দ্য লায়ন’স স্কিন মা’র করুণ মৃত্যুর বদলা নিতে ইংল্যাণ্ডে এসেছে ক্যারিল। উদ্দেশ্য: রাজদ্রোহিতার দায়ে ফাঁসিয়ে দেবে লর্ড অস্টারমোরকে, যিনি ওর জন্মদাতা হয়েও ওর সবচেয়ে বড় শত্রু। কিন্তু ঘটতে শুরু করল একের পর এক আজব ঘটনা। ক্যারিলের দ্বিধাবিভক্ত মন শোধ নেয়ার আগে ভালোবেসে ফেলল এক অসহায় অনাথ মেয়েকে। ওদিকে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতেছে ওরই সৎ ভাই, তাতে ধরা পড়লে নিশ্চিত মৃত্যুদণ্ড। শেষ পর্যন্ত যে-নাটকীয় ঘটনা ঘটল, সে-ব্যাপারে ঘুণাক্ষরেও কোনো ধারণা ছিল না ক্যারিলের। দক্ষিণের যাত্রী বন্দিশিবির থেকে এল পয়গাম। কিন্তু যথাযথ কর্তৃপক্ষের আচরণ কংস মামার মতো। মানবিকতার চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে রাজনীতির নোংরা খেলা। শেষ পর্যন্ত বাকি রইল একটা কাজই। বিপন্ন জাহাজের উদ্ধারে এগিয়ে চলল ওরা সাতজন। …মানুষগুলো কোথায়? প্রকৃতির হারামিপনা তো রয়েছেই, ষোলো কলা পূর্ণ করতে মুখ খিচাল রক্তলোভীর দল। প্রাণ বাঁচানোই এখন দায়। এত কিছু সামলে পাবে কি অভিযাত্রীরা সেই মানুষটির হদিস- যার আছে দুই জিভ, দুই হৃদপিণ্ড?
ওজের জাদুকর ক্যানসাসের দিগন্তজোড়া রুক্ষ তৃণপ্রান্তরের বুকে বাস করে ছোট্ট মেয়ে ডরোথি। ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় একদিন তাকে উড়িয়ে নিয়ে গেল দূরে, বহুদূরে–ধূসর বাস্তব থেকে কল্পনার বহুবর্ণ বিচিত্র জগতে। বাড়ি ফেরার কোন উপায় তার জানা নেই। সাহায্য করতে পারে শুধু একজন–মহাশক্তিমান ভয়াল ওজ। হলদে ইটের রাস্তা ধরে শত বাধা-বিঘœ পেরিয়ে যেতে হবে তারই কাছে। শুরু হলো তার আশ্চর্য অভিযান। হোয়াইট ফ্যাং হোয়াইট ফ্যাং। সুমেরুর এক অদ্ভুত কুকুর। না কুকুর, না নেকড়ে। কারণ, মা তার কুকুর হলেও বাপ ছিল জাত নেকড়ে। জন্মসূত্রে প্রাপ্ত মিশ্র-স্বভাব তাকে করে তুলেছে বদমেজাজী, নিঃসঙ্গ, হিংস্র। কিন্তু ভয়াবহ এই হিংস্রতার মাঝেও যে মানুষটিকে ভাল লেগে যায় তার জন্যে প্রাণ দিতেও কুণ্ঠা নেই। আ কানেক্টিকাট ইয়াংকী ইন কিং আর্থারস কোর্ট ঊনবিংশ শতাব্দীতে মাথায় শাবলের বাড়ি খেয়ে হ্যাঙ্ক মর্গানের জ্ঞান ফিরল রাজা আর্থারের ইংল্যান্ডে। কানেক্টিকাট ইয়াংকী, অর্থাৎ হ্যাঙ্ক মর্গান, তার সমস্ত বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ব্যবহার করে রাজার প্রধানমন্ত্রী বনে গেল, বুদ্ধির খেলায় হার মানাল ঝানু জাদুকর মার্লিনকে, এবং শেষ পর্যন্ত জয় করে নিল রাজ্য? কিন্তু কানেক্টিকাটে আর কোনদিন ফেরা হবে কি তার?
জেন্ডার বন্দি স্যার অ্যান্টনি হোপ হকিন্স ১৮৯৪ সালে লেখেন ‘দ্য প্রিজনার অভ জেন্ডার। প্রকাশের সাথে সাথে বইটি এত জনপ্রিয় হয় যে তিনি আইন ব্যবসা ছেড়ে লেখাকেই পেশা হিসেবে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন রুরিতানিয়া নামে কল্পিত এক দেশে রুডলফ র্যাসেনডিল নামের এক যুবকের রোমান্টিক অভিযানের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে এ বইটিতে। ব্ল্যাক হার্ট অ্যান্ড হোয়াইট হার্ট নিজের অর্জনক্ষমতার মধ্যে রয়েছে, এমন কোনকিছুর জন্যে বাসনা হলে তা থেকে ফিলিপ হ্যাডেন নিজেকে কখনও বঞ্চিত করেনি। শ্বেতাঙ্গ হ্যাডেন কেন দেশান্তরী হয়ে আফ্রিকার নাটালে এসেছিল তা কেউ জানে না। আইনের হাত এড়ানোর জন্যে একদিন সে সেখান থেকে বণিকের বেশে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়ল জুলুল্যান্ডে। রাজা সেটি ওয়েইয়ো-র কাছে তাঁর দেশে শিকারের অনুমতি চাইতে গিয়ে কঠিনএকসমস্যার ফাঁদে পা দিয়ে বসল। পালাতে হবে তাকে, যে-করেই হোক। এক টুকরো স্বর্গ পৃথিবীর অন্যতম এক নির্জন স্থানে বাসা বেঁধেছে এক মানব আর এক মানবী। সোনালি সীল খুঁজে চলেছে তারা মরিয়ার মত। পেল কি? এদিকে ওদের এক টুকরো স্বর্গে হানা দিয়েছে বিষধর সাপ। তারপর?
সাভোর মানুষখেকো সাভোতে রেলপথ তৈরির দায়িত্বে এসে মহাবিপদে পড়লেন কর্নেল জে, এ, প্যাটারসন।…নিখোঁজ হতে লাগল একজন-দু’জন করে কুলি। ঘটতে লাগল নিত্য-নতুন রোমহর্ষক ঘটনা। এ কাহিনি পড়তে নিলে ছাড়া যায় না। ক্যারি অন, জী ধনীর দুলাল, অকর্মার ঢেঁকি, উচ্চবংশীয় ইংরেজ বার্ট্রাম উস্টারের পরিচারকের (ভ্যালে) নাম জীভস। এই জীবনের তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের কল্যাণে বহু মারাত্মক বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়েছে উস্টার। অতি গভীর ব্যক্তি হাসি চাপতে পারবেন না এ-বই পড়তে গিয়ে। আ টেল অভ থ্রি লায়ন্স হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড/কাজী মায়মুর হোসেন দুর্ধর্ষ শিকারী অ্যালান কোয়াটারমেইনের তিনটি রোমহর্ষক কাহিনির সংকলন এ-বই। এতে রয়েছে হান্টার কোয়াটারমেইন, আ টেল অভ থ্রি লায়ন্স ও লং অর্স। হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের অন্যান্য কাহিনীর মত এগুলো আপনার ভাল লাগবে নিঃসন্দেহে।
অ্যানি ফ্র্যাঙ্কের ডায়েরী ছোট্ট মেয়ে অ্যানি ফ্র্যাঙ্ক। জন্মদিনে পাওয়া সবুজ একখানা ডায়েরীর পাতায় লিখেছে দিনপঞ্জী। কিন্তু ছোট্ট সেই মেয়েটির ডায়েরীটি বিশ্ববিখ্যাত হলো কী কারণে? কেন অনেকগুলো ভাষায় অনুবাদ করা হলো সেটি? কেন কেঁদে-কেটে আকুল হয়ে গেল গোটা পৃথিবীর মানুষ? কারণ, এতে স্পষ্ট ছবি পাওয়া যায়। যুদ্ধের সময় জার্মানদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে গিয়ে মানুষ যে কী কষ্ট করেছে, পাওয়া যায় তার প্রামাণ্য চিত্র। সান্স অ্যাণ্ড লাভার্স জারট্রুডে মোরেল একজন অসুখী মহিলা। সংসারে গরীবানা হাল তাঁর, স্বামীর সঙ্গে সদ্ভাব নেই। ফলে মিসেস মোরেল নিতান্ত বাধ্য হয়ে স্বামীর বদলে আঁকড়ে ধরলেন সন্তানদের, বিশেষ করে তিন ছেলেকে। মিসেস মোরেলের মেঝ ছেলে পলের মার প্রতি যেমন অন্ধ ভালবাসা, তেমনি অনুরাগ দুই বান্ধবী মিরিয়াম ও ক্লারার প্রতি। কাকে খুশি রাখবে সে, মাকে নাকি বান্ধবীদের-পলের এই টানাপড়েনের কাহিনিই লরেন্স ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর “সান্স অ্যাণ্ড লাভার্স” নামে সুবিখ্যাত বইটিতে।
"এটমিক হ্যাবিটস" উন্নত অভ্যাস তৈরির জন্য প্রকৃতপক্ষে সুনির্দিষ্ট কোনও উপায় নেই তবে এই বইটিতে লেখক তার অভিজ্ঞতা থেকে সবথেকে ভাল পদ্ধতির বর্ণনা করেছেন। আপনি যে ধারনাগুলির সহায়তায় একটি সফল ব্যবসা, একটি সুখী পরিবার এবং একটি সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে পারেন সেই কৌশলগুলো নিয়েই "এটমিক হ্যাবিটস" বইটিতে লেখক আলোচনা করেছেন। মানুষের আচরণ সর্বদা পরিবর্তিত হয়: পরিস্থিতি থেকে পরিস্থিতি, মুহূর্ত থেকে মুহূর্তে, ক্ষণ থেকে ক্ষণে। সহজে ভাল অভ্যাস গড়ে তোলা এবং খারাপ অভ্যাস দূর করে নিজেকে সফল হিসেবে গড়ে তুলতে "এটমিক হ্যাবিটস" বইটি আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।