গুফির ‘বর্ণগল্প সিরিজ – ৪’ (Goofi Borno golpo 4) এ মোট পাঁচটি গল্প আছে। ৪ থেকে ১০ বছর বয়স উপযোগী এই গল্পগুলো মূল ফোকাস শিশুদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো। Goofi এর বর্ণগল্প সিরিজের ৪ নাম্বার সিরিজ এটি। এখানে চ, ছ, জ, ঝ, ঞ অক্ষরগুলোকে ঘিরে ৫ টি গল্প তৈরি করা হয়েছে। বইগুলোর নাম: ১। চ এর গল্প – কবি চিতাবাঘ ২। ছ এর গল্প – ছবি আঁকিয়ে টিয়া ৩। জ এর গল্প – সুখী মানুষের জামা ৪। ঝ এর গল্প – ঝাঁসির রাণী ৫। ঞ এর গল্প – আকাশে উড়েছি যেদিন
টাইম মেশিনে করে যদি তুমি আজকে থেকে ৪০০ বছর আগের বাংলাদেশে চলে যেতে, তাহলে কি দেখতে পেতে? তুমি যদি সেই সময়ে জন্মাতে তাহলে কেমন হতো? ৪০০ বছর আগের বাঙলা ছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ। কি কারণে সবচেয়ে ধনী দেশ থেকে আমরা হয়ে গেলাম সবচেয়ে গরিব দেশ? টাইম মেশিনে করে ঘুরে আসি চলো সেই সময়ে।
"তাকে আমি দেখেছি আমার কৈশোরের অবাক চোখে। তাকে আমি দেখেছি তার রাজনৈতিক উত্থানের উত্তাল সময়ে। তাকে দেখেছি তার ঝঞ্ঝামুখর সংগ্রামী দিনগুলিতে। দেখেছি বাঙালিদের একটি স্বাধীন দেশের অভ্যুদয়ে। দেখেছি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রাণপুরুষ হিসাবে। আমি দেখেছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। দেখেছি আমার একান্ত চোখে। এ দেখা একান্তই আমার নিজের দেখা। তাকে দেখেছি ঘনিষ্ঠভাবে খুব কাছে থেকে, দেখেছি দূর থেকে। নানা কারণে ছোটবেলা থেকেই আমার সুযোগ হয়েছে তার কাছাকাছি কিংবা আশপাশে যাওয়ার। প্রথমে পারিবারিকভাবে, পরে সাংবাদিকতা পেশার কারণে। নানাভাবে তাকে দেখেছি। বলতে পারি, কর্মমুখর সংগ্রামী জীবনের পাশাপাশি অন্য এক শেখ মুজিব আমার স্মৃতিতে ভাস্বর হয়ে রয়েছেন। আমি আমার দেখা সেই অন্য এক শেখ মুজিবের কথাই এখানে বলতে চাই...
দবির একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, “সাত ব্যক্তি আরশের ছায়ায় আজ আশ্রয় পেয়েছে। এদের মধ্যে ওসব লোকও আছে যাদেরকে কোন সুন্দরী মেয়ে লাগানোর জন্য আহ্বান করেছিলো। কিন্তু তারা আল্লাহর ভয়ে যায়নি। যৌবনকালে আমাকেও এমন করেছিল এক সুন্দরী!” ত্বহা উৎসাহের সাথে জানতে চাইলো, “তারপর? আল্লাহর ভয়ে বিরত ছিলেন?” দবির মাথা নাড়তে নাড়তে বললো, “না রে ভাই। আমাকে আর দ্বিতীয়বার বলা লাগেনি। এক লাফে কম্বলের তলে। দেখছেন না গোড়ালি ডুবে গেছে ঘামে।” ত্বহা ব্যাপারটা লক্ষ্য করলো। সমতল ভূমি। অথচ কোথাও লোকের গোড়ালি পর্যন্ত ঘাম। কোথাও কোমর পর্যন্ত। কেউ কেউ তো ঘামে সাঁতার কাটছে। গলা পর্যন্ত ঘাম তাদের। অথচ সবটাই সমান। বিজ্ঞান আজ কোথায়? আর থাকতে না পেরে গেয়েই উঠলো সে, “আল্লাহর কী কুদরত! লাঠির ভেতর শরবত!” প্রথম যে লোকটা কথা বলেছিল সে এটা শুনেই হাততালি দিয়ে ফেললো, “আখ। ইক্ষু। সুগারক্যান। তাই না?” মাথা দোলালো ত্বহা। “আপনার ইংরেজি তো চমৎকার! নামটা জানা হলো না।” লোকটা হাততালি দিতে দিতে বললো, “আমি? আমি তো শাকিব খান। নাম্বার ওয়ান, শাকিব খান। আসলে আমার নাম মাসুদ রানা। দুনিয়াতে থাকতে শাকিব খান নামে চলতাম। সিনেমার নায়ক।” ভ্রু কুঁচকে গেল ত্বহার, “আপনি-ই তো সেই ফাদার ফিগার, রাইট?” একটা আঙুল তার দিকে পিস্তলের মতো তাক করলো শাকিব খান, “রাইট ইউ আর!” --- হাশরের ময়দানে দবির নিজেকে আরও কিছু উদ্ভট মুসলমানের পাশে আবিষ্কার করলো নিজেকে। একটু পর যে মহাশ্চার্য বিষয়টি আবিষ্কার করবে – সে বিষয়ে কোন ধারণাই তার ছিল না। “নাস্তিক শিকারী” গল্পটি সংকলনের অন্যতম সেরা গল্প। পিছিয়ে নেই বাকি গল্পগুলোও। পাঠককে পড়ার আমন্ত্রণ।
আমাদের ভবিষ্যত বংশধররা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। আর মুক্তিসংগ্রামের নেতৃবৃন্দের প্রতি শ্রদ্ধার। মনােভাব নিয়ে গড়ে উঠুক, মুক্তিযুদ্ধের শত্রু। মানবতার শত্রু রাজাকার আলবদরদের প্রতি। ঘৃণা ও ধিক্কারে নিজেদের শাণিত করুক, সকল আগ্রাসন ও নাশকতা থেকে আমাদের কষ্টলব্ধ স্বাধীনতাকে রক্ষার প্রত্যয়ে উজ্জীবিত হােক-এই লক্ষ্য নিয়েই আমার এই লেখা।। বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগৃহীত হয়েছে এই বইয়ের। তথ্যাবলী। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার প্রকাশিত। ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র’ মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি’র ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ নৌ-কমান্ডাে এসােসিয়েশনের মুক্তিযুদ্ধে নৌ-কমান্ডাে স্মরনিকা '৯৫ আমার ‘একাত্তর কথা বলে এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত আরাে বেশ কিছু বইপত্র রয়েছে। বইটি প্রকাশের জন্য অন্বয় প্রকাশের পক্ষ থেকে। শিশুসাহিত্যিক হুমায়ুন কবীর ঢালী এগিয়ে। আসায় তাকে ধন্যবাদ। পাঠক মহল বইটি কিভাবে নেবেন এখন সেদিকেই চেয়ে রইলাম। যদি কোনাে প্রশ্ন ওঠে, যদি কোনাে বিতর্ক দেখা দেয়, আমি তাকে স্বাগত জানাব।