দ্যুতিবিথার’-এর কবি বেনজির শিকদার নতুন প্রজন্মের একজন প্রাগ্রসর প্রবিশ্ববাঙালি। সৃষ্টিশীলতা ও নান্দনিক মানবিকতাই তাঁর প্রার্থিত জীবনাচার। কবিতার জন্য যে অনুপ্রাণিত অনুভূতি ও সচেতন নির্মিতি প্রয়োজন, তা আয়ত্তের নিমিত্তে এই কবি নিরন্তর সচেষ্ট। এ-ক্ষেত্রে বাণী ও অলঙ্কৃতির যুগোপযোগী নবায়নই তাঁর মুখ্য অন্বিষ্ট । বাঙালি বেনজির নস্টালজিক স্মৃতি ও মানবিক শেকড়ময়তায় উৎস-সন্ধানী। বাংলা ভাষার মুখ্য তিন ছন্দে তিনি সচ্ছন্দ, আবার স্বোপার্জিত কথন-গদ্যেও সাবলীল। শব্দকে নতুনতর অভিধায় উন্নীত করার কাজেও তিনি সচেতন। মায়াগ্রামের অনন্তচাঁদ তাঁর পিছু ছাড়েনি; ছাড়ে না কোনো প্রকৃত কবিকেও। তাই তাঁর হাতে তৈরি হয় নটেশ্বর-নবকুমার’-এর মতো চিত্রধ্বনিময় রূপকল্প। আমি ঐতিহ্যসিক্ত ও নবাধুনিক এই কবির উত্তরোত্তর নান্দনিক সাফল্য কামনা করি।