‘ভোরের হাওয়া’ গ্রন্থে মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত ১০০টি কবিতা আছে। গ্রন্থের শুরুতে কবি মাত্রাবৃত্ত ছন্দের ওপর একটি দীর্ঘ ভূমিকা-প্রবন্ধ লিখেছেন যা পাঠকের জন্য বাড়তি পাওয়া। একই ছন্দে, বিশেষ করে মাত্রাবৃত্ত ছন্দে, এতো অধিক কবিতা নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ বাংলা সাহিত্যে বিরল। এই গ্রন্থে সন্নিবেশিত কবিতাগুলো এবং ভূমিকা-প্রবন্ধ পাঠের মধ্য দিয়ে কাব্যানুরাগী পাঠকেরা একদিকে যেমন মাত্রাবৃত্ত ছন্দের এক জাদুময় জগতে প্রবেশ করতে পারবেন অন্যদিকে চাইলে এই ছন্দটি ভালো করে শিখেও নিতে পারবেন। সৃজনশীল এবং মননশীল চিন্তার এক যৌথ উপহার এই বই। কবি কাজী জহিরুল ইসলাম ছন্দ বিষয়ে একজন সুপণ্ডিত, তিনি শুধু ছন্দের শিক্ষকই নন শুদ্ধ ছন্দে অনবরত রচনা করে চলেছেন একের পর এক সার্থক কবিতা। এর আগে জলধি প্রকাশ করেছে স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত তার শত কবিতার বই “শেষ বিকেলের গান”। শেষ বিকেলের গান-এর মূল থিম ছিল মৃত্যু, এবারের গ্রন্থে বিষয়ের বৈচিত্র থাকলেও মূল সুরটি হচ্ছে তারুণ্য, বিকশিত হবার কাল, তাই গ্রন্থের নামকরণ করেছেন কবি “ভোরের হাওয়া”। ভোরের হাওয়া পড়তে পড়তে পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে ভোরের রোদ ভেঙে উঠে আসা এক পশলা স্নিগ্ধ হাওয়া।
আমাকে অনেকেই অনুরোধ করেছেন আমি যেন ছন্দের ওপর একটি বই রচনা করি । আমিও অনেকবার ভেবেছি কবিতার ৩টি ছন্দ নিয়ে খুব সহজ-সরল ভাষায় একটি বই লিখবো । যাতে তরুন এবং কোন কোন প্রবীন খুব সহজেই শিখে নিতে পারে । ছন্দ শেখানোর কাজটি এখন আমি পেশাগত ভাবেই করি ।ক্লাস উপকরন হিসেবে কিছু লিখতে হয়েছে ।সেগুলোকে একটু ব্যখ্যা -বিশ্লেষন করে কিছু যোগ করলে হয়তো একটা বই হয়ে যাবে । কিন্তু এই কাজটিতে আমি তেমন উৎসাহ পাই না । কেন পাই না তা নিয়ে কখনো ভাবিনি ।আমাকে যখন কোন সম্পাদক ফোন করে বলেন ,অমুক বিষয়ের ওপর একটি প্রবন্ধ দিন,কখনো দেই কখনো দেই না ।দিলেও খুব আগ্রহ নিয়ে তা লিখিনা ।কিন্তু যদি বলেন,অমুক বিষয়ের ওপর একটি গল্প বা কবিতা দিন,আমি খুব উৎসাহ বোধ করি ।এই উৎসাহ এবং নিরুৎসাহ নিয়ে কখনো ভাবিনি ।কিন্তু ঘটনাটি বার বার ঘটে চলছে ।একদিন এ নিয়ে ভাবলাম এবং বুঝলাম ,সৃজনশীল কাজের প্রতি আমার একটা সুস্পষ্ট পক্ষপাত আছে এবং আমি এও জানি আমার মননশীল কাজও একবারে মন্দ হয় না ।কিন্তু ভিতর থেকে আমি যে উত্তর পাই,তা হলো ঈশ্বর আমাকে সৃজনশীল কাজ করার এসাইনমেন্ট দিয়েই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।
বাড়ি বলে কি কিছু আছে? প্রতিটি মানুষই হয়ত গান করে সেই গান 'পরের জায়গা পরের জমিন, ঘর বানাইয়া আমি রই'। এই নভেলায় কথক একজনই, একজন অভিনেত্রী। যার ঘর আছে, সংসার আছে। জীবনের জ্যামিতিও আছে। ক্ষণে ক্ষণে সে কথা বলে না দেখা এক মানুষের সঙ্গে। কথা বলতে বলতে তার জীবন বর্ণনা করে, বাড়ি সাজায়। বাড়িটা তার মনের বাড়ি। আশ্চর্য রকমের এই বাড়িটা; অদৃশ্য। তবু সে নির্মাণ করে। যার কোনো নাম নেই। তবুও তো মনের বাড়ি। প্রিয় পাঠক, আসুন তো আমরা একসাথে এই বাড়িটায় প্রবেশ করি।
কবিতায় মানুষ কী খোঁজে? কেন খোঁজে? রহস্যের স্পর্শ নাকি শব্দ ও অক্ষরের অনুভব। হয়তো অস্পর্শের অনুভবই কবিতা। কবি রাকীব হাসান একজন চিত্রশিল্পী। হয়তো সে কারণেই তার কবিতার অক্ষরগুলো জীবনের রঙে রাঙানো। তার ভাষাভঙ্গি, তার চিত্রকল্প পড়তে পড়তে মনে হল কবিতা ক্যানভাস থেকে উঠে এসে সামনে দাঁড়ায়৷