লাভ লেন শব্দ দুটি ব্রিটিশদের দেওয়া। এই লাভ লেনের একটি বাড়ি ঘিরে উপন্যাসটির কাহিনিবৃত্ত। মানুষের জীবনে প্রেম মহার্ঘ। তারপরও কেন নর-নারীকে অপ্রেমের সঙ্গে জীবন কাটাতে হয়? এই প্রশ্নটির উত্তর খোঁজা হয়েছে এই উপন্যাসে।
১৯৪৭-এর দেশভাগ, যার অসহায় শিকার হতে হয়েছে উপমহাদেশের লাখ লাখ মানুষকে। দেশভাগ নিয়ে উর্দু ও হিন্দি ভাষায় অনেক কালজয়ী সাহিত্য রচিত হয়েছে। গুলজারের এ উপন্যাস তেমনি একটি রচনা। ১৯৪৬ সালের শীতকাল। দেশভাগ আসন্ন। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে ‘বর্ডার’ আর ‘রিফিউজি’র মতো কিছু নতুন শব্দ, যার অর্থ পরিষ্কার নয় অনেকের কাছেই। দেশভাগের ফলে প্রায় দেড় কোটি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারায়। দাঙ্গায় নিহত হয় বিশ লাখ। ক্যাম্বেলপুর এলাকা থেকে মানুষভর্তি একটা ট্রাক রওনা হয়। ট্রাকের আরোহীরা কেউ জানে না তারা কোথায় যাবে। কোথায় হবে তাদের পরবর্তী ঠিকানা।
আমি, শহীদুল ইসলাম, কারও রূপ দেখে মুগ্ধ হব, ভাবিনি। এ কথাও তো সত্য যে প্রেমে মানুষ পড়ে, পতিত হয়; প্রেমে কেউ ওঠে না, আরোহণ করে না। আমিও হঠাৎ করেই পড়ে গেলাম। পড়ে গেলাম এবং ডুবে গেলাম।
একদিকে পুরো দেশ কাঁপিয়ে তুলছেন বিদ্রোহী কবি, অন্যদিকে প্রেমিক কবির সঙ্গে বিভিন্ন নারীর নানামাত্রার সম্পর্ক তাঁর স্ত্রীর জীবন করে তুলছে যেন অপার সমুদ্রে এক দিশাহীন জলযান। নজরুলের উত্থান-পতনময় জীবনে চির-অবিচ্ছেদ্য নাম আশালতা।
দেশ ও প্রবাসজীবনের পটভূমিতে লেখা এ উপন্যাসের কাহিনিজুড়ে ব্যাপ্ত রয়েছে বেদনা ও বিরহের সুর। দুটি জীবনের প্রেম-ভালোবাসা, স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষার মাঝে যে শূন্যতা বিরাজ করে, তারই শিল্পিত উন্মোচন বলা যায় উপন্যাসটিকে। মানুষ কি তার স্বপ্নের দিনগুলো সময়ের ফ্রেমে বাঁধতে পারে? এ প্রশ্নেরই উত্তর যেন খুঁজেছেন লেখক এ বইয়ে। পাঠকককে যা ভাবতে বাধ্য করবে। মানুষের জীবনে যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তা অনেক সময় আজীবনের জন্য একটি ছাপ রেখে যায়। তেমনটি ঘটেছে এ উপন্যাসের নায়ক জাভেদ মাহমুদের বেলায়ও। পারিবারিক উদ্যোগে যাঁকে তিনি জীবনসঙ্গিনী করেছিলেন, শেষ পর্যন্ত তাঁর হননি তিনি। শত চেষ্টা করেও জাভেদ মাহমুদ তাঁকে নিজের করে নিতে পারেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটলেও রিমা রহমান তাঁর সিদ্ধান্ত বদলাননি। একসময় সমস্ত বন্ধন থেকে জাভেদ তাঁর স্ত্রী রিমাকে মুক্তি দিলেও জীবনে সুখী হতে পারেননি তিনি। পরিবার ও সমাজে মুখোমুখি হয়েছেন হাজারো প্রশ্নের। অন্যদিকে উপন্যাসের নায়কও জীবনকে নিয়ে দাঁড় করান হতাশার এক বালুচরে। সময়ের প্রেক্ষিতে এমনই একটি উপন্যাস, যাতে দুজন মানুষের সমান্তরাল জীবনবাস্তবতা রূপায়িত হয়েছে। মানুষের চাওয়া-পাওয়ার হিসাব কীভাবে অনেক সময় জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে, তারই এক চিত্র এ উপন্যাস।