হঠাৎই কেমন ওলটপালট হয়ে যায় সদ্য বাবা হারানো অর্পার জীবন ও জগৎ। চড়াই-উতরাইয়ে ভরা টালমাটাল একটি সময় তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে। অর্থের অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু জীবন সম্পর্কে তার ভিন্নধারার দৃষ্টিভঙ্গি বদলায় না তাতে। শেফ বা রাঁধুনি—আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা যে পেশাটিকে ভালোবেসে গ্রহণ করতে চায় না সচরাচর, সেটিকেই আঁকড়ে ধরতে চায় অর্পা—এমনকি মায়ের প্রবল অসম্মতি সত্ত্বেও। ঘটনাক্রমে জীবনের অমসৃণ যাত্রাপথেও এগিয়ে যাওয়ার একটি উপলক্ষ তার সামনে আসে। কী সেই উপলক্ষ? নতুন এই যাত্রায় সুদর্শন ও বুদ্ধিদীপ্ত তরুণ আবিরের আকস্মিক আবির্ভাব ও তিরোধান কী ভূমিকা রাখে? সবকিছু ছাপিয়ে অর্পা কি পারবে তার স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যেতে?
আমি যুদ্ধে চলে যাচ্ছি। তোমাদের বললে তোমরা কিছুতেই রাজি হতে না। তাই না বলেই গেলাম। ২৫ মার্চ রাতে আমি নিজের চোখে মারা যেতে দেখেছি বাবুর আব্বাকে। দেখেছি, জগন্নাথ হলের মাঠে কীভাবে ছাত্রদের লাশ পড়ে ছিল। কীভাবে বস্তিতে আগুন দিয়ে বাচ্চা ছেলেমেয়েদেরও পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এরপর আর ঘরে থাকার কোনো মানে হয় না। তোমরা শান্ত থাকবে। এই চিঠি পুড়িয়ে ফেলবে। আমার জন্য দোয়া করবে। তমাল ও বন্যাকে আদর জানাবে। তোমাদের জন্য আমি দোয়া করব। যদি বাঁচি, ইনশা আল্লাহ দেশ স্বাধীন করেই ফিরব। তখন যদি বেঁচে থাকি, তাহলে দেখা হবে।
সাহিত্যের ভুবনে নিবেদিতপ্রাণ দম্পতি সৈয়দ শামসুল হক ও আনোয়ারা সৈয়দ হক। সৈয়দ হককে আনোয়ারা হক একান্তে সম্ভাষণ করতেন হেমিংওয়ে নামে। এই যুগলের যাপিত জীবনের অপরূপ গাথা আর সমসময়ের সাহিত্য-শিল্পের ইতিহাস এ আখ্যানের উপজীব্য। বাস্তব আর কল্পনার মিশেলে এক ব্যতিক্রমী উপন্যাস।
নাম দেখে মনে হবে, এ বুঝি এক প্রেমের উপন্যাস। আসলে এটি এক অপ্রেমের বৃত্তান্ত। বাদামি-জীবন আমাদের। এক খোসার ভেতর দুটো আলাদা ঘরে দুটো বাদাম। আমাদের দাম্পত্যজীবনও ঠিক বাদামের মতন। এক ঘরে এক বিছানায় শুয়েও আলাদা জীবন আমাদের। কাকে যেন পাওয়ার ছিল, কে যেন অধরা থেকে গেল! তিশা সিরাজের সঙ্গে ঘর বাঁধতে চেয়েছিল, পারেনি। লম্বা বেঢপ চেহারার নিখিল ভৌমিকের সঙ্গে রূপসী তিশাকে সংসার করতে হলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিল জয়দীপ। দাম্পত্যজীবনটা সুখকর ছিল না। এই উপন্যাসের শরীরজুড়ে না পাওয়ার ক্ষতচিহ্ন। স্নিগ্ধমধুর এক স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকে ‘১৬/১৭ লাভ লেনে’।
আরতি ও শিব বিয়ে করে হানিমুনে যাচ্ছে। বিমানে তাদের সঙ্গে দেখা হয় দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌসের সঙ্গে। তারপর এমন ঘটনা ঘটে, ফেরদৌস যা কল্পনাও করতে পারেননি। এত হাসি, আনন্দ, সুখের মাঝে কী এমন ঘটল, যা ফেরদৌসের মস্তিষ্ককে নাড়িয়ে দিল। জানতে হলে পড়তে হবে এ উপন্যাস। এটা কি উপন্যাস নাকি আমার জীবনের কথা? আমি জানি না। আমি ভীষণ সংবেদনশীল, বন্ধুপরায়ণ একজন মানুষ। তাই লিখতে গেলে নিজের জীবনের অনেক ঘটনাই চলে আসে। ভেবেছিলাম আরতি আর শিবের ভালোবাসার পরিণতির গল্প লিখব। কিন্তু কীভাবে যেন আমি নিজেও গল্পের ভেতরে ঢুকে পড়লাম। ভ্রমণকাহিনি পড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগে। লিখতে চেয়েছিলাম ভ্রমণকাহিনি, হয়ে গেল প্রেমকাহিনি। আমার ভক্ত, দর্শক, পাঠক বন্ধুরা সবাই আমার প্রচণ্ড ভালোবাসার। এই ভালোবাসার মানুষেরা দুই দশকের অধিক সময় ধরে আমার অভিনয় সহ্য করেছেন। আশা করি, মাঝে মাঝে আমার কষ্টের এই লেখাগুলোও পড়বেন। আমি আনন্দিত হব।
রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত লেখা ছিল এলিয়েনদের নিয়ে। কয়েকজন বিজ্ঞানী ১৯৫০ সালে দুপুরের খাবার খেতে বসে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তারা কোথায়? স্টিফেন হকিং স্পষ্ট মানা করে দিয়েছেন এলিয়েনদের সঙ্গে যেকোনো যোগাযোগের প্রচেষ্টাকে। কেন? আমাদের ছায়াপথে তারা আদৌ আছে কি? ড্রেক ইকুয়েশন কী বলে? আমরা কি একা? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজাই এই বইয়ের উদ্দেশ্য।
আরতি ও শিব বিয়ে করে হানিমুনে যাচ্ছে। বিমানে তাদের সঙ্গে দেখা হয় দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌসের সঙ্গে। তারপর এমন ঘটনা ঘটে, ফেরদৌস যা কল্পনাও করতে পারেননি। এত হাসি, আনন্দ, সুখের মাঝে কী এমন ঘটল, যা ফেরদৌসের মস্তিষ্ককে নাড়িয়ে দিল। জানতে হলে পড়তে হবে এ উপন্যাস। এটা কি উপন্যাস নাকি আমার জীবনের কথা? আমি জানি না। আমি ভীষণ সংবেদনশীল, বন্ধুপরায়ণ একজন মানুষ। তাই লিখতে গেলে নিজের জীবনের অনেক ঘটনাই চলে আসে। ভেবেছিলাম আরতি আর শিবের ভালোবাসার পরিণতির গল্প লিখব। কিন্তু কীভাবে যেন আমি নিজেও গল্পের ভেতরে ঢুকে পড়লাম। ভ্রমণকাহিনি পড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগে। লিখতে চেয়েছিলাম ভ্রমণকাহিনি, হয়ে গেল প্রেমকাহিনি। আমার ভক্ত, দর্শক, পাঠক বন্ধুরা সবাই আমার প্রচণ্ড ভালোবাসার। এই ভালোবাসার মানুষেরা দুই দশকের অধিক সময় ধরে আমার অভিনয় সহ্য করেছেন। আশা করি, মাঝে মাঝে আমার কষ্টের এই লেখাগুলোও পড়বেন। আমি আনন্দিত হব।
‘বিশ্ব-র্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয় না কেন?’ দিনারজাদির প্রশ্নের জবাবে আরব্যোপন্যাসের নায়িকা শেহেরজাদি একের পর এক কারণ বাতলাতে থাকেন এবং নীরবে শুনতে থাকেন বাদশাহ শাহরিয়ার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিচিত্র সমস্যা এবং প্রকৃত সমাধানের এক অভূতপূর্ব সমাহার। মজলিশি ঢঙে, রম্যরীতিতে রচিত এক অপূর্ব আলাপ-গাথা । আরব্যোপন্যাসের বাদশাহ শাহরিয়ার প্রতি রাতে একটি নিকাহ-এ-মুতা করতেন এবং পরদিন ভোরে সেই বেগমকে কতল করাতেন। এই ঘৃণ্য প্রথার অবসানকল্পে উজিরকন্যা শেহেরজাদি স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে বাদশাহের নিকাহ কবুল করেন। এক রাতের বেগম শেহেরজাদির অন্তিম অনুরোধে বাদশাহ শাহরিয়ারের অনুমতিক্রমে বাসরঘরে আসেন শ্যালিকা দিনারজাদি। রাতের বয়স বাড়লে পূর্বপরিকল্পনামাফিক দিনারজাদি প্রশ্ন করেন: ‘আপা, বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয় না কেন?’ দ্বাদশ রাত্রি ধরে একের পর এক কারণ বাতলে যান শেহেরজাদি, কমবেশি ছত্রিশটি কারণ। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিচিত্র সমস্যা ও প্রকৃত সমাধানের অপূর্ব সমাহার এই ‘আলিফ-লাইলা’ মজলিশি ঢঙে, রম্যরীতিতে রচিত এক অভিনব রসরচনা।