চলুন পাঠক, কিছু সময়ের জন্য গোয়েন্দা হয়ে যাই। কী ধরনের কেস চাই? খুন, চুরি-ডাকাতি, প্রতারণা, নাকি নিছক গুপ্তধন সন্ধানের রহস্য? আপনার জন্যে অপেক্ষা করছে ছ’টি জটিল, দুর্বোধ্য, মাথা-ঘোরানো রহস্য। সবই রয়েছে আমাদের হাতে। আর সেগুলো সমাধানের জন্যে আপনাকে সাহায্য করবে বিশ্বসেরা দুজন গোয়েন্দা – শার্লক হোমস ও মিস মার্পল। তা হলে আর দেরি কেন, চলুন, তাঁদের সঙ্গে ঢুঁ মেরে আসি অপরাধ জগতের আনাচে-কানাচে।
জার্মানি-১৯৪৫; মেলার্ন বন্দিশিবির। জীবন এখানে কাঁটাতারের বেড়ায় বন্দি। যুদ্ধের ঘূর্ণাবর্তে আটকা পড়া মানুষের জীবনে আর কী-ই বা অবশিষ্ট থাকে? কী-ই বা বাকি থাকে আশা, ভালবাসা, আপনজন-সব হারানো মানুষের জীবনে? থাকে… কেবল একটুখানি প্রাণের স্ফুলিঙ্গ… আর অদম্য প্রতিশোধ-স্পৃহা। মৃত্যুর দুয়ারে দাড়িয়েও তাই দাঁতে দাত চেপে এই বন্দিরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সমস্ত অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে। প্রাণপণে আঁকড়ে ধরেছে জীবনের শেষ স্ফুলিঙ্গ।
বড় ভাইয়ের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে গিয়েছিল ওলাফ। ইডুনা নামের ওই মেয়েকে অপছন্দ করল বড় ভাই, কিন্তু ভালো লাগল ওর। ওর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হলো ইডুনার। ওয়াণ্ডারার নামে পরিচিত এক সর্দারের কবরে একরাতে অতিপ্রাকৃত কিছু একটা দেখতে পেল ওরা। জানতে পারল, চাঁদনি রাতে নেকলেস পরে যখন দেখা দেন সর্দার, বড় বিপদ নেমে আসে ওদের এলাকায় নেকলেসটা কি তা হলে সত্যিই অভিশপ্ত? মানুষের জীবন বদলে দেয়ার ক্ষমতা কি আছে ওটার আসলেই? ওই নেকলেসের মোহে আচ্ছন্ন ইডুনা বলেছে, ওটা এনে দিতে না পারলে বিয়ে করবে না সে কাউকে। তাই একরাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে, মাটি খুঁড়ে ওয়াণ্ডারারের কবরে ঢুকে পড়ল ওলাফ।
রক্ষণশীল চীনা তরুণী কোয়েই-লান। জন্মের আগেই হয়ে গেছে বাগদান! মায়ের কঠোর প্রশিক্ষণে হয়ে উঠছে সে বিবাহযোগ্যা। কিন্তু বিয়ের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে, অনিশ্চয়তার কালো মেঘ ভিড় করছে কোয়েলের মনে। পাশ্চাত্য-শিক্ষায় শিক্ষিত ওর হবু বর এমন সব ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী, চীনাদের পারিবারিক আদর্শের সঙ্গে যা রীতিমতো সাংঘর্ষিক। বিয়ের পর পরিস্থিতি ঠেলে দিল ওদেরকে বাড়ির বাইরে। পদে পদে অনুভব করতে লাগল মেয়েটি, কতটা প্রকট হতে পারে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার দ্বন্দ্ব!
দক্ষ স্নাইপার বব লি সোয়েগারকে ভাড়া করা হয় গোপন এক মিশনের জন্য; কিন্তু ভয়ঙ্কর সেই মিশনে নেমেই বব বুঝতে পারে ঘটনা অন্য রকম-বিরাট এক ষড়যন্ত্র ভেদ করে বব লি সোয়েগার কি পারবে নিজের জীবন নিয়ে ফিরে আসতে-জবাবটা নিহিত আছে স্টিফেন হান্টারের অসাধারণ থৃলার পয়েন্ট অব ইমপ্যাক্ট-এ।
বর্তমান সময়ে সবচাইতে আলোচিত একটি বই নো ইজি ডে। সাবেক নেভি সিল কমান্ডো ম্যাট বিসোনেট (এই বইয়ের জন্য মাক ওয়েন ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন) সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন ওসামা বিন লাদেনের কিলিং মিশনে। সেই অভিযানের একমাত্র নির্ভরযোগ্য বর্ণনার পাশাপাশি এই বইতে উঠে এসেছে আমেরিকান স্পেশাল ফোর্সের অভ্যন্তরের বিশদ চিত্র আর অসংখ্য মিলিটারি অপারেশনের নিখুঁত বিবরণ, সেইসাথে বিন লাদেনকে খুঁজেবের করার সত্যিকারের গল্প। পাঠক মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে এর আস্বাদ নেবেন।