উত্তরণ (হার্ডকভার) - আল্লাহর গুণগান এবং সমাজের বাস্তবতা ভিত্তিক কাব্যগন্থ: আসসালামু আলাইকুম, কবিতা নদীর তীরে নতুন এক ছাত্র আমি, সবেমাত্র কবিতার বর্ণমালা শিখছি। আর এই শেখার প্রারম্ভেই আমার কাছে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কবিতার প্রতি মানুষের অনীহা। যে কবিতা মনের ভাব প্রকাশ করে, যে কবিতা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, যে কবিতা কপাট ভাঙ্গতে জানে, আমরা শুধু সেই কবিতাকে নগ্ন কবিতা বলেই জানি। আমরা জানি না যে এই কবিতার মাধ্যমেই রবের গুণগান গাওয়া যায়। আমার নিকটস্থ এই সমস্যা হয়ত আমার পক্ষে সমাধান সম্ভব নয় তবে মনের কিছু অব্যক্ত চরণদ্বয়ের মাধ্যমে একটি প্রতিবাদ লিপি ঠিকই লেখা যায়। যেখানে সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ হবে, সত্যের গুণগান হবে এবং বুঝানাে হবে কবিতা আসলে কি। কবিতার ভালােবাসাটা আসলে কি? কবিরা আসলে কেমন। এই সকল চিন্তা-ভাবনা থেকেই আমি লিখেছি আমার প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ ‘উত্তরণ'। যার পাতায় আমি পাঠকদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা দিতে যাচ্ছি। যেখানে থাকবে রবের গুণগান সহ সমাজের বাস্তবতাকে তুলে ধরার মতন কিছু চরণ যাতে করে কিছু মানুষ উপকৃত হতে পারে এবং সহজেই বুঝতে পারে সত্যটা আসলে কি। আর উন্নয়নের পথটাই বা কি হবে। আমি মনেকরি এক আরিফ আজাদ যদি এতবড় ভূমিকা রাখতে পারে তবে আমি কেন নয়! আমিও আমার গন্ডিতেই সমাজ তথা দেশ তথা ইসলামের সত্য বলনে নিজের লেখার কলমকে এই কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে উৎসর্গিত করলাম। “লিখবাে আমি সত্যের দ্বারে " ফুটবে আলাের ঝর্নাধারা, মিথ্যেরা সব লুকিয়ে রবে, কলমেতে চলবে সত্যরা।” পরিশেষে এটাই বলব যে, এ লেখাই বইয়ের মূলভাব সম্পূর্ণ প্রকাশ করে না, তবে আপনারা আগ্রহী হয়ে যদি আমার বইটি বিশ্লেষণ করেন এবং বইয়ের মূল কথন উপলদ্ধি করতে পারেন তবেই হবে সার্থকতার উত্তরণ'।
পড়াশুনায় ভালো ছিলাম বলেই আশেপাশে ছিলো বেশ সুনাম। হৈচৈ করে বেড়াতাম চারিদিক। কেউ দেখলেই ডেকে ডেকে কথা বলতো। শ্রেণিকক্ষের শিক্ষক হতে শুরু করে সকলেই খুব আদরে আদরে শাসন করতো। বাসায় এলেও সকলেই আহ্লাদ করতো। দুষ্টামি আর আর কথার ফাঁকে সকলেই একটা কথা জিজ্ঞেস করতো। সকলেই বলতো ‘তুমি বড় হয়ে কী হবে?’ উত্তরে আমি বলে ফেলতাম ‘আমি ডাক্তার হবো’ আবার কখনো কখনো বলতাম ‘আমি ইঞ্জিনিয়ার হবো’ রাজনীতিবিদ কিংবা অন্য পেশা নিয়ে তখন এতটা ভাবিনি। সময় গড়িয়ে আজ যখন বড় হয়ে কিছু হবার যুদ্ধে নামলাম। তখন মনে হয় সবার উদ্দেশ্য একটাই থাকা উচিৎ। আর তা হওয়া উচিৎ একজন প্রকৃত মানুষ হওয়া। আর তাইতো আজ আমি বারবার বলি ‘মানুষ হবো’ ‘মানুষ হবো’