বাংলাদেশের অনিয়ম আর অবিচারের সমাজ বদলে দেওয়ার জন্য নানা মুনির আছে নানা মত। কেউ মনে করেন গণতন্ত্রের সঠিক প্রয়োগ জনগণকে এ থেকে মুক্তি দেবে, কেউ ভাবেন ইসলামি প্রজাতন্ত্রই একমাত্র সমাধান। বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া দুই ছাত্র মনে করলো ভিন্ন কিছু। তাদের বিশ্বাস, নষ্ট হয়ে যাওয়া সিস্টেমকে একেবারে ধ্বংস করেই গড়ে তুলতে হয় নতুন কিছু। দেশ যখন উত্তাল নানা চেতনার ফেরিওয়ালাদের তর্জনীর ইশারায় অথবা বিশ্বাসে অন্ধ মেজরিটির অঙুলিহেলনে, ওরা বেছে নিলো স¤পূর্ণ নতুন পথ। গড়ে তুললো গুপ্তসঙ্ঘ জাদুঘর। সিস্টেমকে একেবারে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য হাত নোংরা করতে হয়। হাত ওরা নোংরা করলোও। রক্ত ঝরলো। অপবিত্র রক্ত! রাজধানীর দেওয়ালে লেখা হলো বিখ্যাত শিশুতোষ ছড়ার বিকৃতরূপ। জাদুঘর পাতা আছে এই এখানে রক্তের ঝিকিমিকি আঁকা যেখানে...!
মার্ডার মিস্ত্রি হয়তাে পড়েছেন আগে, কিন্তু পজেশন মিস্ত্রি? কোন অশুভ শক্তির ছায়া পড়েছে দেশের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের একমাত্র মেয়ের ওপর-সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নিয়ােগ করা হলাে অদ্ভদ এক মানুষকে; অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার সাথে যার আছে নিবিড়, তিক্ত অভিজ্ঞতা। কিন্তু তদন্তে ডুব দেবার পরই বুঝতে পারলাে চোরাবালি আসলে কতটা গভীর। একা একা সমস্যার জট খােলা সম্ভব নয়, অন্য এক ধরনের। বিশেষজ্ঞের সাহায্যের দরকার, দরকার এক রিচুয়াল ম্যাজিশিয়ানের। ওরা দুজন মিলে কি এই মারাত্মক রহস্যের জাল ভেদ করতে পারবে? প্রতি পদে অপেক্ষা করছে বিপদ-ছায়ার আড়ালে গা ঢাকা দিয়ে আছে অকল্পনীয় ক্ষমতাধর এক আততায়ী। আর্কনখ্যাত তানজীম রহমানের হরর-গৃলার অক্টারিন-এর পাতায় লুকিয়ে। আছে খুন, জাদু, কিংবদন্তি আর চক্রান্তের আশ্চর্য এক উপন্যাস যা চুম্বকের মতাে আপনার মনােযােগকে আকর্ষণ করবে।
সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে আনন্দেই দিন কাটাচ্ছিলাে কমান্ড্যান্ট কামিল ভেরােভেন। এরইমাঝে জোড়া খুনের নৃশংসতায় হতবিহ্বল হয়ে পড়ে পুরাে ক্রিমিনাল ব্রিগেড । সবচেয়ে সাহসি অফিসারকেও নির্বাক করে দেয় খুনির পৈশাচিকতা। কিছুদিনের মধ্যেই কামিল আবিষ্কার করে, বিখ্যাত কিছু ক্রাইম-ফিকশনের অনুকরণে হচ্ছে এসব খুন। সঙ্গে সঙ্গে পত্রপত্রিকাগুলাে খুনিকে “নভেলিস্ট” নামে ডাকতে শুরু করে দেয়। নভেলিস্টের হত্যাযজ্ঞ কোথায় গিয়ে থামবে তা কেউ জানে না । উকণ্ঠার মাঝে প্রতিটি দিন পার করতে থাকে সবাই। ক্রিমিনাল ব্রিগেডের সবচেয়ে দুর্ধধর্ষ অফিসাররা কী পারবে নভেলিস্টকে থামাতে? সবার চোখ এবার শিকার এবং শিকারির উপরে নিবদ্ধ । অবশেষে কেসটা হয়ে ওঠে দু-জন মানুষের মধ্যেকার এক দ্বৈরথে । একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাবার জন্য মরিয়া তারা কিন্তু যার ক্ষতি যতাে কম হবে কেবল সে-ই জয়ি হবে এ লড়াইয়ে।