঁড়তে উঠে-বসে লাগল রাফসান। নিঠুর খেলা: বসের চাপে পড়ে রাজি হয়ে গেল সাব্বির। পরামর্শক হিসেবে যাবে ও গাজিপুর; বাজ মাল্টিমিডিয়ার নতুন ছবি ‘নিঠুর খেলা’-এর, পুলিসি কর্মকাণ্ডগুলোর ব্যাপারে দেবে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। তবে এই রাজি হবার পেছনে রয়েছে আরও কারণ। জীবন থেমে থাকে না। তাই ডন ওয়াসার পর শিকদার হয়ে এখন অপরাধ জগতের হর্তা-কর্তা হয়েছে ‘কান কাটা ফারুক’, ধারণা করা হয় যে অহিংশের সরাসরি লোক সে। সেই কান কাটা ফারুকের সংশ্লিষ্টতা আছে এতে। সেটে গিয়ে জানতে পারল সাব্বির-খুন হয়ে গিয়েছে ওর আগে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এক পুলিস অফিসার। খুনি সম্ভবত এই প্রোডাকশনের কেউ। একদিকে কান কাটা ফারুককে পাকড়াও করা, অন্য দিকে আইনের আওতায় আনা খুনিকে... দুটোই পারতে হবে... খুনি কিংবা অহিংশ, কাউকেই ছাড় দেবে না সাব্বির।
রহস্যের রানি আগাথা ক্রিস্টির ৩টি বই পাবেন অনুমোদিত এই অনুবাদে: ১. দ্য পেল হর্স দ্য পেল হর্স সরাইখানার রহস্যময় ঘটনাগুলো যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে মার্ক ইস্টারব্রুককে। সব কিছুর শুরু কীভাবে, তা জানে যুবক; কিন্তু কোথায়, তা যে জানা নেই। এসবের শুরু কি ফাদার গরম্যানের নৃশংস হত্যার মাধ্যমে? নাকি হত্যাকারীর বেচারা ফাদারের পোশাক ছিঁড়ে কিছু একটা খোঁজার সময়? মৃত্যূর ঠিক আগে আরেক মরণাপন্ন মহিলাকে দেখতে যাবার মাধ্যমে ফাদার সব কিছুর সূত্রপাত ঘটাননি তো? যেখানে শুরু হোক না কেন, মার্ক অচিরেই আফসোস করতে করতে ভাববে: এসবে না জড়ালেই ভালো হতো! ২. দ্য মিস্টিরিয়াস অ্যাফেয়ার অ্যাট স্টাইল যুদ্ধে আহত, সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন হেস্টিংস স্টাইলসে পা রাখল বন্ধুর আমন্ত্রণে। দেখা হলো বন্ধু জনের সৎ-মা, মিসেস ইঙ্গেলথর্পের সঙ্গে। শান্ত সমাহিত গ্রাম্য পরিবেশে যে বিষাক্ত আবহ ভর করছে, তা শুরুতেই টের পেল হেস্টিং। ওর সন্দেহ সত্য বলে প্রমাণিত হলো তখন, যখন বিষপানে মারা গেলেন মিসেস ইঙ্গেলথর্প! সেই হত্যা-রহস্য সমাধানে আগমন হলো প্রখ্যাত গোয়েন্দা, এরকুল পোয়ারোর! ৩. টুওয়ার্ডস জিরো সমুদ্রের ঠিক পাশের পাহাড়ের শীর্ষে, নিজ বাড়িতে খুন হলেন এক বৃদ্ধা... সেই মৃত্যুর সঙ্গে নিজেকে শেষ করে দেবার ব্যর্থ প্রচেষ্টা, এক স্কুলছাত্রীর নামে চুরির অপবাধ আর বিখ্যাত টেনিস খেলোয়াড়ের প্রেম-জীবনের সম্পর্ক থাকতে পারে কি? হয়তো সবাই বলবেন, পারে না। কিন্তু আছে। কীভাবে আছে, টুওয়ার্ডস জিরো তারই গল্প।
যুগে যুগে মানুষকে আকৃষ্টে করেছে তার চাইতে বড়, তার চাইতে বিস্তৃত এক শক্তি। কোনো সমাজে সেই শক্তির নাম জুপিটার, কোনো সমাজে অলিম্পিয়ান, কোনো সমাজে এইসির। প্রিয় পাঠক, আজ আপনাদের শোনাবো সেই এইসিরদের গল্প। যারা দেবতা হয়েও...ঠিক দেবতা নন। শোনাবো দানো কিংবা জতুনদের গল্প, যারা সৃষ্টির বিপক্ষের শক্তি হয়েও...ঠিক অশুভ নন। শোনাবো ওডিনের কিংবদন্তি...যিনি সর্ব-প্রথম, সর্ব-পিতা ও দেবপ্রধান। শোনাবো থরের নানা অভিযানের কথা...যার নাম শুনলে থর থর করে কেঁপে ওঠে প্রতাপশালী হিমদানোরা। শোনাবো লোকির চালাকির আখ্যান...অতি চালাকের গলায় দড়ি কথাটা সম্ভবত যার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি খাটে। আর শোনাবো র্যাগনোরকের কথা...এই অন্তিম দিবস যা মহাবিশ্বে জন্ম দেবে নতুন এক চক্রের। এইসির-জতুন-থ্রাল-রিগ-এলফ-বামন-সিগার্ড-হেল... প্রিয় পাঠক, এদের গল্প শোনার জন্য প্রস্তুত তো?
কে এই দেবতা পাংগু, যিনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই সৃষ্টি করেছেন স্বর্গ ও পৃথিবী? দেবী নুওয়া না চাইলে, ধরণী কি পেত মানুষের দেখা? কেন আজো বানর-রাজা সন-ওয়েকংকে দেখা যায় চীনের বিভিন্ন পণ্যের মোড়কে? সমৃদ্ধ চৈনিক লেখন-শৈলীর জন্ম হলো কীভাবে? চাঁদের দিকে তাকালে কেন দেখতে পাওয়া যায় জেড খরগোশের অবয়ব? চৈনিক পুরাণ, চীনা-সভ্যতার মতোই, বহু প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ। এর সঙ্গে যুগে যুগে যোগ হয়েছে অগণিত কিংবদন্তি, মুখরোচক গল্পে বুঁদ হয়েছে মানুষ। প্রিয় পাঠক, আসুন, চৈনিক পুরাণের মজাদার আখ্যানে আমরাও করি অবগাহন।
বাল্যবন্ধু নাসিম পারভেজের বিয়েতে অংশ নিতে কক্সবাজারে পা রাখল সাব্বির হোসেন। কিন্তু এসেই জানতে পারল—ঠিক আগের রাতেই নৃশংস ভাবে খুন হয়েছে বেচারা! সেই খুনের জন্য দায়ী মনে করা হচ্ছে তারই বাগদত্তা—মধুমতী চৌধুরীকে! স্থানীয় থানার ওসি, ফেরদৌস আহমেদের সহায়তায় খুনের তদন্তে নামল সাব্বির...যে তদন্তের সূত্র ওকে ঘোরাচ্ছে নাকে দড়ি দিয়ে! ইয়াবার বিষাক্ত ছোবল থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে চেয়েছিল নাসিম, সেজন্যই কি মরতে হলো ওকে? সাক্ষ্য-প্রমাণ তো সেদিকেই নির্দেশ করে! দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সাব্বিরের অভিধানে পিছু হটা বলে কিছু নেই। তদন্ত করতে গিয়ে খুঁজে পেল ও প্রাক্তন মাদক সম্রাট মাহমুদ আসহাফকে, পেল বড়লোকের বখে যাওয়া পুত্র রাজীব মল্লিককে। আর পরিস্থিতিকে আরো ঘোলা করতে হাজির হয়ে গেল ডা. নিশাত তানজুম। কক্সবাজার, শ্যামলাপুর, টেকনাফের সমুদ্র সৈকত থেকে মিয়ানমারের পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত এই মাদকচক্রের যতি টানতে পারবে তো সাব্বির? নাকি মাদকের বিষাক্ত ছোবলে নীল হয়ে যাওয়া মানুষদের তালিকায় যোগ হবে আরেকটা নাম?