গত একটা বছর কোমায় কাটিয়ে দিয়েছে ফেয়ারি জগতের শীর্ষ সন্ত্রাসী, ওপাল কোবোই! দুর্ঘটনার শিকার? উহু, এই কোমাটাও স্বপ্রনোদিত! সময়টা নষ্ট করেনি ওপাল, কাটিয়েছে পরিকল্পনা সাজিয়ে। কীসের পরিকল্পনা? ওর শত্রুদের বারোটা বাজানোর...আর কীসের! অথচ স্মৃতি মুছে ফেলার কারণে পাতালের কিচ্ছু মনে নেই আর্টেমিসের। তবে ওপাল ভোলেনি ওকে। ভোলেনি হলি শর্ট বা লেপ-এর ওরাও! আরও একবার...ফেয়ারি এবং মানব সভ্যতার রক্ষাকর্তা রূপে আবির্ভুত হতে হবে ওকে। কিন্তু এবারের প্রতিপক্ষে যে বড় শক্ত! কে জিতবে বুদ্ধির খেলায়? ওপাল কোবোই? নাকি আর্টেমিস?
লোকে বলে, আর্টেমিস ফাউল এই শতাব্দীর বড় বড় প্রত্যেকটা অপরাধের সাথে জড়িত! মাত্র বারো বছর বয়সেই, অপরাধ জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রে পরিণত হয়েছে সে। দুর্নীতি আর অপহরণকে পুঁজি করে বাড়িয়ে তুলতে চাচ্ছে পরিবারের ঐশ্বর্য। আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, এক ফেয়ারিকে অপহরণ করতে চাইছে। পাতালপুরীতে বাস করে এমন একদল ভয়ঙ্কর আর প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে মানুষের চাইতে যোজন যোজন এগিয়ে থাকা ফেয়ারিদের খোঁজ পেয়েছে সে। কিন্তু তাদের ক্ষমতার প্রচণ্ডতা ঠিক ঠাহর করে উঠতে পারেনি। অপহরণ করলেই যে মিলবে না মুক্তিপণ ! তার জন্য ফেয়ারিদের মুহুর্মুহু আক্রমণ সহ্য করতে হবে! মানুষ আর ফেয়ারি, এই দুই সম্প্রদায়ের মাঝে রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের সূচনা এই হলো বলে!
এক অশুভ শক্তির ছায়া পড়েছে অসাধারণ মেধাবী একটি মেয়ের ওপর। কিন্তু কেন? এই আপাত নিরীহ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে এক সাইকায়াট্রিস্ট। নিজের জীবনের কিছু তিক্ত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কারণে, তার অতিপ্রাকৃত ঘটনায় কোন বিশ্বাস নেই। কিন্তু খোঁজ শুরু করার পরে একসময় সে বুঝতে পারল শুধুমাত্র মনোবিজ্ঞান দিয়ে এ ঘটনার সমাধান করা অসম্ভব। তার পরিচয় হল এক আধিদৈবিক চিকিৎসকের সাথে। তাদের যুগ্ম সন্ধান ভেদ করতে থাকল একের পর এক রহস্যের জাল, নিয়ে যেতে থাকল এক অকল্পনীয় ক্ষমতাশালী, দুর্দান্ত ধূর্ত প্রতিপক্ষের দিকে। কিন্তু তা কি শুধুই তাদের খোঁজের কৃতিত্ব? নাকি তা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বুনে চলা এক জালের একটি অংশ যেখানে শিকারীরা নিজেরাই একসময় পরিণত হয় শিকারে। নীলাঞ্জন মুখার্জ্জীর ‘শতী সহস্রাননা’র প্রতিটি পৃষ্ঠায় লুকিয়ে আছে রহস্য, ইতিহাস, হত্যা, মিথ ও মাইথোলজির এক আশ্চর্য বর্ণনা যা পাঠককে শুরু থেকে শেষ অবধি চুম্বকের মতো টেনে রাখবে।
আর্কিওলজিস্ট নিনা ওয়াইল্ডের ধারনা, হারানো কিংবদন্তী আটলান্টিসের অবস্থান সনাক্ত করতে পেরেছে। এখন পরীক্ষা করে দেখতে হবে, তার এই অনুমান ঠিক কি না। কিন্তু কিছু মানুষ চাইছে কাজটা করার আগেই বাবা-মায়ের মতো তাকে মৃত দেখতে! সাবেক কমান্ডো বডিগার্ড এডি চেজ ও বিলিওনেয়ার-কন্যা ক্যারি ফ্রস্টের সাহায্য নিয়ে নিনাকে চষে ফেলতে হবে ব্রাজিলের বনভূমি থেকে শুরু করে তিব্বতের পাহাড়, ম্যানহাটনের অলিগলি থেকে আটলান্টিক সাগরের তলদেশ। কিন্তু পদে পদে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ওরা কারা? রহস্যের চাদরে গা ঢাকা দেয়া ব্রাদারহুড অভ সেলাফোরসের কি স্বার্থ এসবের পেছনে? চলছে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। একের পর এক আক্রমণের মুখে দিশেহারা নিনা কি পারবে ১১,০০০ বছর ধরে কালের গর্ভে লুকানো আটলান্টিস খুঁজে বের করতে? নাকি ভুল হাতে পড়ে আবার ধ্বংস হবে প্রাচীন সেই সভ্যতা?
এ এক অন্য দুনিয়ার গল্প। যে দুনিয়া আপনার চেনা দুনিয়া থেকে অনেকটাই আলাদা, আবার অনেক কিছু একই রকম। এ দুনিয়ায় মাটি থেকে অনেকটা উচ্চতায় বাতাসে ভেসে বেড়ায় কিছু ভাসমান ভূখণ্ড। এখানে গল্পের শুরু, যখন সেরকমই একটা ভূখণ্ড বলা নেই, কওয়া নেই, হঠাৎ করে মূল ভূখণ্ড থেকে দূরে সমুদ্রের বুকে অবস্থিত মান্দুব নামের একলা একটা দ্বীপের ওপর এসে ভেড়ে; আর সেই ভূখণ্ড থেকে নেমে আসতে শুরু করে বৃহৎ আকারের ভয়াল দর্শন কিছু পোকা। যাদেরকে দ্বীপবাসী নাম দেয় আসমানের পোকা। এই আসমানের পোকাগুলো কয়েকদিন অন্তর অন্তর একজন-দুজন করে তুলে নিয়ে যেতে থাকে দ্বীপবাসীকে, যাদের আর পরে খোঁজ মেলে না। ইব্রার, যে কিনা এই দ্বীপবাসীদেরই একজন, সকলের দিশেহারা অবস্থায়, সেই প্রথম রুখে দাঁড়ায়। শুরু করে সংগ্রাম। আস্তে আস্তে তার সাথে যোগ দেয় অনেকে। সংগ্রামের ঘাত প্রতিঘাতে এগিয়ে যায় গল্প, দ্বীপবাসী খোঁজে পরিত্রাণের উপায়। দ্বীপের লবন ব্যবসায়ী কায়াস হাম্মান আবার ভিন্ন কথা বলে সংকট নিয়ে। এতদিন যাবৎ ভুল উপাস্যের উপাসনা করার কারণেই নাকি এই সংকট। রুষ্ট হয়ে দেবতা আরাহুট এই সংকট পাঠিয়েছেন, সবার উচিত আরাহুটের উপসনা করা। অন্যদিকে, নাইভা রাস্কি, যে কিনা একজন তাম্বুলক্রিয়ক, এই দ্বীপে ভ্রমণে এসে আটকা পড়ে যায় সংকটে। সে দেয় পরিত্রাণের ভিন্ন এক উপায়। বড় ঝুঁকিপূর্ণ সে উপায়। আশিয়া, দ্বীপের বৈদ্যবাড়ির মেয়ে, ভেতরে ভেতরে পছন্দ করে ইব্রারকে। স্বপ্ন দেখে একদিন ইব্রার ওর ভালোবাসা বুঝবে। অসহায় মুহূর্তে সেও নেয় মরিয়া এক সিদ্ধান্ত। দুর্দান্ত অ্যাকশন, কখনও বুদ্ধির পরীক্ষা, কখনও কখনও মুগ্ধ বা অবাক করার মতো তথ্য, জীব, ইতিহাস, উপকথা বা জায়গা—‘দাবনিশ আখ্যান: আসমানের আঁধার’ এরকমই এক উপন্যাস। তানজিরুল ইসলামের পক্ষ থেকে দাবনিশ আখ্যানের প্রথম নিবেদন আসমানের আঁধার। লেখক ও প্রকাশনীর পক্ষ থেকে লেখকের কল্পনায় অভিনব এক যাত্রায় সঙ্গী হতে পাঠকদের সাদর আমন্ত্রণ।