বহু জাতি, ভাষা আর সংস্কৃতি এসে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে স্বপ্নের দেশ আমেরিকায়। আমেরিকার প্রতিদিনের গল্প যেন অভিবাসীদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার গল্প। নিউইয়র্কের গ্লোরিয়া ঋদ্ধ ঔপন্যাসিক সাজ্জাদ আলীর সুনিপুণ লেখনীতে বুনে তোলা জীবনের অন্তর্গত গল্পের এক নিটোল প্রেমের উপন্যাস। গ্লোরিয়া আর ফিরোজের অভিবাসী জীবন উদ্যাপনের জীবন্ত ক্যানভাস স্পন্দিত হয়েছে এই উপন্যাসের প্রতিটি পাতায়।
তানহার কিউট বিড়ালছানার গল্প কি তোমরা জানো? এক বৃষ্টির দিনে বিড়ালছানা ক্যাকটাসকে রাস্তা থেকে কুড়িয়ে আনে তানহা। তার আগে অবশ্য কোনো নামই ছিল না, তানহার মা নাম দিলেন ক্যাকটাস। পরিবারের একজন সদস্যই যেন হয়ে গেল সে। দিনে দিনে বড়ো হতে থাকে সে। লাল ফিতায় বাঁধা ঘণ্টি নিয়ে ক্যাকটাস টুংটাং করে ঘোরে এদিক-ওদিক। তারপর একদিন... কী হলো? সে কথাই জানতে পারবে এই গল্পটি পড়লে। রূপকথার লেখক সোফিয়ার কুকুর ক্যাপির গল্প জানলে তোমরা সত্যিই অবাক হবে। একইভাবে খুশি হবে রবিনের মিষ্টি টিয়াপাখির কাণ্ডকারখানা জেনে! তোমরা বিজ্ঞানের খুঁটিনাটি বিষয়ে আগ্রহী হবে জিনিয়াসের আবিষ্কার সম্পর্কে জানলে কিংবা রাতুলের মজার আইডিয়াটির খোঁজ পেলে। রকমারি বিষয়ে ভরা এই বইতে আছে ষোলটি মজার ও শিক্ষামূলক গল্প। গল্পগুলো তোমাদের প্রিয় লেখক আসিফ মেহ্দী লিখেছেন শুধু তোমাদের জন্য। দেশসেরা দুই ফান ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’ ও ‘রস+আলো’তে লেখার সুবাদে আসিফ মেহ্দী লাভ করেন তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা। তারপর একে একে প্রকাশিত তাঁর প্রতিটি বইয়ে ব্যঙ্গ আর হাসির সঙ্গে গভীর জীবনবোধের প্রতিফলন ঘটিয়ে তিনি শুধু পাঠকপ্রিয়তাই লাভ করেননি, তাঁর বইগুলো উঠে এসেছে বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায়। সেগুলোর মধ্যে মায়া, বধির নিরবধি, অপ্সরা, তরু-নৃ, আড়াল অন্যতম। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা পঁয়ত্রিশ। এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষাতেই ঢাকা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্ট্যান্ড করেছেন আসিফ মেহ্দী। বুয়েট-এ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন। ভালো ফলাফলের স্বীকৃতিস্বরূপ ছাত্রজীবনে পেয়েছেন নানাবিধ পদক ও সম্মাননা। সম্প্রতি তিনি সরকারি স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্যের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘স্ট্র্যাটেজিক ইনোভেশন ম্যানেজমেন্ট’-এর ওপর এমএসসি সম্পন্ন করেছেন; অর্জন করেছেন ডিস্টিংশনসহ ফার্স্ট ক্লাস। ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় নিজ ক্যাডারে ১ম স্থান অধিকার করে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন আসিফ মেহ্দী। অতঃপর জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত তিন মাসব্যাপী কঠোর পেশাগত বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে লাভ করেছেন ডিজি অ্যাওয়ার্ড (মেধা তালিকায় ১ম)। তাঁর সহধর্মিনী ডা. মৌবীণা জ্যাকলিন বারি পেশায় ডাক্তার।
নিতান্ত গ্রাম্য কিশোর থেকে বেড়ে ওঠা তরুণ নিতাই চান। সরল, প্রাকৃত-অতিপ্রাকৃত ঘটনাবহুল সময়ের সাক্ষী সে। নানান সংস্কার, গ্রামীণ ও ধর্মীয় মিথ, স্বদেশ ও বৈশ্বিক রাজনীতি, যুদ্ধ-বিগ্রহের অভিজ্ঞতা গ্রামের সহজসরল কৈশোরোত্তীর্ণ তরুণকে ঠেলে দেয়। অতল খাদে। মঙ্গল রাষ্ট্রের খোঁজ করতে গিয়ে নিতাই আবিষ্কার করে আরো জটিল এবং বুর্জোয়া এক বিশ্ব। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, পুঁজিবাদ, রাজতন্ত্র এসব কোনো তন্ত্রই নিজস্ব অবস্থানে নেই। সোভিয়েত ভেঙে পনেরো টুকরো হওয়ার ঘটনা থেকে জেনে যায় সমাজতন্ত্র বা কমিউনিজম নিজস্ব অবস্থান থেকে যোজন দূরে। গণতন্ত্রের নিজস্ব কোনো শক্তি নেই, সে পুঁজিবাদ চালিত! কৈশোরে যে রাজনৈতিক ভাবনার উচ্ছলতা নিয়ে নিতাই বেড়ে উঠেছিল, তারুণ্যে এসে সে জেনে যায়। বাস্তবতার সাথে তাত্ত্বিক ভাবনার মাঝে যোজন দূরত্ব। উপন্যাসের কাহিনি এগিয়েছে নতুন রাজনীতির সন্ধানে। এক গ্রাম্য কিশোর কীভাবে এই বৈশ্বিক রাজনীতির অংশ হয়ে যায় এবং শেষ পরিণতিতে সিআইএ-এর লক্ষ্যে পরিণত হয় তাই বিধৃত হয়েছে এ উপন্যাসে। জাদুবাস্তবতা, রূপক এবং জটিল দর্শন চিন্তার অশ্ববেগি এক উপন্যাস অগ্নি সারসেরা।
জীবনের বন্ধুর পথে ছয় দশকের বেশি সময় পার হয়ে কবি শরীফ আস্-সাবের পেছন ফিরে তাকিয়েছেন। ধুপছায়া এক গ্রামে, বাবার হাত ধরে হাঁড়িধোয়া নদীর সাথে তার পরিচয়। যে নদীর পারে ছুটে বেড়িয়েছেন মুক্ত বাতাস হয়ে, যে নদীর গভীর জলে ডুবসাঁতার কেটে চঞ্চল মাছের মতো ছেলেবেলা কাটিয়েছেন সেই নদীর প্রতি নিবিড় ভালোবাসার প্রতিফলন তিনি ঘটিয়েছেন তাঁর কাব্যগ্রন্থ হাঁড়িধোয়া ভালোবাসায়। অকপট সারল্যে কবিতাযাপিত সংবেদনা বিস্তার করে কবি সৃজন করেছেন। এক মোহন বেদনালোক।
নাওমি ওয়াতানাবে জাপানের মানবতাবাদী লেখক। তিনি জাপানের নিইগাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স প্রােগ্রামে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও এর ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়ে প্রচুর আগ্রহ ও ভালােবাসা থাকায় দীর্ঘদিন এদেশে থেকেছেন। খুব কাছ থেকে দেখেছেন বাংলাদেশকে। সুমিও এবং সুমন গল্পে লেখক অত্যন্ত মমতা মাখা ভাষায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, বাংলা ভাষার প্রতি সুমিও নামের এক জাপানি কিশােরীর গভীর ভালােবাসার কথা তুলে ধরেছেন। সুমিওর ভেতর এই ভালােবাসা তৈরি করে দিয়েছে তাঁর নানি সুমিকো-সান। তিনিও স্বাধীনতার আগে এদেশে নার্সের কাজ করেছেন। তখন থেকে তিনি খুব কাছ থেকে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেছেন। এই গল্পে সুমিও তার প্রতিবেশী বন্ধু সুমনকে বুঝিয়ে দিয়েছে কিভাবে দেশকে ভালােবাসতে হয়, এর মানুষকে ভালােবাসতে হয় আর ভালােবাসতে হয় মায়ের ভাষাকে। এই গল্পে যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হলাে, মা, মাতৃভাষা, মুক্তিযুদ্ধ এই তিন একই সুতােয় গাঁথা।
বর্ষীয়ান শিক্ষাবিদ মকবুল আহমেদ সাহেবের দুটি পাণ্ডুলিপি (আমার প্রথম পাঠ: ১ম ভাগ এবং ২য় ভাগ) আকস্মিকভাবে দেখার সুযোগ ঘটে গেল। আহমেদ সাহেব আমার গুরুজন, কারণ আমি তাঁর বয়ঃকনিষ্ঠ। এই বৃদ্ধ বয়সেও এদেশের শিশুদের কথা ভেবে তিনি যে উদ্যোগ গ্রহণ ও পরিশ্রম স্বীকার করে বই দুটি লিখে উঠতে পেরেছেন তা আমাদেরই সৌভাগ্য। ছোটদের জন্যে এরকম বই যত হবে ততই দেশের মঙ্গল। 'আমার প্রথম পাঠ'-এর দুটি খণ্ডই শিক্ষার্থীদের খুব কাজে আসবে। ( হায়াৎ মামুদ অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় )
বর্ষীয়ান শিক্ষাবিদ মকবুল আহমেদ সাহেবের দুটি পাণ্ডুলিপি (আমার প্রথম পাঠ: ১ম ভাগ এবং ২য় ভাগ) আকস্মিকভাবে দেখার সুযোগ ঘটে গেল। আহমেদ সাহেব আমার গুরুজন, কারণ আমি তাঁর বয়ঃকনিষ্ঠ। এই বৃদ্ধ বয়সেও এদেশের শিশুদের কথা ভেবে তিনি যে উদ্যোগ গ্রহণ ও পরিশ্রম স্বীকার করে বই দুটি লিখে উঠতে পেরেছেন তা আমাদেরই সৌভাগ্য। ছোটদের জন্যে এরকম বই যত হবে ততই দেশের মঙ্গল। 'আমার প্রথম পাঠ'-এর দুটি খণ্ডই শিক্ষার্থীদের খুব কাজে আসবে। ( হায়াৎ মামুদ অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় )