হার্ট প্রতিস্থাপনের পর নিজের বোটে অবসর সময় কাটাচ্ছিলেন সাবেক এফবিআই এজেন্ট টেরি ম্যাকেলেব। একদিন একজন মহিলা বোটে এলো বোনের হত্যা রহস্য সমাধানের কেস নিয়ে। খুন হওয়ার পর মহিলার বোনের অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ম্যাকেলেবের দেহে। বাধ্য হয়েই ম্যাকেলেবকে কেসটা নিতে হল। কেস সমাধানে নেমে ম্যাকেলেব আবিষ্কার করল অদ্ভুত ভয়ঙ্কর এক খুনি বেছে বেছে মানুষ খুন করছে লস অ্যাঞ্জেলস শহরের বুকে। খুনিকে ধরার মত কোনো ক্লু নেই ম্যাকেলেবের হাতে। এছাড়াও কেস সমাধানের পথে ওকে মুখোমুখি হতে হল প্রশাসনিক বাধা-বিপত্তির। এত কিছু সামলে ম্যাকেলেব কি পারবে এই উন্মাদ খুনিকে ধরতে নাকি বিলীন হয়ে যাবে অন্ধকার জগতে?
"গ্রামের সাধারণ ছেলে মুনির ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়তে এসেছিল একবুক স্বপ্ন নিয়ে। সৌভাগ্যক্রমে হলেও জায়গা পেয়ে যায়। আর এই হল জীবনটাই কিভাবে যেন সাদাসিধে, আবেগী তরুণটার সবকিছু বদলে দিলো। উচ্চবিত্ত ঘরের ছেলে পার্থকে হলে রুমমেট হিসেবে পেল সে, যে কি না স্বভাবে একদমই তার বিপরীত। সাহসী, জেদি ছেলেটার মনের ভেতর কী যেন একটা ক্ষোভ আছে। আছে অভিমান। এছাড়াও আছে, অন্ধকার এক দিক। যে অন্ধকার মনের গোপন কথাটা মুনির জানার চেষ্টা করেও তল পায় না। একদিন মুনির ঠিকই জানতে পারে সে সত্য। ভয়ানক সত্যটার মুখোমুখি হয়ে সে ভাবে, এভাবে সব না জানলেও হতো। সব সত্য না জানলেও বোধহয় ক্ষতি নেই। কিছু সত্য অন্ধকারেই থাকা উচিত। কিন্তু, ছাত্র বয়সের সে অন্ধকার অতীত যে এতবছর পরেও মুনিরকে তাড়া করবে, তা সে জানতো না। সব জেনেও মুনির নিশ্চুপ থাকে। সব প্রশ্নের উত্তর জেনেও হিসেব মেলে না, পুরনো রহস্য ফিরে আসে বর্তমানে। হয়তো সব কথা সবাইকে বলা যায় না। বলা হয় না..."
একজন মানুষকে কি দেখে বোঝা যায় যে সে আসলে কে? মানুষের ওপরটা দেখে কি তার ভেতরের রূপটা জানা যায়? মানবমনের ফাঁকফোকড়ে লুকিয়ে থাকে কতশত ব্যাখ্যাতীত অনুভূতি, ত্রুটিবিচ্যুতি আর জটিলতা। আচ্ছা ইতিহাসও কি মানুষের মতো নয়? নিজের ফাঁকফোকড়ে যে ইতিহাস কতশত ব্যাখ্যাতীত ঘটনা লুকিয়ে রেখেছে তা আমরা একটু নজর দিলেই হয়তো দেখতে পাই। আমরা কি আদৌ জানতে পারি যে আসলে কী ঘটেছিলো? বা আমাদের কি জানানো হয়? বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক তরুণ এসে উঠলো এক পুরোনো বাড়িতে। রাত হলেই পাশের জনশূন্য ঘর থেকে ভেসে আসে রহস্যময় হাসির শব্দ। এই কাহিনির সাথে রাজা অশোকেরই বা কী সম্পর্ক? কিংবা আরেকজন বিখ্যাত ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে কেন দেখা যাচ্ছে মাঝেমধ্যে উঁকি দিয়ে যেতে? আমাদের দৃশ্যমান জগতই কি সব? নাকি অন্তরালে আছে আরো ভিন্ন কোনো ভুবন? ধীরেধীরে যখন উন্মোচিত হয় সব সত্য, তখন জাপ্টে ধরে আরো রহস্য। সবই কি আসলে ভ্রম? এই মানবজীবনের মতো? পাঠক তা আবিষ্কার করবে এই দুই মলাটের পাতায় পাতায়। অলৌকিক আর অন্ধকারাচ্ছন্ন ভুবনে আপনাদের স্বাগতম।
একের পর এক রোগী অপারেশন থিয়েটারে কোমায় আক্রান্ত হচ্ছে। সুজান হুইলার হাসপাতালে তার প্রথম কর্মদিবসেই জড়িয়ে পড়ে সেই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে। কিন্তু অদৃশ্য একদল লোক তার জীবননাশের জন্যে মরিয়া হয়ে ওঠে। এ কাজ থেকে তাকে বিরত রাখতে চায় তারা। অদম্য সুজান যখন সেই রহস্য উদঘাটনে সফল হলো তখন দেখা গেলো তার নিজের জীবনটাই বিপন্ন হতে বসেছে। কিন্তু অন্য আরেকজন শেষ মুহূর্তে সমস্ত হিসেব নিকেশ পাল্টে দেয়। মেডিকেল থৃলারের জনক রবিন কুকের এই উপন্যাসটি বর্তমানে একটি ক্লাসিক হিসেবে স্বীকৃত।
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মুশকান জুবেরিকে খুঁজে যাচ্ছে নুরে ছফা। তবে সে একা নয়, প্রবল ক্ষমতাবান আরেকজনও মরিয়া হয়ে উঠছে রহস্যময়ি এই নারীকে খুঁজে পেতে। সেই ক্ষমতাবানের সাহায্য নিয়ে নতুন উদ্যমে নেমে পড়ে ছফা, দ্রুতই আবিষ্কার করে মুশকান সম্পর্কে এতোদিন যা জানতো সবটাই মিথ্যে। বরং এখনকার গল্পটি অনেক বেশি যৌক্তিক আর বাস্তব। সত্য-মিথ্যার এক গোলকধাঁধায় ঢুকে পড়ে সে। কিন্তু তার কোন ধারণাই নেই, মুশকানের মুখোখুখি হলে কোন সত্যটি জানতে পারবে। এতোদিন এই রহস্যময়ি কোথায় ছিলো-এ প্রশ্নের চেয়েও বড় হয়ে ওঠে, কিভাবে ছিলো! আর পাঠক যখন সেটা জানতে পারবে তখন আরেকবার শিহরিত হবে, আবিষ্কার করবে মুশকানের প্রহেলিকাময় জগত।