দ্য লস্ট সিম্বল - উপন্যাসের আচার-অনুষ্ঠান, বৈজ্ঞানিক তথ্য, শিল্পকম এবং মনুমেন্ট বাস্তব এবং সত্য: দা ভিঞ্চি কোড-এর পরবর্তী সিকুয়েল দ্য লস্ট সিম্বল, সারা বিশ্বের সারা জাগানো লেখক ড্যান ব্রাউন, ব্রাউনীয় লেখনীতে যিনি বিশ্বের কাছে এনে দিয়েছেন তুমুল জনপ্রিয় বেস্টসেলার কিছু বই। সাধারণত বিভিন্ন গুপ্ত সংস্থার রহস্যময় ঘটনার সমাধান খুঁজতে গিয়েই গল্পের আবয় তৈরি হয়। বইটি প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই টানা দু'সপ্তাহ নিউইয়র্ক টাইম বেস্ট সেলার (১ নম্বরে) এ ছিলো। বাংলা অনুবাদের দিক দিয়ে বেশ ভালো একটা অনুবাদ বই, লেখনীর ধারা অনুবাদক ঠিক মত রাখতে পেরেছেন। বইটিতে সিক্রেট সোসাইটি ফৃম্যাসন্দের হাজার হাজার বছর ধরে লুকায়িত রাখা সিক্রেটকে আবিষ্কার করা নিয়ে ঘটনা আবর্তিত হয়। বরাবরের মত মুল চরিত্র সিম্বলজিষ্ট রবার্ট ল্যাংডন, যার সাথে এবার যুক্ত হয়েছে নারী চরিত্র নোয়েটিক সায়েন্স এর গবেষক ক্যাথরিন সলোমন সাথে গুপ্ত সংস্থাটির মুল তাঁর ভাই পিটার সলোমন এবং বইটির সেরা চরিত্র ভিলেন জাগারি সলোমন (মালাখ)। লেখকের ভাষ্যমতে বইয়ে থাকা সকল প্রতিষ্ঠান, স্থান সব সত্য ফলে বইটির পড়ার আগ্রহ অনেক বেড়ে যাবে, সাথে সাসপেন্স বা টুইস্ট এর আছে বিশাল সংগ্রহ। আসলেই কি সেই লুকায়িত তথ্য কি উদ্ধার করা গিয়েছে? ভ্রাতৃসংঘটি কি আসলেই এখনো টিকে আছে? নোয়েটিক সায়েন্স কি আসলেই আমাদের কে আত্মার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারবে? জানতে হলে এখনই পড়তে হবে বইটি।
“নেমেসিস”বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা কথা: দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থায় মারা গেলেন নিজের অ্যাপার্টমেন্টে। সিটি হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ বিস্ময়কর দ্রুততায় ধরে ফেললো সম্ভাব্য খুনিকে। সন্দেহের তীর গিয়ে পড়লো লেখকের যুবতী স্ত্রীর ওপর। ওদিকে মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে লেখকের আত্মজীবনী মেইল হয়ে গেলো অন্য একজনের কাছে। বেরিয়ে এলো নানান কাহিনী...তারপর ঘটনা মোড় নিতে থাকে ভিন্ন দিকে। শেষ পর্যন্ত জেফরি বেগ যা জানতে পারলো তা একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর অচিন্তনীয়। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন-এর আলোচিত এই উপন্যাসটি পাঠক মহলে দারুণ সাড়া ফেলে দিয়েছে।
দক্ষ স্নাইপার বব লি সোয়েগারকে ভাড়া করা হয় গোপন এক মিশনের জন্য; কিন্তু ভয়ঙ্কর সেই মিশনে নেমেই বব বুঝতে পারে ঘটনা অন্য রকম-বিরাট এক ষড়যন্ত্র ভেদ করে বব লি সোয়েগার কি পারবে নিজের জীবন নিয়ে ফিরে আসতে-জবাবটা নিহিত আছে স্টিফেন হান্টারের অসাধারণ থৃলার পয়েন্ট অব ইমপ্যাক্ট-এ।
"ফাইট ক্লাব" বইটিতে লেখা শেষের কথা: ‘ফাইট ক্লাবের প্রথম নিয়ম হচ্ছে ফাইট ক্লাব নিয়ে কোনাে কথা বলা যাবে না।, ফাইট ক্লাবের দ্বিতীয় নিয়ম হচ্ছে ফাইট ক্লাব নিয়ে কোনাে কথা বলা যাবে না! ফাইট ক্লাবের তৃতীয় নিয়ম হচ্ছে... চরম ইনসােমনিয়ায় আক্রান্ত এক অফিস ওয়ার্কারের সাথে জুটি বেঁধে এক সকল-কাজের-কাজী সাবান-প্রস্তুতকারক নেমে পড়ে রহস্যময় আন্ডারগ্রাউন্ড ফাইট ক্লাব গড়ায়, যা দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে প্রতিটি শহরে। বেপরােয়া একদল ফ্যানাটিক গােটা পৃথিবীর ইতিহাস বদলানাের কাজে নেমে পড়ে এরপরই। এই উন্মত্ততা ঠেকানাের সামর্থ্য আছে শুধু একজনেরই-আর আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না, আমাদের নায়কের অমিত শক্তিধর শত্ৰুটি কে।
"ফোরটি এইট আওয়ার্স" বইটিতে লেখা শেষের কথা: পুলিশের সিনিয়র এএসপি মারুফের সাথে তুচ্ছ কারণে ঝগড়া হবার কিছুক্ষণ পরই খুন হয়ে যায় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জাকির আদনান। সমস্ত দোষ গিয়ে পড়ে মারুফের ওপর। ডিপার্টমেন্ট, মিডিয়া থেকে শুরু করে খােদ হােমমিনিস্টারও উঠে পড়ে লাগে তাকে খুনি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে। এমন পরিস্থিতিতে বড়কর্তা তাকে সাসপেন্ড না করে আটচল্লিশ ঘন্টার সময় বেঁধে দেয় খুনিকে খুজে বের করার জন্যে। তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে ডিপার্টমেন্টের এক জুনিয়র এবং একজন আইটি এক্সপার্ট। একাজ করার জন্য তাদের হাতে সময় আছে মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা। অসম্ভব এই কাজটি করতে গিয়ে নতুন এক সত্যের মুখােমুখি হতে হলাে তাদেরকে। কি সেই সত্য জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে ফোরটিএইট আওয়ার্স শেষ হবার আগপর্যন্ত।