ওরা তিন বন্ধু–রবার্ট, গোটফ্রীড, ওটো; প্রথম বিশ্বযুদ্ধের তিন সৈনিক। প্যাট্রিসিয়া–দুঃসাহসী এক মেয়ে। কার্ল–লক্কড়মার্কা চেহারার তেজি এক রেসিংকার। যুদ্ধোত্তর জার্মানীর চরম দুঃসময়ে সুখে-দুঃখে একসাথে এরা সবাই। এ-উপন্যাস সম্পর্কে পত্র-পত্রিকার মন্তব্য: পূর্ববর্তী উপন্যাসগুলোর চেয়েও উৎকৃষ্ট। –নিউজ উইক এটি সম্ভবত এই লেখকের সবচেয়ে কোমল, অনুভূতিময় এবং মর্মস্পর্শী উপন্যাস। …আমাদের সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভালবাসার গল্প। –নিউ ইয়র্ক টাইমস
প্রিয় পাঠক, কিংবদন্তির নায়ক অ্যালান কোয়াটারমেইনের স্মৃতিকথায় আপনাকে আরও একবার স্বাগতম। তিনি এবার শোনাচ্ছেন তাঁর কৈশোরের গল্প, প্রথম প্রেমের কাহিনিÑ‘রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে হাজার তারার ভিড়ে আজও ওকে খুঁজি আমি। তখন ছলছল চোখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি একটা ছায়াকে–মেরি ম্যারাইস, আমি ছাড়া যে-ছায়ার কথা ভুলে গেছে সবাই।’ কে এই মেরি? কী তার কাহিনি? ওর কথা বলতে এত বছর পর কেন মুখ খুলেছেন অ্যালান কোয়াটারমেইন? এই উপন্যাসে আছে কেপকলোনির সংঘাতময় ইতিহাসের কথা। ইংরেজ, বোয়া আর আফ্রিকান আদিবাসীদের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির মাঝে জন্ম-নেয়া নিখাদ ও পবিত্র এক প্রেমের বর্ণনা দিচ্ছে এই উপন্যাস। আত্মত্যাগ যদি হয় ভালোবাসার অন্যতম প্রতিশব্দ তা হলে স্যর হ্যাগার্ডের এ-উপন্যাস সেই শব্দের সার্থক প্রতিরূপ। অ্যাডভেঞ্চার আর অ্যাকশনে ভরপুর এই প্রেমকাহিনিটি সত্যিই সংগ্রহে রাখার মতো।
বেলারিয়ন দ্য ফরচুনেট খুনির সহযোগী হিসাবে ফাঁসতে চায় না বেলারিয়ন, সেজন্য পালাল ও। প্রাণে বাঁচতে যার কাছে আশ্রয় নিল, প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়ল তার। চাইল উপকারের প্রতিদান দিতে। জানতে পারল, বিরাট এক ষড়যন্ত্রের পাঁকে পড়ে গেছে ওর আশ্রয়দাত্রী। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে আবারও খুনের দায়ে ফেঁসে গেল বেলারিয়ন। রিজেণ্টের সহায়তায় পালাল ও জেল থেকে। এবার আশ্রয় পেল মিলানের গভর্নরের কাছে। তাঁর তত্ত্বাবধানে এক সময় কুশলী যোদ্ধায় পরিণত হলো সে, যাকে নিজেদের দলে পেতে মরিয়া ইটালির সমস্ত ডিউক আর রাজ্যপ্রধান। একের পর এক রাজনৈতিক কূটচাল ও ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে হচ্ছে বেলারিয়নকে। এত সব ঘটনার পাকেচক্রে কীভাবে টিকে থাকবে ও?
এরিক মারিয়া রেমার্ক-এর কোথায় স্বর্গ রূপান্তর: ইসমাইল আরমান গল্পটা গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকের। যে-বয়সে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস আর উন্মাদনায় ভেসে যাবার কথা, সে-বয়সেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে দেশ থেকে বিতাড়িত হলো লুদভিগ কার্ন। পরিণত হলো নাগরিকত্বহীন এক ভাসমান রিফিউজিতে, ইয়োরোপের কোনও দেশে যাদের ঠাঁই নেই। শুরু হলো ওর পলায়নপর ভাসমান জীবন। একে একে বন্ধু জুটল, শত্রু জুটল, আর এল প্রেম। নিজ চোখে মানুষের শঠতা আর নিষ্ঠুরতা দেখল ও, একই সঙ্গে দেখল নিঃস্বার্থ ত্যাগ আর সহযোগিতার দৃষ্টান্তও। ধীরে ধীরে বুঝল কার্ন, জীবন কখনও থেমে থাকে না, চরম প্রতিকূলতার মাঝেও টিকে থাকে মানুষ যুদ্ধ করে। মাটির পৃথিবীতেই তারা গড়ে নেয় স্বর্গ।
হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর নাডা দ্য লিলি রূপান্তর: ইসমাইল আরমান পাঠক, চলুন আপনাদের নিয়ে যাই অন্ধকার মহাদেশ আফ্রিকার অভ্যন্তরে, পরিচয় করিয়ে দিই বৃদ্ধ এক জুলু ওঝার সঙ্গে। তার নাম যুয়িটি। অদ্ভুত এক গল্প শোনাবে সে আমাদের। পদ্মকুমারী নাডা আর কাঠঠোকরা আস্লোপোগাসের গল্প। জলু জাতির সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে আর দুর্ধর্ষ এক যোদ্ধার অসামান্য প্রেম-কাহিনী। কিন্তু এ-প্রেমের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে নৃশংসতা; রয়েছে রক্তের উৎসব আর মৃত্যুর মিছিল। যুদ্ধের দামামা বেজে উঠবে আপনার বুকে, প্রেম আর প্রতিহিংসায় হবেন উদ্বেলিত। হাসি, কান্না, আনন্দ, উত্তেজনা… কী নেই সেই কাহিনীতে? তা হলে আর দেরি কেন, চলুন বসে পড়ি যুয়িটিকে ঘিরে। শুনি সেই অত্যাশ্চার্য কাহিনী।
দ্য ইয়েলো গড হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড/সাইফুল আরেফিন অপু আমি আসিকি জাতির মানুষ। আসিকি শব্দটার অর্থাত আত্মা। আমাদের দেবীর এত স্বর্ণ আছে যে, স্বর্ণের কোনও মূল্যই নেই তাঁর কাছে। দেবীর কাছে মূল্যবান হচ্ছে রক্ত… মেহেমানদেরকে শব্দ শোনাচ্ছিল অ্যালান ভার্ননের খাস ভৃত্য জিকি। অ্যালান ভার্নন একজন প্রাক্তন মেজর। নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে, লোক-ঠকানো শেয়ার ব্যবসা করে নিজের পকেট ভারী করা তার দ্বাধা সম্ভব হয়নি। ওদিকে প্রচুর টাকা হাতে না এলে ওর বাড়ি ইয়ার্লিজ তো হাতছাড়া হবেই, সঙ্গে প্রেমিকা বারবারাকেও হারাতে হবে। কাজেই সোনার খোঁজে রহস্যময় আসিকিদের দেশে চলল ও। দ্য উইজার্ড হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড/তারক রায় অলৌকিক ঘটনার যুগ কি পুরোপুরি গত হয়েছে? নাকি মাটির বুকে দাঁড়িয়ে বিশ^াসী যদি ঠিকভাবে ডাকতে পারে, তবে বোবা আকাশের কাছ থেকে তার প্রার্থনার শ্রবণযোগ্য উত্তর এখনও আদায় তরা সম্ভব? বাইবেলের সর্বশক্তিমান ঈশ^র প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যারা তাঁর এবং তাঁর কাজের উপর বিশ^াস রাখবে, তাদের সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করবেন তিনি। সেই প্রতিশ্রুতি কি আজও অটুট রয়েছে? যাঁদের গরজ রয়েছে, তাঁদেরকে রেভারেন্ড টমাস ওয়েনের ইতিহাস পড়তে দেয়া গেল। যাঁরা তাঁর এই কাহিনী পড়বেন, যাঁর যাঁর নিজস্ব বোধ-বুদ্ধি ও বিচার-বিশ্লেষণ ব্যবহার করে উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে নেবেন।