বাংলাদেশের দারুণ জনপ্রিয় ক্রাইম ফিকশন কমিক্স সিরিজ দুর্জয়ের শেষ বই। দুর্জয় ১৮: প্রলয়। অধীর আগ্রহে যারা বসে ছিলেন শেষটার জন্যে তাঁদের অপেক্ষার অবসান। দেখা যাক এই অন্যরকম এন্টি হিরোর গল্পটা শেষে কী দাঁড়ায়।
দুরজয়ের অরিজন গল্প, কাহিনি তুমুল ক্লাইম্যাক্স থেকে হঠাতই যেন দম নিতে ঘুরে গেল কিছুটা পেছনে। নেভীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার সাইদুল হক নেহাকে দুর্জয়ের ইতিহাস বলা শুরু করেছেন, সমান্তরালে আবার চলছে ঢাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের সাথে দুর্জয়ের শিকার শিকারী খেলা। এদিকে এবারের গল্পে সাইদুল হক দুর্জয়কে নিয়ে গেছেন সেই ১৫ বছর আগে, ওয়ার্ল্ড কিকবক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচ এ।নেপালী লড়াকু ক্রিয়ান কাশাকু বনাম দুর্জয়। জমজমাট ম্যাচ- চলছে ধারা বর্ণোনা, আর এদিকে বর্তমানে চলছে নেহাকে মারা সুপারি জারি করা জামাই মিলনের কথা, কী হচ্ছে এবারে?
কাহিনী সংক্ষেপঃ নেভীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল হক নেহাকে দুর্জয়ের কাহিনি বলছেন। ওদিকে সেই সময়ে জামাই মিলন নেহাকে খুন করানোর জন্যে টাকা দিয়ে এসেছে খুনীদের, আর তারপরেই আবার তাকে ধরে নিয়ে গেছে দুর্জয় স্বয়ং। এদিকে সাইদুল হকের জবানীতে দুর্জয় নামের আড়ালে লুকিয়ে থাকা কবির মনসুরের সাথে অবাক বিস্ময়ে পরিচিত হচ্ছে সবাই। ধীরে ধীরে যেন খুলে যাচ্ছে অনেক জট। টানটান উত্তেজনায় এগিয়ে চলা গল্প গিয়ে থামছে আবার সেই ভাড়াটে খুনীর ডেরায়। সেখানে কে এই কোবরা সুমন?
‘দুর্জয়-১১ তাণ্ডব’ বইয়ের কিছু অংশঃ ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে বেড়েই চলেছে সন্ত্রাসীদের এলাকা দখলের লড়াই। পুলিশের সাথে লাগাতার ধাওয়া, পালটা ধাওয়া প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। নাগরিকরা ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়। সর্বশেষ সংবাদঃ ঢাকা যেন প্রতিদিনই আরও বেশি "গ্যাংল্যান্ড" হয়ে উঠছে - বিশেষজ্ঞ "গোয়েন্দা পুলিশদের সাথে প্রায় প্রতিদিন বন্দুক যুদ্ধ চলছে সন্ত্রাসীদের। এই পর্যন্ত আঠারজন সন্ত্রাসী ও বার জন পুলিশ সদস্য ক্রসফায়ারে হতাহতের খবর জানা গেছে ."