আফ্রিকায় এলাম । কেন এলাম? চট করে সে উত্তর দিতে পারব না । তবে টাকার কথা দিয়ে আরম্ভ করতে পারি । আমি ধনী। বাবার কাছ থেকে পাই তিরিশ লাখ ডলার। কিন্তু আমার চালচলন ভবঘুরের মত। …জীবনের অর্থ খুঁজতে আফ্রিকায় এল হেণ্ডারসন। তারপর জড়িয়ে পড়ল নানা ধরনের রোমাঞ্চকর ঘটনায়। বন্দি হলো আদিবাসীদের হাতে। শেষ পর্যন্ত কি প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারল সে? সংগ্রহে রাখার মত একটি বই। প্রাঞ্জল অনুবাদ। টানটান উত্তেজনায় ঠাসা।
আ টেল অভ টু সিটিজ প্যারিস ও লণ্ডন-দুই নগরীর কাহিনি নিয়ে এই বিশ্ববিখ্যাত বই। অভিজাত শ্রেণীর অনাচার ও অত্যাচারে বীতশ্রদ্ধ তাদেরই একজন, চার্লস এভরেমঁদে, ফ্রান্স থেকে চলে এসেছে ইংল্যান্ডে। এরপরেই ঘটল ফরাসী বিপ্লবের। অভিজাতদের ধরে ধরে চড়ানো হচ্ছে গিলোটিনে। এমনি সময়ে চিঠি এল, সে না ফিরলে ফাঁসী হয়ে যাবে চার্লসের এক নিরপরাধ কর্মচারীর। কাউকে কিছু না বলে ফ্রান্সে ফিরে এল এভরেমঁদে। কিন্তু প্যারিস পৌছবার আগেই ধরা পড়ে গেল বিপ্লবীদের হাতে। এবার? টম জোনস পালক পুত্র টম জোনসকে ভারি ভালবাসেন মি, অলওয়ার্দি। টমও তাঁকে সাঙ্ঘাতিক শ্রদ্ধা করে। কিন্তু মুশকিল হলো, একটা না একটা ঝামেলা সব সময় বাধিয়েই রাখে টম। তার দুরন্তপনায় লোকে অতিষ্ঠ। ভাগ্নে ব্লিফিলের প্ররোচনায় মি. অলওয়ার্দি একদিন বাড়ি থেকে বের করে দিলেন টমকে। অকূল পাথারে পড়ল টম। কারণ, ইতোমধ্যে সে প্রতিবেশীর কন্যা সোফিয়া ওয়েস্টার্নকে ভালবেসে ফেলেছে। কিন্তু ওর মত এক কপর্দকহীন যুবকের কাছে কিছুতেই মেয়ের বিয়ে দেবেন না সোফিয়ার বাবা। তিনি মেয়ের বিয়ে দিতে চান মি, অলওয়ার্দির ভাগ্নে ব্লিফিলের সঙ্গে। কিন্তু এ বিয়েতে সোফিয়ার বিন্দুমাত্র মত নেই। কী করে ঠেকাবে সে ব্লিফিলকে? কিংকং বিখ্যাত চিত্রপরিচালক ডেনহ্যাম তাঁর দর্শকদের ভিন্নধর্মী অ্যাডভেঞ্চার সিনেমা উপহার দেয়ার জন্য চলে এলেন ‘খুলি দ্বীপ’ নামে সুমাত্রার এক প্রাগৈতিহাসিক দ্বীপে। ওই দ্বীপে বাস করে এক মহাদানব-কিংকং। একে নিয়েই ছবি বানানোর পরিকল্পনা করেছেন ডেনহ্যাম। কিন্তু মূর্তিমান আতঙ্কটির হাতে বন্দি হলো ছবির নায়িকা অ্যানডোরা। জীবনবাজি রেখে অ্যানডোরাকে শুধু উদ্ধারই নয়, কিংকংকে কৌশলে নিউ ইয়র্কে ধরে নিয়ে এলেন দুঃসাহসী ডেনহ্যাম। তারপর? সে এক রুদ্ধশ্বাস কাহিনি।
দ্য লেডি অভ ব্লসহোম: জমিদার স্যর জন ফোটরেলের কিছু জমি দখল করতে চান ব্লসহোম অ্যাবির অধ্যক্ষ ক্রেমেন্ট মন্ডন। প্রতিবাদ করতে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হয়ে গেলেন স্যর জন। তাঁর অপ্রাপ্তবয়স্কা মেয়ে সিসিলি জানে না কী করতে হবে। শুধু জানে, এবার ওর পালা—হয় মারা পড়তে হবে বাবার মতোই, নয়তো আজীবন বন্দি থাকতে হবে সেম অ্যাবি-সংলগ্ন আশ্রমে। আপন বলতে মাত্র দু’জন আছে মেয়েটার পালক-মা এমিলিন স্টোয়ার আর প্রেমিক স্যর ক্রিস্টোফার হার্ট|শুরু হলো প্রচণ্ড ক্ষমতাবান ক্লেমেন্ট মন্ডনের বিরুদ্ধে ওদের তিনজনের সংগ্রাম। পদে পদে বাধা, বিপদ আর মৃত্যুর হাতছানি। কী হলো শেষপর্যন্ত? মেরি: প্রিয় পাঠক, কিংবদন্তির নায়ক অ্যালান কোয়াটারমেইনের স্মৃতিকথায় আপনাকে আরও একবার স্বাগতম। তিনি এবার শোনাচ্ছেন তাঁর কৈশোরের গল্প, প্রথম প্রেমের কাহিনী-‘রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে হাজার তারার ভিড়ে আজও ওকে খুঁজি আমি তখন ছলছল চোখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি একটা ছায়াকেমেরি ম্যারাইস, আমি ছাড়া যে-ছায়ার কথা ভুলে গেছে। সবাই কে এই মেরি? কী তার কাহিনী? ওর কথা বলতে এত বছর পর কেন মুখ খুলেছেন অ্যালান কোয়াটারমেইন?
‘আলীবাবার গুহা’য় আপনাদেরকে স্বাগতম, পাঠক! এ গুহা বিশ্বসাহিত্যের নামজাদা লেখকদের দুর্লভ রত্নরাজিসম সব লেখক দিয়ে সাজানো। জীবনধর্মী মর্মস্পর্শী নানান গল্পের পাশাপাশি রহস্য-রোমাঞ্চ-গোয়েন্দা-অ্যাডভেঞ্চার ইত্যাদি কাহিনির কোনই কমতি নেই এখানে। এই মণি-মাণিক্যগুলো আবিষ্কারের নেশায় বুঁদ হয়ে গুহার গোলকধাঁধায় কখন হারিয়ে যাবেন টেরই পাবেন না। এবং একটা সময় উপলব্ধি করবেন আলীবাবার গুহা থেকে বেরুতেই মন চাইছে না!
কালো কেশরওয়ালা ওই প্রাণীটা কি আসলেই সিংহ? নাকি কুহকী ক্ষমতাধারী এক ওঝা, রাতের অন্ধকারে সিংহের রূপ ধরে যে নরহত্যায় নামে? …ভয়ঙ্কর এক মানুষখেকো বাঘের অত্যাচারে মালয়ের রাবার শ্রমিকদের কাজ বন্ধ হওয়ার জোগাড়। …বাঘ আর চিতার জুটি বেঁধে শিকারের কথা কখনও শুনেছেন? …ল্যাংটংয়ের রেললাইনের চারপাশে আস্তানা গাড়া চার নরখাদকের হাত থেকে অসহায় মানুষগুলোকে কে রক্ষা করবে? …রাতের ওই অমানুষিক চিৎকারের মালিক কি উন্মাদ এক হাতি নাকি অশরীরী! জঙ্গলের গভীর থেকে বেরিয়ে আসা দুই ফুটি ভয়ানক চেহারার জিনিসটাই বা কী? ভারত, বার্মা, মালয় এবং আফ্রিকার জঙ্গলের রোমাঞ্চকর সব সত্যি কাহিনী নিয়ে জমজমাট এক বই। গণ্ডার, বুনো মোষ, বাঘ, চিতাবাঘ, পাগলা হাতি—কী নেই! উপরি হিসাবে আছে সিলেটের খুনে বাঘ আর জাল দিয়ে চিতা ধরার কাহিনী।অরণ্য ও রহস্য-রোমাঞ্চপ্রেমী পাঠকদের জন্য অবশ্যপাঠ্য।
সতেরো শতকের ফ্রান্স। চারদিকে বিপ্লবের ঘনঘটা। এমনই এক সময়ে বন্ধু হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে মহাবিপদে পড়ে গেল গ্যাব্রিয়েল গ্রামের সাধারণ যুবক আন্দ্রে-লুই। ফেঁসে গেল রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে, হুলিয়া জারি করা হলো ওর নামে। ধরা পড়লেই ঝুলতে হবে ফাঁসিতে। পালাল আন্দ্রে-লুই। টের পেল, এ-অবস্থায় বেঁচে থাকার উপায় একটাই—ছদ্মপরিচয় নেয়া। আর তাই জন্ম নিল স্কারামুশ বিপ্লবী, বিদূষক, প্রেমিক, তলোয়ারবাজ… বহুরূপী এক মহানায়ক। হাতছানি দিয়ে ডাকছে ও আমাদের। চলুন, পাঠক, কালজয়ী এ-নায়কের সঙ্গী হয়ে চলে যাই ফরাসি বিপ্লবের উত্তাল দিনগুলোয়।