রূপসী বন্দিনী প্রায় চল্লিশ বছর বয়সী এক প্রবীণ যোদ্ধাকে দায়িত্ব দিলেন ফ্রান্সের রানি: দোফিনির সুরক্ষিত দুর্গ কোন্দিয়াক থেকে উদ্ধার করে আনতে হবে রূপসী এক তরুণী বন্দিনীকে। মহাবিপদেই পড়েছে মসিয়ো গাখনাশ। একটা মেয়েকে উদ্ধার করে আনতে চলেছে ও ভয়ঙ্কর এক নিষ্ঠুর, লোভী মহিলার কবল থেকে; অপর একজন মহিলার আদেশে! ও যদি এখন সব গুবলেট করে ফেলে, দোষটা কী ওর? আ স্টাডি ইন স্কারলেট নির্জন, খালি একটা বাড়িতে পাওয়া গেল লাশ। চারপাশে ছড়ানো ফোঁটা ফোটা রক্ত, আর রক্তে লেখা অদ্ভুত একটা শব্দ ছাড়া আর কোনও সূত্র নেই। দিশেহারা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বাধ্য হলো দুঁদে এক গোয়েন্দার সাহায্য নিতে তার নাম শার্লক হোমস! বিশ্ববিখ্যাত এই গোয়েন্দাকে নিয়ে সার আর্থার কোনান ডয়েলের লেখা প্রথম উপন্যাস। ধরলে ছাড়ার উপায় নেই। অতীন্দ্রিয় উপাখ্যান কেনেথ এণ্ডারসনের জীবনের কয়েকটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কাহিনি নিয়ে এই সংকলনগ্রন্থ। ‘নিঃসঙ্গ আততায়ী’ আর ‘বিষাক্ত থাবা’তে পাবেন চিরচেনা সেই দুর্ধর্ষ শিকারী এন্ডারসন। অতীন্দ্রিয় উপাখ্যান’ পরিচয় করিয়ে দেবে রহস্যময়, আধিভৌতিক এক জগতের সঙ্গে। ভিন্ন স্বাদের দুই কাহিনি ‘ভোগান্তি’ এবং ‘নারী শিকারী ও নিঃসন্দেহে আনন্দ দেবে বৈচিত্র্যপিয়াসী পাঠকমনকে।
দুহাজার বছর ধরে অপেক্ষা করছে সে, তার ক্যালিক্রেটিস আসবে। যে দয়িতকে নিজহাতে হত্যা করেছিল, পুনর্জন্ম নিয়ে আসবে সে তার প্রেম গ্রহণ করতে। এল ক্যালিক্রেটিস তাকে অনন্ত যৌবন দেয়ার জন্যে রহস্যময় আগুনের কাছে নিয়ে গেল… তারপর? মৃত্যুর আগ-মুহূর্তে বলে গেছে আয়শা, আবার সে আসবে।অন্তত একবারের জন্যে হলেও সে সুন্দর হবে। কিন্তু কী করে? জানে না লিও ভিনসি, জানে না হোরেস হলি। অবশেষে সত্যিই একদিন দৈব-সংকেত পেল ওরা, আয়শা ডাকছে। দুর্গম পর্বতমালা, দুস্তর মরুভূমি পেরিয়ে রওনা হলো লিও ও হলি। আয়শার খোঁজ কি ওরা পাবে?
নির্দোষ এক লোককে পুলিশ চক্রান্তে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দিয়ে দিল ফ্রান্সের আদালত। অন্তত, প্যাপিলনের তাই বক্তব্য। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে পাঠানো হলো তাকে দ্বীপান্তরে-ফ্রেঞ্চ গিয়ানায়। স্থির করল সে, পালাবে। যেমন করে হোক। এবং সত্যিই পালাল সে। কিন্তু মুক্তি কি পেল প্যাপিলন? না। বাঁধা পড়ল সে দুই নারীর প্রেমের বাঁধনে। তারপর? অনেক চেষ্টার পর অনেক দুঃখ-কষ্ট, প্ল্যান-প্রোগ্রাম ও পরিশ্রমের পর সত্যিই একদিন মুক্তি পেল প্যাপিলন। কীভাবে? সে এক মহা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কাহিনি। দীর্ঘদিন ধরে বেস্ট সেলার।
“অপরিপক্ব কবি অনুকরণ করেন, পরিপক্ব কবি চুরি করেন। বাজে কবি যা নেয় তা নষ্ট করে, ভালো কবি যা নেন তা আরো ভালো করে তোলেন, অন্তত আলাদা কিছু তৈরি করেন। ভালো কবি অতুলনীয় অনুভূতিতে তার ‘চুরি’ সাজান, ‘চুরি’ করা জিনিস থেকে যা একদমই অন্যরকম।”
এরিক ব্রাইটিজ সলোমনের গুপ্তধন, শী, রিটার্ন অভ শী, অ্যালান কোয়াটারমেইন ইত্যাদি অতুলনীয় কাহিনি যাঁর হাত দিয়ে বেরিয়েছে, সেই হেনরী রাইডার হ্যাগার্ডের আর একটি চমৎকার শ্বাসরুদ্ধকর কাহিনি এরিক ব্রাইটিজ। দ্য প্লেগ ফরাসী বন্দর ওরাওঁ। ১৯৪- সাল। ১৬ এপ্রিল। ডাক্তার রিও বাসা থেকে বেরোতে গিয়ে সিঁড়িতে একটা মরা ইঁদুর দেখতে পেল। এই হলো শুরু। একজন-দুজন করে মরতে শুরু করল মানুষ। আতঙ্কে কুঁকড়ে গেল শহরবাসী। কর্তৃপক্ষ একে প্লেগ বলে স্বীকার করল না। বাড়তে লাগল সংক্রমণ, দলে দলে মরতে লাগল মানুষ। এমনি সময়ে বন্ধ হয়ে গেল শহরের সবগুলো ফটক। তারপর? আমি গুপ্তচর উনিশশো চোদ্দ সালের দোসরা আগস্ট। বেলজিয়াম আক্রমণ করল জার্মানরা, দখল করে নিল পুরো দেশটা। মিষ্টি মেয়ে মার্থা নোকার্ট। ঘরছাড়া হলো পরিবারের সবার সাথে । কাজ নিল সে হাসপাতালে, নার্সের। একদিন চুপিচুপি এল পারিবারিক বন্ধু লাসেল। বুকের মধ্যে কাঁপন ধরিয়ে দিল ওর কথাগুলো: ‘মার্থা, তুমি তো বুদ্ধিমতী মেয়ে। দেশের জন্যে কিছুই কি করার নেই তোমার?’ বদলে গেল মার্থা নোকার্ট । শুরু হলো ওর স্পাই-জীবন। গল্পের চেয়েও শ্বাসরুদ্ধকর সত্য ঘটনা।
দ্য লেডি অভ ব্লসহোম: জমিদার স্যর জন ফোটরেলের কিছু জমি দখল করতে চান ব্লসহোম অ্যাবির অধ্যক্ষ ক্রেমেন্ট মন্ডন। প্রতিবাদ করতে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হয়ে গেলেন স্যর জন। তাঁর অপ্রাপ্তবয়স্কা মেয়ে সিসিলি জানে না কী করতে হবে। শুধু জানে, এবার ওর পালা—হয় মারা পড়তে হবে বাবার মতোই, নয়তো আজীবন বন্দি থাকতে হবে সেম অ্যাবি-সংলগ্ন আশ্রমে। আপন বলতে মাত্র দু’জন আছে মেয়েটার পালক-মা এমিলিন স্টোয়ার আর প্রেমিক স্যর ক্রিস্টোফার হার্ট|শুরু হলো প্রচণ্ড ক্ষমতাবান ক্লেমেন্ট মন্ডনের বিরুদ্ধে ওদের তিনজনের সংগ্রাম। পদে পদে বাধা, বিপদ আর মৃত্যুর হাতছানি। কী হলো শেষপর্যন্ত? মেরি: প্রিয় পাঠক, কিংবদন্তির নায়ক অ্যালান কোয়াটারমেইনের স্মৃতিকথায় আপনাকে আরও একবার স্বাগতম। তিনি এবার শোনাচ্ছেন তাঁর কৈশোরের গল্প, প্রথম প্রেমের কাহিনী-‘রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে হাজার তারার ভিড়ে আজও ওকে খুঁজি আমি তখন ছলছল চোখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি একটা ছায়াকেমেরি ম্যারাইস, আমি ছাড়া যে-ছায়ার কথা ভুলে গেছে। সবাই কে এই মেরি? কী তার কাহিনী? ওর কথা বলতে এত বছর পর কেন মুখ খুলেছেন অ্যালান কোয়াটারমেইন?