ফিলিস্তিনের বুকে ইজরাইল (হার্ডকভার) - উদার ফিলিস্তিনে জায়োনিস্ট বিশ্বাসঘাতকতা ও দখলদারিত্বের পুর্বাপর ইতিহাস ধরণির বুকে ইহুদি জাতির শুরুটা হয়েছিল মহিমান্বিত মানুষের হাত ধরেই। ইউসুফ (আ.)-কে হত্যা প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদের সাদা দেয়ালে প্রথম কালো দাগ লাগে। হিংসা ও ষড়যন্ত্রের শুরু সেখান থেকেই। উত্থান-পতনের নানান ইতিহাস পেরিয়ে ভাগ্য তাদের নিয়ে আসে ফিলিস্তিনের উর্বর ও সিগ্ধ প্রান্তরে। অবাধ্যতা ও বিশ্বাসঘাতকতা যাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, তারা কি নীরবে বসে থাকতে পারে? চলতে থাকে একের পর এক ঘৃণ্য কার্যক্রম। কর্মফল তাদের বিতাড়িত করে ফিলিস্তিনের পবিত্র ভ‚মি থেকে; তবুও থেমে থাকে না ষড়যন্ত্রের চাকা। সভ্যতার চিরায়ত নিয়মে ফিলিস্তিনের মুতায়াল্লিয়াত চলে আসে বিশ্বাসীদের হাতে। প্রবাহিত হয় সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বারিধারা। কয়েক শতাব্দী পেরিয়ে সেখানে আবারও শুরু হয় নির্মম পৈশাচিকতা। আশ্রয়ীরা বনে যায় দখলদার হিংস্র দানবে, ভ‚লুণ্ঠিত হতে থাকে মানবতা। এর প্রতিক্রিয়ায় রচিত হতে থাকে হাজারো ত্যাগ ও সাহসের গল্প, লক্ষ প্রাণে যা এঁকে দেয় মুক্তির রক্তিম স্বপ্ন।
পৃথিবীতে মানব সন্তানদের ক্রমবিকাশের প্রথম পর্যায় থেকেই কলহ চলমান। যুদ্ধ-বিগ্রহ করেই মানব অস্তিত্ব টিকে আছে সুখের আশায়। অন্ধকার সময়কে পেছনে রেখে পৃথিবীকে মানুষ করেছে অতি আধুনিক। সময়ের তালে ভূ-পৃষ্ঠের সকল অন্যায়কে অপরাধ বলতে শিখেছে মানুষ। মানুষের অধিকারের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতিসংঘসহ নানান মানবাধিকার সংগঠন। তারপরও এক শ্রেণির মানুষ প্রতিনিয়ত হচ্ছে নিগৃহীত। পৃথিবীর সর্বত্র নিগৃহীত সেইসব মানুষদের একটাই পরিচয়, তারা মুসলমান। ফিলিস্তিন থেকে কাশ্মীর-আফগানিস্তান-ইরাক-লিবিয়া-সুদান-বসনিয়া-চেচনিয়া-ইয়েমেন থেকে আরাকানে ধ্বনিত হচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলমানদের হাহাকার। কিন্তু কেনো এই মানুষগুলোর এই মানুষগুলোর ওপর এত নিপীড়ন-নির্যাতন? রোহিঙ্গাদের ওপর কেনো নেমে এলো এই নির্মম নির্যাতন? এই প্রশ্নের উত্তর এবং ব্যাখ্যা নিয়ে লেখক আসাদ পারভেজ রচনা করেছেন ‘নাফ নদীর ওপারে’ বইটি। এই গবেষণা এবং অনুসন্ধানমূলক ‘নাফ নদীর ওপারে’।