শহরের উপর দিয়ে কালবােশেখি বয়ে যাবার পর বৃষ্টি নেমেছে। হালকা বৃষ্টির সাথে বইছে চমৎকার বাতাস। প্রথমবারের মতাে গাড়ির ওয়াইপারটা কাজ করতে শুরু করলাে ডানে-বামে হেলেদুলে। ড্রাইভিং সিটের খােলা জানালা দিয়ে চোখেমুখে বাতাসের ঝাপটা এসে লাগতেই শিশ দিয়ে প্রিয় একটি গানের সুর তােলার চেষ্টা করলাে কিন্তু পারলাে না। আপন মনে হেসে ফেললাে। আজ মন মেজাজ খুবই ভালাে। ভালাের যদি কোনাে পরিমাপ থাকতাে এটা হতাে সর্বোচ্চ পরিমাণের! কতােদিন এই স্বপ্নটা দেখেছে, কতাে প্রতীক্ষার পরই না আজ এটা পূরণ হয়েছে! গাড়ির প্রতি তার এই পাগলামিটা অন্য কেউ হয়তাে পুরােপুরি বুঝতে পারবে না। পাগলামিটা সে মনেপ্রাণে লালন করে এসেছে শৈশব থেকেই। এতােদিন শুধু অন্যের গাড়ি দেখেছে, কিছুক্ষণের জন্য চালিয়ে উপভােগ করেছে। আর মনে মনে ভেবেছে একদিন তারও গাড়ি হবে। গাড়ি কেনার অনেক আগে থেকেই বিদেশী কার-ম্যাগাজিনগুলাে নিয়মিত পড়তাে সে। নতুন কোন্ মডেল বাজারে এসেছে, কোন্ কোম্পানির গাড়ির কি কি নতুন বৈশিষ্ট, ইঞ্জিন, গিয়ার, অ্যাকসেসরিতে নতুন নতুন কি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে সব খবরই রাখতাে; স্বপ্ন দেখতাে একদিন এমন সময় আসবে যখন দু’হাত ধরে থাকা স্টিয়ারিংটা হবে একান্তই নিজের! গাড়ি কেনার অনেক আগে থেকেই বিদেশী কার-ম্যাগাজিনগুলাে নিয়মিত পড়তাে সে। নতুন কোন্ মডেল বাজারে এসেছে, কোন্ কোম্পানির গাড়ির কি কি নতুন বৈশিষ্ট, ইঞ্জিন, গিয়ার, অ্যাকসেসরিতে নতুন নতুন কি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে সব খবরই রাখতাে; স্বপ্ন দেখতাে একদিন এমন সময় আসবে যখন দু’হাত ধরে থাকা স্টিয়ারিংটা হবে একান্তই নিজের!
'ড্রেসডেন ফাইসের স্রষ্টা হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিত জিম বুচার ১৯৭১ সালে আমেরিকার মিসৌরিতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে অসুখের সময় তার বোন তাকে দ্য লর্ড অব দি রিং এবং দ্য। 'হান সোলো অ্যাডভেঞ্চার্স উপন্যাস দুটো পড়তে দেয় সময় কাটানোর জন্য। সেই থেকে ফ্যান্টাসি আর সায়েন্সফিকশনের প্রতি আগ্রহ জন্মে তার। টিনএজ বয়সেই নিজের প্রথম উপন্যাস লিখেছিলেন তিনি, ঠিক করেছিলেন লেখক হবেন। দীর্ঘদিন প্রচলিত ধারার ফ্যান্টাসি লেখা লিখে প্রকাশকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে লিখে ফেলেন হ্যারি ড্রেসডেন নামক এক জাদুকরের কাহিনী নিয়ে ড্রেসডেন ফাইন্স সিরিজের প্রথম বইটি। আধুনিককালের শিকাগো শহরের পটভূমিতে লেখা বইটি দারুণ জনপ্রিয়তাই শুধু পায়নি, সেই সঙ্গে জিম বুচারকে দিয়েছে প্রবল জনপ্রিয়তা।
প্রতিশােধের রং কি? এটা কি লাল, নাকি নীল না আগুনরঙা? প্রখ্যাত রহস্যরােমাঞ্চ লেখক ওবায়েদ রহমানের একমাত্র ছেলে ইশতিয়াক রহমান অফিস থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। তার অন্তধানের এক সপ্তাহ পর দোরগােড়ায় হাজির হয়। রহস্যময় এক ভিডিও ও একটি কাটা আঙুল! ভিডিওতে কী জানি বিড়বিড় করে যায় হেলমেটধারি উন্মাদ এক লােক। ডাক পড়ে সেচ্ছানির্বাসনে থাকা মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স অফিসার আলী রেজা বখতিয়ারের, সাথে ইশতিয়াকের দুই বন্ধু ইফতি ও রােমেল। তারা তিনজন মিলে কী পারবে উন্মাদটাকে থামাতে? ইশতিয়াককে ঘরে ফিরিয়ে আনতে?
একটা ছেলে। থ্যালাসেমিয়ার রোগী। মা-কে নিয়ে খুব কষ্টের জীবন তার। আর তার বাবা? থাক, তার বাবার কথা আর না-ই বা বললাম। একজন প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর। প্রচণ্ড মেধাবী। আকস্মিকভাবে জড়িয়ে পড়লেন অদ্ভুত এবং রহস্যময়, একইসাথে হাস্যকর এক কেসে। তদন্তে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এল সাপ। একজন ছাপোষা মানুষ। টাইপিস্ট। অফিসের সবাই তাকে নিয়ে মজা করে। কোনদিনও অফিস টাইমে কাজ শেষ করতে পারেন না। প্রায় প্রতিদিনই ওভারটাইম করেন। তার একমাত্র শখ, মানুষকে নিয়ে সাইকোলজিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট করা! এই তিনটি গল্প একসময় মিলে গেল এক বিন্দুতে, শেষের দিকে এসে গল্পের প্রধান চরিত্র এবং পাঠক উভয়েই বুঝতে পারলেন এতক্ষণ ধরে তিনি যা ভাবছিলেন ঘটনা আসলে মোটেও তা নয়! কাহিনী সম্পূর্ণ ভিন্ন!
কিছু আগমন শোনায় ধ্বংসের সিম্ফোনি। ফক্স বোনদের সাথে মৃতদের যোগাযোগের অদ্ভূত ক্ষমতার কথা জানে কোটি কোটি মানুষ। কিন্তু এই ক্ষমতার পেছনে সত্যিটা আসলে কী? টাকমাথাওয়ালা এক লোক যার প্রিয় কাজ ঘুমিয়ে থাকা প্রাণী দেখা, তার কাছে পাওয়া গেলো অদ্ভূত এক বই। সেখানে এক ধরণের রিচুয়ালের কথা রয়েছে, যেই রিচুয়াল পালন করলে পাওয়া যাবে স্পিরিচুয়াল ওয়াক নামক অদ্ভূত এক ক্ষমতা। সেই ক্ষমতা কি পেয়েছিলো সাইফুদ্দিন? তার অফিস কলিগের মেয়ে নিখোঁজ যুথিকে খুঁজতে মরিয়া রাফায়েল। যে কোন সময় ঘটিয়ে ফেলতে পারে দূর্ঘটনা। ভাগ্যক্রমে নিখোঁজ মেয়েটাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব নিলো সাইফুদ্দিন। মাথায় ঠেকানো পিস্তল, সময় মাত্র সাত দিন। যুথি কি তাহলে খুন হয়ে গেছে? যদি হয়ে থাকে কে খুন করলো যুথিকে? ভিন্ন এক জগতের যাত্রার সুতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আমাদের আশপাশের পরিচিত পৃথিবীতে। আর সামনে অপেক্ষা করছে বিপদ! ভীষণ বিপদ!
মিরপুরের পরিত্যাক্ত এক বাড়িতে টিভি রিপোর্টার নাফিস কী এমন খুঁজে পেল, যা তার বিশ্বাসের সব ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে? সবার অলক্ষ্যে কোন অশুভ নরখাদক হানা দিচ্ছে ব্যস্ত নগরী ঢাকায়? কেন? ওদিকে ময়মনসিংহে পা রাখতেই রফিক শিকদারের মনে জেগেছে অজস্র প্রশ্ন। অদ্ভুত সব রহস্য দেখা দিচ্ছে তার চারপাশে। অতীত-বর্তমানের কোন যোগসূত্র তাকে টেনে এনেছে এখানে, তার দাদার মাজারে? তবে কি তার জীবনে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো সব এক সুতোয় গাথা? তিন অদ্ভুত ভাই হাবিল-নাবিল-কাবিলই বা কী চায়? হেম্মেজের রহস্যময় আচরণ বারবার সন্দেহের জন্ম দিচ্ছে। সব বিপত্তি পেড়িয়ে মায়াবাঘ এর আক্রমণের জবাব খুঁজতে রফিক ছুটে গেল খুলনায়। ওদিকে রাজশাহীতে নদীর তীরে একের পর এক উধাও হচ্ছে মানুষ। হারিয়ে যাচ্ছে প্রাণীরা। সত্যকলামের ‘অপ্রাকৃত’ বিভাগেও জমা হয়েছে ময়মনসিংহের বন-পাহাড়ে ঘটে যাওয়া এক নারকীয় তাণ্ডবের ঘটনা।