দ্য গুড সান পৃথিবীতে যদি মাত্র একজনকে বিশ্বাস করা যায়...তাহলে সে মানুষটি নিজে ছাড়া আর কে হতে পারে! অথচ নিজের ওপরেই যদি কেউ খুইয়ে ফেলে বিশ্বাস? ধাতব গন্ধের ধাক্কা নাকে নিয়ে ঘুম ভাঙল ইউ-জিনের। সিউলের জাঁকাল ডুপ্লেক্স বাড়িতে মা আর পালক ভাইয়ের সঙ্গে থাকে সে। নিজ কামরা থেকে বেরিয়ে সিঁড়ির গোড়ায় আসতেই আবিষ্কার করে-রক্তের ডোবায় শুয়ে আছে ওদের মা! রাতের স্মৃতি যেন নাগালের ঠিক বাইরে ঘোরা-ফেরা করছে! খিঁচুনির রোগী হওয়ায় প্রায়শই এমনটা হয় ইউ-জিনের। তবে একটা কথা মনে আছে পরিষ্কার-রাতে মা ডাকছিল ওকে। সাহায্যের আশায়, বাঁচার আকুতি নিয়েই কী? কার কাছ থেকে বাঁচতে চাচ্ছিল মা? খুনি কি অন্য কেউ? নাকি ইউ-জিন নিজেই? পরবর্তী তিনটি দিনের গল্প, ভয়াল সেই রাতের রহস্য উন্মোচনের আখ্যান। কিন্তু পেঁয়াজের খোসার মতো ক্রমেই ওদের পারিবারিক জীবন খুলে খুলে প্রকাশিত হচ্ছে অজানা অনেক গোপনীয়তা। মর্মন্তুদ ও মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলারের পাশাপাশি, দ্য গুড সান-এর পরতে পরতে জড়িয়ে আছে--স্মৃতির রহস্য, মা ও ছেলের সম্পর্কের টানাপড়েন। সেই সঙ্গে অবাক করে দেয়া এক সত্যও!
দেবতা মারা গেছেন...তাই আসুন, তার ছেলেদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া যাক! মোটকু চার্লির ছাপোষা জীবনে তখনই যতি পড়ে গেছে, যখন ওর বাবা মারা গেছে ফ্লোরিডার একটা ক্যারিয়োকি স্টেজে! চার্লি জানতই না যে ওর একটা ভাই আছে...ওদের বাপ যে দেবতা—সেটা জানার তো প্রশ্নই ওঠে না। ওর সেই ভাই, স্পাইডার, দেখা দিল সদর দরজায়। বদলে যেতে লাগল মোটকু চার্লির জীবন। হয়ে উঠল মজার... ...সেই সঙ্গে বিপজ্জনকও। উত্তেজনায় ভরা, কখনও একটু ভয়ের, আর অবশ্যই মজার গল্প ‘আনানসি বয়েজ’, মূলত যৌবন, বুনো অভিযান আর অটল বিপদের মুখোমুখি হবার রঙিন এক গল্প।
শহর থেকে কিছুটা দূরের বিশেষ এক মানসিক হাসপাতাল। রোগীদের বিশেষত্ব: গুরুতর কোনো না কোনো অপরাধে অভিযুক্ত সবাই! সেই হাসপাতাল থেকে একে একে হারিয়ে যেতে শুরু করল মানুষ। রোগী, কর্মচারী এমনকী ডাক্তাররাও... কানাঘুষো ছড়িয়ে পড়েছে হাসপাতালে, অন্তর্ধানগুলোর সাথে জড়িত অশুভ কোনো আত্মা অথবা নৃশংস কোনো খুনি! হাসপাতালের সবচেয়ে শান্তশিষ্ট রোগী নজিবুর রহমান। চারটে খুনের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হওয়ার পর, হাসপাতালে ঠাঁই হয়েছে তার। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছে ও। দিন-দিন কঠিন হচ্ছে সেই লড়াই। হঠাৎ আবিষ্কার করল নজিবুর: অন্তর্ধানের পেছনে থাকা লোকটার চেহারা তার পরিচিত। কিন্তু একজন মানসিক রোগীর কথা বিশ্বাস করবে কে? তাই সিদ্ধান্ত নিল, নিজেই আটকাবে খুনিকে। অথচ ভুলে গেল নজিবুর, নামে হাসপাতাল হলেও, আসলে জেলখানায় রয়েছে ও। খুনির পরবর্তী শিকারে পরিণত হওয়া ওর জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র! শহর থেকে কিছুটা দূরের বিশেষ এক মানসিক হাসপাতাল। রোগীদের বিশেষত্ব: গুরুতর কোনো না কোনো অপরাধে অভিযুক্ত সবাই! সেই হাসপাতাল থেকে একে একে হারিয়ে যেতে শুরু করল মানুষ। রোগী, কর্মচারী এমনকী ডাক্তাররাও... কানাঘুষো ছড়িয়ে পড়েছে হাসপাতালে, অন্তর্ধানগুলোর সাথে জড়িত অশুভ কোনো আত্মা অথবা নৃশংস কোনো খুনি! হাসপাতালের সবচেয়ে শান্তশিষ্ট রোগী নজিবুর রহমান। চারটে খুনের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হওয়ার পর, হাসপাতালে ঠাঁই হয়েছে তার। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছে ও। দিন-দিন কঠিন হচ্ছে সেই লড়াই। হঠাৎ আবিষ্কার করল নজিবুর: অন্তর্ধানের পেছনে থাকা লোকটার চেহারা তার পরিচিত। কিন্তু একজন মানসিক রোগীর কথা বিশ্বাস করবে কে? তাই সিদ্ধান্ত নিল, নিজেই আটকাবে খুনিকে। অথচ ভুলে গেল নজিবুর, নামে হাসপাতাল হলেও, আসলে জেলখানায় রয়েছে ও। খুনির পরবর্তী শিকারে পরিণত হওয়া ওর জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র!
উইলিয়াম শার্লক স্কট হোমস—ঠিকানা ২২১বি, বেকার স্ট্রিট, লন্ডন। জন্ম ১৮৫৪ সালে। বাবা সিগার হোমস, মা ভায়োলেট শেরিনফোর্ড। হোমসের দাদি ছিলেন ফরাসি শিল্পী ভারনেটেজ গেন। ছাপার অক্ষরে শার্লক হোমসের প্রথম আবির্ভাব ১৮৮৭ সালে। আবির্ভাবে দৃষ্টি কাড়তে না পারলেও পরে ঠিকই তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, পাল্টে দেয় রহস্য-সাহিত্যের ধারা। হোমস ছয় ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা, চৌকো মুখ, সংগীত ও ভায়োলিনে আসক্ত। অবসরে ভায়োলিন বাজাতে পছন্দ করে। প্রখর পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণশক্তির অধিকারী, ছদ্মবেশ নিতে জুড়ি নেই। জন্ম দিয়েছে অনুমানবিজ্ঞান—অর্থাৎ সায়েন্স অভ ডিডাকশনের। অপরাধের তদন্তে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ছোঁয়া লাগে হোমসেরই কল্যাণে। হাত-পায়ের ছাপ নিতে প্লাস্টার অভ প্যারিসের ব্যবহার, জমাট রক্তের পরীক্ষা, টাইপরাইটিঙের বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা, অপরাধীকে অনুসরণে কুকুর ব্যবহার—এসবই প্রথম দেখা যায় হোমসের গল্পে। পরে একসময় বিভিন্ন দেশের পুলিশ বিভাগ এসব পদ্ধতি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে। অপরাধী শনাক্তকরণে হোমসের অবদান মাথায় রেখে, ২০০২ সালে, লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটি অভ কেমিস্ট্রি শুধু হোমসের ফরেনসিক বিদ্যার ওপর গবেষণা করে ফেলোশিপ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। পৃথিবীতে কোনো কল্পিত চরিত্রের ওপর এমন বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুযোগ এই প্রথম। আজ প্রায় দেড়শো বছর পরও হোমসকে নিয়ে তুঙ্গস্পর্শী উন্মাদনা। সেই উন্মাদনার ছোঁয়া বাংলাদেশি পাঠককে দিতে শার্লকের সবগুলো গল্প ও উপন্যাসের অনুবাদ তিন খণ্ডে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে বিবলিওফাইল প্রকাশনী। পাঠকের সুবিধার্থে এ অনুবাদে যোগ করা হয়েছে টীকা, এবং বেশ কিছু ইলাস্ট্রেশন।
রানার কমান্ডো ট্রেইনার দুর্ধর্ষ রিটায়ার্ড যোদ্ধা বেন হ্যানন হারিয়ে গেছেন স্কটল্যান্ডে। সাহায্য চাইল তাঁর ক্রন্দনরতা স্ত্রী, মিরাণ্ডা। রানা কি জানে, ওই দেশে গেলেই জড়িয়ে যাবে একদল বাজে লোকের জটিল প্যাঁচে? সোনার মোহরের জন্য সেখানে চলছে তুমুল লোভের ঝড়! সেই প্রবল হাওয়ায় যখন-তখন দপ্ করে নিভে যাচ্ছে মানুষের জীবন-প্রদীপ। রানা অবশ্য শপথ নিয়েছে, যেভাবে হোক খুঁজে বের করবে ওর স্নেহশীল ওস্তাদকে। পাশে এসে দাঁড়াল সৎ পুলিশ অফিসার জেসিকা। কিন্তু প্রতিপক্ষের চোখে পড়ে গেছে ওরা। লেলিয়ে দেয়া হয়েছে একদল হিংস্র হায়েনা। যেখানে নিজেই বাঁচে কি না সন্দেহ, সেখানে রানা কী করে উদ্ধার করবে আর কাউকে? চলুন, পাঠক, কী ঘটছে দেখি গিয়ে!
রানা ভেবেছিল কাজটা হবে খুব সহজে! যে ছিল ওর গভীর প্রেম, সেই মেয়েটিকে নিরাপত্তা দেবে, আর জেনে নেবে কেন খুন হয়েছে ওর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তবে রানা একটু দেরিতে টের পেল, জড়িয়ে গেছে অদ্ভুত গভীর এক জটিল রহস্যের জালে! এরা কারা? কেন এভাবে নরহত্যা করছে হাসতে হাসতে? এক দেশ থেকে অন্য দেশে গেলেও মাথার ওপর ঘনিয়ে আসছে নিশ্চিত মৃত্যুর ঘনঘটা! তবে কি এদের হাতেই খুন হয়েছিলেন সুরের যাদুকর মোযার্ট? ধাঁধার গভীর সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে রানা। নিজেই বাঁচবে না, তো কী করে বাঁচাবে প্রাণপ্রিয় লিয়াকে?