এক কাজে গিয়ে জড়িয়ে গেল ওরা আরেক ঝামেলায়। প্রলয় ঘনিয়ে আনছে ভয়ঙ্কর এক উন্মাদ বিজ্ঞানী। কাজে নেমেছে তার অদ্ভুত বিপজ্জনক কাল্ট। চাইছে বিশ্বের আশি ভাগ মানুষকে নিশ্চিহ্ন করতে! হাতে অমোঘ মারণাস্ত্র! রানা ও তার বন্ধুরা বুঝল, মানব সভ্যতা বাঁচাতে চাইলে এখনই সময়। কাজে নেমেই টের পেল ওরা কী ভয়ঙ্কর ফ্যানাটিক একটা দলের বিরুদ্ধে লেগেছে। ভীষণ বিপদে পড়া রানা, সোহেল, ফু-চুং, উর্বশী, স্বর্ণা। এক পর্যায়ে বলল সোহেল, আর উপায় নেই রে, এখন দরকার ইজরায়েলের তৈরি জিব্রাইলের মুষ্টি। কিন্তু তা পেতে চাইলে মস্ত ঝামেলা পোহাতে হবে। তাই করল ওরা, মহাশূন্যে চলে গেল পৃথিবী রক্ষা করতে। পারবে ওরা? এদিকে তো চারদিক থেকে ঘনিয়ে আসছে মৃত্যু।
দুষ্প্রাপ্য এক কালো চিতা আঁধার রাতে বতসোয়ানার বিপদসংকুল কালাহারি মরুভূমি ধরে নিঃশব্দে ছুটছে। টোপ বানানো হয়েছে পরমাসুন্দরী জুলজিস্ট ডোরা ডারবিকে। ফাঁদে আটকা পড়েছে মাসুদ রানা, এখন ওকে মোগলদের সঙ্গে খানা খেতে হবে। টেরোরিস্টদের গ্রুপটাও ছুটে এল, রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়ে হলেও সফল করবে নিজেদের ষড়যন্ত্র । ‘তোমাকে ভালবাসি, তাই তোমার বিপদ শুনে স্থির থাকতে পারিনি, রানাকে শুধু এই কথাটি বলার জন্যে ছুটে এল মিষ্টি কোমল মেয়ে ইভা পুনম, কিন্তু না এলেই ভাল হােত। সন্ত্রাসী ডেকা বারগাম এবার অগ্নিমূর্তি ধারণ করে নিজেই হাজির হলো রণক্ষেত্রে। ফুয়েল নেই, রসদ নেই, সঙ্গীরাও হারিয়ে গেছে-কোণঠাসা রানা আঁধার দেখছে চোখে।
খুন হয়ে গেলেন জেনেটিক্স বিজ্ঞানী আহসান মোবারক। এবার খুন হবে তার মেয়ে মোনা? বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল বিজ্ঞানীর বাড়ি। ইউএন অফিসে কে বা কারা দিল ভাইরাস মাখা চিঠি? এ কোন কাল্ট, লড়ছে ধর্মের বিরুদ্ধে? দুবাইয়ের বুর্জ আল আরব হোটেলের বলরুমে রানার সঙ্গে বেধে গেল মরণপণ লড়াই! সত্যিই কি অমৃত তৈরি করছিল বাপ-বেটিতে মিলে? মস্ত ঝুঁকি নিয়ে খুঁজতে গেল ও উত্তপ্ত মরুভূমিতে।…তারপর? মোনাকে উদ্ধার করতে গিয়ে ইরানের পরিত্যক্ত এক দ্বীপে রানা দেখা পেল ভয়ঙ্কর এক শত্রুর! কণ্ঠে অকৃত্রিম ঘৃণা নিয়ে সে বলল: এবার পারলে বাঁচতে চেষ্টা করো দেখি, বাঙালি গুপ্তচর! বুঝাল রানা, সত্যিই আজ বেজে গেছে ওর মৃত্যুঘণ্টা!
সমস্যার যেন শেষ নেই, মস্ত বিপদের মোকাবিলা করছে রানা। …মরুভূমির ভিতর ডেভিলস্ ওয়েসিস কারাগার থেকে মুক্ত করতে 24. হবে প্রতিভাবান বাঙালি বিজ্ঞানী আসিফ হায়দার চৌধুরিকে। একের পর এক বাধার মুখে পড়ে রানার মনে হলো এবার হার মানতেই হবে বুঝি। কারাগারের ভিতর ঢোকা যত সোজা, তার চেয়ে এক শ’ গুণ কঠিন বেরিয়ে আসা। আসলে, বিজ্ঞানী আছেনই বা কারাগারের ঠিক কোন্ জায়গাটাতে? ওদিকে উন্মুক্ত হচ্ছে ভয়ঙ্কর এক খ্যাপা বিজ্ঞানীর নিষ্ঠুর পরিকল্পনা। অয়েল রিগ দখল করে লক্ষ লক্ষ টন ক্রুড অয়েল ফেলবে সে সাগরে… তৈরি করবে প্রচণ্ড শক্তিশালী এক ঝড়। ধ্বংস করে দেবে সে গোটা একটা শহর। প্রায় অসম্ভব তাকে রোখা। লাখ লাখ মানুষকে বাঁচাতে চাইলে থামাতে হবে ভয়ঙ্কর ওই ঝড়। কিন্তু তা কীভাবে সম্ভব? এদিকে হাতে যে ফুরিয়ে আসছে সময়! সাগরের মাঝে পুরনো এক সুপারট্যাঙ্কারে কপ্টার থেকে নেমে পড়ল রানা, ঝড়ের ভিতর মুখোমুখি হলো সেই উন্মাদ বিজ্ঞানীর। কী হলো তারপর? …আর সোয়া শ’ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া সেই হীরাগুলো?
এযেন অসম্ভবকে সম্ভব করার চেষ্টা! গ্রিক পন্ডিত আর্কিমিডিসের তৈরি করা যে- ধাঁধা দুহাজার বছরেও ভেদ করতে পারেনি কেউ, সেটাই সমাধান করতে চাইছে রানা মাত্র চার দিনে! নইলে খুন করা হবে পিতৃসম অ্যাডমিরাল হ্যামিল্টনকে। পাগলের মতো ছুটে বেড়াচ্ছে ও দু’দুটো মহাদেশ। পাঠক, চলুন ওর সঙ্গে ঘোড়া ছোটাই ইংল্যান্ডের প্রান্তরে; চুরি করি গ্রিসের জাতীয় জাদুঘরের অমূল্য সম্পদ; ২০০ মাইল বেগে গাড়ি চালাই জার্মানির ফ্রী ওয়েতে; অথবা হারিয়ে যাই ইটালির ভূগর্ভস্থ প্রাচীন সুড়ঙ্গে, কিংবা আমেরিকার রাস্তায় জড়িয়ে পড়ি মরণপণ সংঘর্ষে। নিষ্ঠুর দুই শত্রু পিছু নেবে আপনার। সমস্ত বাধা-বিপত্তি ঠেলে ওর সঙ্গে এক সময় ঠিকই পৌছাবেন রাজা মাইডাসের সেই সোনার সমাধিতে। লোভ হচ্ছে? তাহলে চলুন রওনা হই!
ওখানে কে? অনীশ দাস অপুর হরর কাহিনী আপনি পছন্দ করেন। কারণ, তাঁর প্রতিটি গল্পে থাকে চমক-শিহরন-রোমাঞ্চ। আপনি জানেন, অনীশ দাস অপুর হরর কাহিনী নিয়ে বসা মানে দু’ থেকে আড়াই ঘণ্টা উত্তেজনা ও আতঙ্কের রাজ্যে পরিভ্রমণ। চলুন, লেখকের সঙ্গে ভয়ের জগতে ঘুরে আসি একপাক। পিশাচী পিশাচী কেন পড়বেন? কারণ আপনি ভয় পেতে পছন্দ করেন এবং জানেন পিশাচী আপনাকে ভয় ও আতঙ্কের চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে যাবে, যেখান থেকে হয়তো ফিরে আসতে চাইবেন না। চলুন, দেখি, সম্পাদক এবার আপনার জন্য কেমন ভয়ের ডালি সাজিয়েছেন!