সময় এখন... ...থমকে যাবার পথিক বেছে নেয় পথ... ...নাকি পথই বেছে নেয় পথিককে? রাশেদের কথা ভাবলে অবশ্য প্রথমটাই সত্যি বলে ধরে নিতে হয়। নিজের হাতে খোঁড়া কবরে শুয়ে যে স্বপ্ন দেখে শ্বশুরের মৃত্যুর। আবার যদি ভাবি আরিয়ানের কথা তাহলে মনে হবে, ওর ভাগ্যের পথ যেন পুতুল বানিয়ে ছেলে-খেলা করে বেচারাকে নিয়ে। চাচার রহস্যময় খুন যার সামনে খুলে দিয়েছে অমিত সম্ভাবনার দ্বার। কিন্তু কে এই এস.আই. সাব্বির? কেন দু’পাশে হাত তুলে দাঁড়িয়ে আছে সে পথ আটকে? কেন বলছে উচ্চস্বরে: সময় এখন... ...থমকে যাবার!
বাল্যবন্ধু নাসিম পারভেজের বিয়েতে অংশ নিতে কক্সবাজারে পা রাখল সাব্বির হোসেন। কিন্তু এসেই জানতে পারল—ঠিক আগের রাতেই নৃশংস ভাবে খুন হয়েছে বেচারা! সেই খুনের জন্য দায়ী মনে করা হচ্ছে তারই বাগদত্তা—মধুমতী চৌধুরীকে! স্থানীয় থানার ওসি, ফেরদৌস আহমেদের সহায়তায় খুনের তদন্তে নামল সাব্বির...যে তদন্তের সূত্র ওকে ঘোরাচ্ছে নাকে দড়ি দিয়ে! ইয়াবার বিষাক্ত ছোবল থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে চেয়েছিল নাসিম, সেজন্যই কি মরতে হলো ওকে? সাক্ষ্য-প্রমাণ তো সেদিকেই নির্দেশ করে! দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সাব্বিরের অভিধানে পিছু হটা বলে কিছু নেই। তদন্ত করতে গিয়ে খুঁজে পেল ও প্রাক্তন মাদক সম্রাট মাহমুদ আসহাফকে, পেল বড়লোকের বখে যাওয়া পুত্র রাজীব মল্লিককে। আর পরিস্থিতিকে আরো ঘোলা করতে হাজির হয়ে গেল ডা. নিশাত তানজুম। কক্সবাজার, শ্যামলাপুর, টেকনাফের সমুদ্র সৈকত থেকে মিয়ানমারের পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত এই মাদকচক্রের যতি টানতে পারবে তো সাব্বির? নাকি মাদকের বিষাক্ত ছোবলে নীল হয়ে যাওয়া মানুষদের তালিকায় যোগ হবে আরেকটা নাম?
আত্মসমর্পণ করতে এসে হঠাৎ করে মারা গেল বিখ্যাত গুণ্ডা নাহিদ হাসান। আণ্ডারগ্রাউণ্ড ডন ওয়াসির বিরুদ্ধে রাজসাক্ষ্মী হতে চেয়েছিল বলেই কি বেঘোরে প্রাণ হারাতে হলো তাকে? কিন্তু মরল কীভাবে? রক্তে তো প্রাণঘাতী কোনও ধরনের রাসায়নিক নেই! রহস্য জটিল রুপ ধারণ করল, দৃশ্যপটে ডন ওয়াসির প্রধান আততায়ী খন্দকার শুভ'র আগমনে। তাহলে কী কোনও উপায়ে এই দয়া-মায়াহীন পাষণ্ড খুনটা সেরেছে? এদিকে মৃত্যুর মাত্র কয়েকঘণ্টা আগে রহস্যময় এক নারীর সাথে নাস্তা করতে দেখা গিয়েছে নাহিদ হাসান ওরফে নাদু গুণ্ডাকে। কে এই রমণী? মাফিয়ার লোকজনের সাথে তার কী সম্পর্ক! রহস্য সমাধানের দায়িত্ব এসে পড়ল ডাক্তার থেকে পুলিশ বনে যাওয়া রাফসান ইবনে রেজার ঘাড়ে। জুনিয়র এসআই আদনান আহমেদকে সাথে নিয়ে ঢাকা শহরের এ মাথা থেকে ও মাথা ছুটে চলছে বেচারা। জলদি রহস্য সমাধান করতে না পারলে জেলে যেতে হতে পারে ওদের বস, সৈয়দ মারুফকে, নাদু গুণ্ডার খুনের দায় নিয়ে। ঘড়ির কাঁটাকে হার মানাতে পারবে তো ওরা? সমাধান হবে তো রহস্যের?
দেবতা মারা গেছেন...তাই আসুন, তার ছেলেদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া যাক! মোটকু চার্লির ছাপোষা জীবনে তখনই যতি পড়ে গেছে, যখন ওর বাবা মারা গেছে ফ্লোরিডার একটা ক্যারিয়োকি স্টেজে! চার্লি জানতই না যে ওর একটা ভাই আছে...ওদের বাপ যে দেবতা—সেটা জানার তো প্রশ্নই ওঠে না। ওর সেই ভাই, স্পাইডার, দেখা দিল সদর দরজায়। বদলে যেতে লাগল মোটকু চার্লির জীবন। হয়ে উঠল মজার... ...সেই সঙ্গে বিপজ্জনকও। উত্তেজনায় ভরা, কখনও একটু ভয়ের, আর অবশ্যই মজার গল্প ‘আনানসি বয়েজ’, মূলত যৌবন, বুনো অভিযান আর অটল বিপদের মুখোমুখি হবার রঙিন এক গল্প।
শহর থেকে কিছুটা দূরের বিশেষ এক মানসিক হাসপাতাল। রোগীদের বিশেষত্ব: গুরুতর কোনো না কোনো অপরাধে অভিযুক্ত সবাই! সেই হাসপাতাল থেকে একে একে হারিয়ে যেতে শুরু করল মানুষ। রোগী, কর্মচারী এমনকী ডাক্তাররাও... কানাঘুষো ছড়িয়ে পড়েছে হাসপাতালে, অন্তর্ধানগুলোর সাথে জড়িত অশুভ কোনো আত্মা অথবা নৃশংস কোনো খুনি! হাসপাতালের সবচেয়ে শান্তশিষ্ট রোগী নজিবুর রহমান। চারটে খুনের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হওয়ার পর, হাসপাতালে ঠাঁই হয়েছে তার। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছে ও। দিন-দিন কঠিন হচ্ছে সেই লড়াই। হঠাৎ আবিষ্কার করল নজিবুর: অন্তর্ধানের পেছনে থাকা লোকটার চেহারা তার পরিচিত। কিন্তু একজন মানসিক রোগীর কথা বিশ্বাস করবে কে? তাই সিদ্ধান্ত নিল, নিজেই আটকাবে খুনিকে। অথচ ভুলে গেল নজিবুর, নামে হাসপাতাল হলেও, আসলে জেলখানায় রয়েছে ও। খুনির পরবর্তী শিকারে পরিণত হওয়া ওর জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র! শহর থেকে কিছুটা দূরের বিশেষ এক মানসিক হাসপাতাল। রোগীদের বিশেষত্ব: গুরুতর কোনো না কোনো অপরাধে অভিযুক্ত সবাই! সেই হাসপাতাল থেকে একে একে হারিয়ে যেতে শুরু করল মানুষ। রোগী, কর্মচারী এমনকী ডাক্তাররাও... কানাঘুষো ছড়িয়ে পড়েছে হাসপাতালে, অন্তর্ধানগুলোর সাথে জড়িত অশুভ কোনো আত্মা অথবা নৃশংস কোনো খুনি! হাসপাতালের সবচেয়ে শান্তশিষ্ট রোগী নজিবুর রহমান। চারটে খুনের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হওয়ার পর, হাসপাতালে ঠাঁই হয়েছে তার। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছে ও। দিন-দিন কঠিন হচ্ছে সেই লড়াই। হঠাৎ আবিষ্কার করল নজিবুর: অন্তর্ধানের পেছনে থাকা লোকটার চেহারা তার পরিচিত। কিন্তু একজন মানসিক রোগীর কথা বিশ্বাস করবে কে? তাই সিদ্ধান্ত নিল, নিজেই আটকাবে খুনিকে। অথচ ভুলে গেল নজিবুর, নামে হাসপাতাল হলেও, আসলে জেলখানায় রয়েছে ও। খুনির পরবর্তী শিকারে পরিণত হওয়া ওর জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র!