অতিপ্রাকৃত জগতে রহস্যের কোন শেষ নেই। আর এই অপার সাম্রাজ্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণও তাই দুর্দমনীয়। তন্ত্র-মন্ত্র… ভূত-প্রেত… নরখাদক… পিশাচ… তান্ত্রিক-কাপালিক… কালো জাদু… কী নেই এখানে? পর্দার আড়ালের এ-সমস্ত কুশীলবদের নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন-অন্ধকারের গল্প।
ন্যাংটো-নাচ দেখিয়ে বেড়াত মেয়েটা। কীসে রক্তশূন্য করে দিয়েছে ওকে? শত বর্ষের পুরানো সড়কে কেন এত মৃত্যুর মিছিল? এ কোন অভিশাপ উঠে এসেছে আদিম লেকের গভীর থেকে? তবে কি ইনডিয়ানদের কথাই সত্যি—জেগে উঠেছে কিংবদন্তির নররাক্ষস? দিনেদুপুরে নেকড়েমানব দেখতে পাচ্ছে। বিপথগামী এক দল তরুণ-তরুণী-শুনতে কেমন লাগে না? শেকসপিয়র ঠিকই বলেছেন: দেয়ার আর মোৱ থিংস ইন হেভেন অ্যাণ্ড আর্থ।
মাথার চুল খাড়া হয়ে গেল তরুণের। চাঁদের আলোয় পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। ওটাকে। মড়াটা। ধীরে ধীরে তারই দিকে এগিয়ে আসছে। অথচ একটু আগেও কফিনের ভিতরে শুয়ে ছিল। এখন উপায়? ইংল্যাণ্ডের হাইগেট গোরস্তানে উদয় হয় ভীতিকর এক আগন্তুক। ওখানে নিয়মিত মেলে শিয়াল-কুকুর এমনকী তরুণীদের রক্তশূন্য লাশ। এসব কি তবে ভ্যাম্পায়ারের কাজ? আইসল্যাণ্ডের এক পাদ্রীর বাড়িতে হানা দিচ্ছে ভয়ঙ্কর এক অশরীরী। কিন্তু শুধু তরুণ ম্যাগনাসই কেন দেখতে পায় তাকে? বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে গেলেন এক লর্ড। রাতে হঠাৎই ঘুম ভেঙে গেল। দেখলেন সামনের বাগানে কাঁধে কফিন নিয়ে হাঁটছে এক লোক। লোকটার মুখের দিকে তাকিয়েই চমকে উঠলেন লর্ড। কেন? পাঠক, আমাদের এই চিরচেনা জগতের আড়ালে আছে অচেনা আরেক দুনিয়া। অন্য সেই ভুবনে আপনাকে স্বাগতম। এ তো কেবল কয়েকটি নমুনা পাবেন এমন ১৩০টির বেশি রোমাঞ্চকর কাহিনী। আর হ্যা, এগুলো কিন্তু গল্প নয়, সত্যি।
ট্যাবু তৌফির হাসান উর রাকিব সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. নোরার চেম্বারে একটি অদ্ভুত সমস্যা নিয়ে হাজির হলো এক যুবক! নর্থ হাইওয়েতে পাওয়া লাশগুলোর সঙ্গে কী সম্পর্ক মিরান্ডা, লারা কিংবা পুরুষ এসকর্ট, জেফ কার্টারের? স্ত্রীকে রক্ষা করতে সত্যিই কি শেষতক পিশাচের মুখোমুখি হবে মানিক? দেবদূতের আদেশে সপ্ত পাহাড়ের পবিত্র গুহা থেকে কী নিয়ে ফিরবে রাজপুত্র কিকা? বুড়ো হিউগোর নির্দেশ অমান্য করে কীসের লোভে নিষিদ্ধ এলাকায় পা বাড়াল বেপরোয়া মিচেল? সত্যিই কি গোল্ড ক্রীকের তলায় বসবাস করে কিংবদন্তীর চিতাবাঘ, মিশিবিঝিউ? সাধনা রিয়াজুল আলম শাওন সঙ্কলনটিতে স্থান পেয়েছে একটি সম্পূর্ণ উপন্যাস, একটি উপন্যাসিকা এবং ছোট-বড় সাতটি গল্প। সুলেখক রিয়াজুল আলম শাওনের এই মৌলিক হরর সঙ্কলনটি আপনার মনের ভয়, অস্বস্তি, কাঁপুনি বাড়িয়ে দেবে বহুগুণে। কাহিনীর মধ্যে প্রবেশ করলে আপনিও এক ভয়ঙ্কর জালে জড়িয়ে পড়বেন। এই ভয়ের রাজ্য থেকে কারও মুক্তি নেই। কাজেই সাবধান!
অখণ্ড অবসরে অনেক কাল্পনিক ঘটনা ও চরিত্র পড়তে গিয়ে পাশাপাশি নিজের বাস্তব জীবনের কথা প্রায়ই মনে পড়ত; গল্পের ছলে অনেক সময় সেগুলো অনেককে শোনাতামও। যাদের ভাল লাগত তাদেরই একজন হঠাৎ একদিন প্রস্তাব দিল—এ নিয়ে একটা বই লিখলে কেমন হয়। গল্প বোধহয় ভালই করতাম; কিন্তু লিখতে গেলে কিছু বেরুবে কি? এ ছাড়া শারীরিক অসুস্থতাও ফিট অন্তরায়। ভাগ্নে রনজু বলল, আপনি বলে যান, আমি লিখব। তারপরেই চলল দু’জনের প্রাণান্তকর চেষ্টা। অনেক ঘাম ঝরিয়ে, অনেক স্মৃতি রোমন্থন করে যা বের হলো, সেটাই হচ্ছে এই ‘হেল কমাণ্ডো’ ।