বাস্তুহারা হয়ে লন্ডনে এসে কপালগুণে ধনী ব্যবসায়ী হয়ে গেল হুবার্ট অভ হেস্টিংস, কিন্তু অভিজাত বংশের সুন্দরী অথচ রহস্যময়ী ব্লাশকে ভালোবেসে সব হারাতে হলো। পালিয়ে চলে গেল সে তাভানতিনসুয়ু-তে (পেরু), হয়ে গেল “সমুদ্র-দেবতা”। পরিচয় হলো কুইলার সঙ্গে, প্রেম আবার এল জীবনে, কিন্তু বিদ্রোহের আগুন আলাদা করে দিল দুজনকে। বাধল চ্যাকা-য়ুক্কা বনাম ক্যাছুয়া যুদ্ধ, ঝলসে উঠল হুবার্টের তরবারি “শিখা-তরঙ্গ”, ক্যাছুয়াদের সিংহাসনে বসার সুযোগ পেল কারি। একদিন এই লোকের জীবন বাঁচিয়েছে হুবার্ট, কিন্তু আজ রাজা হয়ে সেই কারিই বলছে দরকার হলে কুইলাকে পুড়িয়ে মারবে তারপরও কোনোদিন তুলে দেবে না হুবার্টের হাতে। পাতা হলো নিশ্ছিদ্র ফাদ, অপহৃত হলো মেয়েটা, ওকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠল হুবার্ট। কিন্তু শেষ রক্ষা বোধহয় হলো না, মৃত্যু-উপত্যকায় সদলবলে হাজির হলো প্রতিশোধপরায়ণ কারি। সুতরাং আরও একবার শিখা-তরঙ্গ হাতে নিতে হলো হুবার্টকে। হ্যাগার্ড এর আরেকটি চমকপ্রদ উপন্যাস। নিয়তির কাছে মানুষের অসহায় আত্মসমর্পণের আরেকটি অনন্যসাধারণ কাহিনি।
কথা ছিল, চিরশত্রু ফাংদের কবল থেকে আমার অপহৃত ছেলেকে উদ্ধার করবেন আবাটিদের রানি, তবে তার আগে ফাংদের সিংহ-মাথার দেবতার বিশাল মূর্তিটা গুঁড়িয়ে দিতে হবে। ফিরে এলাম লণ্ডনে। খুঁজে বের করলাম পুরনো এক বন্ধুকে, সঙ্গে জুটে গেল আরও দুজন। রাইফেল আর ডিনামাইটের বহর নিয়ে আমরা চারজন রওয়ানা হয়ে গেলাম মিশরের উদ্দেশে। কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা করে বসল পথপ্রদর্শক শ্যাডর্যাক, ধরা পড়ল আমার বন্ধু, সিংহের মুখে ছুঁড়ে দেয়া হলো ওকে। ওদিকে রানির প্রেমে বুঁদ হয়ে গেল আমাদের দলনেতা অলিভার, শোধ নিতে প্রস্তুত হলো রানির হবু স্বামী সেনাপতি যশুয়া, গভীর রাতে অলিভারের ঘরে ছুরি নিয়ে ঢুকল আততায়ী। মাহেন্দ্রক্ষণে ফাঁস হলো ষড়যন্ত্র: সরিয়ে নেয়া হয়েছে প্রহরীদের, এবার অপহৃত হয়ে যেতে পারেন রানি নিজেই। শুরু হয়ে গেল আবাটিদের গৃহযুদ্ধ, রানির প্রাসাদে লাগল আগুন, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভি্যোগে বিচারের সম্মুখীন হলাম আমরা, যার রায় হতে পারে একটি-মৃত্যুদণ্ড। বজ্রাহতের মতো প্রত্যক্ষ করলাম আমরা রানীর ছলনাময়ী রূপ। তারপর?
আফ্রিকায় এলাম । কেন এলাম? চট করে সে উত্তর দিতে পারব না । তবে টাকার কথা দিয়ে আরম্ভ করতে পারি । আমি ধনী। বাবার কাছ থেকে পাই তিরিশ লাখ ডলার। কিন্তু আমার চালচলন ভবঘুরের মত। …জীবনের অর্থ খুঁজতে আফ্রিকায় এল হেণ্ডারসন। তারপর জড়িয়ে পড়ল নানা ধরনের রোমাঞ্চকর ঘটনায়। বন্দি হলো আদিবাসীদের হাতে। শেষ পর্যন্ত কি প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারল সে? সংগ্রহে রাখার মত একটি বই। প্রাঞ্জল অনুবাদ। টানটান উত্তেজনায় ঠাসা।
আ টেল অভ টু সিটিজ প্যারিস ও লণ্ডন-দুই নগরীর কাহিনি নিয়ে এই বিশ্ববিখ্যাত বই। অভিজাত শ্রেণীর অনাচার ও অত্যাচারে বীতশ্রদ্ধ তাদেরই একজন, চার্লস এভরেমঁদে, ফ্রান্স থেকে চলে এসেছে ইংল্যান্ডে। এরপরেই ঘটল ফরাসী বিপ্লবের। অভিজাতদের ধরে ধরে চড়ানো হচ্ছে গিলোটিনে। এমনি সময়ে চিঠি এল, সে না ফিরলে ফাঁসী হয়ে যাবে চার্লসের এক নিরপরাধ কর্মচারীর। কাউকে কিছু না বলে ফ্রান্সে ফিরে এল এভরেমঁদে। কিন্তু প্যারিস পৌছবার আগেই ধরা পড়ে গেল বিপ্লবীদের হাতে। এবার? টম জোনস পালক পুত্র টম জোনসকে ভারি ভালবাসেন মি, অলওয়ার্দি। টমও তাঁকে সাঙ্ঘাতিক শ্রদ্ধা করে। কিন্তু মুশকিল হলো, একটা না একটা ঝামেলা সব সময় বাধিয়েই রাখে টম। তার দুরন্তপনায় লোকে অতিষ্ঠ। ভাগ্নে ব্লিফিলের প্ররোচনায় মি. অলওয়ার্দি একদিন বাড়ি থেকে বের করে দিলেন টমকে। অকূল পাথারে পড়ল টম। কারণ, ইতোমধ্যে সে প্রতিবেশীর কন্যা সোফিয়া ওয়েস্টার্নকে ভালবেসে ফেলেছে। কিন্তু ওর মত এক কপর্দকহীন যুবকের কাছে কিছুতেই মেয়ের বিয়ে দেবেন না সোফিয়ার বাবা। তিনি মেয়ের বিয়ে দিতে চান মি, অলওয়ার্দির ভাগ্নে ব্লিফিলের সঙ্গে। কিন্তু এ বিয়েতে সোফিয়ার বিন্দুমাত্র মত নেই। কী করে ঠেকাবে সে ব্লিফিলকে? কিংকং বিখ্যাত চিত্রপরিচালক ডেনহ্যাম তাঁর দর্শকদের ভিন্নধর্মী অ্যাডভেঞ্চার সিনেমা উপহার দেয়ার জন্য চলে এলেন ‘খুলি দ্বীপ’ নামে সুমাত্রার এক প্রাগৈতিহাসিক দ্বীপে। ওই দ্বীপে বাস করে এক মহাদানব-কিংকং। একে নিয়েই ছবি বানানোর পরিকল্পনা করেছেন ডেনহ্যাম। কিন্তু মূর্তিমান আতঙ্কটির হাতে বন্দি হলো ছবির নায়িকা অ্যানডোরা। জীবনবাজি রেখে অ্যানডোরাকে শুধু উদ্ধারই নয়, কিংকংকে কৌশলে নিউ ইয়র্কে ধরে নিয়ে এলেন দুঃসাহসী ডেনহ্যাম। তারপর? সে এক রুদ্ধশ্বাস কাহিনি।
রূপসী বন্দিনী প্রায় চল্লিশ বছর বয়সী এক প্রবীণ যোদ্ধাকে দায়িত্ব দিলেন ফ্রান্সের রানি: দোফিনির সুরক্ষিত দুর্গ কোন্দিয়াক থেকে উদ্ধার করে আনতে হবে রূপসী এক তরুণী বন্দিনীকে। মহাবিপদেই পড়েছে মসিয়ো গাখনাশ। একটা মেয়েকে উদ্ধার করে আনতে চলেছে ও ভয়ঙ্কর এক নিষ্ঠুর, লোভী মহিলার কবল থেকে; অপর একজন মহিলার আদেশে! ও যদি এখন সব গুবলেট করে ফেলে, দোষটা কী ওর? আ স্টাডি ইন স্কারলেট নির্জন, খালি একটা বাড়িতে পাওয়া গেল লাশ। চারপাশে ছড়ানো ফোঁটা ফোটা রক্ত, আর রক্তে লেখা অদ্ভুত একটা শব্দ ছাড়া আর কোনও সূত্র নেই। দিশেহারা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বাধ্য হলো দুঁদে এক গোয়েন্দার সাহায্য নিতে তার নাম শার্লক হোমস! বিশ্ববিখ্যাত এই গোয়েন্দাকে নিয়ে সার আর্থার কোনান ডয়েলের লেখা প্রথম উপন্যাস। ধরলে ছাড়ার উপায় নেই। অতীন্দ্রিয় উপাখ্যান কেনেথ এণ্ডারসনের জীবনের কয়েকটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কাহিনি নিয়ে এই সংকলনগ্রন্থ। ‘নিঃসঙ্গ আততায়ী’ আর ‘বিষাক্ত থাবা’তে পাবেন চিরচেনা সেই দুর্ধর্ষ শিকারী এন্ডারসন। অতীন্দ্রিয় উপাখ্যান’ পরিচয় করিয়ে দেবে রহস্যময়, আধিভৌতিক এক জগতের সঙ্গে। ভিন্ন স্বাদের দুই কাহিনি ‘ভোগান্তি’ এবং ‘নারী শিকারী ও নিঃসন্দেহে আনন্দ দেবে বৈচিত্র্যপিয়াসী পাঠকমনকে।
দুহাজার বছর ধরে অপেক্ষা করছে সে, তার ক্যালিক্রেটিস আসবে। যে দয়িতকে নিজহাতে হত্যা করেছিল, পুনর্জন্ম নিয়ে আসবে সে তার প্রেম গ্রহণ করতে। এল ক্যালিক্রেটিস তাকে অনন্ত যৌবন দেয়ার জন্যে রহস্যময় আগুনের কাছে নিয়ে গেল… তারপর? মৃত্যুর আগ-মুহূর্তে বলে গেছে আয়শা, আবার সে আসবে।অন্তত একবারের জন্যে হলেও সে সুন্দর হবে। কিন্তু কী করে? জানে না লিও ভিনসি, জানে না হোরেস হলি। অবশেষে সত্যিই একদিন দৈব-সংকেত পেল ওরা, আয়শা ডাকছে। দুর্গম পর্বতমালা, দুস্তর মরুভূমি পেরিয়ে রওনা হলো লিও ও হলি। আয়শার খোঁজ কি ওরা পাবে?