আধুনিক যুগের বিশ্বাসী মানুষরা কীভাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাথে হৃদয়ের কথা তুলে ধরে? কীভাবে আমরা একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতা মনোভাবাপন্ন সমাজ গড়ে তুলতে পারি? আজকের দিনে উম্মাহর বড়ো বড়ো চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে আমরা সামলিয়ে নিতে পারি? এসব প্রশ্ন এবং তার উত্তর খুঁজে পাব উস্তাদ নোমান আলী খানের ‘রিভাইভ ইয়োর হার্ট’ গ্রন্থে ইনশাআল্লাহ। ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ এই সময়ে আমাদের করণীয় খুঁজে ফিরব এখানে। হৃদয়ের একান্ত গোপনে লুকানো জিজ্ঞাসাকে তৃপ্ত করতে নজর রাখুন বইটির প্রতিটি পাতায়। উজ্জীবিত করুন অন্তরকে, পরিকল্পনা করুন এক সুন্দর বিশ্ব গড়ার।
কী আমাদের পরিচয়? আমরা কারও সন্তান, কারও জীবনসঙ্গী, আবার কেউ আমাদেরই সন্তান। পারিবারিক, সামাজিক, এমনকী আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলে এই বন্ধনগুলোই আমাদের নানান পরিচয়ে পরিচিত করে। প্রতিটি পরিচয়ই আমাদের কোনো না কোনো বন্ধনে আবদ্ধ করে। এই বন্ধনগুলোই আমাদের অস্তিত্ব, আমাদের পরিচয়। এই বন্ধনগুলোই আমাদের প্রত্যেকের জীবনকে সংজ্ঞায়িত করে। জীবনভর এসব বন্ধন নিয়েই তো আসলে এই আমরা। জীবনের রঙে রঙিন, পার্থিব অথচ অপংত্তেয়, একই সঙ্গে অপার্থিব কিন্তু মায়াবী- এই অদ্ভুত বন্ধনগুলোর নিবিড় খুঁটিনাটি নিয়ে উস্তাদ নোমান আলী খান-এর মূল্যবান কথামালা কালির অক্ষরে জায়গা পেয়েছে ‘বন্ধন’ বইটিতে। নিজেদের আপন সম্পর্কের মিষ্টতা-তিক্ততার ভাষাগুলোই জড়ো হয়ে বইয়ের পাতায় শব্দ হয়ে ফুঁটেছে ‘বন্ধন’ নামে।
দলবদ্ধভাবে কাজ করাই ইসলামের সৌন্দর্য। কিন্তু বিভিন্ন সেক্টরে সেই দলবদ্ধভাবে কাজ করতে গিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে অমূলক প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হই। এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে তির্যক আক্রমণ করি। বাতিল করে দিই তাদের আবেদন ও অবদানকে। আমরা এক দল আরেক দলকে মেনে নিতে পারি না, ছাড়ও দিতে চাই না; যদিও প্রতিটি দল-ই ইসলামের জন্য কাজ করে। অন্যদিকে খুব তুচ্ছ কারণে দলের বিরুদ্ধে সমালোচনা, দলত্যাগের মতো অস্বাভাবিক ঘটনাও ঘটে। একই দলের মধ্যে তৈরি হয় উপদল, উপগোষ্ঠী কিংবা স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব। ইসলামি রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন কিংবা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন-সব জায়গাতেই এই কদর্যতার উপস্থিতি রয়েছে। এর থেকে মুক্তির উপায় কী? কুরআন-হাদিস-যুক্তি ও বাস্তবতার আলোকে সেই পথই বাতলে দেওয়া হয়েছে ‘ওয়ার্ক টুগেদার’ গ্রন্থে।