আমাদের ভবিষ্যত বংশধররা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। আর মুক্তিসংগ্রামের নেতৃবৃন্দের প্রতি শ্রদ্ধার। মনােভাব নিয়ে গড়ে উঠুক, মুক্তিযুদ্ধের শত্রু। মানবতার শত্রু রাজাকার আলবদরদের প্রতি। ঘৃণা ও ধিক্কারে নিজেদের শাণিত করুক, সকল আগ্রাসন ও নাশকতা থেকে আমাদের কষ্টলব্ধ স্বাধীনতাকে রক্ষার প্রত্যয়ে উজ্জীবিত হােক-এই লক্ষ্য নিয়েই আমার এই লেখা।। বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগৃহীত হয়েছে এই বইয়ের। তথ্যাবলী। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার প্রকাশিত। ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র’ মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি’র ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ নৌ-কমান্ডাে এসােসিয়েশনের মুক্তিযুদ্ধে নৌ-কমান্ডাে স্মরনিকা '৯৫ আমার ‘একাত্তর কথা বলে এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত আরাে বেশ কিছু বইপত্র রয়েছে। বইটি প্রকাশের জন্য অন্বয় প্রকাশের পক্ষ থেকে। শিশুসাহিত্যিক হুমায়ুন কবীর ঢালী এগিয়ে। আসায় তাকে ধন্যবাদ। পাঠক মহল বইটি কিভাবে নেবেন এখন সেদিকেই চেয়ে রইলাম। যদি কোনাে প্রশ্ন ওঠে, যদি কোনাে বিতর্ক দেখা দেয়, আমি তাকে স্বাগত জানাব।
"তাকে আমি দেখেছি আমার কৈশোরের অবাক চোখে। তাকে আমি দেখেছি তার রাজনৈতিক উত্থানের উত্তাল সময়ে। তাকে দেখেছি তার ঝঞ্ঝামুখর সংগ্রামী দিনগুলিতে। দেখেছি বাঙালিদের একটি স্বাধীন দেশের অভ্যুদয়ে। দেখেছি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রাণপুরুষ হিসাবে। আমি দেখেছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। দেখেছি আমার একান্ত চোখে। এ দেখা একান্তই আমার নিজের দেখা। তাকে দেখেছি ঘনিষ্ঠভাবে খুব কাছে থেকে, দেখেছি দূর থেকে। নানা কারণে ছোটবেলা থেকেই আমার সুযোগ হয়েছে তার কাছাকাছি কিংবা আশপাশে যাওয়ার। প্রথমে পারিবারিকভাবে, পরে সাংবাদিকতা পেশার কারণে। নানাভাবে তাকে দেখেছি। বলতে পারি, কর্মমুখর সংগ্রামী জীবনের পাশাপাশি অন্য এক শেখ মুজিব আমার স্মৃতিতে ভাস্বর হয়ে রয়েছেন। আমি আমার দেখা সেই অন্য এক শেখ মুজিবের কথাই এখানে বলতে চাই...
মানুষ যখন তার জীবনের সাথে কোন ঘটনার সাথে মিল খুজে পায়, তখন সেটা সম্পর্কে কৌতহলী হয়ে ওঠে। হাসি, কান্না, ভুলভ্রান্তি, ভালোবাসা, কষ্ট, সবারই থাকে। কেউ এসবের বাহিরে নয়। বইটি প্রবাসী মানুষের নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়ানো, অভিজ্ঞতা নিয়ে। জীবন যুদ্ধে পজেটিভ চিন্তা-ভাবনা বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাবার যাপিত জীবনের গল্প। আর মাতৃভূমিকে কাছে পাবার তীব্র বাসনার গল্প। কানাডায় প্রাত্যহিক জীবনের ছবি ফুটিয়ে তোলার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। সাথে সেখানকার কিছু রম্য গল্প।