কে এই কোনান? পরোপকারী এক স্বাধীন বীর। কোথাও অন্যায় অবিচার-অত্যাচার দেখলে রুখে দাঁড়ায়। তবে ওর প্রতিবাদের ধরনটা বুনো। কোমল আচরণের কোনও বালাই নেই সিমেরিয়ান যুবকটির মাঝে। কোনানের সাফ কথা: যা ওর ভালো মনে হবে, তা-ই করবে সে পথে যদি কোনও বাধা এসে দাঁড়ায়, সঙ্গে-সঙ্গে উপড়ে ফেলবে। আসুন, এই আদিম, বর্বর যুবকটির সঙ্গে পরিচিত হই। ঘুরে আসি সমৃদ্ধ অতীতের বিস্মৃত সব জনপদ থেকে।
ফার্মিং করবে বলে ট্রান্সভালে এল জন নেইল । ওর জন্যই যেন অপেক্ষা করছিল সময়, দ্রুত ঘটনা ঘটতে লাগল এরপর। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরমা-সুন্দরী বেসিকে বাঁচাল সে। পরে পরিচিত হলো বেসির বোন জেসের সঙ্গে। দু’বোন একই সঙ্গে ভালবেসে ফেলল জনকে। প্রতাপশালী ফার্মার ফ্র্যাঙ্ক মুলারের ভালমানুষির মুখোশ পুড়ে ছাই হলো ঈর্ষার আগুনে। এমনি সময়ে শুরু হলো ইংরেজ-বোয়া যুদ্ধ। এখন জন ছাড়া অন্য কেউ পারবে না জেসকে বাঁচাতে। কিন্তু “জোছনা-সুন্দরী হঠাৎ দেখা দিয়ে এলোমেলো করে দিল সব… ফাঁদ পেতে অপেক্ষা করছে মুলার, জনকে খুন করবেই এবার… ত্রিভুজ-প্রেমের এক অনবদ্য কাহিনি।
থাগস অভ হিন্দুস্থান: মেয়ে আডাকে হারিয়ে উন্মাদ হয়ে উঠেছেন ক্যাপটেন ম্যাকফারসন। ধুলোয় মিশিয়ে দেবেন এর জন্য দায়ী ধর্মাদ্ধ, খুনে দস্যুদের-এই তার অগ্নিশপথ। ভারতবর্ষ কাঁপিয়ে দেয়া লুটেরাদের গোপন আস্তানার খোঁজ পেতেই এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করলেন না ব্রিটিশ অফিসার। ফোর্স আনতে ছুটলেন ফোর্ট উইলিয়াম-এ। পাইকারি খুনে হাত রাঙাবেন ফিরে এসে। …ঘুণাক্ষরেও যদি বুঝতে পারতেন: কোন খেলা খেলতে যাচ্ছে নিয়তি তাঁকে নিয়ে। দ্য বডিগার্ড: প্রিয় পাঠক, আপনি যদি স্যার আর্থার কোনান ডয়েল, আগাথা ক্রিস্টি, রাফায়েল সাবাতিনি, এইচ. পি. লাভক্র্যাফট, নীল গেইম্যান, রবার্ট ব্লক, সাকি, লী চাইল্ড, হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যাণ্ডারসন, গী দ্য পাছা, এরিখ কেস্টনার, জেফরি আর্চার, লরেন্স ব্লাক, জ্যাক রিচি প্রমুখ বিখ্যাত লেখকদের ভক্ত হয়ে থাকেন; তবে দ্য বডিগার্ড বইটি আপনারই জন্য।
পনেরো শতকের জেনোয়া। ক্ষমতা দখলের আন্তর্জাতিক রাজনীতি চলছে সেখানে। অস্থির রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের বলি হলো প্রসপেরোর বাবা অ্যাণ্টোনিওট্টো। এজন্য দায়ী অ্যাডমিরাল আন্দ্রে ডোরিয়া। পিতৃহত্যার প্রতিশোধের শপথ নিল পুত্র… এদিকে স্প্যানিশ সম্রাটের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তুর্কি নৌবাহিনীর কমাণ্ডার দ্রাগুত রেইজ। ডোরিয়ার উপরে দায়িত্ব: যে-কোনও মূল্যে দমন করতে হবে দ্রাগুতকে। পাকেচক্রে প্রেমিকা জিয়ান্না সহ দ্রাগুতের হাতে বন্দি হলো প্রসপেরো। এ অবস্থায় পারবে কি সে শপথ রক্ষা করতে?
রুদ্রপ্রয়াগের চিতা আশ্চর্য রোমহর্ষক এক শিকার কাহিনি। আট বছর ধরে যে ভয়ঙ্কর হিংস্র ধূর্ত নিশাচর প্রাণীটি গাড়িয়ালের পাঁচশো বর্গমাইল জুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল, বন্দুকের গুলি বা মারাত্মক বিষ পটাশিয়াম সায়েনাইডও যাকে কাবু করতে পারেনি, শেষ পর্যন্ত তাকে পরাজয় বরণ করতে হলো দুর্দান্ত শিকারী জিম করবেটের কাছে। ডক্টর মরোর দ্বীপ দ্বীপটা বিচ্ছিন্ন, কিন্তু সেখানে আছে গোপন ও সুরক্ষিত এক গবেষণাগার। অদ্ভুত কিছু লোক ঘুরে বেড়ায় সে-দ্বীপে, যারা আসলে মানুষ না কী বুঝিনি প্রথমে। …যাচ্ছিলাম ক্যালাও, দুর্ঘটনায় ডুবল জাহাজ, কোনমতে গিয়ে উঠলাম ওই দ্বীপে। যা দেখলাম, সেটা যেন ঈশ্বর ও তাঁর সৃষ্টির ক্ষুদ্র অথচ অদ্ভুত সাদৃশ্যযুক্ত এক সংস্করণ। পার্থক্য একটাই সৃষ্টির উপর স্রষ্টার নিয়ন্ত্রণ হারানোর পরিণতিটাও দেখতে হলো আমাকে। কনটিকি অভিযান ভেলায় চেপে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি? অসম্ভব! কিন্তু সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করলেন থর হেয়ারডেল এবং তার দুঃসাহসী পাঁচ সঙ্গী, জন্ম দিলেন ইতিহাসের। কীভাবে? জানতে হলে এ বইটি পডুন। সত্য ঘটনা।
অদৃশ্য মানব হঠাৎ কোথা থেকে উদয় হলো অদ্ভুতদর্শন রহস্যময় এক অতিথি, সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল আতঙ্ক। রাত নামার সাথে সাথে ঘরের দরজা-জানালা সব বন্ধ, কে এই আগম্ভক? দ্য ফিফ্থ কলাম ফিলিপ, প্রেস্টন আর ডরোথি। এই তিনজনকে নিয়েই গল্পটা। স্পেন আর জার্মানির মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। ফিলিপ কমিউনিস্টদের পক্ষে, প্রেসটন ফ্যাসিস্টদের। প্রেসটন ডরোথিকে দখল করে নিতে চায়। কিন্তু ডরোথি ভালবাসে ফিলিপকে। এই বিরোধ ও প্রেমের পরিণতি কী? জঙ্গলে অমঙ্গল এটি বিশ্ববিখ্যাত শিকারী কেনেথ এন্ডারসনের চারটি রোমাঞ্চকর কাহিনির সঙ্কলন। এতে রয়েছে: দিগুভামুট্টার গুপ্তঘাতক, অরণ্যের দিন-রাত্রি, বেলান্দারের বিভীষিকা ও জঙ্গলে অমঙ্গল। পাঠক, অরণ্যচারী এন্ডারসনের অনবদ্য অভিজ্ঞতার কাহিনিগুলো আপনাকে নিঃসন্দেহে মুগ্ধ ও শিহরিত করবে।