জীভ্স্ অভ অল ট্রেডস সব কাজের কাজী বলতে যা বোঝায়, তা-ই হলো জীভ্স্। আদতে সম্ভ্রান্ত এক ধনী ব্যক্তির খানসামা, কিন্তু তার কর্মপরিধি জুতা সেলাই থেকে শুরু করে চণ্ডীপাঠ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই জীভ্সেরই মজাদার সব কাণ্ডকারখানা নিয়ে এ-বই। পড়তে-পড়তে কখনও মুচকি হাসি খেলে যাবে আপনার ঠোঁটে, কখনও-বা হেসে উঠবেন হো-হো করে। তার সঙ্গে যোগ হয় যদি প্রাচীন এক মূর্তি আর একটি বিস্ফোরক নোট-বই, তা হলে? বেউলফ দানব গ্রেনডেলের মাকে হত্যা করতে এসে উল্টো সেই মায়াবিনীরই জালে আটকা পড়ল বীর যোদ্ধা বেউলফ। মদির গলায় শর্ত জানাল মায়াবিনী: তাকে একটি সন্তান উপহার দিলে তবেই মিলবে মুক্তি। সুন্দরী পিশাচীর আহ্বানে সাড়া দিল রূপমুগ্ধ বীর যোদ্ধা। তারপর…
ডন ইগনাশিয়ো-শেষ অ্যাযটেক সম্রাটের বংশধর, দখলদার স্প্যানিয়ার্ডদের কবল থেকে মেক্সিকোকে উদ্ধারে বদ্ধপরিকর। জেমস স্ট্রিকল্যান্ড- চাকরি-হারানো সুদর্শন অকুতোভয় ইংরেজ। মায়া-রহস্যময়ী এক অপূর্ব সুন্দরী মেক্সিকান-ইন্ডিয়ান যুবতী। যিব্যালবেস্বার্থপর আর পাগলাটে এক সর্দার। কিংবদন্তির স্বর্ণ শহর কী এদের পরিণতি লিখে রেখেছে নিয়তি? সেজন্যই কি জান বাজি রেখে যিব্যালবে আর মেয়েকে বাঁচাতে গেলেন ইগনাশিয়ো আর স্ট্রিকল্যাণ্ড? সেজন্যই কি স্বর্ণ শহর অভিমুখে শুরু হলো অভিযান, ঘটতে লাগল একের পর এক ঘটনা? এবং সেজন্যই কি সিনর স্ট্রিকল্যাণ্ড শপথ করলেন, ‘আমার কাছ থেকে মেয়েকে আলাদা করতে পারবে না কেউ? প্রিয় পাঠক, ডন ইগনাশিয়ো লেখনীতে পুরো ঘটনার বর্ণনা স্যর হ্যাগার্ড এর কাছে পাঠিয়েছেন তাঁর জনৈক বন্ধু জোন্স (ছদ্মনাম)। বিশাল সে-কাহিনীরই রূপান্তর এখন আপনার হাতে। সত্যি করে বলুন তো, সুপ্রাচীন মায়া সভ্যতার উপর ভিত্তি করে লেখা বন্ধুত্ব, অ্যাডভেঞ্চার, প্রেম, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব আর প্রতিহিংসার এই অসাধারণ গল্পের পুরোটা না-পড়ে থাকতে পারবেন আপনি?
ওদের কাছে মানুষ স্রেফ শিকার। ওদের জীবনের একটাই লক্ষ্য-মানুষ খুন! ওদের নেশা-মানুষ খুন! ওরা ঠগি। ভয়ঙ্কর এই সম্প্রদায় আজ থেকে কয়েকশো বছর আগে দাপিয়ে বেড়ানো ভারতবর্ষের সর্বত্র। সাধারণ পথচারী ছদ্মবেশে পথিকদের সঙ্গে মিশে গিয়ে লুটে নিত তাদের সর্বস্ব। ওদের রুমালের ফাঁসে প্রাণ হারিয়েছে লক্ষ-লক্ষ নিরীহ মানুষ। নরহত্যা না করলে ওদের হাত নিশপিশ করত, ভাল ঘুম হত না! জেই ঠগিদেরই নৃশংস, নিষ্ঠুর, রোমাঞ্চকর জীবনের আখ্যান এ-বই। চলুন, পাঠক, আমির আলির সঙ্গী হয়ে ঘুরে আসি অতীত থেকে; নিজ চোখে দেখে আসি ভারতবর্ষের ত্রাস ঠগিদের কার্যকলাপ।
চলুন পাঠক, কিছু সময়ের জন্য গোয়েন্দা হয়ে যাই। কী ধরনের কেস চাই? খুন, চুরি-ডাকাতি, প্রতারণা, নাকি নিছক গুপ্তধন সন্ধানের রহস্য? আপনার জন্যে অপেক্ষা করছে ছ’টি জটিল, দুর্বোধ্য, মাথা-ঘোরানো রহস্য। সবই রয়েছে আমাদের হাতে। আর সেগুলো সমাধানের জন্যে আপনাকে সাহায্য করবে বিশ্বসেরা দুজন গোয়েন্দা – শার্লক হোমস ও মিস মার্পল। তা হলে আর দেরি কেন, চলুন, তাঁদের সঙ্গে ঢুঁ মেরে আসি অপরাধ জগতের আনাচে-কানাচে।
জার্মানি-১৯৪৫; মেলার্ন বন্দিশিবির। জীবন এখানে কাঁটাতারের বেড়ায় বন্দি। যুদ্ধের ঘূর্ণাবর্তে আটকা পড়া মানুষের জীবনে আর কী-ই বা অবশিষ্ট থাকে? কী-ই বা বাকি থাকে আশা, ভালবাসা, আপনজন-সব হারানো মানুষের জীবনে? থাকে… কেবল একটুখানি প্রাণের স্ফুলিঙ্গ… আর অদম্য প্রতিশোধ-স্পৃহা। মৃত্যুর দুয়ারে দাড়িয়েও তাই দাঁতে দাত চেপে এই বন্দিরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সমস্ত অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে। প্রাণপণে আঁকড়ে ধরেছে জীবনের শেষ স্ফুলিঙ্গ।
বড় ভাইয়ের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে গিয়েছিল ওলাফ। ইডুনা নামের ওই মেয়েকে অপছন্দ করল বড় ভাই, কিন্তু ভালো লাগল ওর। ওর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হলো ইডুনার। ওয়াণ্ডারার নামে পরিচিত এক সর্দারের কবরে একরাতে অতিপ্রাকৃত কিছু একটা দেখতে পেল ওরা। জানতে পারল, চাঁদনি রাতে নেকলেস পরে যখন দেখা দেন সর্দার, বড় বিপদ নেমে আসে ওদের এলাকায় নেকলেসটা কি তা হলে সত্যিই অভিশপ্ত? মানুষের জীবন বদলে দেয়ার ক্ষমতা কি আছে ওটার আসলেই? ওই নেকলেসের মোহে আচ্ছন্ন ইডুনা বলেছে, ওটা এনে দিতে না পারলে বিয়ে করবে না সে কাউকে। তাই একরাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে, মাটি খুঁড়ে ওয়াণ্ডারারের কবরে ঢুকে পড়ল ওলাফ।