এই ছােট গ্রন্থটি (গভীর চিন্তা ও অভিজ্ঞতার ফসল) চিন্তাশক্তির বিভিন্ন বিষয়ের উপর লিখিত সামগ্রিক কোন প্রবন্ধ নয়। এটি বিশ্লেষণধর্মী নয়, বরং ইঙ্গিতমূলক; এর বিষয় হল‘তারা নিজেরাই নিজেদের তৈরি করে’ এই সত্যকে আবিষ্কার ও গ্রহণের জন্য পুরুষ ও নারীদেরকে উজ্জীবিত করা, যাতে তারা উৎসাহিত হয় ও বুঝতে পারে যে মন মানুষের চরিত্র ও পরিস্থিতি দুটোরই নির্মাতা এবং তারা জ্ঞান ও আনন্দের মাধ্যমে অজ্ঞতা ও কষ্টকে দুরে রাখতে পারে।
"চেঞ্জ ইয়োর থিংকিং চেঞ্জ ইয়োর লাইফ" বইয়ের ভূমিকা থেকে লেখা: পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যা তােমার কাছে নেই, অথচ মানসিকভাবে তুমি স্বীকার করেছ যে তােমার কাছে আছে। -রবার্ট কলিয়ার আপনার সম্পর্কে সত্য যা- আপনি পুরােপুরিই একজন ভালাে মানুষ। সফলতা, সুখ, আনন্দ ও উত্তেজনায় পূর্ণ দারুণ একটি জীবন আপনার প্রাপ্য। সুসম্পর্ক, সুস্বাস্থ্য অর্থপূর্ণ কাজ ও আর্থিক স্বচ্ছলতা আপনার থাকাটা যুক্তিযুক্ত। এসব আপনার জন্মগত অধিকার। জীবন বলতে এমনই বুঝায়। সফলতার জন্যই আপনার জন্ম, আত্মসম্মান ও গর্বের সর্বোচ্চ চূড়ায় আপন অবস্থান। আপনি সাধারণ, ঠিক আপনার মত আর কেউ কখনাে জন্মায়নি এই বিশ্বে। আপনার প্রতিভা ও যােগ্যতা প্রচুর, যদি ঠিকঠাক মতাে প্রয়ােগ করা যায়। জীবনে যা চাননি, তাও আপনি পেতে পারেন। মানবসভ্যতার ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আপনি জীবনযাপন করছেন। স্বপ্ন পূরণের অবাধ সুযােগ রয়েছে আপনার চারপাশে। আপনি কি হতে পারেন বা করতে পারেন, তার একমাত্র সীমাবদ্ধতা রয়েছে আপনার ভাবনায়। মূলত: আপনার ভবিষ্যত সীমাহীন। বাস্তব চিত্র উপরের তিনটি প্যারায় কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবেন আপনি? আপনি দু'ধরনের মনােভাব হতে পারে। প্রথমত: যা বলা হয়েছে, আপনি পছন্দ করেছেন আর আপনি মনে প্রাণে চান সেসব সত্য হােক। কিন্তু আপনার দ্বিতীয় প্রতিক্রিয়া সম্ভবত: অবিশ্বাস। যদিও আপনার সুপ্ত ইচ্ছে হল স্বচ্ছল, সুখী ও স্বার্থক একটি জীবন লাভ করা, কিন্তু যখন আপনি বইটি পড়বেন, সন্দেহ ও ভয় আপনাকে কারণগুলাে মনে করিয়ে দেবে যে কেন স্বপ্নপূরণ সম্ভব নয়। অনেক বছর আগে আমিও তেমনটি অনুভব করেছিলাম। যদিও জীবনে বড় কিছু করতে চাচ্ছিলাম, আমি ছিলাম অদক্ষ, অশিক্ষিত ও বেকার। পরিস্থিতি কি করে সামলাতে হয়, সে ব্যাপারে আমার কোন ধারণাই ছিল না। একদিকে বড় স্বপ্ন ও অন্যদিকে সীমিত সুযােগের মধ্যে আমি বন্দী ছিলাম। তখন আমি আকর্ষণীয় কিছু পদ্ধতি আবিষ্কার করলাম যার সাহায্যে জীবনে সাফল্য অর্জন করা যায় আর তখনই আমার জীবনটা বদলে গেল। আমাদের জীবনে এই নিয়মকানুনগুলাে প্রমাণিত হওয়ার পর আমি বলতে শুরু করলাম ও অন্যান্যদেরকে একই ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দিতে লাগলাম। এতদিনে আমি ২৪টি দেশে দীর্ঘ চারদিনব্যাপী প্রায় দুই হাজার সেমিনার করে ফেলেছি দুই মিলিয়নেরও বেশী জনতার সামনে। প্রথমবার শােনার পর তাদের বেশিরভাগ মানুষও অবিশ্বাস করেছিলেন এই পদ্ধতিকে। পরবর্তীতে অবশ্য তাদের জীবনে বদলে যায়, যেভাবে আপনার জীবনও বদলাতে পারে। চেঞ্জ ইয়োর থিংকিং চেঞ্জ ইয়োর লাইফ' বইয়ের সূচীপত্র ভাবনা বদলান..........১৫ জীবন বদলান..........২৯ বড় স্বপ্ন দেখুন..........৪৮ ধনী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিন..........৫৮ নিজস্ব জীবনের দায়িত্ব গ্রহণ করুন..........৭৯ উৎকর্ষ সাধনের প্রতিজ্ঞা করুন..........৯০ মানুষকে প্রাধান্য দিন..........১১৪ প্রতিভাবানদের মতাে ভাবুন..........১৩১ মানসিক শক্তিকে মুক্ত করুন..........১৪৬ চিন্তাকে শক্তিশালী করুন..........১৬৮ নিজের ভবিষ্যত নিজে তৈরি করুন..........১৮৭ একটি চমৎকার জীবন-যাপন করুন..........২০৫
থিংকিং ফাস্ট অ্যান্ড স্লো - মনের সাথে অন্তর্জ্ঞান সম্পর্কিত মাস্টারপিস আন্তর্জাতিক বেস্টসেলার বই - বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: যদি প্রশ্ন করি কি ভাবছেন আপনি, সহজেই উত্তর দিতে পারবেন। কারণ আপনার বিশ্বাস মনের মধ্যে কি আছে, আপনি তা জানেন। অথচ সেটাই একমাত্র সত্য নয়। মনের মধ্যে হাজারো পথ ধরে বিচিত্র চিন্তা ঘুরে বেড়ায়। আর সেসব বুঝতে হলে আপনার জানার পরিধি আরেকটু বাড়িয়ে নিতে হবে। কেবল সেটাই বা বলবো কেন, চোখের সামনে আমরা যা দেখি, চট করে নিজের মতো বিচার করে ফেলি। অথচ আমরা বুঝতেই পারি না যে আপাতঃ গ্রাহ্য বিষয়ের সবটুকু একই রকম নয়। ভালোভাবে রোগ নির্ণয় করতে হলে একজন ডাক্তারের যেমন অনেক ধরনের রোগ সম্পর্কে জানতে হয়, ভাবনাকে সুবিচারের সাথে একই মঞ্চে দাঁড় করাতে হলে আপনাকেও জানতে হবে আপনি কিভাবে ভাবছেন। এটা অনেকটা রোগের প্রতি মনোযোগ দেয়ার মতই। আর মনস্তত্বের এই সূক্ষ্ম বিষয়গুলো নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেছেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সাইকোলজিষ্ট ড্যানিয়েল কাহনমান। সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত গবেষণার উজ্জ্বল নক্ষত্র অ্যামোস ভার্সকির মূল্যবান সঙ্গ কাহনমানের গবেষণাকে মর্যাদার উঁচু আসনে পৌঁছে দেয়। দীর্ঘ ১৪ বছরের গবেষণায় সমৃদ্ধ ‘থিংকিং ফাস্ট অ্যান্ড স্লো’ বইটিতে কাহনমান মানুষের ভাবনার প্রকৃতির সাথে অন্তর্জ্ঞানের একটি আনুপাতিক সম্পর্ককে পাকাপোক্ত করেছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, আমাদের দ্রুত ভাবনা যখন হাল ছেড়ে দেয়, তখন মন্থর ভাবনা রাশ টেনে ধরে। যুক্তি আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। আর এরপর ...... নাহ্, বাকীটুকু জানতে হলে আজই কিনে নিন ড্যানিয়েল কাহনমান রচিত ‘থিংকিং, ফাস্ট অ্যান্ড স্লো’বইটি। সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আপনার সুচিন্তিত মতামত ও যুক্তিপূর্ণ বিচারশক্তি জীবনকে পরিপূর্ণ করে তুলবে।
দ্য আর্ট অব থিংকিং ক্লিয়ারলি - মিলিয়ন কপি বেস্টসলার এই বই আপনার চিন্তাধারা বদলে দেবে: মানুষ যা ভাবে, সে ঠিক তা-ই। অর্থাৎ যে কোন বিষয়কে মানুষ যেভাবে ভাবে, বিষয়টি তার কাছে সেভাবেই ধরা দেয়। ভাবনা হল মানুষের মনের দর্পন। কাজ হল মানুষের ভাবনার প্রকাশ। আর কাজের ধরণ অনুযায়ী মানুষ সুখ বা দুঃখ পেয়ে থাকে। ভাবনা যেহেতু মানুষের একান্ত বিষয়, সে ইচ্ছে অনুযায়ী ভাবনার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। তবে সকলেই একাজে পারদর্শী নয়। কারণ ভাবনার যে নিজস্ব কিছু ব্যর্থতা আছে, সেটা অনেক মানুষই জানেনা। এই ব্যর্থতা বা ত্রুটিগুলো মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে আর মানুষ ভাগ্যের দোষ দেয়। পরিচ্ছন্ন চিন্তার এইসব ব্যর্থতা নিয়ে রফ দোবেল্লি রচনা করেছেন ‘দ্য আর্ট অব থিংকিং ক্লিয়ারলি।’ গবেষণামূলক, বিজ্ঞানসম্মত ও অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন এই বইয়ে পরিস্কারভাবে চিন্তা করার বিভিন্ন উপায়গুলো বিশদভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আমাদের নিত্যজীবনে বিভিন্ন বিষয়কে কত ভুলভাবে আমরা চিন্তা করি, এই বইটি না পড়লে সেসব বুঝার কোন উপায় নেই। যেমন ধরুন, আমরা নিজেদেরকে সবসময় অতিমূল্যায়ন করি, নায়ক, নায়িকার বীরোচিত জীবন কথায় মুগ্ধ হই আর ভাবি যে আমিও বা কম কি? আমরা কিছু পেয়ে যতনা খুশি হই, তার চেয়ে বেশি মর্মাহত হই কিছু হারিয়ে গেলে। আমরা অন্যের মানসিক আবস্থার বিচার না করেই তার সাময়িক নীরবতা বা স্বত:স্ফূর্ততার অভাবকে অসদাচরণ ধরে নেই। চলার পথের এইসব ভ্রান্ত ধারণা অনেক সময় আমাদের জীবনকে যথেষ্ঠ জটিল করে তোলে। আর এর জন্য পুরোপুরি দায়ী আমাদের বিভ্রান্ত চিন্তাধারা। রফ দোবেল্লি তাঁর ‘দ্য আর্ট অব থিংকিং ক্লিয়ারলি’ বইকে ৯৯টি অধ্যায়ে বিভক্ত করেছেন। এই অধ্যায়গুলোতে আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পেশাগত জীবনের বৈচিত্র্যময় ভুল চিন্তাকে যথাসম্ভব তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এইসব ভ্রান্তি যেকে উত্তরণের সরল প্রক্রিয়াগুলো উপস্থাপন করেছেন বিভিন্ন ঘটনা, সংলাপ ও হাস্যরসের উপভোগ্য সংমিশ্রনে। যদিও অত্যন্ত বিনয়ের সাথে তিনি স্বীকার করেছেন যে এই প্রক্রিয়াগুলোই শেষ কথা নয়, প্রতিদিন আরো নতুন ভ্রান্তি ও তা সংশোধনের প্রক্রিয়া আবিস্কৃত হতে পারে। তথাপি তার তথ্যবহুল বইয়ের অবদান অনস্বীকার্য। এই বইটি আমাদেরকে চিন্তাধারার ভুলগুলো চিনতে ও তাকে অতিক্রম করতে সাহায্য করবে। নির্দ্বিধায় আমরা এগিয়ে যেতে পারব সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যতের দিকে।
দ্য ইন্টেলিজেন্ট ইনভেস্টর - দূরদর্শী বিনিয়োগ ভিত্তিক অন্যতম শ্রেষ্ঠ বই: এই বইয়ের উদ্দেশ্য হল বিনিয়োগের পলিসিকে সাধারণ মানুষের উপযোগী করে সরবরাহ করা। নিরাপত্তা, সুরক্ষিত করার ব্যাপারে তুলনামূলকভাবে অল্পই এখানে বলা হয়েছে; মূলত: জোর দেয়া হয়েছে বিনিয়োগের নীতিমালা ও বিনিয়োগকারীর আচরণের উপর। সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তার কিছু তুলনামূলক লিস্ট এখানে দেয়া হয়েছে- নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ লিস্টের পাশাপাশি- যাতে কমন স্টক বাছাইয়ের জন্য জরুরী উপাদানগুলোতে দক্ষতা জন্মে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা অর্থনৈতিক মার্কেটের ঐতিহাসিক প্যাটার্ণ নিয়ে আলোচনা করব, কিছু কিছু ক্ষেত্রে কয়েক শতাব্দী পিছন ফিরেও দেখব। বুদ্ধিমত্তার সাথে বিনিয়োগ করতে হলে আপনাকে বেশ ভালোভাবে জানতে হবে যে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বন্ড ও স্টকগুলো কি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। ওয়াল স্ট্রীটের ক্ষেত্রে সামতায়ানার সেই বিখ্যাত সতর্কবাণীর চেয়ে বেশি সত্য বক্তব্য ও অধিকতর প্রযোজ্য বাণী আর কিছু নেই- “যারা অতীত ভুলে যায়, তারা এর পুনরাবৃত্তি করে।” আমাদের এই বইটি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আর আমাদের প্রথম কাজ হল কোনরকম পার্থক্য না রেখে এই বিষয়ে স্পষ্টতা ও জোর প্রদান করা। শুরুতে আমরা একথা বলতে চাই যে বইটি ‘এক মিলিয়ন টাকা বানানোর’ বই নয়। ওয়াল স্ট্রীট বা অন্য কোথাও ধনী হওয়ার নিশ্চিত ও সহজ কোন পথ নেই। এইমাত্র যা বললাম, তার সপক্ষে সামান্য অর্থনৈতিক ইতিহাস তুলে ধরা যায়, বিশেষত: তখনদার সময়ের যখন একের অধিক নৈতিকতা এতে খুঁজে পাওয়া যেত। অনেক আগে থেকে এই মতবাদ প্রচলিত আছে যে সফল বিনিয়োগের কৌশল নিহিত থাকে প্রথমত: যেসব ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যত উজ্জ্বল, সেগুলো বেছে নেয়ার উপর এবং এরপর সেইসব ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নশীল কোম্পানীগুলো চিহ্নিত করার উপর। যেমন- স্মার্ট বিনিয়োগকারী বা তাদের স্মার্ট উপদেষ্টারা সর্বোপরি ও বিশেষত: ইন্টারন্যাশনাল বিজন্যাস মেশিনে কম্পিউটার ইন্ডাস্ট্রির বিশাল সম্ভাবনা অনেক আগেই বুঝতে পেরেছিল। একইভাবে অন্যান্য বর্ধনশীল ইন্ডাস্ট্রি ও কোম্পানীগুলোর ব্যাপারেও। তবে এটি সবসময় অতীতের পর্যবেক্ষণের মত সহজ হয় না। এই পয়েন্টকে পুরোপুরি বুঝার জন্য নীচে একটি প্যারাগ্রাফ দেয়া হল যেটি ১৯৪৯ সালের সংস্করণে প্রথম দেয়া হয়েছিল।
এই গ্রন্থটি রচিত হয়েছে সেইসব পদ্ধতি ও উদাহরণ স্থাপনের জন্য যা আপনাকে পরামর্শ দেবে যে কোন কাজেই হারতে নেই আর মানসিক শান্তি, সুস্বাস্থ্য ও অদম্য শক্তি বজায় রাখুন। সংক্ষেপে বলা যায়, আপনার জীবন পরিপূর্ণ হতে পারে আনন্দ ও সন্তুষ্টি দ্বারা। এ বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই কারণ আমি অসংখ্য মানুষকে দেখেছি যারা খুব সহজ পদ্ধতি শিখে ও প্রয়োগ করে তাদের জীবনে এনেছে ব্যাপক সম্ভাবনা। এই দাবীগুলো দৃশ্যত : অযৌক্তিক মনে হলেও মূলত : এর মূলভিত্তি হল প্রকৃত অভিজ্ঞতার সরল আলোকপাত। প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ নিত্যদিনের সমস্যায় জর্জরিত থাকে। তারা কষ্ট পায়, এমনকি দিনের পর দিন এটাও ভাবতে থাকে যে কি ভেবেছে আর জীবন তাদের কি দিয়েছে। ওভাবে ভাবতে গেলে জীবনের কিছু ‘ব্যাঘাত’ আছে বৈকি, কিন্তু সেসব বিঘœকে নিয়ন্ত্রণের শক্তিও পদ্ধতিও রয়েছে। এটি কেবল করুণাই নয় যে মানুষ জীবনের নানারকম সমস্যা, উদ্বেগ আর সংঘাতের কাছে হার মানে, এটি সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। এসব বক্তব্যের অর্থ এই নয় যে পৃথিবীর কষ্ট আর যন্ত্রণাকে আমি তাচ্ছিল্য করছি বা ছোট করে দেখছি, তবে সেসবকে আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ দেই না আমি। সমস্যা যখন চূড়ান্ত হয়, তখন আপনি তাকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবনার রূপরেখা তৈরি করতে পারেন। যে সকল বাধা আপনাকে হারাতে পারে। সেসব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে আপনি নিজেকে বাঁচাতে পারেন মন থেকে দুশ্চিন্তা তাড়ানোর পদ্ধতি শিখে, মানসিক দাসত্বকে অতিক্রম করে আর আত্মিক শক্তিকে বৃদ্ধি করে। ধাপে ধাপে আমি জানাতে চাই যে বাধা যেন আপনার সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকে নষ্ট করতে না পারে। একমাত্র আপনি নিজে চাইলেই হারবেন। আর এই গ্রন্থ আপনাকে শেখাবে কিভাবে আপনি হারতে ‘চাইবেন’ না। এই গ্রন্থের উদ্দেশ্য খুব সহজ-সরল। কোন ধরনের সাহিত্যিক উৎকর্ষতা বা অস্বাভাবিক বিশিষ্টতার ভান এতে নেই। এটি খুব সাধারণ, সরল, আত্মোন্নয়নমূলক একটি সারগ্রন্থ। এটি রচিত হয়েছে পাঠকদের সাহায্য করার জন্য যাতে তারা অর্জন করতে পারেন সুখী, পরিতৃপ্ত ও সমৃদ্ধ একটি জীবন। আমি সম্পূর্ণরূপে আর প্রবল উৎসাহের সাথে বিশ্বাস করি যে, সোচ্চার আর কার্যকরী পদক্ষেপ স্থান আর সময়োপযোগী গ্রহণ করলে মানুষ জয়লাভ করতে পারে। আমার উদ্দেশ্য হল এই গ্রন্থে সেইসব পদক্ষেপকে যুক্তিসঙ্গত, সরল ও বোধগম্য করে উপস্থাপন করা যাতে পাঠক সেসবের ব্যবহারিক প্রয়োগের মাধ্যমে স্রষ্টার সাহায্যে নিজের পছন্দমতো জীবন গড়ে তুলতে পারে।