-মশী ভাইয়ের গ্যাস স্টেশনে নাকি আজ চারজন মাস্ক পরা লোক ঢুকেছিল। তাই দেখে সবাই ছিটকে সরে গেল এদিকে-ওদিকে। একজন মাস্ক সরিয়ে তখন বলল, ভয় নেই আমরা ডাকাত। করোনাক্রান্ত নই। -ডাক্তার সিজার করার ডেট দিয়েছিল ২৫শে মার্চ। সে-ও কিছুতেই নেবে না। সেই ভয়াল কালরাত্রিতে রানীকে আনতে চায়নি। তারপর পেলো ২৬শে মার্চ। খুব খুশিমনে এই দিনেই সব ব্যবস্থা ঠিক করেছিল। ২৬শে মার্চ হোক রানীর জন্মদিন। আমেরিকান ডাক্তারও পুরো ইতিহাসের কিছুটাই শুনে বলেছে তোমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ২৬ তারিখেই সার্জারি। কত আনন্দের ছিল ৭ বছর আগের এই দিনটি। আর এখন শুরু হয়েছে ঐ এক মরার কোভিট-১৯। কেউ জীবনে শুনেছে ঐ এক ড্রাইভ থ্র জন্মদিনের কথা। রানী সাজগোজ করে ৩টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ড্রাইভ থ্র বাথডে গার্ল দরজায় দাঁড়িয়ে থাকবে। -ওখানেও একদিন বসা হয়েছিল সেই একজনের সাথে। কত বছর আগেকার সেই একটা দিন। কতবার অনেকবার বহুবার করে যে মনে পড়ে, তাও না। হঠাৎ হঠাৎ এমন সময়গুলোতে দৃশ্যগুলোতে দিনগুলোতে মনে পড়ে যায়। হঠাৎ হঠাৎ-ই। এটা কি আসলে মনে পড়া না স্মৃতির রিপ্লেসমেন্টে হঠাৎ-ই পুরাতনকে এক ঝলক দেখে ফেলা। পুরাতনকে ঢেকে দিচ্ছে নতুন কিছু। হ্যাঁ তাই। সেটাই। এটাই ঠিক। তবে তাই হোক। নতুন আসুক। নতুন আসুক আশা আর ভালোবাসায়, ঢেকে যাক পুরাতন।