দ্য মিলিয়নেয়ার নেক্সট ডোর - বিশ্বসেরা ধনীদের বিস্ময়কর রহস্য: ধনী হতে চান? বিশাল বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি ও প্রাচুর্যে গা বাচিয়ে জীবন কাটানোর স্বপ্ন আপনার? সত্যি হাসালেন। একটিবার নিজের চোখ বন্ধ করে মনের গভীরে ডুব দিন আর নিজেকে প্রশ্ন করুন যারা এভাবে বেঁচে থাকে তারা কি আসলেই ধনী? মনের তর্কবাগীশ সত্তাটি হয়তো বলবে বারে ধনী না হলে এত অর্থ ওরা কোথায় পায়? না এই সত্তাকে কখনো তুচ্ছ মনে করবেন না। যুক্তিসহকারে জেনে নিন যে এই অর্থের উতস কি। দুটো অপশন রয়েছে আপনাদের জন্য। হয়তো বাপ দাদার টাকা উড়াচ্ছে, নয়তোবা লোন নিয়ে অপব্যয় করছে। কারণ বিশ বছরের সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রকৃত ধনীদের বৈশিষ্ট্য একেবারেই অন্যরকম। তারা অর্থ আয় থেকে শুরু করে সঞ্চয়ের মাধ্যমে কিভাব কিভাবে ধনী হয়, সে ইতিহাসের আলাদা কিছু গল্প কাহিনি রয়েছে। আমেরিকান ধনীদের সেইসব চমকপ্রদ তথ্য জানতে হলে ‘দ্য মিলিয়নেয়ার নেক্সট ডোর’ পড়তে দেরি করবেন না। বলাতো যায় না এই বই আপনাকে হয়তো পরবর্তী ধনীদের তালিকায় নাম লিপিবদ্ধ করার কাজে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে পারে।
জীবন যাপনে আমূল পরিবর্তন আনতে কীভাবে সাজাবেন আপনার বাসা, অফিস এবং চারপাশের অন্যান্য অনুষঙ্গ? জীবনে পরিপাট্যতা আনয়নের পুরো প্রক্রিয়াটিই এই বইয়ে সন্নিবেশিত হয়েছে। আসলেই কী চারপাশ গুছিয়ে রাখার মাধ্যমে জীবনে পরিবর্তন আনা সম্ভব? সোজা সাপটা জবাব হলো, সম্ভব। কিন্তু চারপাশে পরিপাট্যতা ধরে রাখাটাই যে মুশকিল ব্যাপার! সবকিছু সুন্দরভাবে গোছানোর পর পুনরায় অগোছালো হয়ে পড়েননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। বারবার না হলেও জীবনে অন্তত একবার আমরা এমন জটিলতায় পড়েছি। এবার আপনার কথায় আসি। বলুন তো, কখনো কী এমন হয়নি, আপনি বাসার সবকিছু খুব যতœ সহকারে গুছিয়ে পরিপাটী করে রেখেছেন আর খুব দ্রুতই সেগুলো অগোছালো হয়ে পড়েছে? যদি তেমনটিই হয়ে থাকে, তবে এই বিষয়ে সফলতা লাভের গোপন মন্ত্রটি হলোÑ শুরুতেই চারপাশের অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো একত্রিত করে সেগুলোকে আপনার জীবন থেকে বিদেয় করে দিন। তারপর মাত্র একবারের কর্ম প্রচেষ্টায় আপনার চারপাশকে সাজান সুশৃঙ্খলভাবে, সম্পূর্ণ নতুন করে নতুন উদ্যমে।
বডি ল্যাংগুয়েজ - হাউ টু রিড আদারস থটস বাই দেয়ার জেসচারস, সেলসম্যান, সেলস ম্যানেজার ও এক্সিকিউটিভদের ওয়ার্কিং ম্যনুয়েল: মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হল ভাষা। কিন্তু ভাবতেও অবাক লাগে যে মাত্র ৩৫ ভাগ ভাব আমরা ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করি। প্রশ্ন জাগে, বাকী ৬৫ ভাগ তবে কোথায় যায়, কি ঘটে এর ভাগ্যে? এই অজানা তথ্যের রহস্য উদ্ধার করতে হলে আপনাকে পড়তে হবে এলান পীসের ‘বডি ল্যাংগুয়েজ’। প্রতিদিন আমরা নানা ধরণের মানুষের মুখোমুখি হই। তাদের বিভিন্ন ধরণের অঙ্গভঙ্গি দেখে আমরা অভ্যস্থ। কিন্তু কখনো কি মনে হয়েছে যে এই ভঙ্গিগুলো আমাদের অনেক কিছু জানাতে চায়? মানুষের নানা ভঙ্গিমার এইসব ভাষাকে অত্যন্ত সরল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন এলান পীস। তাঁর বই পড়লে কেবল অন্যের মনের ভাবই পড়া যাবে না, সেইসাথে সত্য ও মিথ্যার প্রকৃতি নির্ধারণ, মানুষের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা ও নিজেকে অন্যের সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য যোগ্য করাও সম্ভব। মানুষের বাহ্যিক আচরণ দেখে অনেক সময় তার অন্তর্নিহিত চিন্তাধারাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। মানুষ সৌজন্যের খাতিরে তার রাগ, অসন্তোষ বা বিরক্তি সরাসরি প্রকাশ করে না। এই বই পড়লে নিশ্চিতভাবে আপনি সেই অব্যক্ত অনুভূতির গভীরে পৌঁছে যাবেন। প্রতিকূল পরিবেশে সিদ্ধান্তহীন মানুষ দ্বিধার সংশয়ে দোলতে থাকে। ‘বডি ল্যাংগুয়েজ’ আপনাকে তার মর্মোদ্ধার করতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়, প্রিয়জনের কোন গোপন বাসনা সকলের অলক্ষ্যে টের পেতে চান? কিংবা জানাতে চান কোন রোমান্টিক রঙিন ইঙ্গিত? তাহলে ‘বডি ল্যাংগুয়েজ’ হবে আপনার সেই গোপন বার্তাবাহক। প্রেমে বা বিরহে, চাকরি বা ব্যবসায় বিচিত্র মানুষের নানা ভঙ্গিমার অন্তর্নিহিত অর্থই হল ‘বডি ল্যাংগুয়েজ’ বইয়ের সারতথ্য। পৃথিবীর যে কোন পেশার মানুষ জীবনের সবচেয়ে জটিল ঘটনাবলীকে বুঝার জন্য এই বইটি নির্দ্বিধায় ব্যবহার করতে পারবে। কাজেই বইটি পড়–ন আর সহজ ও মসৃণ করে তুলুন আপনার চলার পথ।
মাইন্ডসেট - চেঞ্জিং দ্য ওয়ে ইউ থিংক টু ফুলফিল ইয়োর পটেনশিয়াল: ক্যারল ডিউইক ব্যক্তিত্ব, সামাজিক মনোবিজ্ঞান ও উন্নয়নমুখী মনোবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত একজন গবেষক । তিনি কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে সাইকোলজির উইলিয়াম বি. রেন্সকোর্ট প্রফেসর ছিলেন এবং বর্তমানে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে সাইকোলজির লিউস ও ভার্জিনিয়া ইটন প্রফেসর এবং আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস এন্ড সায়েন্স’ এর সদস্য হিসেবে আছেন। তাঁর “সেলফ-থিয়োরিস, দেয়ার রোল ইন মটিভেশন, পার্সোনালিটি এন্ড ডেভেলপমেন্ট” বইটি ওয়ার্ল্ড এডুকেশন ফেলোশীপ কর্তৃক ‘বুক অব দ্য ইয়ার’ এর সম্মান লাভ করেছে । নিউ ইয়র্কার, টাইম, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোষ্ট ও বোষ্টন গোবে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার পালো এলটো’তে স্বামীর সাথে বাস করেন । প্রচ্ছদ : অমর্ত্য আতিক
হাউ সাকসেসফুল পিপল থিংক - চেঞ্জ ইয়োর থিংকিং চেঞ্জ ইয়োর লাইফ: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বেস্টসেলার বই 'হাউ সাকসেসফুল পিপল থিংক' দ্রুতগতির বর্তমান বিশ্বে সময়োপযোগী একটি বই। আমেরিকান লিডারশীপ এক্সপার্ট জন সি ম্যাক্সওয়েল এই বইয়ে আপনাদেরকে আরো সৃজনশীল হবার এবং চিন্তাভাবনাকে শক্তিশালী করার উপায় বর্ণনা করেছেন, দেখিয়েছেন সফল লোকেদের নিখুঁত লক্ষ্যের বিষয়গুলো। চিন্তাভাবনার মাধ্যমে কিভাবে বড় স্বপ্ন দেখতে হয়, পরিকল্পনার ছক আঁকতে হয় এবং সফলতার পথে এগিয়ে যেতে হয় এই বইয়ে জন সি ম্যাক্সওয়েল তার দুর্দান্ত বিবরণ দিয়েছেন। সর্বোপরি, ছোট্ট পরিসরের বইটিতে আপনি তুলনামূলক ভালো ভবিষ্যতের বীজ বোনা সম্পর্কিত উপায় জানতে পারবেন এবং বইয়ে বর্ণিত এগারোটি কী-নোট অনুসরণ করে সফলতার পথ খুঁজে পাবেন, কথাটি নিঃসন্দেহে বলা যায়।