১৯৩৫ সাল। সমগ্র ইউরােপ জুড়ে চলছে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের দামামা। এমন অস্থির সময়ে মা-বাবাকে হারিয়ে ফেলে পিয়েরাে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই নিজেকে আবিষ্কার করে অনাথ আশ্রমে। সেখানেও বেশি দিন থাকা হয় না তার। যে ফুপিকে জন্মের পর কখনও দেখেনি, সেই মহিলাই তাকে নিয়ে যাবার জন্য চিঠি পাঠায় আশ্রমে। প্যারিস ছেড়ে অস্ট্রিয়ায় এক পাহাড়ের উপরে অদ্ভুত বাড়ি হয় তার নতুন ঠিকানা। যেনতেন বাড়ি নয়, স্বয়ং হিটলার থাকে ওখানে! হিটলারের সান্নিধ্যে দ্রুতই বদলে যেতে শুরু করে নিরীহ পিয়েরাের জীবন। পরিচিত হয় জীবনের নতুন কিছু দিকের সাথে-যেখানে পদে পদে খেলা করে। ভয়, বিশ্বাসঘাতকতা এবং অভেদ্য অন্ধকার। ছােট্ট পিয়েরাে কি পারবে এমন। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে নিজেকে ঠিক রাখতে? সাড়া বিশ্বে পাঠকের চিত্ত জয় করা উপন্যাস দ্য বয় ইন দ্য স্ট্রাইপড পাজামাস বইয়ের লেখক জন বয়েনের দ্য বয় অ্যাট দ্য টপ অব দ্য মাউন্টেইন-এ পাঠককে আবারাে স্বাগতম।
আকবর রাজনীতি করে। পছন্দ করে একজনকে। যার জন্য কাউকে খুন করতেও দ্বিধা করবে না। আসিফ, ছাত্র। টিউশনি করে। চুপচাপ, অমিশুক। শাহেদ, হাসিখুশি মিশুক একজন। কিন্তু এক রাতে সে বেরিয়ে পড়ে নিজেকে খুঁজতে। কেন? নায়লা কেন ঠিক হাসিখুশি নয়? সে কী হতে যাচ্ছে কোনাে পরিস্থিতির শিকার? মনজুর খুবই সাধারন একজন ব্যবসায়ি, এক রাতে অপহৃত হলাে কেন? সে নিজেও জানে না! আকবর, শাহেদ, আসিফ, নায়লা, মনজুর ভিন্ন ভিন্ন সব চরিত্র। তারা সবাই কাছাকাছি, তবে, জনারন্যে থেকেও সবাই একা। এই সব চরিত্রের নানা জটিলতা, ষড়যন্ত্র, অপহরন আর আমাদের জীবনের কাছাকাছি গল্প নিয়ে শরীফুল হাসানের ভিন্নধর্মি উপন্যাস জনারণ্যে একা কয়েকজন।
চেতন ভগতের এই ভিন্নধর্মী উপন্যাসটি ভারতে রেকর্ড সংখ্যক ৮০ লক্ষ কপি বিক্রি হয়েছে। তিন যুবকের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা-ক্রিকেট, গণিত আর ব্যবসা। সেই সাথে যোগ হয় প্রেম আর রাজনীতি। জটিলতার মধ্যে পড়ে যায় সম্পর্কগুলো। অসাধারণ এই উপন্যাসটি খুব শীঘ্রই চলচ্চিত্র হিসেবে মুক্তি পাচ্ছে।
বিকেলের দিকে হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি নামল। হৃদি তখন খোলা মাঠে একটা শুকনো খড়ের গাদার ওপর বসেছিল। যতদূর চোখ যায়, কোথাও কেউ নেই। কেবল ধুধু ফসলের মাঠ। মাঠের পাশে নদী। নদীর বুকে শব্দ। সেই শব্দে নুপূরের ছন্দ তুলে নেমে এল বৃষ্টি। হৃদি তটস্থ গলায় বলল, ‘এখন ? এখন কী হবে ?’ ‘কী হবে ?’ ‘এই যে বৃষ্টি চলে এল।’ ‘তাতে কী ?’ ‘আমি এই ভেজা শাড়িতে ফিরব কী করে ?’
ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা প্রথম আলো প্রকাশের একেবারে শুরু থেকেই এই পত্রিকার বিভিন্ন বিভাগে বিচিত্র বিষয়ে লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদ।গল্প-উপন্যাস তো বটেই, এর বাইরেও তাঁর বেশ কিছু রচনা প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়েছে।সেরকম বেশ কিছু ছোট আয়তনের গদ্য রচনা এ সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হলো।কিছু লেখায় সমকালীন বিষয়ে লেখকের মতামত সরাসরি প্রতিফলিত হয়েছে, কোনো কোনো রচনায় তিন তাঁর ব্যক্তিগত অনুভূতির কথা প্রকাশ করেছেন। কিছু রচনায় রয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত স্মৃতি ও একান্ত অনুভূতির কথা। রয়েছে দুটি চমৎকার গল্প। তাঁর অনন্য রসবোধও অনুপম রচনাশৈলী রচনাকে উপভোগ্য করে তুলেছে।প্রতশ আলোয় প্রকাশিত হুমায়ূন আহমেদের আটটি সাক্ষাৎকারও রয়েছে এ সংকলনে।এসব সাক্ষাৎকারে নিজের জীবন, বিশ্বাস, লেখালেখি, নাটক ও চলচ্চিত্র নিয়ে তিনি কথা বলেছেন; সাহিত্য ও চলচ্চিত্রের বাইরেও অনেক বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। সেসব বিষয়েও অনেক বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। সেসব বিষয়েও তাঁর বলার ভঙ্গি আশ্চর্যরকম প্রাঞ্জল ও মনোগ্রাহী। তাঁর সাক্ষাৎকারগুলো পড়লে মনে হবে বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গিসহ একজন সম্পূর্ণ হুমায়ূন আহমেদ আমাদের সামনে উপস্থিত।
অতীশ দীপঙ্কর বাংলাদেশের দার্শনিক ও বৌদ্ধ আচার্য। তাঁর রচনাবলি কেবল দর্শন নয়, সাহিত্য, ধর্ম ও ইতিহাসেরও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাঁর জীবনের ঘটনাবলি এবং রচনাকর্ম জড়িয়ে আছে বাংলা, ভারত ও তিব্বতের ইতিহাসের সঙ্গে। সর্বোপরি এসব রচনায় অতীশ হাজির করেছেন এক অনন্য জীবনদৃষ্টি, যা পাঠকের জন্য পথপ্রদর্শন আলোকবর্তিকা হয়ে উঠতে পারে।
রবীন্দ্রনাথের সহধর্মিণী মৃণালিনীর আত্মকথনের ভঙ্গিতে লেখা এই উপন্যাস। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর বিয়ের রাত থেকে শুরু করে নিজের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্বামী রবিবাবুর সংগোপন জীবনের নানা কথা অকপটে তুলে ধরেছেন মৃণালিনী। সবলতা-দুর্বলতায় মেশা রবীন্দ্রনাথের জীবনের এক দীর্ঘ অধ্যায় আটপৌরে ভাষায় উঠে এসেছে এই উপন্যাসে। পাশাপাশি উঠে এসেছে ভবতারিণী থেকে মৃণালিনীতে পরিণত হওয়া রবি ঠাকুরের সহধর্মিণীর চাওয়া-পাওয়া, পূর্ণতা-অপূর্ণতা এবং তাঁর নারীজীবনের হাহাকার-দীর্ণতার কথাও। এই উপন্যাস আমাদের কথাসাহিত্যের এক মাইলফলক-স্বরূপ সাহিত্যকৃতি।
কে প্রথম কাছে এসেছি/কে প্রথম চেয়ে দেখেছি, কিছুতেই পাই না ভেবে কে প্রথম ভালোবেসেছি তুমি? না আমি? দু'জনের যে কেউ একজন প্রেমের এই প্রদীপখানি তুলে ধরতেই পারে জীবনপথের সরণিজুড়ে। যে প্রেম হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে দাঁড়ায় অলক্ষে তার, সে তো চিরকালের সামগ্রী।
সেদিনের পর ঠিক কী ঘটেছিল লেখক হিসেবে আমি নিজেও জানি না। লেখক হিসেবে নিজের সৃষ্টির এই পরিণতি মেনে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাই ঘটনাটি শেষ হলো না। আবার কোনো ঘটনাকে তার মতোই ঘটতে দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। কী হয়েছিল Triple A এর কিংবা কী ঘটেছিল রোদেলার ভাগ্যে? ঘটনা যদি তার নিজস্ব গতিতে চলে তাহলে আগামীকাল সকালে ছোট চাচ্চু এয়ারপোর্টে নেমে কী করবে? তাকে সবাই কী জবাব দিবে? কেনই বা সে সাথে আসতে পারল না? নিপা সবাইকে কী জবাব দিবে? তার ভরসাতেই তো সবাই নিশ্চিন্তে ছিল। মোল্লা বাড়ির প্রাণ প্রদীপ এভাবে তো নিভে যেতে পারে না। Triple A এবং রোদেলার মতো সম্ভাবনাময় দুটি প্রাণ- যাদের এখনো অনেক কিছু দেয়ার বাকি এই সমাজকে, এই দেশকে, তথা সমগ্র মানবজাতিকে। তাদের হাত ধরেই রচিত হবে মহাকাল।