এই পৃথিবীতে যারা আমাদের সবচেয়ে আপনজন, যাদের ঋণ কোনভাবেই শোধ করা সম্ভব না তাঁরা হলেন আমাদের মা ও বাবা। সর্বাবস্থায় প্রতিটি সন্তানের উচিত তাদের সেবা করা। মা-বাবার অবাধ্যতার ফলাফল, তাদের বাধ্যগত থাকার পুরষ্কার, তাদের প্রতি আমাদের ব্যবহার কীরূপ হওয়া উচিত সে সব কিছু নিয়ে চমৎকার কিছু গল্পের সংকলন এই বইটি। সূচিপত্রঃ জীবন থেকে নেওয়া* মায়ের চিঠি- ১৭ সালেম- ২১ বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসুন- ৩১ এই ঋণ শোধ হবার নয়- ৩৩ উপহার- ৩৭ মায়ের চোখে পৃথিবী- ৪১ ত্যাগ ও বিনিময়- ৪৫ তবুও সৌভাগ্যবান- ৪৯ রেস্টুরেন্টে একদিন- ৫৫ মায়ের মিথ্যে বলা- ৫৭ অবহেলা- ৬১ অনুশোচনার গল্প: হারিয়ে ফেলার পরে- ৬৩ লোভের তাড়না- ৬৯ অনুশোচনার গল্প: রক্তাক্ত আলেক্সেন্ড্রিয়া- ৭৫ মাকে পাওয়ার মামলা- ৮১ আত্মত্যাগ- ৮৫ উপলব্ধির গল্প: আর কি পাবো তারে!- ৮৭ কিছু স্মৃতি, কিছু শূন্যতা- ৯১ পুরস্কার- ৯৫ স্বঃপ্ন, দুঃস্বপ্ন- ৯৭ আনুগত্যের গল্প: সঠিক পথের দিশা- ১০৩ মায়ের অভিশাপ- ১০৫ এক বৃদ্ধার ইসলামগ্রহণ- ১০৭ শোচনীয় পরিণতি- ১০৯ ফযল বিন ইয়াহ্ইয়া- ১১১ ইবনু তাইমিয়া (আ.) এর চিঠি- ১১৩ ধনী লোকের মানহানি- ১১৫ সেতুবন্ধন- ১১৯ অশুভ পরিণাম- ১২৩ আনুগত্যের গল্প: মৃত্যু থেকে রক্ষা- ১২৯ অবাধ্যতা- ১৩১ উপলব্ধির গল্প: অবুঝ শিশুর ভাবনা- ১৩৫ বাবা-মায়ের স্মৃতি- ১৩৭ সিলাহ রেহমি- ১৪৩ সহানুভূতির সত্য রূপ- ১৪৯ কুর’আন ও হাদিস থেকে নেওয়া ইবরাহীম (আ) এর নম্রতা- ১৫৫ জুরাইজের ঘটনা- ১৫৭ ‘উমার (র:) এর কান্না- ১৬১ পাথর অপসারণ- ১৬৫ বাবা-মায়ের দু’আ- ১৬৭ উত্তম আচরণ ও সম্মান- ১৭০ অমুসলিম পিতা-মাতার সাথে আচরণ- ১৭১ দীর্ঘায়ু ও সম্পদ লাভ- ১৭৩ এক ইয়েমেনীর ঘটনা- ১৭৪ মায়ের চিঠি প্রিয় খোকা, বেশ কিছুদিন ধরে তোমার কথা খুব মনে পড়ছে। ঘুরেফিরে কেবল পুরোনো দিনের স্মৃতিগুলোই চোখের সামনে ভেসে উঠছে বার বার। তখন সময়টা ছিল বিয়ের প্রায় বছর দেড়েক পর। একজন নারী তার জীবনে সবচেয়ে প্রিয় যে সংবাদ পেতে পারে, সেই সংবাদ আমিও পেয়েছিলাম। তুমি জানো, কী ছিল সেই সংবাদ—যা আমাকে জীবনের পরম আনন্দে ভাসিয়েছিল? সেটা ছিল তোমার অস্তিত্বের সংবাদ। আমাকে বলা হয়েছিল, আমার গর্ভে তুমি এসেছ। বাবা আমার, আমি তোমাকে কোনোভাবেই সেই মুহূর্তের কথা বলে বোঝাতে পারবো না। আমার গর্ভে তোমার অস্তিত্বের সংবাদ যে আমাকে কী রকম আনন্দের প্লাবনে ভাসিয়েছে—সেটা তুমি কোনোদিনও বুঝবে না। তারপর অনেকগুলো সপ্তাহ কেটে গেল। আমার শরীরে আস্তে আস্তে পরিবর্তন আসতে লাগল। শরীরের এই পরিবর্তনের সাথে সাথে আমি ভয়ও পাচ্ছিলাম। কারণ, আমি যা-ই খেতাম তা-ই বমি হয়ে যেত। প্রচণ্ড দুর্বলতা এসে আমার শরীরে ভর করতে লাগল। তুমি বড় হওয়ার সাথে সাথে আমার শরীরও দিন দিন বড় হতে লাগল….
“প্রত্যাবর্তন ” বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ মোহ আর মিথ্যের মধ্য দিয়ে পথ চলতে চলতে একটা সময় আত্নাগুলো নিমজ্জিত হয় অন্ধকারের অতল গহ্বরে। সেই ভয়ার্ত অন্ধকার কূপ থেকে কেউ আলোর দেখা পায়, কেউ পায় না। কেউ নিজের আত্নাকে পরিশুদ্ধ করে নেওয়ার সুযোগ লুফে নেয়, কেউ নিজেকে হারিয়ে ফেলে অতল থেকে অতলে। যারা ফিরে আসে, কেমন হয় তাদের গল্পগুলো? সে রকম একঝাঁক পরিশুদ্ধ আত্নার গল্প নিয়েই 'প্রত্যাবর্তন'। সূচিপত্রঃ প্রথম অধ্যায়ঃ আলোর পথে যাত্রা সরল পথের খোঁজে- ১৩ টাইট্রেশন- ২০ এবং, ফিরেছি আমিও- ৩০ নীড়ে ফেরার গল্প- ৩৩ পথিকের পথচলা- ৪১ আলোয় ভূবন ভরা- ৪৯ সেই সব দিনরাত্রি- ৫৩ অন্ধের যাত্রা সমীকরণ- ৬১ আপনারে খুঁজিয়া বেড়াই- ৬৭ পথ ও পথিক- ৭৭ সেই সময়ের উপাখ্যান- ৮৬ সংশয় থেকে বিশ্বাস: এক পথিকের গল্প- ৯২ আমি এবং আমাদের গল্প- ১০৪ গল্পটা হাসি-কান্নার- ১০৮ ফিরে পাওয়া গুপ্তধন- ১১৩ চলতে ফিরতে যেমন দেখেছি- ১২৪ দ্য আগলি ডাকলিং- ১২৭ প্রত্যাবর্তন- ১৩২ ফিরে আসার গল্প- ১৩৭ আমার মায়ের বিয়ের প্রস্তাব- ১৫৭ চলতে চলতে আলোর দেখা- ১৬১ দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ স্রষ্টার সন্ধানে সেই মিছিলের দেখা- ১৭৩ শুদ্ধ আলোর প্রথম প্রহর- ১৮২ যেমন ছিলাম, যেমন আছি- ১৮৯ ফেরার কথাই ছিলো- ২০১ সরল পথের খোঁজে মোহাম্মদ রুহুল আমিন, এমবিবিএস, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ দীনের বাইরে বড় হওয়া একজন কিশোর যেভাবে, যে পরিবেশে বেড়ে ওঠে, আমার বেড়ে ওঠার গল্পগুলোও ঠিক সেরকম৷ খুব ডানপিটে স্বভাবের ছিলাম। মানুষকে কষ্ট দেওয়া, পশুপাখিকে কষ্ট দেওয়া, বন্ধুদের সাথে মিলে অন্যের বাগানের আম চুরি করে খাওয়া, আব্বুর পকেটের টাকা চুরি করা, আত্মীয়-স্বজনের সাথে খারাপ আচরণ করা, স্কুল পালানো, সিনেমা হলে যাওয়া, পূজা-মণ্ডপে যাওয়া ইত্যাদি ছিল আমার জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক কাজ। বাড়িতে নামাজ পড়তেন শুধু আমার মা। বাবা নামাজ পড়তেন না, শুধু পড়াশোনার জন্যে বকাঝকা করতেন। মা যদিও নামাজের জন্যে হালকা বকাবকি করতেন; কিন্তু দেখা যেত, জুমার দিন জুমার নামাজেও আমি যেতে চাইতাম না। নামাজে যাওয়ার কথা বলে অন্যদিকে চলে যেতাম। আমি ছিলাম প্রচণ্ড রকম সিনেমার পোঁকা। তখন আমাদের বাড়িতে টেলিভিশন ছিল না। পাশের বাড়িতে সিনেমা দেখতে দেখতেই আমার বেশিরভাগ সময় কাটত। আমার এমন ডানপিটে স্বভাবে মা আমার উপর চরম বিরক্ত হয়ে উঠলেন। অবশ্য বিরক্ত হবারই কথা। বাবা আমাকে কথা শুনাতেন কম, আমার কৃতকর্মের সমস্ত ঝাল তিনি মায়ের উপরেই ঝাড়তেন। মায়ের আস্কারাতেই আমি মাথায় চড়েছি, নষ্ট হয়ে গেছি, কু-পথে চলে গেছি—ইত্যাদি নানান কথার বাণে জর্জরিত হতেন আমার মা। মা একদিন করলেন কী, আমাকে পাশের বাড়ি থেকে ধরে বাসায় নিয়ে….