নদীর মতন বৈচিত্র্যময় মানব জীবনের বাকে বাকে নানানরকম ঘাত-প্রতিঘাত। যার ধরনধারন হিসেব করা বড়ই দুরূহ ব্যাপার। কোথাও জীবন সদা চঞ্চল হরিণীর মতন। কোথাও খাঁচায় বন্দী পাখি। কোথাওবা স্বপ্ন-সুখে ভরা যেন আকাশ ভরা তাঁরা। কোথাও হঠাৎ পথ হারিয়ে দারুণ দিশেহারা। "চতুর্ভুজ" চারটি সমকালীন গল্পের সমাহার। "আজ তুষির জ্বর" তুষি, ছোট্ট এক বালিকা। যার বিশেষত্ব সে সব জানে, সব। আর এই সবজান্তা স্বভাবের কারনেই তাকে পরতে হয় রোমাঞ্চকর ও ভয়ানক অভিজ্ঞতার মধ্যে। "ডানাকাটা পরি"-হ্যা, পরিই বটে। অসম্ভব সুন্দরী মেয়ে। নামে পরি হলেও এই নিষ্ঠুর পৃথিবীর আঘাতে আঘাতে তার জীবন করেছে বিভীষিকাময়।" একটি নীলমগ এবং ভালোবাসা" হাজারো মানুষের ভীড়ে ভীষণ একা লিটু। তার জীবনে আসে এক রুপকথার রানি। যে পরম ভালোবাসা আর বন্ধুত্বে আপন করে নেয় লিটুকে। দূর করে দেয় তার সকল একাকিত্ব। কিন্তু মহাবিশ্বের নির্মম শৃঙ্খলের কারনে তারা এক হতে পারে না। "ছেলেটি বাদাম ছিলিত মেয়েটি বাদাম গিলিত"-কবির, একজন স্বপ্নবাজ নাটক নির্মাতা। যার ব্যক্তিজীবনের ভালোবাসা ও কর্মজীবন উভয়ক্ষেত্রে যথেষ্ট ইতিবাচক মানসিকতার সাথে সফল হবার বাসনা। সেই আশার ঘরে হঠাৎ উভয়মুখী ঝড়ের আঘাত সবকিছু তছনছ করে দেয়। অজস্র জীবনের সংখ্যাতীত অভিজ্ঞতা কোনো গল্পেই যেন সম্পূর্ণতা পায় না। তারপরেও চতুর্ভুজে'র চারটি কোনে চারটি ভিন্নধর্মী গল্পের মাধ্যমে আসলে এই জীবন গঙ্গার অসীমতাকেই একত্রিত করার আন্তরিক প্রচেষ্টা।