তোমাদের জন্য ভালোবাসা তারা তিনজন অন্য ভূবন ইরিনা অনন্ত নকত্রবীথি * কুইক ফিহা সমীকরন * শূন্য * নি তাহারা পরেশেয় হইলদা বড়ি আয়না নিউনের ভুল সুত্র যন্ত্র নিমধ্যমা ওমেগা পয়েন্ট ইমা * দ্বিতীয় মানা অইক জাদুকর * কুদ্দুসের একদিন সম্পর্ক ভূমিকা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পাঠকদের নিয়ে অবহেলার দৃষ্টিতে তাকানোর নিয়ম আছে। পাঠক সমাজে এরা সর্বনিম্নে অবস্থান করে। ধরা হয়ে থাকে সাহিত্যের মহানবোধ... ইত্যাদি ইত্যাদি থেকে এরা বঞ্চিত। কোনো পাঠক একবার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পড়া শুরু করলে ভাঙ্গা গ্রামোফোন রেকর্ডের মতো সেখানেই আটকে থাকে। পাঠক আর বেড়ে ওঠেন না। আমার জন্যে এটা বিরাট দুঃসংবাদ কারণ আমি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর অতি ভক্ত পাঠক। যখন পড়ার মতো কল্পকাহিনী পাই না তখন নিজেই লিখি যেন পড়েতে পারি। অন্বেষা আমার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর সব লেখা একত্র করেছে। সিরিয়াস পাঠকদের বলছি এই বইয়ের ধারে কাছে যাবেন না। একবার পড়তে শুরু করলে সিরিয়াস পাঠকের মৃত্যু ঘটবে। আর যারা আমার মতো পাঠক তাদের বলছি- 'কেঁও মি ছিয়া' (ভীন গ্রহের প্রাণীর ভাষা। এর অর্থ পাঠের নিমন্ত্রণ।)
"রূপা" বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা তার নাম রূপা। ইংরেজিতে Silver তবে Silver না হয়ে Quick Silver নাম হলে ভাল হল। কুইক সিলভার হল 'পারদ।' পারদ রূপার মতই উজ্জ্বল কিন্তু তাকে ধরা যায় না।
"সে ও নর্তকী" বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা কথা স্বাতী ভেবে রেভেছিল সে তার জন্মদিনে লিলিকে ব্যাপারটা বলবে। ভয়ংকর অন্যায় যে সে করেছে সে-ব্যাপারটা। লিলি আতঙ্কে শাদা হয়ে যাবে। পরপর কয়েকবার বলবে, এখন কী হবে রে। নিজের আতঙ্ক অন্যের ভেতর দেখলে নিজের আতঙ্ক খানিকটা কমে। স্বাতী খানিকটা স্বস্তি পাবে। এবং কিছুটা সাহসও পাবে। সেই সাহসটা পাবার পর স্বাতী ব্যাপারটা তার মা'কে বলতে পারবে।
ফ্ল্যাপে লিখা কথা বই বিষয়ে চৈনিকদের একটি প্রবচন হচ্ছে- বই হলো একটা বাগান যা পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো যায়। গল্প সংকলনের জন্য এই প্রবচন খুব সত্যি। বাগানে নানান ধরনের ফুল, সৌরভ আছে বর্ণ নেই। বর্ণ আছে গন্ধ নেই। গল্প সংকলনেওতো এই ব্যাপারই। প্রতিটি গল্প শুরুর আগে গল্প বিষয়ে কিছু কথাবার্তা বললাম। গল্পটি কেন লিখেছি, কিভাবে লিখেছি এই সব হাবিজাবি। যে সমস্ত পাঠক হাবিজাবি পছন্ত করেন না তারা মূল গল্পে চলে গেলে ভাল হয়। সংকলনটি নাম আমার দেয়া না। প্রকাশকের দেয়া। তার ধারণা হিমু নামটা কোন না কোন ভাবে থাকা মানেই বেশি বিক্রি। আমি তরুণ প্রকাশকের ভুল ভাঙ্গাইনি। হুমায়ূন আহমেদ নুহাশ পল্লী, গাজীপুর।
"হলুদ হিমু (৬টি হিমুগ্রন্থ একত্রে)" বইটির সূচিপত্রঃ ময়ূরাক্ষী হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম চলে যায় বসন্তের দিন হিমু আজ হিমুর বিয়ে হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী