গভীর সমুদ্রের নিচে নিকম কালো অন্ধকার। সূর্যের আলো সেখানে পৌছায় না। সেই ঘন অন্ধকারে দেখা যায় আলােজুল মাছদের। এদের বলে দীপক মাছ। সমুদ্রের ২০০ থেকে ৭০০ মিটার গভীরতায় এই ধরনের মাছ দেখতে পাওয়া যায়। সমুদ্রের নিচের নিকক্ষ অন্ধকারের মাঝে বিচিত্র আকৃতির প্রাণীরা ঘুরে বেড়ায়। তাদের একটি। হলাে আলােড়লা মাছ। এদের দেখলে মনে হয় আলাের বাতি জ্বালিয়ে ঘুরছে মাছগুলাে। আলাের মালা যেন ভাসছে। এসব মাছদের চোখের নিচে, পেটের নিচে এবং লেজের কাছে আলাে জ্বলতে দেখা যায়। ঘন অন্ধকারে খাদ্য শিকারের জৈবিক প্রয়ােজনেই তাদের দেহে এমন করে আলাে জ্বলে।
প্রাণিবৈচিত্র্যে ভরা আমাদের পৃথিবীর পরিবেশ বদলে যাচ্ছে। কিছু মানুষের অনৈতিক আাশের শিকার গাছপালা, নদীনালা, পশুপাখি। আজকের শিশু-কিশোরদের মাঝে পরিবেশের প্রতি ভালোবাসা বাড়ানোর জন্য, পশুপাখি, কীটপতঙ্গ ও গাছপালা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য বইটি লেখা হয়েছে। আশা করি বইটি সবার ভালো লাগবে।
"বিস্ময়কর ব্যাকটেরিয়া বইটি ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া স্যার কর্তৃক রচিত অনুজীব বিষয়ক বই। বইটিতে অতি ক্ষুদ্র এক একটি ব্যাকটেরিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কোথায় নেই ব্যাকটেরিয়া সেটিই বড়ো প্রশ্ন। কারণ পৃথিবীর সর্বত্রই এদের দেখা মেলে। মাটি বলি, পাথর বালি, নদনদী কিংবা সমুদ্র বালি এবং এমনকি মেরু অঞ্চলের বরফেও এদের উপস্থিতি দেখা যায়। মরুভূমির তপ্ত বালু কিংবা উষ্ণ ঝরনাধারায় এদের কোনো কোনোটার বাস, কোনো কোনোটা বাস করে অন্য জীবের দেহের উপর কিংবা দেহের ভেতরও। গাছপালা, প্রাণী কিংবা মানুষের দেহের মধ্যেও এদের উপস্থিতির কথা জানা গেছে। কেবল উপস্থিতি নয় রীতিমতো সেখানে বাস করে ব্যাকটেরিয়া। মানুষের দেহে যত কোষ আছে তারও দশ গুণ বেশি আছে ব্যাকটেরিয়ার কোষ। প্রচুর সংখ্যক ব্যাকটেরিয়া বাস করে মানুষের পরিপাক নালিতে। থাকে এরা এমনকি জাবর কাটা পশুর অন্ত্রেও। পৃথিবী পৃষ্ঠের নিচে বেশ গভীরে বাস করে কোনো কোনো ব্যাকটেরিয়া। কিছু ব্যাকটেরিয়া বাস করে মাটিতে কিংবা মৃত জীব বা গাছপালার মধ্যে। এক গ্রাম মাটিতে থাকতে পারে ৪০ মিলিয়ন ব্যাকটেরিয়ার কোষ। আর বিশুদ্ধ পানযোগ্য এক মিলিলিটার পানিতে থাকতে পারে এক মিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া।"
বনফুল রয়েছে আমাদের চোখের সামনে, কিন্তু কাছের এই ফুলগুলো খুব ভালোভাবে দেখা বিশেষ হয়ে ওঠে না। পথের ধারে, মাঠে-প্রান্তরে, বাড়ির আঙিনায় কতোরকম গাছে কতো ধরনের বনফুলই না ফোটে। যত্ন করে কেউ এসবের পরিচর্যা করে না, নিজের শক্তিতেই তাদের জন্ম আর বিকাশ। অথচ আমাদের জীবনে নানা উপকারে আসে এইসব বনফুল। বিশেষ করে বিভিন্ন রোগ উপশমে বনফুলের রয়েছে বহু ধরনের কার্যকারিতা। তাই বনফুল মোটেই অবহেলা করার নয়। বাংলার অজস্র বনফুল থেকে মাত্র চব্বিশটিকে বাছাই করে এখানে একটা স্তবক তৈরি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমনি আরো কতক স্তবক ক্রমে ক্রমে কিশোর-কিশোরীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। এই পরিচিতি যদি তাদের মনোযোগী করতে পারে বনফুলের প্রতি, যত্ন নিতে শেখায় বনফুলের এবং সর্বোপরি প্রকৃতির প্রতি দরদ ও ভালোবাসায় মন ভরিয়ে তুলতে পারে তবেই সার্থক হবে লেখকের পরিশ্রম। তাই আমরা আশা করবো আরো গভীরভাবে কিশোর- কিশোরীরা তাকাবে বনফুলের দিকে, জানতে চাইবে এর পরিচয় আর বৈশিষ্ট্য, দেখবে এর গড়ন আর বাহার। তাহলেই তো বুঝতে পারবে প্রকৃতি আমাদের কতো পরম বন্ধু, আর কতোই-না আনন্দ ও শিক্ষা মেলে ধরেছে আমাদের সবার জন্য। বনফুল বিষয়ে বাংলায় অনন্য এই বইয়ের ছবি ও লেখা সাজিয়েছেন নওয়াজেশ আহমদ, নিজে যিনি প্রকৃতি-বিজ্ঞানী ও নিসর্গপ্রেমী এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রগ্রাহক। এমন বইয়ের তুলনা আর কোথায় মিলবে।"