ইংল্যান্ডের নরফোক কাউন্টির ডিচিংহাম ডিস্ট্রিক্ট শান্তিতেই কাটছিল আমাদের জীবন, এমনি সময়ে স্পেন থেকে এক লোক এসে খুন করল আমার মাকে। আমি তখন সদ্য প্রেমে পড়া তরুণ, ডাক্তারি শিখছি। | আমাকেই ছুটতে হলো হত্যাকারীর পিছনে। তারপর? তারপর ঘটনার পর ঘটনা, বিপদের পর বিপদ। কেউ বিশ্বাস করবে, দুই-দুইবার নরবলির পাথর থেকে বেঁচে ফিরে এসেছি আমি? বিশ্বাস করবে, এই আমি পুরো একটি বছর দেবতা ছিলাম আযটেকদের? বিয়ে হয়েছিল আমার সম্রাট মন্টেজুমার মেয়ের সঙ্গে? বিশ্বাস করবে, একমাত্র আমারই জানা আছে কোথায় লুকানো রয়েছে মন্টেজুমার বিপুল ধন-সম্পদ, সোনা? নির্মম নির্যাতন করেও স্প্যানিয়ার্ডরা আমার মুখ থেকে বের করতে পারেনি সেই গুপ্তধনের খবর । আপনি শুধু জানবেন কোথায় কীভাবে পুতি আমরা ওগুলো। হ্যা।
‘আলীবাবার গুহা’য় আপনাদেরকে স্বাগতম, পাঠক! এ গুহা বিশ্বসাহিত্যের নামজাদা লেখকদের দুর্লভ রত্নরাজিসম সব লেখক দিয়ে সাজানো। জীবনধর্মী মর্মস্পর্শী নানান গল্পের পাশাপাশি রহস্য-রোমাঞ্চ-গোয়েন্দা-অ্যাডভেঞ্চার ইত্যাদি কাহিনির কোনই কমতি নেই এখানে। এই মণি-মাণিক্যগুলো আবিষ্কারের নেশায় বুঁদ হয়ে গুহার গোলকধাঁধায় কখন হারিয়ে যাবেন টেরই পাবেন না। এবং একটা সময় উপলব্ধি করবেন আলীবাবার গুহা থেকে বেরুতেই মন চাইছে না!
দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূল ঘেঁষে যাচ্ছিল জাহাজটা। ভীষণ ঝড় উঠল সাগরে, জাহাজডুবি থেকে বেঁচে গেল রালফ নামের এক ইংরেজ ছেলে। ওকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে এল আমার মেয়ে সুয্যান। বোয়া হয়ে কী করে ঠাই দিই এক জাতশত্রুকে? কিন্তু নিয়তি চেয়েছিল আমাদের সঙ্গেই থাকুক রালফ ওর সঙ্গে মন দেয়া-নেয়া হোক সুয্যানের। চেয়েছিল ছেলেটার বংশ পরিচয়ের কারণে স্কটল্যান্ড থেকে আফ্রিকায় হাজির হোক দুই ইংরেজ। চেয়েছিল সুয্যানের রুপে উন্মত্ত হয়ে রাল্ফকে গুলি করুক আমার জাতভাই সোয়ার্ট পিয়েট। চেয়েছিল, সুয্যানের ত্রাণকর্ত্রী হিসেবে আবির্ভূত হোক আদিবাসী ডাকিনী সিহাম্বা গেনয়াঈা তারপর? তারপর কী চেরেল নিয়তি?
কালো কেশরওয়ালা ওই প্রাণীটা কি আসলেই সিংহ? নাকি কুহকী ক্ষমতাধারী এক ওঝা, রাতের অন্ধকারে সিংহের রূপ ধরে যে নরহত্যায় নামে? …ভয়ঙ্কর এক মানুষখেকো বাঘের অত্যাচারে মালয়ের রাবার শ্রমিকদের কাজ বন্ধ হওয়ার জোগাড়। …বাঘ আর চিতার জুটি বেঁধে শিকারের কথা কখনও শুনেছেন? …ল্যাংটংয়ের রেললাইনের চারপাশে আস্তানা গাড়া চার নরখাদকের হাত থেকে অসহায় মানুষগুলোকে কে রক্ষা করবে? …রাতের ওই অমানুষিক চিৎকারের মালিক কি উন্মাদ এক হাতি নাকি অশরীরী! জঙ্গলের গভীর থেকে বেরিয়ে আসা দুই ফুটি ভয়ানক চেহারার জিনিসটাই বা কী? ভারত, বার্মা, মালয় এবং আফ্রিকার জঙ্গলের রোমাঞ্চকর সব সত্যি কাহিনী নিয়ে জমজমাট এক বই। গণ্ডার, বুনো মোষ, বাঘ, চিতাবাঘ, পাগলা হাতি—কী নেই! উপরি হিসাবে আছে সিলেটের খুনে বাঘ আর জাল দিয়ে চিতা ধরার কাহিনী।অরণ্য ও রহস্য-রোমাঞ্চপ্রেমী পাঠকদের জন্য অবশ্যপাঠ্য।
সতেরো শতকের ফ্রান্স। চারদিকে বিপ্লবের ঘনঘটা। এমনই এক সময়ে বন্ধু হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে মহাবিপদে পড়ে গেল গ্যাব্রিয়েল গ্রামের সাধারণ যুবক আন্দ্রে-লুই। ফেঁসে গেল রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে, হুলিয়া জারি করা হলো ওর নামে। ধরা পড়লেই ঝুলতে হবে ফাঁসিতে। পালাল আন্দ্রে-লুই। টের পেল, এ-অবস্থায় বেঁচে থাকার উপায় একটাই—ছদ্মপরিচয় নেয়া। আর তাই জন্ম নিল স্কারামুশ বিপ্লবী, বিদূষক, প্রেমিক, তলোয়ারবাজ… বহুরূপী এক মহানায়ক। হাতছানি দিয়ে ডাকছে ও আমাদের। চলুন, পাঠক, কালজয়ী এ-নায়কের সঙ্গী হয়ে চলে যাই ফরাসি বিপ্লবের উত্তাল দিনগুলোয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। জার্মান বাহিনী মেতে উঠেছে লুণ্ঠন, হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ। প্রাণ বাঁচাবার তাগিদে ইয়োরোপ ছেড়ে পালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শরণার্থীরা। কিন্তু পালাবার বেশিরভাগ পথই রুদ্ধ; যদিও বা কোনও রাস্তা মেলে, তার মূল্য চড়া। এমনই এক অবস্থায়, পর্তুগালের লিসবনে, অসহায় এক শরণার্থী সামনে হঠাৎ উদয় হলো এক আগন্তুক আমেরিকায় যাবার টিকেট আর একটা গল্প নিয়ে। গল্পটা সাহসিকতা ও নৃশংসতার… প্রেম ও বেদনার। রাতভর চলতে থাকা সেই গল্পে ফুটে উঠবে যুদ্ধের ভয়াবহতা, ত্যাগের মহিমা আর অদম্য সংগ্রামের এক অসামান্য প্রতিচ্ছবি। পাঠক, চলুন না, আমরাও শুনি সেই গল্প।