নির্দোষ এক লোককে পুলিশ চক্রান্তে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দিয়ে দিল ফ্রান্সের আদালত। অন্তত, প্যাপিলনের তাই বক্তব্য। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে পাঠানো হলো তাকে দ্বীপান্তরে-ফ্রেঞ্চ গিয়ানায়। স্থির করল সে, পালাবে। যেমন করে হোক। এবং সত্যিই পালাল সে। কিন্তু মুক্তি কি পেল প্যাপিলন? না। বাঁধা পড়ল সে দুই নারীর প্রেমের বাঁধনে। তারপর? অনেক চেষ্টার পর অনেক দুঃখ-কষ্ট, প্ল্যান-প্রোগ্রাম ও পরিশ্রমের পর সত্যিই একদিন মুক্তি পেল প্যাপিলন। কীভাবে? সে এক মহা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কাহিনি। দীর্ঘদিন ধরে বেস্ট সেলার।
এরিক ব্রাইটিজ সলোমনের গুপ্তধন, শী, রিটার্ন অভ শী, অ্যালান কোয়াটারমেইন ইত্যাদি অতুলনীয় কাহিনি যাঁর হাত দিয়ে বেরিয়েছে, সেই হেনরী রাইডার হ্যাগার্ডের আর একটি চমৎকার শ্বাসরুদ্ধকর কাহিনি এরিক ব্রাইটিজ। দ্য প্লেগ ফরাসী বন্দর ওরাওঁ। ১৯৪- সাল। ১৬ এপ্রিল। ডাক্তার রিও বাসা থেকে বেরোতে গিয়ে সিঁড়িতে একটা মরা ইঁদুর দেখতে পেল। এই হলো শুরু। একজন-দুজন করে মরতে শুরু করল মানুষ। আতঙ্কে কুঁকড়ে গেল শহরবাসী। কর্তৃপক্ষ একে প্লেগ বলে স্বীকার করল না। বাড়তে লাগল সংক্রমণ, দলে দলে মরতে লাগল মানুষ। এমনি সময়ে বন্ধ হয়ে গেল শহরের সবগুলো ফটক। তারপর? আমি গুপ্তচর উনিশশো চোদ্দ সালের দোসরা আগস্ট। বেলজিয়াম আক্রমণ করল জার্মানরা, দখল করে নিল পুরো দেশটা। মিষ্টি মেয়ে মার্থা নোকার্ট। ঘরছাড়া হলো পরিবারের সবার সাথে । কাজ নিল সে হাসপাতালে, নার্সের। একদিন চুপিচুপি এল পারিবারিক বন্ধু লাসেল। বুকের মধ্যে কাঁপন ধরিয়ে দিল ওর কথাগুলো: ‘মার্থা, তুমি তো বুদ্ধিমতী মেয়ে। দেশের জন্যে কিছুই কি করার নেই তোমার?’ বদলে গেল মার্থা নোকার্ট । শুরু হলো ওর স্পাই-জীবন। গল্পের চেয়েও শ্বাসরুদ্ধকর সত্য ঘটনা।
দ্য লেডি অভ ব্লসহোম: জমিদার স্যর জন ফোটরেলের কিছু জমি দখল করতে চান ব্লসহোম অ্যাবির অধ্যক্ষ ক্রেমেন্ট মন্ডন। প্রতিবাদ করতে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হয়ে গেলেন স্যর জন। তাঁর অপ্রাপ্তবয়স্কা মেয়ে সিসিলি জানে না কী করতে হবে। শুধু জানে, এবার ওর পালা—হয় মারা পড়তে হবে বাবার মতোই, নয়তো আজীবন বন্দি থাকতে হবে সেম অ্যাবি-সংলগ্ন আশ্রমে। আপন বলতে মাত্র দু’জন আছে মেয়েটার পালক-মা এমিলিন স্টোয়ার আর প্রেমিক স্যর ক্রিস্টোফার হার্ট|শুরু হলো প্রচণ্ড ক্ষমতাবান ক্লেমেন্ট মন্ডনের বিরুদ্ধে ওদের তিনজনের সংগ্রাম। পদে পদে বাধা, বিপদ আর মৃত্যুর হাতছানি। কী হলো শেষপর্যন্ত? মেরি: প্রিয় পাঠক, কিংবদন্তির নায়ক অ্যালান কোয়াটারমেইনের স্মৃতিকথায় আপনাকে আরও একবার স্বাগতম। তিনি এবার শোনাচ্ছেন তাঁর কৈশোরের গল্প, প্রথম প্রেমের কাহিনী-‘রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে হাজার তারার ভিড়ে আজও ওকে খুঁজি আমি তখন ছলছল চোখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি একটা ছায়াকেমেরি ম্যারাইস, আমি ছাড়া যে-ছায়ার কথা ভুলে গেছে। সবাই কে এই মেরি? কী তার কাহিনী? ওর কথা বলতে এত বছর পর কেন মুখ খুলেছেন অ্যালান কোয়াটারমেইন?
ইংল্যান্ডের নরফোক কাউন্টির ডিচিংহাম ডিস্ট্রিক্ট শান্তিতেই কাটছিল আমাদের জীবন, এমনি সময়ে স্পেন থেকে এক লোক এসে খুন করল আমার মাকে। আমি তখন সদ্য প্রেমে পড়া তরুণ, ডাক্তারি শিখছি। | আমাকেই ছুটতে হলো হত্যাকারীর পিছনে। তারপর? তারপর ঘটনার পর ঘটনা, বিপদের পর বিপদ। কেউ বিশ্বাস করবে, দুই-দুইবার নরবলির পাথর থেকে বেঁচে ফিরে এসেছি আমি? বিশ্বাস করবে, এই আমি পুরো একটি বছর দেবতা ছিলাম আযটেকদের? বিয়ে হয়েছিল আমার সম্রাট মন্টেজুমার মেয়ের সঙ্গে? বিশ্বাস করবে, একমাত্র আমারই জানা আছে কোথায় লুকানো রয়েছে মন্টেজুমার বিপুল ধন-সম্পদ, সোনা? নির্মম নির্যাতন করেও স্প্যানিয়ার্ডরা আমার মুখ থেকে বের করতে পারেনি সেই গুপ্তধনের খবর । আপনি শুধু জানবেন কোথায় কীভাবে পুতি আমরা ওগুলো। হ্যা।
‘আলীবাবার গুহা’য় আপনাদেরকে স্বাগতম, পাঠক! এ গুহা বিশ্বসাহিত্যের নামজাদা লেখকদের দুর্লভ রত্নরাজিসম সব লেখক দিয়ে সাজানো। জীবনধর্মী মর্মস্পর্শী নানান গল্পের পাশাপাশি রহস্য-রোমাঞ্চ-গোয়েন্দা-অ্যাডভেঞ্চার ইত্যাদি কাহিনির কোনই কমতি নেই এখানে। এই মণি-মাণিক্যগুলো আবিষ্কারের নেশায় বুঁদ হয়ে গুহার গোলকধাঁধায় কখন হারিয়ে যাবেন টেরই পাবেন না। এবং একটা সময় উপলব্ধি করবেন আলীবাবার গুহা থেকে বেরুতেই মন চাইছে না!
দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূল ঘেঁষে যাচ্ছিল জাহাজটা। ভীষণ ঝড় উঠল সাগরে, জাহাজডুবি থেকে বেঁচে গেল রালফ নামের এক ইংরেজ ছেলে। ওকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে এল আমার মেয়ে সুয্যান। বোয়া হয়ে কী করে ঠাই দিই এক জাতশত্রুকে? কিন্তু নিয়তি চেয়েছিল আমাদের সঙ্গেই থাকুক রালফ ওর সঙ্গে মন দেয়া-নেয়া হোক সুয্যানের। চেয়েছিল ছেলেটার বংশ পরিচয়ের কারণে স্কটল্যান্ড থেকে আফ্রিকায় হাজির হোক দুই ইংরেজ। চেয়েছিল সুয্যানের রুপে উন্মত্ত হয়ে রাল্ফকে গুলি করুক আমার জাতভাই সোয়ার্ট পিয়েট। চেয়েছিল, সুয্যানের ত্রাণকর্ত্রী হিসেবে আবির্ভূত হোক আদিবাসী ডাকিনী সিহাম্বা গেনয়াঈা তারপর? তারপর কী চেরেল নিয়তি?