ট্রেজার আইল্যান্ড জাহাজে চেপে চলল জিম গুপ্তধনের দ্বীপে । এমন সব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করল, যা বর্ণনা করে অমর হয়ে গেছেন রবার্ট লুই স্টিভেনসন। রক্তবীজ কাউন্ট ড্রাকুলার তৃতীয় পুত্র মিচলিনো শোনাচ্ছে এক আশ্চর্য পিশাচ কাহিনি। গা ছমছমে এক অনবদ্য উপন্যাস । স্যামসন-ডেলায়লা ইহুদি সমাজপতিদের কথা কানে তুলল না স্যামসন। পুড়ে মরল পুতুল -পূজারিণী ফিলিস্তিনি কন্যা রূপসী ডেলায়লার প্রেমে। দৈববাণী ছিল, মদ স্পর্শ করতে পারবে না স্যামসন। কিন্তু সে কথাও আমান্য করল ও। কী হলো তার পরিণতি?
দ্য লায়ন’স স্কিন মা’র করুণ মৃত্যুর বদলা নিতে ইংল্যাণ্ডে এসেছে ক্যারিল। উদ্দেশ্য: রাজদ্রোহিতার দায়ে ফাঁসিয়ে দেবে লর্ড অস্টারমোরকে, যিনি ওর জন্মদাতা হয়েও ওর সবচেয়ে বড় শত্রু। কিন্তু ঘটতে শুরু করল একের পর এক আজব ঘটনা। ক্যারিলের দ্বিধাবিভক্ত মন শোধ নেয়ার আগে ভালোবেসে ফেলল এক অসহায় অনাথ মেয়েকে। ওদিকে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতেছে ওরই সৎ ভাই, তাতে ধরা পড়লে নিশ্চিত মৃত্যুদণ্ড। শেষ পর্যন্ত যে-নাটকীয় ঘটনা ঘটল, সে-ব্যাপারে ঘুণাক্ষরেও কোনো ধারণা ছিল না ক্যারিলের। দক্ষিণের যাত্রী বন্দিশিবির থেকে এল পয়গাম। কিন্তু যথাযথ কর্তৃপক্ষের আচরণ কংস মামার মতো। মানবিকতার চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে রাজনীতির নোংরা খেলা। শেষ পর্যন্ত বাকি রইল একটা কাজই। বিপন্ন জাহাজের উদ্ধারে এগিয়ে চলল ওরা সাতজন। …মানুষগুলো কোথায়? প্রকৃতির হারামিপনা তো রয়েছেই, ষোলো কলা পূর্ণ করতে মুখ খিচাল রক্তলোভীর দল। প্রাণ বাঁচানোই এখন দায়। এত কিছু সামলে পাবে কি অভিযাত্রীরা সেই মানুষটির হদিস- যার আছে দুই জিভ, দুই হৃদপিণ্ড?
জেন্ডার বন্দি স্যার অ্যান্টনি হোপ হকিন্স ১৮৯৪ সালে লেখেন ‘দ্য প্রিজনার অভ জেন্ডার। প্রকাশের সাথে সাথে বইটি এত জনপ্রিয় হয় যে তিনি আইন ব্যবসা ছেড়ে লেখাকেই পেশা হিসেবে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন রুরিতানিয়া নামে কল্পিত এক দেশে রুডলফ র্যাসেনডিল নামের এক যুবকের রোমান্টিক অভিযানের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে এ বইটিতে। ব্ল্যাক হার্ট অ্যান্ড হোয়াইট হার্ট নিজের অর্জনক্ষমতার মধ্যে রয়েছে, এমন কোনকিছুর জন্যে বাসনা হলে তা থেকে ফিলিপ হ্যাডেন নিজেকে কখনও বঞ্চিত করেনি। শ্বেতাঙ্গ হ্যাডেন কেন দেশান্তরী হয়ে আফ্রিকার নাটালে এসেছিল তা কেউ জানে না। আইনের হাত এড়ানোর জন্যে একদিন সে সেখান থেকে বণিকের বেশে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়ল জুলুল্যান্ডে। রাজা সেটি ওয়েইয়ো-র কাছে তাঁর দেশে শিকারের অনুমতি চাইতে গিয়ে কঠিনএকসমস্যার ফাঁদে পা দিয়ে বসল। পালাতে হবে তাকে, যে-করেই হোক। এক টুকরো স্বর্গ পৃথিবীর অন্যতম এক নির্জন স্থানে বাসা বেঁধেছে এক মানব আর এক মানবী। সোনালি সীল খুঁজে চলেছে তারা মরিয়ার মত। পেল কি? এদিকে ওদের এক টুকরো স্বর্গে হানা দিয়েছে বিষধর সাপ। তারপর?
সাভোর মানুষখেকো সাভোতে রেলপথ তৈরির দায়িত্বে এসে মহাবিপদে পড়লেন কর্নেল জে, এ, প্যাটারসন।…নিখোঁজ হতে লাগল একজন-দু’জন করে কুলি। ঘটতে লাগল নিত্য-নতুন রোমহর্ষক ঘটনা। এ কাহিনি পড়তে নিলে ছাড়া যায় না। ক্যারি অন, জী ধনীর দুলাল, অকর্মার ঢেঁকি, উচ্চবংশীয় ইংরেজ বার্ট্রাম উস্টারের পরিচারকের (ভ্যালে) নাম জীভস। এই জীবনের তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের কল্যাণে বহু মারাত্মক বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়েছে উস্টার। অতি গভীর ব্যক্তি হাসি চাপতে পারবেন না এ-বই পড়তে গিয়ে। আ টেল অভ থ্রি লায়ন্স হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড/কাজী মায়মুর হোসেন দুর্ধর্ষ শিকারী অ্যালান কোয়াটারমেইনের তিনটি রোমহর্ষক কাহিনির সংকলন এ-বই। এতে রয়েছে হান্টার কোয়াটারমেইন, আ টেল অভ থ্রি লায়ন্স ও লং অর্স। হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের অন্যান্য কাহিনীর মত এগুলো আপনার ভাল লাগবে নিঃসন্দেহে।
যারা আমার, অর্থাৎ অ্যালান কোয়াটারমেইনের নাম শুনেছেন, তাঁরা হয়তো ভাবতে পারেন, ফুলের সঙ্গে এই লোকের কী সম্পর্ক। বিশেষ করে তা যদি হয় আবার অর্কিড। কিন্তু অতীতে একবার এমন চমকপ্রদ এক অর্কিড অভিযানে আমি অংশ নিয়েছিলাম যে, আমার মনে হয় তার বিস্তারিত বর্ণনা না লিখে রাখাটা অন্যায় হবে। পাঠক, যাবেন নাকি আমার সঙ্গে লিমপোপো নদীর উত্তরে সেই দুর্গম অঞ্চলে হাজারো বিপদের মুখোমুখি হতে? নেবেন সেই বিস্ময়কর অভিযানে অংশ? চলুন তা হলে। কথা দিতে পারি, নরখাদক রহস্যময় পঙ্গো জাতির হাতে বেঘোরে খুন হয়ে যাবেন না।
স্যাবটাজ ১৯৪৩ সাল। আফ্রিকা-বিজয়ের পর সিসিলি হয়ে আসতে চাইছে মিত্রবাহিনী ইউরোপের অধিকৃত মেইনল্যাণ্ডে। কিন্তু তার আগে ক্যারিডি নামের বিশাল এক জার্মান ট্রেন ফেরি ডুবাতে না পারলে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে সমস্ত আক্রমণ। বার কয়েক ব্যর্থ চেষ্টার পর স্যাবটাজ-টিমের নেতৃত্বের ভার পড়ল মেজর রাহাতের ওপর। রওনা হলো সে অসাধ্য সাধনে, যেমন করে হোক ডুবিয়ে দেবে ক্যারিডি। বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স-চিফের যুবক বয়সের এক রোমহর্ষক কাহিনি। দাগী আসামী দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ চলছে।আজকের মেজর জেনারেল (অব.) রাহাত খান তখন এক তরুণ মেজর। হঠাৎ এক দায়িত্ব চাপল কাঁধে-কোর্টমার্শালে সাজা পাওয়া বারোজন কয়েদিকে দক্ষ করে তুলতে হবে স্যাবটাজে। সুইসাইড স্কোয়াড হিসেবে নাৎসি লাইনের পেছনে কাজ করবে এরা। নেতৃত্বে থাকতে হবে তাকে। ভয়ঙ্কর সব লোকজন; খুনে, বদমাশ। পারবে রাহাত ওদের বাগে আনতে?