কালো কেশরওয়ালা ওই প্রাণীটা কি আসলেই সিংহ? নাকি কুহকী ক্ষমতাধারী এক ওঝা, রাতের অন্ধকারে সিংহের রূপ ধরে যে নরহত্যায় নামে? …ভয়ঙ্কর এক মানুষখেকো বাঘের অত্যাচারে মালয়ের রাবার শ্রমিকদের কাজ বন্ধ হওয়ার জোগাড়। …বাঘ আর চিতার জুটি বেঁধে শিকারের কথা কখনও শুনেছেন? …ল্যাংটংয়ের রেললাইনের চারপাশে আস্তানা গাড়া চার নরখাদকের হাত থেকে অসহায় মানুষগুলোকে কে রক্ষা করবে? …রাতের ওই অমানুষিক চিৎকারের মালিক কি উন্মাদ এক হাতি নাকি অশরীরী! জঙ্গলের গভীর থেকে বেরিয়ে আসা দুই ফুটি ভয়ানক চেহারার জিনিসটাই বা কী? ভারত, বার্মা, মালয় এবং আফ্রিকার জঙ্গলের রোমাঞ্চকর সব সত্যি কাহিনী নিয়ে জমজমাট এক বই। গণ্ডার, বুনো মোষ, বাঘ, চিতাবাঘ, পাগলা হাতি—কী নেই! উপরি হিসাবে আছে সিলেটের খুনে বাঘ আর জাল দিয়ে চিতা ধরার কাহিনী।অরণ্য ও রহস্য-রোমাঞ্চপ্রেমী পাঠকদের জন্য অবশ্যপাঠ্য।
সতেরো শতকের ফ্রান্স। চারদিকে বিপ্লবের ঘনঘটা। এমনই এক সময়ে বন্ধু হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে মহাবিপদে পড়ে গেল গ্যাব্রিয়েল গ্রামের সাধারণ যুবক আন্দ্রে-লুই। ফেঁসে গেল রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে, হুলিয়া জারি করা হলো ওর নামে। ধরা পড়লেই ঝুলতে হবে ফাঁসিতে। পালাল আন্দ্রে-লুই। টের পেল, এ-অবস্থায় বেঁচে থাকার উপায় একটাই—ছদ্মপরিচয় নেয়া। আর তাই জন্ম নিল স্কারামুশ বিপ্লবী, বিদূষক, প্রেমিক, তলোয়ারবাজ… বহুরূপী এক মহানায়ক। হাতছানি দিয়ে ডাকছে ও আমাদের। চলুন, পাঠক, কালজয়ী এ-নায়কের সঙ্গী হয়ে চলে যাই ফরাসি বিপ্লবের উত্তাল দিনগুলোয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। জার্মান বাহিনী মেতে উঠেছে লুণ্ঠন, হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ। প্রাণ বাঁচাবার তাগিদে ইয়োরোপ ছেড়ে পালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শরণার্থীরা। কিন্তু পালাবার বেশিরভাগ পথই রুদ্ধ; যদিও বা কোনও রাস্তা মেলে, তার মূল্য চড়া। এমনই এক অবস্থায়, পর্তুগালের লিসবনে, অসহায় এক শরণার্থী সামনে হঠাৎ উদয় হলো এক আগন্তুক আমেরিকায় যাবার টিকেট আর একটা গল্প নিয়ে। গল্পটা সাহসিকতা ও নৃশংসতার… প্রেম ও বেদনার। রাতভর চলতে থাকা সেই গল্পে ফুটে উঠবে যুদ্ধের ভয়াবহতা, ত্যাগের মহিমা আর অদম্য সংগ্রামের এক অসামান্য প্রতিচ্ছবি। পাঠক, চলুন না, আমরাও শুনি সেই গল্প।
জীভ্স্ অভ অল ট্রেডস সব কাজের কাজী বলতে যা বোঝায়, তা-ই হলো জীভ্স্। আদতে সম্ভ্রান্ত এক ধনী ব্যক্তির খানসামা, কিন্তু তার কর্মপরিধি জুতা সেলাই থেকে শুরু করে চণ্ডীপাঠ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই জীভ্সেরই মজাদার সব কাণ্ডকারখানা নিয়ে এ-বই। পড়তে-পড়তে কখনও মুচকি হাসি খেলে যাবে আপনার ঠোঁটে, কখনও-বা হেসে উঠবেন হো-হো করে। তার সঙ্গে যোগ হয় যদি প্রাচীন এক মূর্তি আর একটি বিস্ফোরক নোট-বই, তা হলে? বেউলফ দানব গ্রেনডেলের মাকে হত্যা করতে এসে উল্টো সেই মায়াবিনীরই জালে আটকা পড়ল বীর যোদ্ধা বেউলফ। মদির গলায় শর্ত জানাল মায়াবিনী: তাকে একটি সন্তান উপহার দিলে তবেই মিলবে মুক্তি। সুন্দরী পিশাচীর আহ্বানে সাড়া দিল রূপমুগ্ধ বীর যোদ্ধা। তারপর…
ডন ইগনাশিয়ো-শেষ অ্যাযটেক সম্রাটের বংশধর, দখলদার স্প্যানিয়ার্ডদের কবল থেকে মেক্সিকোকে উদ্ধারে বদ্ধপরিকর। জেমস স্ট্রিকল্যান্ড- চাকরি-হারানো সুদর্শন অকুতোভয় ইংরেজ। মায়া-রহস্যময়ী এক অপূর্ব সুন্দরী মেক্সিকান-ইন্ডিয়ান যুবতী। যিব্যালবেস্বার্থপর আর পাগলাটে এক সর্দার। কিংবদন্তির স্বর্ণ শহর কী এদের পরিণতি লিখে রেখেছে নিয়তি? সেজন্যই কি জান বাজি রেখে যিব্যালবে আর মেয়েকে বাঁচাতে গেলেন ইগনাশিয়ো আর স্ট্রিকল্যাণ্ড? সেজন্যই কি স্বর্ণ শহর অভিমুখে শুরু হলো অভিযান, ঘটতে লাগল একের পর এক ঘটনা? এবং সেজন্যই কি সিনর স্ট্রিকল্যাণ্ড শপথ করলেন, ‘আমার কাছ থেকে মেয়েকে আলাদা করতে পারবে না কেউ? প্রিয় পাঠক, ডন ইগনাশিয়ো লেখনীতে পুরো ঘটনার বর্ণনা স্যর হ্যাগার্ড এর কাছে পাঠিয়েছেন তাঁর জনৈক বন্ধু জোন্স (ছদ্মনাম)। বিশাল সে-কাহিনীরই রূপান্তর এখন আপনার হাতে। সত্যি করে বলুন তো, সুপ্রাচীন মায়া সভ্যতার উপর ভিত্তি করে লেখা বন্ধুত্ব, অ্যাডভেঞ্চার, প্রেম, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব আর প্রতিহিংসার এই অসাধারণ গল্পের পুরোটা না-পড়ে থাকতে পারবেন আপনি?
ওদের কাছে মানুষ স্রেফ শিকার। ওদের জীবনের একটাই লক্ষ্য-মানুষ খুন! ওদের নেশা-মানুষ খুন! ওরা ঠগি। ভয়ঙ্কর এই সম্প্রদায় আজ থেকে কয়েকশো বছর আগে দাপিয়ে বেড়ানো ভারতবর্ষের সর্বত্র। সাধারণ পথচারী ছদ্মবেশে পথিকদের সঙ্গে মিশে গিয়ে লুটে নিত তাদের সর্বস্ব। ওদের রুমালের ফাঁসে প্রাণ হারিয়েছে লক্ষ-লক্ষ নিরীহ মানুষ। নরহত্যা না করলে ওদের হাত নিশপিশ করত, ভাল ঘুম হত না! জেই ঠগিদেরই নৃশংস, নিষ্ঠুর, রোমাঞ্চকর জীবনের আখ্যান এ-বই। চলুন, পাঠক, আমির আলির সঙ্গী হয়ে ঘুরে আসি অতীত থেকে; নিজ চোখে দেখে আসি ভারতবর্ষের ত্রাস ঠগিদের কার্যকলাপ।