আমেরিকান প্রেসিডেন্ট চলেছেন এয়ার বেস (রেসট্রিকটেড) যিরো নাইন পরিদর্শনে। কিন্তু মন বলছে ওখানে বিপদ হতে পারে। হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়ে গোপনে মাসুদ রানার সহায়তা চেয়ে বসলেন তিনি। ওদিকে রানাকে বললেন বিসিআই চিফ: ওই বেসে রয়েছে। দুনিয়ার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বায়োলজিকাল এজেন্ট মহাচিনের তৈরি ডুমস্ ডে ভাইরাস। ‘যাও, রানা… তবে মনে রেখো, কাজটা অত্যন্ত কঠিন। সম্ভব হলে, ওই ভাইরাসের নমুনা ও অ্যান্টিডোট নিয়ে এসো।‘ চিফের নির্দেশে ওখানে চলেছে দুঃসাহসী মাসুদ রানা, সঙ্গে কয়েকজন দুর্ধর্ষ অফিসার ও সৈনিক- কিন্তু ওই এয়ার বেসে ঢুকেই ওরা টের পেল, ওখানে চলছে মস্ত ভজকট। চারপাশে একের পর এক ষড়যন্ত্র, নানা বাধা। তারপর শুরু হলো হামলা! বাঁচতে চাইলে লড়তে হবে। কিন্তু কীভাবে নিজেদেরকে রক্ষা করবে ওরা? ওই বেসে দুনিয়াসেরা পঞ্চাশজন এয়ার ফোর্স কমান্ডো খুঁজছে ওদেরকে খুন করার জন্য!
রহস্যপত্রিকা বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকা। ১৯৭০ সালেই রহস্য পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রথম দফায় চারটি সংখ্যা প্রকাশ হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৮৪ সালে সেবা প্রকাশনী থেকে এই পত্রিকা কাজী আনোয়ার হোসেন এর সম্পাদনায় এটি নিয়মিত প্রকাশিত হওয়া শুরু করে। এটি একটি রহস্য ও অ্যাডভেঞ্চারধর্মী মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। এ পত্রিকায় পাঠকদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রকারের সাহিত্যকর্মও স্থান পায়।
এক শতাব্দীপ্রাচীন শয়তানের আগমন ঘটেছে। কেঁপে উঠছে সবার অন্তরাত্মা।প্রত্যেকে বলাবলি করছে এসে গেছে আসল শয়তান। কবরে থাকা লাশ গায়েব হয়ে যাচ্ছে, জঙ্গলে শুরু হয়েছে ভ্যাম্পায়ারের আনাগোনা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে । মানুষজন শুরু করেছে আত্মার লেনদেন। জেগে উঠছে অ্যাজটেক মূর্তি, মানুষের কলজে চাই ওটার। বস্টনের গির্জায় এক মেয়ের লাশ পাওয়া গেল, ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটা ভ্যাম্পায়ার। জিন্দালাশ মানুষের উপর হামলা চালালেও এড়িয়ে চলছে গির্জা। জ্যান্ত হয়ে উঠেছে পুতুল, খুনের নেশায় ঘরময় ছুটোছুটি শুরু করে দিয়েছে। শয়তান এখন সবখানে, এমন কী সে পিয়ানোর সুরে সুরে ঢুকে পড়েছে। কিন্তু কে হবে সেই শয়তাবের সাগরেদ? কী তার পরিচয়? কার হাতে প্রাণ হারাবে একের পর এক নিষ্পাপ মানুষ?
কুয়াশা,শহীদ ও কামাল। দেশে- বিদেশে অন্যায় অবিচারকে দমন করে সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করাই এদের জীবনের ব্রত। এদের সঙ্গে পাঠকও অজানার পথে দুঃসাহসিক অভিযানে বেরিয়ে পড়তে পারবেন। উপভোগ করতে পারবেন রহস্য, রোমাঞ্চ ও বিপদের স্বাদ। শুধু ছোটরাই নয়, ছোট-বড় সবাই এ বই পড়ে প্রচুর আনন্দ লাভ করবেন। আজই সংগ্রহ করুন।
সেই ভয়ংকর রাত অনীশ দাস অপু এ বইতে আপনি গা ছমছমে ভৌতিক কিছু গল্পের সঙ্গে পাচ্ছেন সম্পূর্ণ একটি পিশাচ-উপন্যাস। সেই সাথে চমকে ওঠার মত দু’টি হরর সায়েন্স-ফিকশন এবং একটি রোমাঞ্চ-গল্পও থাকছে। হরর- প্রিয় পাঠকদের শিহরিত করে তোলার কোনও অনুষঙ্গই বাদ পড়েনি বইটিতে জ্যান্ত মমি তারক রায় কল্পনা করুন, একগুচ্ছ ভয়ংকর গল্প যেগুলো সদা খোঁড়া কবরের মতই রহস্যময়। এত ভয়ানক যে মধ্যরাতে বাতাসে ঝরে পড়া পাতার মত ছড়িয়ে দেয় স্বপ্নকে। এতই আতংকের যে রক্তকে বরফের মত জমিয়ে দেয়। এতটাই রোমহর্ষক যে নিজেই ভয় পায় স্বয়ং শয়তান। কল্পনা করুন। এবার বইটি খুলে পড়তে বসুন দেখি।
অপদেবতার হিংস্রতা বা অশরীরীর জান্তব চিঙ্কার যখন কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করে, মৃত্যুর জন্য যখন শুরু হয় ভয়ঙ্কর এক অপেক্ষা, যখন রক্ত ঝরে, আঁধারের জগৎ থেকে আসে তীব্র আঘাত; তখন দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়ায় কেউ-কেউ। আর্তনাদের স্বর থামলেও, থেকে যায় আতঙ্ক, আঘাতের চিহ্ন। এই মৌলিক হরর সঙ্কলনে ১টি উপন্যাস, ৩টি উপন্যাসিকা আর ৮টি ছোট গল্পে সুলেখক রিয়াজুল আলম শাওন বলেছেন অন্য জগতের কিছু গা শিউরে ওঠা ভয়ঙ্কর গল্প। প্রিয় পাঠক, অভিশপ্ত কিছুর মুখোমুখি হতে প্রস্তুতি নিন, শ্বাস আটকে রাখুন, আর খুব সাবধানে প্রবেশ করুন দুঃস্বপ্নের কালে।
শাঁখিনী অনীশ দাস অপু সম্পাদিত অনবদ্য এক হরর সংকলন শাঁখিনী। এক কুড়ি দেশি-বিদেশি হরর, পিশাচ ও রোমাঞ্চ গল্প নিয়ে এবারের নৈবেদ্য। যথারীতি প্রতিটি গল্পই পাঠকদেরকে করে তুলবে চমকিত, শিহরিত ও রোমাঞ্চিত! নিশিডাকিনী তৌফির হাসান উর রাকিব সম্পাদিত দৃষ্টির অগোচরে থাকা অতিপ্রাকৃত জগতের প্রতি আগ্রহের কমতি নেই আমাদের। কী লুকিয়ে আছে ওখানে? কারা লুকিয়ে আছে? অধুনা হরর সাহিত্য মাতানো জনপ্রিয় সব লেখকদের নিখাদ মৌলিক গল্পগুলো একবার পড়তে শুরু করলে ঘড়ির কাঁটার অস্তিত্ব ভুলে যেতে বাধ্য হবেন আপনি। যাঁরা অতিলৌকিক কাহিনী ভালবাসেন, তাদের জন্য “নিশিডাকিনী’-র ডাক উপেক্ষা করা এক কথায় অসম্ভব!
অতিপ্রাকৃত জগতে রহস্যের কোন শেষ নেই। আর এই অপার সাম্রাজ্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণও তাই দুর্দমনীয়। তন্ত্র-মন্ত্র… ভূত-প্রেত… নরখাদক… পিশাচ… তান্ত্রিক-কাপালিক… কালো জাদু… কী নেই এখানে? পর্দার আড়ালের এ-সমস্ত কুশীলবদের নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন-অন্ধকারের গল্প।
ন্যাংটো-নাচ দেখিয়ে বেড়াত মেয়েটা। কীসে রক্তশূন্য করে দিয়েছে ওকে? শত বর্ষের পুরানো সড়কে কেন এত মৃত্যুর মিছিল? এ কোন অভিশাপ উঠে এসেছে আদিম লেকের গভীর থেকে? তবে কি ইনডিয়ানদের কথাই সত্যি—জেগে উঠেছে কিংবদন্তির নররাক্ষস? দিনেদুপুরে নেকড়েমানব দেখতে পাচ্ছে। বিপথগামী এক দল তরুণ-তরুণী-শুনতে কেমন লাগে না? শেকসপিয়র ঠিকই বলেছেন: দেয়ার আর মোৱ থিংস ইন হেভেন অ্যাণ্ড আর্থ।
ট্যাবু তৌফির হাসান উর রাকিব সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. নোরার চেম্বারে একটি অদ্ভুত সমস্যা নিয়ে হাজির হলো এক যুবক! নর্থ হাইওয়েতে পাওয়া লাশগুলোর সঙ্গে কী সম্পর্ক মিরান্ডা, লারা কিংবা পুরুষ এসকর্ট, জেফ কার্টারের? স্ত্রীকে রক্ষা করতে সত্যিই কি শেষতক পিশাচের মুখোমুখি হবে মানিক? দেবদূতের আদেশে সপ্ত পাহাড়ের পবিত্র গুহা থেকে কী নিয়ে ফিরবে রাজপুত্র কিকা? বুড়ো হিউগোর নির্দেশ অমান্য করে কীসের লোভে নিষিদ্ধ এলাকায় পা বাড়াল বেপরোয়া মিচেল? সত্যিই কি গোল্ড ক্রীকের তলায় বসবাস করে কিংবদন্তীর চিতাবাঘ, মিশিবিঝিউ? সাধনা রিয়াজুল আলম শাওন সঙ্কলনটিতে স্থান পেয়েছে একটি সম্পূর্ণ উপন্যাস, একটি উপন্যাসিকা এবং ছোট-বড় সাতটি গল্প। সুলেখক রিয়াজুল আলম শাওনের এই মৌলিক হরর সঙ্কলনটি আপনার মনের ভয়, অস্বস্তি, কাঁপুনি বাড়িয়ে দেবে বহুগুণে। কাহিনীর মধ্যে প্রবেশ করলে আপনিও এক ভয়ঙ্কর জালে জড়িয়ে পড়বেন। এই ভয়ের রাজ্য থেকে কারও মুক্তি নেই। কাজেই সাবধান!
মাথার চুল খাড়া হয়ে গেল তরুণের। চাঁদের আলোয় পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। ওটাকে। মড়াটা। ধীরে ধীরে তারই দিকে এগিয়ে আসছে। অথচ একটু আগেও কফিনের ভিতরে শুয়ে ছিল। এখন উপায়? ইংল্যাণ্ডের হাইগেট গোরস্তানে উদয় হয় ভীতিকর এক আগন্তুক। ওখানে নিয়মিত মেলে শিয়াল-কুকুর এমনকী তরুণীদের রক্তশূন্য লাশ। এসব কি তবে ভ্যাম্পায়ারের কাজ? আইসল্যাণ্ডের এক পাদ্রীর বাড়িতে হানা দিচ্ছে ভয়ঙ্কর এক অশরীরী। কিন্তু শুধু তরুণ ম্যাগনাসই কেন দেখতে পায় তাকে? বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে গেলেন এক লর্ড। রাতে হঠাৎই ঘুম ভেঙে গেল। দেখলেন সামনের বাগানে কাঁধে কফিন নিয়ে হাঁটছে এক লোক। লোকটার মুখের দিকে তাকিয়েই চমকে উঠলেন লর্ড। কেন? পাঠক, আমাদের এই চিরচেনা জগতের আড়ালে আছে অচেনা আরেক দুনিয়া। অন্য সেই ভুবনে আপনাকে স্বাগতম। এ তো কেবল কয়েকটি নমুনা পাবেন এমন ১৩০টির বেশি রোমাঞ্চকর কাহিনী। আর হ্যা, এগুলো কিন্তু গল্প নয়, সত্যি।
অখণ্ড অবসরে অনেক কাল্পনিক ঘটনা ও চরিত্র পড়তে গিয়ে পাশাপাশি নিজের বাস্তব জীবনের কথা প্রায়ই মনে পড়ত; গল্পের ছলে অনেক সময় সেগুলো অনেককে শোনাতামও। যাদের ভাল লাগত তাদেরই একজন হঠাৎ একদিন প্রস্তাব দিল—এ নিয়ে একটা বই লিখলে কেমন হয়। গল্প বোধহয় ভালই করতাম; কিন্তু লিখতে গেলে কিছু বেরুবে কি? এ ছাড়া শারীরিক অসুস্থতাও ফিট অন্তরায়। ভাগ্নে রনজু বলল, আপনি বলে যান, আমি লিখব। তারপরেই চলল দু’জনের প্রাণান্তকর চেষ্টা। অনেক ঘাম ঝরিয়ে, অনেক স্মৃতি রোমন্থন করে যা বের হলো, সেটাই হচ্ছে এই ‘হেল কমাণ্ডো’ ।
মহাজাতক শহীদ আল বোখারী মহাজাতক বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক মেডিটেশন চর্চার পথিকৃৎ। জাগতিক ও মানবিক সমস্যা সমাধানের জন্যে জীবনযাপনের বিজ্ঞান কোয়ান্টাম মেথড এর উদ্ভাবক ও প্রশিক্ষক। পরম করুণাময়ের অনুগ্রহে গত ১৭ বছর ধরে তিনি একনাগাড়ে দেশের সর্বত্র কোয়ান্টাম মেথড এর তিন শতাধিক কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। মেডিটেশন চর্চার ইতিহাসে উদ্ভাবক কর্তৃক এককভাবে ক্লাস নিয়ে ১৭ বছরে ৩০০ কোর্স সম্পন্ন করা এই প্রথম। গত দেড় দশকে বাংলা ভাষায় সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থ ‘কোয়ান্টাম মেথড ছাড়াও তার রচিত “আত্মনির্মাণ’, ‘চেতনা অতিচেতনা নিরাময় ও প্রশান্তি’, জীবন বদলের চাবিকাঠি অটোসাজেশন’ পাঠকের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। কোয়ান্টাম কোয়ান্টাম আধুনিক মানুষের জীবনযাপনের বিজ্ঞান। সঠিক জীবনদৃষ্টি প্রয়োগ করে মেধা ও প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকে অনন্য মানুষে রূপান্তরিত করাই এর লক্ষ্য। স্ব-উদ্যোগ, স্ব-পরিকল্পনা ও স্ব-অর্থায়নে সৃষ্টির সেবায় সঙ্গবদ্ধভাবে কাজ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দশ জাতির অন্তর্ভুক্ত করাই এর মনছবি। কোয়ান্টাম মেথড অনুশীলন করে সমাজের সর্বস্তরের লাখো মানুষ অশান্তিকে প্রশান্তিতে, রোগকে সুস্থতায়, ব্যর্থতাকে সাফল্যে, অভাবকে প্রাচুর্যে রূপান্তরিত করেছেন। কোয়ান্টাম চর্চার মাধ্যমে আপনিও বদলে দিতে পারেন আপনার জীবন।
এরা সব যায় কোথায়? কাল্পনিক কিছু নয়-আটলান্টিকের একটা বিশেষ এলাকায় পৌঁছলেই আশ্চর্য সব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছে নাবিকেরা, সেই কলম্বাসের সময় থেকে, আজও। হারিয়ে যায়। গোটা জাহাজ, সাবমেরিন বা বিমানের কোন চিহ্নই খুঁজে পাওয়া যায় না আর। ইদানীং পাশ্চাত্য বিশ্বে এ নিয়ে মহা হৈ-চৈ হচ্ছে। সবাই জানতে চায়, কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে এই ত্রিভুজে। ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক ফিল্ড, নাকি গ্রহান্তরের বা সাগর গর্ভের কোন বুদ্ধিমান জীবের কারসাজি, নাকি অন্য কোন ডাইমেনশন, নাকি টাইম ডিসটরশন, নাকি অন্য কিছু?
আশ্রয় ভোরের দিকে এরিখের তাবুর ক্যানভাসে ধীর লয়ে ড্রাম বাজিয়ে বৃষ্টির ফোটা। পাতলা হয়ে এসেছে ঘুম। আড়মোড়া ভেঙে পাশ ফিরতে গিয়ে হঠাৎ সতর্ক হয়ে উঠল সে। তাঁবুর বাইরে ঝোপের ভেতর অস্পষ্ট নড়াচড়ার শব্দ ধরা পড়েছে ওর কানে। অস্ত্রটা বাগিয়ে ধরে সন্তর্পণে তাঁবুর বাইরে মাথা বের করল এরিখ। অস্ত্র ফেলে দাও!’ গম্ভীর কণ্ঠস্বর ভেসে এল, চার-চারটে অস্ত্র তোমার দিকে তাক করা। এই হলো গল্পের শুরু। জ্বালা সাওলো। হাফ-ব্রীড। বাবা অ্যাপাচি সর্দার, মা শ্বেতাঙ্গ। সৎ ভাই কুরিয়াপো ঘৃণা করে ওকে-গালি দেয় নীল চোখে বেশ্যার ছেলে বলে। আবার পদে পদে টের পায় ও শ্বেতাঙ্গদের তীব্র ঘূণা-মানুষ বলে গণ্য করে না ওরা ওকে। তা হলে? কোনদিকে যাবে সাওলো? কাদের প্রতি থাকবে অনুগত? ও কি অ্যাপাচি, না শ্বেতাঙ্গ-কাদের হয়ে যুদ্ধ করবে? নিজের মত চলবে বলে স্থির করল সাওলো, ন্যায়ের পথে। অবশ্য তার আগে খুন করবে সে কুরিয়াপোকে।
প্রহসন অন্যায়ের প্রতিবাদ করে ফ্রেসনো সিটির সেলুনে প্রচণ্ড মার খেল কার্ল বোর্ডার। পরদিন শহরে স্টেজ থেকে নামল সশস্ত্র এক আগম্ভক-ম্যাক্স ব্র্যাণ্ড। খুনের দায়ে ফাঁসিয়ে দেয়া হলো তাকে, ওকে কি মরতে হবে বিনা অপরাধে? দূরের পথ চলেছে চব্বিশশো অভিযাত্রী। দুহাজার মিসৌরি থেকে অরিগনে মাইল দীর্ঘ পথ। দুর্গম। তার ওপর রয়েছে ইণ্ডিয়ানদের আক্রমণের ভয়। বাবা-মার সাথে ব্রায়ান ও তার ছোট ছয় ভাই-বোন চলেছে এই দূরের যাত্রায়। পথে হলো বিপর্যয়। পরিবারের সবার দায়িত্ব এসে পড়ল তেরো বছর বয়সী ব্রায়ানের ওপর। কী করবে সে? ফিরে যাবে? পরবাসী গৃহযুদ্ধের দু’বছর পর মনের ভিতর অনেক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নিয়ে নিজের এলাকায় ফিরল জেসন মার্কাস। দেখল, বদলে গেছে সবই। প্রতিবেশী আর বন্ধুবান্ধব ওকে এড়িয়ে চলে, তাদের ধারণা ও বিশ্বাসঘাতকদের একজন। হেরে যাওয়া বঞ্চিত একদল টেক্সানের পক্ষ নিতে হলো ওকে। তারপর শুরু হলো সত্যিকার বুনো সেই কক্ষ কিন্তু অবারিত পশ্চিমের এক শ্বাসরুদ্ধকর, মর্মস্পর্শী কাহিনী।
আত্ম-উন্নয়ন সাইলেন্স ডা. রেজা আহমদ পৃথিবীতে সবকিছু সাম্যাবস্থায় থাকতে চায়। আর সাইলেন্স বা নীরবতায় প্রকৃতি তার আসল রূপ প্রকাশ করে। আপনি যদি নিজেকে জানতে চান, তাহলে আপনাকে ভেতরে-বাইরে নীরব হয়ে যেতে হবে। আমি আপনার এ নীরবতার সঙ্গী হয়ে কিছু পথ, কিছু পরীক্ষা দেখিয়ে দিতে পারি। সেগুলো নিজে হাতে-কলমে পরীক্ষা করে আপনি লাভ করতে পারেন আত্মজ্ঞান। শুধু একটু সাহসী হতে হবে। নিজের ভেতর, নিজের সাথে থাকার ইচ্ছা থাকতে হবে। আর সর্বদা বর্তমান সময়ে উপস্থিত থাকতে হবে। আপনি নিজে যা দেখতে পাচ্ছেন, তাতে আস্থা রাখতে হবে। আপনি কি প্রস্তুত? তাহলে আসুন, আমার সাথে ডুব দিন এ নীরবতায়।
গৃহযুদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরে এল কার্ল শেকেড। দেখল ততদিনে পরপারে চলে গেছে মা-বাবা। ভিটে ও জমি-জমা বেদখল হয়ে গেছে। ফিরে পেতে হলে নিশ্চিত সংঘর্ষে জড়াতে হবে নামের সঙ্গে। মন চাইল না কার্লের। ব্যস, এখানে আর থাকা কেন? চলো পশ্চিমে। ওয়াইওমিং এসে গড়ে তুলল একটা র্যাঞ্চ। চোখে সোনালি ভবিষ্যতের স্বপ্ন। হঠাৎ ঘোড়া ছুটিয়ে দলবল নিয়ে হাজির হলো জস ফিলবি। কার্লকে বলল র্যাঞ্চ তুলে নিতে, কারণ জায়গাটা নাকি তার। কেন এ কথা মানবে কার্ল? মগের মুল্লুক পেয়েছে? বাধল সংঘাত। লিবির ষণ্ডারা পুড়িয়ে দিল কার্লের কেবিন। অল্পের জন্যে প্রাণে বেঁচে গেল ও। যার সহায়তায় সুস্থ হলো, সুযোগ পেয়ে সেই রহস্যময়ী ডেবি সিম স র্যাঞ্চ অর্ধেক মালিকানা দাবি করে বসল । উপায়ান্তর না-দেখে রাজি হলো কার্ল, তবে মনে মনে কঠোর শপথ নিল: দেখে ছাড়বে মেয়েটাকে! কিন্তু সবার আগে জস ফিলবির থাবা থেকে রক্ষা পেতে হবে; এবং একইসঙ্গে র্যাঞ্চও বার্চাতে হবে। সফল হতে হলে এক অসম লড়াইয়ে জিততে হবে ওকে-একা!