টম ক্যানটি এবং এডওয়ার্ড ট্যুডোর একই দিনে জন্ম দু’জনের, চেহারাও এক। শুধু এইটুকুই মিল ওদের ভেতর। টমের জন্ম নোংরা ওফ্যাল কোর্টে, ভিখিরির ঘরে, আর এডওয়ার্ডের জন্ম ওয়েস্ট মিনস্টার প্রাসাদে, প্রিন্স অভ ওয়েলস হিসেবে। ভাগ্যক্রমে একদিন সাক্ষাৎ হলো ছেড়া কাপড় পরা টম আর রাজকীয় পোশাক পরা রাজপুত্রের। খেলার ছলে পোশাক বদল করল দু’জন, কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার আগেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ওরা। রাজপুত্রের গায়ে তখন ভিখিরির পোশাক, আর ভিখিরি টমের গায়ে রাজপুত্রেরগুলো। দু’জনের জীবনেই শুরু হলো দুঃস্বপ্ন!
সাসেক্সের শান্ত নিরিবিলি গ্রাম আইপিং-এ হঠাৎ কোথেকে উদয় হলো অদ্ভুতদর্শন এক রহস্যময় অতিথি। সরাইখানার অন্ধকার পারলারে সারাদিন কী নিয়ে মগ্ন হয়ে থাকে সে? চারদিকে জল্পনা-কল্পনা, চাপা উত্তেজনা তারপর হঠাৎ একদিন গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল ত্রাস, মহা-আতঙ্ক। ধীরে ধীরে উন্মোচিত হলো এক অত্যাশ্চর্য চমকপ্রদ কাহিনি। সে কাহিনি যেমন বিচিত্র, তেমনই করুণ। কিশোর পাঠকের হাতে নিশ্চিন্তে তুলে দেয়ার মত ক্লাসিক।অসংক্ষেপিত-দক্ষ হাতের চমৎকার ঝরঝরে অনুবাদ।
মর্নিং স্টার রানী নেতের-তুয়া প্রাচীন মিশরীয় দেবরাজ আমেন-এর কন্যা। ছেলেবেলার খেলার সাথী রামেসকে ভালোবাসি বড় হলো, বাবা ফারাওয়ের ইচ্ছায় হলো রানী। রামেসের দেহে রাজরক্ত থাকলেও তুয়া আর রামেসের মিলনের পথে বাধা দুস্তর মরুভূমি সম কিন্তু কোন বাধা মানতে রাজি নয় আমেনের ভােরের তারা নেতের-তুয়া । এদিকে নাফিসের কুমার আবি বিয়ে করতে চায় তুয়াকে। থিবি থেকে বাবা ফারাওয়ের সাথে মেম্ফিস বেড়াতে এসেছিল তুয়া, ঘৃণ্য কৌশলে তাদের বন্দি করল আবি। ফারাওকে হত্যা করল জ্যোতিষী কাকুর জাদুর সহায়তায়, নেতের-তুয়া আর তার দাই মা আসতিকে করল না খাইয়ে মারার ব্যবস্থা। স্নেহধন্য কন্যাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলেন দেবরাজ আমেন। চাইল্ড অভ স্টর্ম এ কাহিনি আপনাদের চেনা সেই দুর্ধর্ষ শিকারী অ্যালান কোয়াটারমেইনের তরুণ বয়সের। প্রথমে মনে হবে শিকার কাহিনি, আফ্রিকার দুর্গম বনে অভিযানের কাহিনি, অথবা হাসির উপন্যাস। কিন্তু আরও কয়েক পাতা এগোলে পাঠক বুঝবেন প্রেম, বিরহ, চাতুরি, বিশ্বাসঘাতকতা, যুদ্ধ, স্নেহ, ভালবাসা আর আশাভঙ্গের এক অপূর্ব উপাখ্যান লিখে গেছেন হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড।
ক্যাসল হাউসের খুনি: দুর্ঘটনায় পড়েছে গাড়ি, সাহায্যের আশায় ক্যাসল হাউসে গিয়ে ঢুকল স্টার্কওয়েডার। চমকে উঠতে হলো ওকে। স্টাডিরুমে একটা লাশ, পেছনে রিভলভার হাতে দাঁড়িয়ে নিহতের স্ত্রী। খুনের দায় স্বীকার করল মেয়েটা। কিন্তু স্টার্কওয়েডার তা মানতে নারাজ। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল সে। কিন্তু… আরও কিছু চমক অপেক্ষা করছিল ও-বাড়ির বাসিন্দাদের জন্য। দি আণ্ডারডগ: এবার বোধহয় হার স্বীকার করতেই হবে দুঁদে গোয়েন্দা এরকুল পয়রোকে। নিজের ম্যানসনে, নিজের ঘরে খুন হয়েছেন স্যর রুবেন অ্যাস্টওয়েল, অথচ খুনিকে ধরতে পারছেন না তিনি। পুলিশ যাকে গ্রেপ্তার করেছে, তার দৃষ্টিতে সে-লোক নির্দোষ। শেষপর্যন্ত সবাইকে জড়ো করলেন তিনি টাওয়ার রুমে, নিষ্পত্তির জন্য। দ্য কম্প্যানিয়ন: ‘এবার ডক্টর লয়েড, বলল মিস হেলিয়ার, এমন কোনো গল্প বলুন আমাদেরকে, যা শুনলে গা ছমছম করবে। গল্পটা বললেন লয়েড, শুনে সমাধানও বাতলে দিলেন মিস মার্পল, আর হেলিয়ার বলতে বাধ্য হলো, আমি যদি গ্রামে থাকতাম তা হলে আমার মাথাটাই খারাপ হয়ে যেত বোধহয়।
কাযানের দেহে বইছে কুকুর ও নেকড়ের রক্ত। চারটা বসন্ত দেখেছে ও। এই চার বছরে অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারি হয়েছে অনেক। ক্ষুধার যাতনা কী, ভাল করেই জানে কাযান। আর্কটিক থেকে ভেসে আসা শীতল হাওয়ার হুঙ্কার বড় পরিচিত প্রাণীটার। দেহের একপাশ আর গলায় বহন করে চলেছে লড়াইয়ের ক্ষতচিহ্ন। মানব প্রভুদের স্লেজ নিয়ে ছুটে চলে জমাট বাঁধা পৃথিবীর বুকে। প্রভুপত্নীকে রক্ষা করতে গিয়ে খুন করে বসল একজনকে। পলাতক জীবনে দেখা হলো একদল নেকড়ের সঙ্গে। ওদের নেতা বনে গেল কাযান। জীবনে এল প্রেম। কিন্তু অরণ্যের টান…নাকি মানুষের ভালোবাসা-কোনটাকে বেছে নেবে ও?
কে এই কোনান? পরোপকারী এক স্বাধীন বীর। কোথাও অন্যায় অবিচার-অত্যাচার দেখলে রুখে দাঁড়ায়। তবে ওর প্রতিবাদের ধরনটা বুনো। কোমল আচরণের কোনও বালাই নেই সিমেরিয়ান যুবকটির মাঝে। কোনানের সাফ কথা: যা ওর ভালো মনে হবে, তা-ই করবে সে পথে যদি কোনও বাধা এসে দাঁড়ায়, সঙ্গে-সঙ্গে উপড়ে ফেলবে। আসুন, এই আদিম, বর্বর যুবকটির সঙ্গে পরিচিত হই। ঘুরে আসি সমৃদ্ধ অতীতের বিস্মৃত সব জনপদ থেকে।